বুখারী হজ্জ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১৫১৩ – ১৬০০

২৫/১. অধ্যায়ঃ

হজ্জ ফর্‌য হওয়া ও এর ফযীলত।

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মানুষের উপর আল্লাহ্‌র জন্য বাইতুল্লাহর হজ্জ করা ফরয যারা সেথায় যাওয়ার সামর্থ্য রাখে এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ্‌ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষীহীন। (আল ‘ইমরানঃ ৯৭)

১৫১৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ، فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا، لاَ يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ، أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏‏.‏ وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ফযল ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) একই বাহনে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে আরোহণ করেছিলেন। এরপর খাশ‘আম গোত্রের জনৈক মহিলা উপস্থিত হল। তখন ফযল (রাঃ) সেই মহিলার দিকে তাকাতে থাকে এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাতে থাকে। আর আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফযলের চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে থাকে। মহিলাটি বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল ! আল্লাহ্‌র বান্দার উপর ফর্‌যকৃত হজ্জ আমার বয়োঃবৃদ্ধ পিতার উপর ফর্‌য হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের উপর স্থির থাকতে পারেন না, আমি কি তাঁর পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ (আদায় কর)। ঘটনাটি বিদায় হজ্জের সময়ের।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রে আরোহণ করে, তারা আসবে দূর-দুরান্তের পথ [৫০] অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে ।” (আল-হাজ্জঃ ২৭)

[৫০] পথ শব্দের মূলে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কুরআনেও বলা হয়েছে যার অর্থ হল প্রশস্ত রাস্তা বা পথ।

১৫১৪

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْكَبُ رَاحِلَتَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ يُهِلُّ حَتَّى تَسْتَوِيَ بِهِ قَائِمَةً‏.‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখেছি, আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুলহুলাইফা নামক স্থানে তাঁর বাহনের উপর আরোহণ করেন, বাহনটি সোজা হয়ে দাঁড়াতেই তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫১৫

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، سَمِعَ عَطَاءً، يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ إِهْلاَلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ‏.‏ رَوَاهُ أَنَسٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ رضى الله عنهم‏.‏

জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তালবিয়া পাঠ যুল-হুলাইফা হতে আরম্ভ হত যখন তাঁর বাহন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতো। হাদীসটি আনাস ও ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন অর্থাৎ ইব্রাহীম ইব্‌নু মূসা (রহঃ)-এর সূত্রে জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩. অধ্যায়ঃ

উটের হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমণ।

১৫১৬

وَقَالَ أَبَانُ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مَعَهَا أَخَاهَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ، فَأَعْمَرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، وَحَمَلَهَا عَلَى قَتَبٍ‏.‏ وَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ شُدُّوا الرِّحَالَ فِي الْحَجِّ، فَإِنَّهُ أَحَدُ الْجِهَادَيْنِ‏.‏

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়েশা (রাঃ) এর সাথে তাঁর ভাই ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) কে প্রেরণ করেন। তিনি আয়েশা (রাঃ) কে ‘তান’ঈম’ নামক স্থান হতে ছোট একটি হাওদায় বসিয়ে ‘উমরাহ করতে নিয়ে যান। ‘উমর (রাঃ) বলেন, তোমরা হজ্জে (গমনের উদ্দেশ্যে) উটের পিঠে হাওদা মজবুত করে বাঁধ (সফর কর)। কেননা, হজ্জও এক প্রকারের জিহাদ।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫১৭

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، قَالَ حَجَّ أَنَسٌ عَلَى رَحْلٍ، وَلَمْ يَكُنْ شَحِيحًا، وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّ عَلَى رَحْلٍ وَكَانَتْ زَامِلَتَهُ‏.‏

সুমামা ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) হাওদায় আরোহণ অবস্থায় হজ্জে গমন করেছেন অথচ তিনি কৃপণ ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন করেন এবং সেই উটটিই তাঁর মালের বাহন ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫১৮

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا أَيْمَنُ بْنُ نَابِلٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، اعْتَمَرْتُمْ وَلَمْ أَعْتَمِرْ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ اذْهَبْ بِأُخْتِكَ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ ‏”‏‏.‏ فَأَحْقَبَهَا عَلَى نَاقَةٍ فَاعْتَمَرَتْ‏.‏

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আপনারা ‘উমরাহ করলেন, আর আমি ‘উমরাহ করতে পারলাম না ! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আবদুর রাহমান ! তোমার বোন (‘আয়েশা) কে সাথে করে নিয়ে তান’ঈম হতে গিয়ে ‘উমরাহ করিয়ে নিয়ে এসো। তিনি ‘আয়েশা (রাঃ) কে উটের পিঠে ছোট একটি হাওদার পশ্চাদ্ভাগে বসিয়ে দেন এবং তিনি ‘উমরাহ আদায় করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪. অধ্যায়ঃ

হজ্জে মাবরূর কবুলকৃত হজ্জের ফযীলাত।

১৫১৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَرَسُولِهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ جِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ حَجٌّ مَبْرُورٌ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞেস করা হল , অতঃপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হল, অতঃপর কোনটি? তিনি বলেনঃ হজ্জ-ই-মাবরূর (মাকবূল হজ্জ)।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫২০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ أَخْبَرَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْعَمَلِ أَفَلاَ نُجَاهِدُ قَالَ لاَ لَكِنَّ أَفْضَلَ الْجِهَادِ حَجٌّ مَبْرُورٌ

উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন। হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম ‘আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেনঃ না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হল, হজ্জে মাবরূর।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫২১

حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ حَجَّ للهِ÷ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তার মা জন্ম দিয়েছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৫. অধ্যায়ঃ

হজ্জ ও ‘উমরাহ’র মীকাত (ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান) নির্ধারণ।

১৫২২

حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ أَنَّهُ أَتَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فِي مَنْزِلِهِ وَلَهُ فُسْطَاطٌ وَسُرَادِقٌ فَسَأَلْتُهُ مِنْ أَيْنَ يَجُوزُ أَنْ أَعْتَمِرَ قَالَ فَرَضَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لأَ÷هْلِ نَجْدٍ قَرْنًا وَلأهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَ÷هْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ

যায়দ ইব্‌নু জুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) এর কাছে তাঁর অবস্থান স্থলে যান, তখন তাঁর জন্য তাঁবু ও চাঁদোয়া টানানো হয়েছিল। [যায়দ (রাঃ) বলেন] আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্‌ স্থান হতে ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বাঁধা জায়িয হবে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজদ্‌বাসীর জন্য কারণ, মদীনাবাসীর জন্য যুল-হুলাইফাহ ও সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা (ইহরামের মীকাত) নির্ধারণ করে দিয়েছেন। (১৩৩)

(আঃপ্রঃ ১৪২৩, ইঃফাঃ ১৪২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৬. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আর তাকওয়াই হল শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (আল-বাকারাঃ ১৯৭)

১৫২৩

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ عَنْ وَرْقَاءَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ يَحُجُّونَ وَلاَ يَتَزَوَّدُونَ وَيَقُولُونَ نَحْنُ الْمُتَوَكِّلُونَ فَإِذَا قَدِمُوا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى {وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى} رَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়ামানের অধিবাসীগণ হজ্জে গমনকালে পাথেয় সঙ্গে নিয়ে যেতো না এবং তারা বলছিল, আমরা আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। কিন্তু মক্কায় উপনীত হয়ে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচনা করে বেড়াত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ অবতীর্ন করেনঃ (আরবি) “তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়”। (আল-বাকারাহঃ ১৯৭) হাদীসটি ইব্‌নু ‘উয়াইনাহ (রহঃ) ‘আমর (রহঃ) সূত্রে ‘ইক্‌রিমা (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ননা করেছেন।

(আঃপ্রঃ ১৪২৪, ইঃফাঃ ১৪৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৭. অধ্যায়ঃ

মক্কাবাসীদের জন্য হজ্জ ও ‘ঊমরাহ’র ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান।

১৫২৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَ÷هْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَ÷هْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلأهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ هُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজ্‌দবাসীদের জন্য কারনুল-মানাযিল, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। হজ্জ ও ‘উমরাহ নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধীবাসী সকলের জন্য উক্ত স্থানগুলো মীকাতরূপে গণ্য এবং যারা এ সব মীকাতের ভিতরে (অর্থাৎ মক্কার নিকটবর্তী) স্থানের অধিবাসী, তারা যেখান হতে হজ্জের নিয়্যাত করে বের হবে (সেখান হতে ইহ্‌রাম বাঁধবে)। এমন কি মক্কাবাসী মক্কা হতেই (হজ্জের) ইহ্‌রাম বাঁধবে।

(১৫২৬, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৮৪৫, মুসলিম ১৫/২, হাঃ ১১৮১, আহমাদ ২২৪০) (আঃপ্রঃ ১৪২৫, ইঃফাঃ ১৪৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৮. অধ্যায়ঃ

মদীনাবাসীদের মীকাত ও তারা যুল-হুলায়ফাহ পৌঁছার আগে ইহ্‌রাম বাঁধবে না।

১৫২৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَيُهِلُّ أَهْلُ الشَّأْمِ مِنْ الْجُحْفَةِ وَأَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মদীনাবাসীগণ যুল-হুলায়ফাহ হতে, সিরিয়াবাসীগণ জুহফা হতে ও নজদবাসীগণ ক্বারণ হতে ইহ্‌রাম বাঁধবে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি (অন্যের মাধ্যমে) অবগত হয়েছি, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগন ইয়ালামলাম হতে ইহ্‌রাম বাঁধবে।

(১৩৩, মুসলিম ১৫/২, হাঃ ১১৮২, আহমাদ ৫০৮৭) (আঃপ্রঃ ১৪২৬, ইঃফাঃ ১৪৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৯. অধ্যায়ঃ

সিরিয়াবাসীদের ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান।

১৫২৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وَقَّتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لأهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَ÷هْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَ÷هْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلأهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ لِمَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ فَمُهَلُّهُ مِنْ أَهْلِهِ وَكَذَاكَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا

ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহ্‌ফা, নজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল-মানাযিল, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ্জ ও ‘উমরাহ’র নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসিদের জন্য ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকেরা নিজ বাড়ি হতে ইহ্‌রাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা হতেই ইহ্‌রাম বাঁধবে। (১৫২৪)

(আঃপ্রঃ ১৪২৭, ইঃফাঃ ১৪৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১০. অধ্যায়ঃ

নজ্‌দবাসীদের ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান।

১৫২৭

حَدَّثَنَا عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَفِظْنَاهُ مِنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ وَقَّتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মীকাতের সীমা নির্ধারিত করেছেন। (১৩৩)

(আঃপ্রঃ ১৪২৮, ইঃফাঃ ১৪৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫২৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مُهَلُّ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ذُو الْحُلَيْفَةِ وَمُهَلُّ أَهْلِ الشَّأْمِ مَهْيَعَةُ وَهِيَ الْجُحْفَةُ وَأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنٌ قَالَ ابْنُ عُمَرَ زَعَمُوا أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ وَلَمْ أَسْمَعْهُ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمُ

‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ মদীনাবাসীদের মীকাত হলো যুল-হুযায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের মীকাত (মাহইয়া’আহ) যার অপর নাম জুহফা এবং নাজদবাসীদের মীকাত হলো ক্বারন।

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমি শুনিনি, তবে লোকেরা বলে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়ামেনবাসীদের মীকাত হলো ইয়ালামলাম। (১৩৩)

(আঃপ্রঃ ১৪২৮ শেষাংশ, ইঃফাঃ ১৪৩৪ শেষাংশ)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১১. অধ্যায়ঃ

মীকাতের অভ্যন্তরের অধিবাসীদের ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান

১৫২৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَهْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ وَلأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ مِمَّنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ فَمِنْ أَهْلِهِ حَتَّى إِنَّ أَهْلَ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাবাসীদের জন্য মীকাত নির্ধারন করেন যুল-হুযায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম ও নাজদবাসীদের জন্য ক্বারণ। উল্লিখিত স্থান সমূহ হজ্জ ও ‘উমরাহ’র নিয়্যাতকারী সে স্থানের অধিবাসী ও সে সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য এলাকার অধিবাসীদের জন্য ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান। আর যে মিকাতের ভিতরের অধিবাসী সে নিজ বাড়ি হতে ইহ্‌রাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা হতেই ইহ্‌রাম বাঁধবে। (১৫২৪)

(আঃপ্রঃ ১৪২৯, ইঃফাঃ ১৪৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১২. অধ্যায়ঃ

ইয়ামেনবাসীদের মীকাত

১৫৩০

حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَهْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ هُنَّ لأَهْلِهِنَّ وَلِكُلِّ آتٍ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِمْ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুযায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহ্‌ফা, নাজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল-মানাযিল ও ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম মীকাত নির্ধারন করেছেন। [৫১] উক্ত মীকাতসমূহ হজ্জ ও উমরাহ’র উদ্দেশ্যে আগমনকারী সে স্থানের অধীবাসীদের জন্য এবং অন্য কোন এলাকার লোক ঐ সীমা দিয়ে অতিক্রম করবে তাদের জন্যও। এছাড়াও যারা মীকাতের ভিতরের অধিবাসী তারা যেখান হতে সফর আরম্ভ করবে সেখান হতেই (ইহ্‌রাম আরম্ভ করবে) এমন কি মক্কাবাসীগন মক্কা হতেই। (১৫২৪)

(আঃপ্রঃ ১৪৩০, ইঃফাঃ ১৪৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫১] ১। (আরবি) ইয়ালামলাম। এটি ইয়েমানবাসী এবং ওই পথ যারা অতিক্রম করবে তাদের মীকাত। (এটিই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান হতে আগত হজ্জযাত্রীদের মিকাত। ইয়ালামলাম একটি পর্বতের নাম- সমুদ্র হতে দেখা যায় না। জাহাজ তার বরাবর আসার প্রাক্বালে জাহাজের কাপ্তান বা হজ্জযাত্রীদের আমীরগণ তা জানিয়ে দেন)

২। “যাতু ইরক্ব” মূলত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরাকবাসীদের জন্য নির্ধারিত করেছিলেন। যেমনটি আবূ দাউদ হাঃ ১৭৩৯, নাসায়ী হজ্জ অধ্যায় প্রভৃতি গ্রন্থে বিশুদ্ধ হাদীস এসেছে [এটা সহীহ মুসলিমের হাঃ ১১৮৩- এসেছে তবে রাবীর সন্দেহ আছে এটা হাদীস হওয়ার ব্যাপারে] কিন্তু উমর (রাঃ) এর এটা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জানা ছিল না বিধায় তিনি ইজতিহাদ করে তা নির্ধারণ করেন যা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস ভিত্তিক হয়ে যায়। আর এ কথা সর্বজনবিদিত যে, তাঁর অনেক ইজতিহাদী বিধান কুরআন ও হাদীসের অনুকূল হত। অতএব উভয় প্রকার হাদীসে কোন দ্বন্দ নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৩. অধ্যায়ঃ

যাতু ’ইরক হল ইরাকবাসীদের মীকাত

১৫৩১

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ لَمَّا فُتِحَ هَذَانِ الْمِصْرَانِ أَتَوْا عُمَرَ فَقَالُوا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّ لأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا وَهُوَ جَوْرٌ عَنْ طَرِيقِنَا وَإِنَّا إِنْ أَرَدْنَا قَرْنًا شَقَّ عَلَيْنَا قَالَ فَانْظُرُوا حَذْوَهَا مِنْ طَرِيقِكُمْ فَحَدَّ لَهُمْ ذَاتَ عِرْقٍ

‘আবদুল্লাহ ‘ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ শহর দু’টি (কূফা ও বস্‌রা) বিজিত হলো, তখন সে স্থানের লোকগণ ‘উমর (রাঃ) এর নিকট এসে নিবেদন করলো, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজদবাসীগণের জন্য (মীকাত হিসেবে) সীমা নির্ধারন করে দিয়েছেন ক্বারণ, কিন্তু তা আমাদের পথ হতে দূরে। কাজেই আমরা ক্বারণ-সীমা অতিক্রম করতে চাইলে তা হবে আমদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। ‘উমর (রাঃ) বললেন, তা হলে তোমরা লক্ষ্য কর তোমাদের পথে ক্বারণ-এর সম-দূরত্বরেখা কোন স্থানটি? অতঃপর “যাতু ইরক্ব” মীকাতরূপে নির্ধারন করেছেন।

(আঃপ্রঃ ১৪৩১, ইঃফাঃ ১৪৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৪. অধ্যায়ঃ

যুল-হুলাইফায় সালাত

১৫৩২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَصَلَّى بِهَا وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল-হূলায়ফাহর বাত্‌হা নামক উপত্যকায় উট বসিয়ে সালাত আদায় করেন। (রাবী নাফি’ বলেন) ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) তাই করতেন। (৪৮৪, মুসলিম ১৫/৩৭, হাঃ ১২৫৭, আহমাদ ৪৮৪৩)

(আঃপ্রঃ ১৪৩২, ইঃফাঃ ১৪৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৫ অধ্যায়ঃ

( হজ্জের সফরে) ‘শাজারা’- এর রাস্তা দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মদীনা হতে গমন

১৫৩৩

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ مِنْ طَرِيقِ الشَّجَرَةِ وَيَدْخُلُ مِنْ طَرِيقِ الْمُعَرَّسِ وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ يُصَلِّي فِي مسْجِدِ الشَّجَرَةِ وَإِذَا رَجَعَ صَلَّى بِذِي الْحُلَيْفَةِ بِبَطْنِ الْوَادِي وَبَاتَ حَتَّى يُصْبِحَ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হজ্জের সফরে) শাজারা নামক পথ দিয়ে গমন করতেন এবং মু’আররাস নামক পথ দিয়ে (মদীনায়) প্রবেশ করতেন। ফিরার পথে যুল-হুলায়ফাহ’র বাত্‌নুল-ওয়াদিতে সালাত আদায় করতেন এবং সেখানে সকাল পর্যন্ত রাত যাপন করতেন। (৪৮৪)

(আঃপ্রঃ ১৪৩৩, ইঃফাঃ ১৪৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৬. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বানীঃ ‘আকীক বরকতপুর্ণ উপত্যকা।

১৫৩৪

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ التِّنِّيسِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ إِنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ

‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আকীক উপত্যকায় অবস্থানকালে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একজন আগন্তুক আমার নিকট এসে বললেন, আপনি এই বরকতময় উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলুন, (আমার এ ইহ্‌রাম) হজ্জের সাথে ‘উমরাহ’রও। (২৩৩৭, ৭৩৪৩)

(আঃপ্রঃ ১৪৩৪, ইঃফাঃ ১৪৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৩৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رُئِيَ وَهُوَ فِي مُعَرَّسٍ بِذِي الْحُلَيْفَةِ بِبَطْنِ الْوَادِي قِيلَ لَهُ إِنَّكَ بِبَطْحَاءَ مُبَارَكَةٍ وَقَدْ أَنَاخَ بِنَا سَالِمٌ يَتَوَخَّى بِالْمُنَاخِ الَّذِي كَانَ عَبْدُ اللهِ يُنِيخُ يَتَحَرَّى مُعَرَّسَ رَسُولِ اللَّه صلى الله عليه وسلم وَهُوَ أَسْفَلُ مِنْ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِبَطْنِ الْوَادِي بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ وَسَطٌ مِنْ ذَلِكَ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) সূত্রে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

যুল-হুলায়ফাহ (‘আকীক) উপত্যকায় রাত যাপনকালে তাঁকে স্বপ্নযোগে বলা হয়, আপনি বরকতময় উপত্যকায় অবস্থান করছেন। [রাবি মূসা ইব্‌নু ‘উকবা (রহঃ) বলেন] সালিম (রহ।) আমাদেরকে সাথে নিয়ে উট বসিয়ে ঐ উট বসবার স্থানটির খোঁজ করেন, যেখানে ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) উট বসিয়ে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাত যাপনের স্থানটি খোঁজ করতেন। সে স্থানটি উপত্যকায় মাসজিদের নীচু জায়গায় অবতরণকারীদের ও রাস্তার একেবারে মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।

(১৭৮৯, ১৮৪৭, ৪৩২৯, ৪৯৮৫, মুসলিম ১৫/৭৭, হাঃ ১৩৪৬) (আঃপ্রঃ ১৪৩৫, ইঃফাঃ ১৪৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৭. অধ্যায়ঃ

(ইহরামের) কাপড়ে খালুক বা সুগন্ধি লেগে থাকলে তিনবার ধৌত করা।

১৫৩৬

قَالَ أَبُو عَاصِمٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ يَعْلَى أَخْبَرَهُ أَنَّ يَعْلَى قَالَ لِعُمَرَ أَرِنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ يُوحَى إِلَيْهِ قَالَ فَبَيْنَمَا النَّبِيُّ بِالْجِعْرَانَةِ وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَهُوَ مُتَضَمِّخٌ بِطِيبٍ فَسَكَتَ النَّبِيُّ سَاعَةً فَجَاءَهُ الْوَحْيُ فَأَشَارَ عُمَرُ إِلَى يَعْلَى فَجَاءَ يَعْلَى وَعَلَى رَسُولِ اللهِ ثَوْبٌ قَدْ أُظِلَّ بِهِ فَأَدْخَلَ رَأْسَهُ فَإِذَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُحْمَرُّ الْوَجْهِ وَهُوَ يَغِطُّ ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ فَقَالَ أَيْنَ الَّذِي سَأَلَ عَنْ الْعُمْرَةِ فَأُتِيَ بِرَجُلٍ فَقَالَ اغْسِلْ الطِّيبَ الَّذِي بِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَانْزِعْ عَنْكَ الْجُبَّةَ وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجَّتِكَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَرَادَ الإِنْقَاءَ حِينَ أَمَرَهُ أَنْ يَغْسِلَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ نَعَمْ

সাফ্‌ওয়ান ইব্‌নু ই’য়ালা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ই’য়ালা (রাঃ) ‘উমর (রাঃ) কে বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ওহী অবতরণ মুহূর্তটি আমাকে দেখাবেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘জি’রানা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন, তাঁর সঙ্গে কিছু সংখ্যক সাহাবী ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কোন ব্যক্তি সুগন্ধিযুলত পোশাক পরে ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বাঁধলে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। এরপর তাঁর নিকট ওহী আসল। ‘উমর (রাঃ) ই’য়ালা (রাঃ) কে ইঙ্গিত করায় তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন। তখন একখন্ড কাপড় দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ছায়া করা হয়েছিল, ই’য়ালা (রাঃ) মাথা প্রবেশ করিয়ে দেখতে পেলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখমন্ডল লাল বর্ণ, তিনি সজোরে শ্বাস গ্রহন করছেন। এরপর সে অবস্থা দূর হলো। তিনি বললেনঃ উমরাহ সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? প্রশ্নকারীকে উপস্থিত করা হলে তিনি বললেনঃ তোমার শরীরের সুগন্ধি তিনবার ধুয়ে ফেল ও জুব্বাটি খুলে ফেল এবং হজ্জে যা করে থাক ‘উমরাহতেও তাই কর। (রাবী ইব্‌নু জুরাইজ বলেন) আমি ‘আত্বা (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনবার ধোয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি কি উত্তমরূপে পরিষ্কার করা বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাই।

(১৭৮৯, ১৮৪৭, ৪৩২৯, ৪৯৮৫, মুসলিম ১৫/১, হাঃ ১১৮০, আহমাদ ১৭৯৮৯) (আঃপ্রঃ ১৪৩৬, ইঃফাঃ ১৪৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৮. অধ্যায়ঃ

ইহ্‌রাম বাঁধাকালে সুগন্ধি ব্যবহার ও কোন্‌ প্রকার কাপড় পরে ইহ্‌রাম বাঁধবে এবং চুল দাড়ি আঁচড়াবে ও তেল ব্যবহার করবে।

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি ফুলের ঘ্রাণ নিতে পারবে। আয়নায় চেহারা দেখতে পারবে এবং তৈল ও ঘি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে চিকিৎসা করতে পারবে। ‘আত্বা (রহঃ) বলেন, আংটি পরতে পারবে, (কোমরে) থলে বাঁধতে পারবে। ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) ইহ্‌রাম বাঁধা অবস্থায় পেটের উপর কাপড় কষে তাওয়াফ করেছেন। জাঙ্গিয়া পরার ব্যাপারে ‘আয়েশা (রাঃ)-এর আপত্তি ছিল না। এ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যারা তার উটের পিঠে হাওদা বাঁধতো (কারণ সে সময় লজ্জাস্থান প্রদর্শিত হওয়ার আশঙ্কা থাকত)।

১৫৩৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَدَّهِنُ بِالزَّيْتِ فَذَكَرْتُهُ لإِبْرَاهِيمَ قَالَ مَا تَصْنَعُ بِقَوْلِهِ

সা’ঈদ ইব্‌নু জুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) (ইহ্‌রাম বাঁধা অবস্থায়) যায়তুন তেল ব্যবহার করতেন। (রাবী মানসুর বলেন) এ বিষয়ে আমি ইব্রাহীম (রহঃ)-এর নিকট পেশ করলে তিনি বললেন, তাঁর কথায় তোমার কি দরকার।

(আঃপ্রঃ ১৪৩৭, ইঃফাঃ ১৪৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৩৮

حَدَّثَنِي الأَسْوَدُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفَارِقِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْرِمٌ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, ইহ্‌রাম বাঁধা অবস্থায় আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সিঁথিতে যে সুগন্ধি তেল চকচক করছিল তা যেন আজও আমি দেখতে পাচ্ছি। (২৭১)

(আঃপ্রঃ ১৪৩৭ শেষাংশ, ইঃফাঃ ১৪৪৩ শেষাংশ)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৩৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لإِحْرَامِهِ حِينَ يُحْرِمُ وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ

নবী সহধর্মিণী ‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইহ্‌রাম বাঁধার সময় [৫২] আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গায়ে সুগন্ধি মেখে দিতাম এবং বায়তুল্লাহ তাওয়াফের পূর্বে ইহ্‌রাম খুলে ফেলার সময়ও।

(১৭৪৫, ৫৯২২, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১/৪, হাঃ ১৩, আহমাদ) (আঃপ্রঃ ১৪৩৮, ইঃফাঃ ১৪৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫২] ইহরামের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণকালে গোসল করা, সুগন্ধি মাখার নিয়মগুলি পালন করতে হবে। ইহরামের কাপড় পরিধানের পর সুগন্ধি মাখা চলবে না। ইহরামের নিয়ত করার পূর্বে মাখা সুগন্ধি মুহরিমের চেহারায় দৃশ্যমান হতে পারে বা তা থেকে সুগন্ধ আসতে পারে। ইহ্‌রাম থেকে মুক্ত হওয়ার পর সুগন্ধি ব্যবহার করা চলবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/১৯. অধ্যায়ঃ

যে চুলে আঠালো বস্তু লাগিয়ে ইহ্‌রাম বাঁধে।

১৫৪০

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُهِلُّ مُلَبِّدًا

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে চুলে আঠালো বস্তু লাগিয়ে ইহ্‌রাম বেঁধে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি।

(১৫৪৯, ৫৯১৪, ৫৯১৫, মুসলিম ১৫/৩, হাঃ ১১৮৪) (আঃপ্রঃ ১৪৩৯, ইঃফাঃ ১৪৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২০. অধ্যায়ঃ

যুল-হুলাইফার মাসজিদের নিকটে ইহ্‌রাম বাঁধা।

১৫৪১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ ح و حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুল-হুলাইফার মাসজিদের নিকট হতে ইহ্‌রাম বেঁধেছেন।

(মুসলিম ১৫/৪, হাঃ ১১৮৬) (আঃপ্রঃ, ইঃফাঃ ১৪৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২১. অধ্যায়ঃ

মুহরিম ব্যক্তি যে প্রকার কাপড় পরিধান করবে না।

১৫৪২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ أَوْ وَرْسٌ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম ব্যক্তি কী প্রকারের কাপড় পরবে? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে টাখ্‌নুর নিচ পর্যন্ত মোজা কেটে (জুতার ন্যায়) পরবে।[৫৩] তোমরা জা’ফরান বা ওয়ার্‌স (এক প্রকার খুশবু) রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না। [আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধুতে পারবে। চুল আঁচড়াবে না, শরীর চুলকাবে না। মাথা ও শরীর হতে উকুন যমীনে ফেলে দিবে।]

(১৩৪, মুসলিম ১৫/১, হাঃ ১১৭৭, আহমাদ ৪৮৩৫) (আঃপ্রঃ ১৪৪১, ইঃফাঃ ১৪৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৩] জুতা না পেলে মোজাকে টাখনুর নীচ থেকে কেটে তা পরার বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজা কাটার কথা পূর্বে বলেছিলেন এবং এটা তিনি বলেছিলেন মদীনায় থাকাকালীন। পক্ষান্তরে ইব্‌নু ‘আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত হাদীস যাতে তিনি জুতা না থাকাবস্থায় সাধারণভাবে কাটার শর্ত না করেই মোজা পরার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত হাদীসটি হজ্জের মাঠে তথা আরাফার মাঠে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২২. অধ্যায়ঃ

হজ্জের সফরে বাহনে একাকী আরোহণ করা ও অপরের সঙ্গে আরোহণ করা।

১৫৪৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ يُونُسَ الأَيْلِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أُسَامَةَ كَانَ رِدْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَةَ إِلَى الْمُزْدَلِفَةِ ثُمَّ أَرْدَفَ الْفَضْلَ مِنْ الْمزْدَلِفَةِ إِلَى مِنًى قَالَ فَكِلاَهُمَا قَالَ لَمْ يَزَلْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ

‘ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আরাফাহ হতে মুয্‌দালিফা পর্যন্ত একই বাহনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে উসামা ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর মুযদালিফা হতে মিনা পর্যন্ত ফযল [ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ)]-কে তাঁর পিছনে আরোহণ করান। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তাঁরা উভয়ই বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরা আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করছিলেন।

(১৬৮৫, ১৬৮৫, ১৬৮৭, মুসলিম ১৫/৪৫, হাঃ ১২৮১, আহমাদ ১৮৩১) (আঃপ্রঃ ১৪৪২, ইঃফাঃ ১৪৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৪৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ يُونُسَ الأَيْلِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أُسَامَةَ كَانَ رِدْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَةَ إِلَى الْمُزْدَلِفَةِ ثُمَّ أَرْدَفَ الْفَضْلَ مِنْ الْمزْدَلِفَةِ إِلَى مِنًى قَالَ فَكِلاَهُمَا قَالَ لَمْ يَزَلْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ

‘ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আরাফাহ হতে মুয্‌দালিফা পর্যন্ত একই বাহনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে উসামা ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর মুযদালিফা হতে মিনা পর্যন্ত ফযল [ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ)]-কে তাঁর পিছনে আরোহণ করান। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তাঁরা উভয়ই বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরা আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করছিলেন।

(১৬৮৫, ১৬৮৫, ১৬৮৭, মুসলিম ১৫/৪৫, হাঃ ১২৮১, আহমাদ ১৮৩১) (আঃপ্রঃ ১৪৪২, ইঃফাঃ ১৪৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৩. অধ্যায়ঃ

মুহরিম ব্যক্তি কোন্‌ ধরনের কাপড়, চাদর ও লুঙ্গি পরিধান করবে।

‘আয়েশা (রাঃ) ইহ্‌রাম অবস্থায় কুসুমীর রঙ্গে রঞ্জিত কাপড় পরেন এবং তিনি বলেন, নারীগণ ঠোঁট মুখমন্ডল আবৃত করবে না। ওয়ার্‌স ও জাফরান রঙে রঞ্জিত কাপড়ও পরবে না। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি উসফুরী (কুসুমী) রঙকে সুগন্ধি মনে করি না। ‘আয়েশা (রাঃ) (ইহ্‌রাম অবস্থায়) নারীদের জন্য অলংকার পরা এবং কালো ও গোলাপী রং-এর কাপড় ও মোজা পরা দূষণীয় মনে করেননি। ইব্রাহীম (নাখ্‌’য়ী) (রহঃ) বলেন, (ইহ্‌রাম অবস্থায়) পরনের কাপড় পরিবর্তন করায় কোন দোষ নেই [৫৪]।

[৫৪] ইহ্‌রাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধঃ

১। স্ত্রী সম্ভোগ করা, নির্লজ্জ কথাবার্তা বলা, যৌন আকর্ষণে স্পর্শ করা বা শরীরের সঙ্গে শরীর লাগানো।

২। চুল কাটা, নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৩। পুরুষের জন্য সেলাই করে প্রস্তুত পোশাক পরা।

৪। মহিলাদের জন্য সেলাইকৃত বোরকা বা মুখাবরণ, মুখাচ্ছাদন ও হাত মোজা পরা।

৫। জাফরান ও কুসুম রঞ্জিত কাপড় পরিধান করা।

৬। বেহায়াপনা, শরীয়তবিরোধী কথা ও কাজ এবং বিবাদ-বিসংবাদমূলক কথা বলা।

৭। পুরুষের মাথা ও মুখ ঢাকা।

৮। স্থলচর জন্তু শিকার করা, শিকার তাড়ানো, শিকারে সাহায্য করা বা শিকারের প্রতি ইঙ্গিত করা।

৯। বিবাহ করা বা করানো বা বিবাহের পয়গাম পাঠানো।

ইহরামের অবস্থায় যা বৈধঃ

১। পুরুষ লুঙ্গি না পেলে পায়জামা পরতে পারবে।

২। জুতা না পেলে চামড়ার মোজা পরতে পারবে গিটের নিম্নাংশ পর্যন্ত কেটে দিয়ে।

৩। লুঙ্গিতে গিরা দিয়ে বাঁধা কিংবা সূতা, ফিতা বা রশি জাতীয় কিছু দিয়ে বাঁধা।

৪। গোসল করা, মাথা ধোয়া, প্রয়োজন বোধে মাথা চুলকানো।

৫। প্রয়োজনে মহিলাদের মুখমন্ডলের উপর ওড়না লটকানো ও হস্তদ্বয় বস্ত্র বা অন্য কিছু দিয়ে ঢাকা।

৬। ময়লা বা ঘর্মে সিক্ত কাপড় ধৌত করা বা বদলানো।

৭। শরীয়ত এবং সত্যের প্রতিষ্ঠায় কথা কাটাকাটি ও তর্কযুদ্ধ করা।

(হজ্জ, উমরাহ ও যিয়ারতঃ শায়খ আঃ আযীয বিন বায)

১৫৪৪

وَلَبِسَتْ عَائِشَةُ الثِّيَابَ الْمُعَصْفَرَةَ وَهِيَ مُحْرِمَةٌ وَقَالَتْ لاَ تَلَثَّمْ وَلاَ تَتَبَرْقَعْ وَلاَ تَلْبَسْ ثَوْبًا بِوَرْسٍ وَلاَ زَعْفَرَانٍ وَقَالَ جَابِرٌ لاَ أَرَى الْمُعَصْفَرَ طِيبًا وَلَمْ تَرَ عَائِشَةُ بَأْسًا بِالْحُلِيِّ وَالثَّوْبِ الأَسْوَدِ وَالْمُوَرَّدِ وَالْخُفِّ لِلْمَرْأَةِ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ بَأْسَ أَنْ يُبْدِلَ ثِيَابَهُ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়েশা (রাঃ) ইহ্‌রাম অবস্থায় কুসুমীর রঙ্গে রঞ্জিত কাপড় পরেন এবং তিনি বলেন, নারীগণ ঠোঁট মুখমন্ডল আবৃত করবে না। ওয়ার্‌স ও জাফরান রঙে রঞ্জিত কাপড়ও পরবে না। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি উসফুরী (কুসুমী) রঙকে সুগন্ধি মনে করি না। ‘আয়েশা (রাঃ) (ইহ্‌রাম অবস্থায়) নারীদের জন্য অলংকার পরা এবং কালো ও গোলাপী রং-এর কাপড় ও মোজা পরা দূষণীয় মনে করেননি। ইব্রাহীম (নাখ্‌’য়ী) (রহঃ) বলেন, (ইহ্‌রাম অবস্থায়) পরনের কাপড় পরিবর্তন করায় কোন দোষ নেই [৫৪]।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৪] ইহ্‌রাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধঃ

১। স্ত্রী সম্ভোগ করা, নির্লজ্জ কথাবার্তা বলা, যৌন আকর্ষণে স্পর্শ করা বা শরীরের সঙ্গে শরীর লাগানো।

২। চুল কাটা, নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৩। পুরুষের জন্য সেলাই করে প্রস্তুত পোশাক পরা।

৪। মহিলাদের জন্য সেলাইকৃত বোরকা বা মুখাবরণ, মুখাচ্ছাদন ও হাত মোজা পরা।

৫। জাফরান ও কুসুম রঞ্জিত কাপড় পরিধান করা।

৬। বেহায়াপনা, শরীয়তবিরোধী কথা ও কাজ এবং বিবাদ-বিসংবাদমূলক কথা বলা।

৭। পুরুষের মাথা ও মুখ ঢাকা।

৮। স্থলচর জন্তু শিকার করা, শিকার তাড়ানো, শিকারে সাহায্য করা বা শিকারের প্রতি ইঙ্গিত করা।

৯। বিবাহ করা বা করানো বা বিবাহের পয়গাম পাঠানো।

ইহরামের অবস্থায় যা বৈধঃ

১। পুরুষ লুঙ্গি না পেলে পায়জামা পরতে পারবে।

২। জুতা না পেলে চামড়ার মোজা পরতে পারবে গিটের নিম্নাংশ পর্যন্ত কেটে দিয়ে।

৩। লুঙ্গিতে গিরা দিয়ে বাঁধা কিংবা সূতা, ফিতা বা রশি জাতীয় কিছু দিয়ে বাঁধা।

৪। গোসল করা, মাথা ধোয়া, প্রয়োজন বোধে মাথা চুলকানো।

৫। প্রয়োজনে মহিলাদের মুখমন্ডলের উপর ওড়না লটকানো ও হস্তদ্বয় বস্ত্র বা অন্য কিছু দিয়ে ঢাকা।

৬। ময়লা বা ঘর্মে সিক্ত কাপড় ধৌত করা বা বদলানো।

৭। শরীয়ত এবং সত্যের প্রতিষ্ঠায় কথা কাটাকাটি ও তর্কযুদ্ধ করা।

(হজ্জ, উমরাহ ও যিয়ারতঃ শায়খ আঃ আযীয বিন বায)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قَالَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ انْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْمَدِينَةِ بَعْدَ مَا تَرَجَّلَ وَادَّهَنَ وَلَبِسَ إِزَارَهُ وَرِدَاءَهُ هُوَ وَأَصْحَابُهُ فَلَمْ يَنْهَ عَنْ شَيْءٍ مِنْ الأَرْدِيَةِ وَالأُزُرِ تُلْبَسُ إِلاَّ الْمُزَعْفَرَةَ الَّتِي تَرْدَعُ عَلَى الْجِلْدِ فَأَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ حَتَّى اسْتَوَى عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ وَقَلَّدَ بَدَنَتَهُ وَذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ فَقَدِمَ مَكَّةَ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحَجَّةِ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَمْ يَحِلَّ مِنْ أَجْلِ بُدْنِهِ لأَنَّهُ قَلَّدَهَا ثُمَّ نَزَلَ بِأَعْلَى مَكَّةَ عِنْدَ الْحَجُونِ وَهُوَ مُهِلٌّ بِالْحَجِّ وَلَمْ يَقْرَبْ الْكَعْبَةَ بَعْدَ طَوَافِهِ بِهَا حَتَّى رَجَعَ مِنْ عَرَفَةَ وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يُقَصِّرُوا مِنْ رُءُوسِهِمْ ثُمَّ يَحِلُّوا وَذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ بَدَنَةٌ قَلَّدَهَا وَمَنْ كَانَتْ مَعَهُ امْرَأَتُهُ فَهِيَ لَهُ حَلاَلٌ وَالطِّيبُ وَالثِّيَابُ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ চুল আঁচড়িয়ে, তেল মেখে, লুঙ্গি ও চাদর পরে ( হজ্জের উদ্দেশ্যে) মদীনা হতে রওয়ানা হন। তিনি কোন প্রকার চাদর বা লুঙ্গি পরতে নিষেধ করেননি, তবে শরীরের চামড়া রঞ্জিত হয়ে যেতে পারে এরূপ জাফরানী রঙের কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। যুল-হুলাইফা হতে সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়দা নামক স্থানে পৌঁছে তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ তালবিয়া পাঠ করেন এবং কুরবানীর উটের গলায় মালা ঝুলিয়ে দেন, তখন যুলকা’দা মাসের পাঁচদিন অবশিষ্ট ছিল। যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ দিনে মক্কায় উপনীত হয়ে সর্বপ্রথম কা’বাঘরের তাওয়াফ করে সাফা ও মারওয়ার মাঝে সা’য়ী করেন। তাঁর কুরবানীর উটের গলায় মালা পরিয়েছেন বলে তিনি ইহ্‌রাম খুলেননি। অতঃপর মক্কার উঁচু ভূমিতে হাজূন নামক স্থানের নিকটে অবস্থান করেন, তখন তিনি হজ্জের ইহরামের অবস্থায় ছিলেন। (প্রথমবার) তাওয়াফ করার পর ‘আরাফাহ হতে ফিরে আসার পূর্বে আর কা’বার নিকটবর্তী হননি। অবশ্য তিনি সাহাবাগণকে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা’য়ী সম্পাদন করে মাথার চুল ছেঁটে হালাল হতে নির্দেশ দেন। কেননা যাদের সাথে কুরবানীর জানোয়ার নেই, এ বিধানটি কেবল তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর যার সাথে তার স্ত্রী রয়েছে তার জন্য স্ত্রী-সহবাস, সুগন্ধি ব্যবহার ও যে কোন ধরনের কাপড় পরা জায়িয।

(১৬২৫, ১৭৩১) (আঃপ্রঃ ১৪৪৩, ইঃফাঃ ১৪৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৪. অধ্যায়ঃ

সকাল পর্যন্ত যুল-হুলাইফায় রাত্রি অতিবাহিত করা।

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ বিষয় বর্ণনা করেছেন।

১৫৪৬

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَبِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় চার রাক’আত আদায় করেন ও যুল-হুলাইফায় পৌঁছে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। অতঃপর ভোর পর্যন্ত সেখানে রাত যাপন করেন। এরপর যখন তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করেন এবং তা তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান তখন তিনি তালবিয়া পাঠ করেন। (১০৮৯)

(আঃপ্রঃ ১৪৪৪, ইঃফাঃ ১৪৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৪৭

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ قَالَ وَأَحْسِبُهُ بَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় যোহরের সালাত চার রাক’আত আদায় করেন এবং যুল-হুলাইফায় পৌঁছে আসরের সালাত দু’রাক’আত আদায় করেন। রাবী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি ভোর পর্যন্ত সেখানে রাত যাপন করেন। (১০৮৯)

(আঃপ্রঃ ১৪৪৫, ইঃফাঃ ১৪৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৫. অধ্যায়ঃ

উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া।

১৫৪৮

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ وَسَمِعْتُهُمْ يَصْرُخُونَ بِهِمَا جَمِيعًا

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যোহরের সালাত মদীনায় চার রাক’আত আদায় করলেন এবং ‘আসরের সালাত যুল-হুলাইফায় দু’রাক’আত আদায় করেন। আমি শুনতে পেলাম তাঁরা সকলে উচ্চৈঃস্বরে হজ্জ ও ‘উমরাহ’র তালবিয়া পাঠ করছেন [৫৫]। (১৫৪০)

(আঃপ্রঃ ১৪৪৬, ইঃফাঃ ১৪৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৫] ইহ্‌রাম ব্যতীত অন্য কোন ইবাদাতে মৌখিক নিয়তে শব্দ উচ্চারণ করা শরীয়তে বৈধ নয়। কেননা কেবল ইহরামের সময়ই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ওভাবে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করার কথা বর্ণিত আছে। অবশ্য তা প্রচলিত নাওয়াইতু আন…… বলে গদ বাধা নিয়মে নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৬. অধ্যায়ঃ

তালবিয়া পাঠ করা।

১৫৪৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ تَلْبِيَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তালবিয়া নিম্নরূপঃ (অর্থ) আমি হাযির হে আল্লাহ, আমি হাযির, আমি হাযির; আপনার কোন অংশীদার নেই, আমি হাযির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও সকল নি’আমত আপনার এবং কর্তৃত্ব আপনারই, আপনার কোন অংশীদার নেই। (১৫৪০)

(আঃপ্রঃ১৪৪৭, ইঃফাঃ ১৪৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৫০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنِّي لأعْلَمُ كَيْفَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ تَابَعَهُ أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الأَعْمَشِ وَقَالَ شُعْبَةُ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ سَمِعْتُ خَيْثَمَةَ عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি ভালরূপে অবগত (তাঁর তালবিয়া ছিল) আমি হাযির হে আল্লাহ! আমি হাযির, আমি হাযির, আপনার কোন অংশীদার নেই, আমি হাযির, সকল প্রশংসা ও সকল নি’আমত আপনারই। আবূ মু’আবিয়া (রহঃ) ‘আমাশ (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় সফিয়া (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। আবূ ‘আতিয়্যাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা (রাঃ) হতে শুনেছি।

(আঃপ্রঃ১৪৪৮, ইঃফাঃ ১৪৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৭. অধ্যায়ঃ

তালবিয়া পড়ার আগে সওয়ারীতে আরোহণকালে তাহমীদ, তাসবীহ ও তাকবীর পড়া।

১৫৫১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ مَعَهُ بِالْمَدِينَةِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ بَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ حَمِدَ اللهَ وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ ثُمَّ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهِمَا فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَ النَّاسَ فَحَلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ قَالَ وَنَحَرَ النَّبِيُّ بَدَنَاتٍ بِيَدِهِ قِيَامًا وَذَبَحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ كَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ قَالَ بَعْضُهُمْ هَذَا عَنْ أَيُّوبَ عَنْ رَجُلٍ عَنْ أَنَسٍ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে মদীনায় যুহরের সালাত আদায় করেন চার রাক’আত এবং যুল-হুলাইফায় (পৌঁছে) ‘আসরের সালাত আদায় করেন দু’ রাক’আত। এরপর সেখানেই ভোর পর্যন্ত রাত কাটালেন। সকালে সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়দা নামক স্থানে উপনীত হলেন। তখন তিনি আল্লাহ্‌র হামদ, তাসবীহ ও তাকবীর পাঠ করছিলেন। এরপর তিনি হজ্জ ও ‘উমরাহ’র তালবিয়া পাঠ করলেন। সাহাবীগণ উভয়ের তালবিয়া পাঠ করলেন। যখন আমরা (মক্কার উপকন্ঠে) পৌঁছলাম তখন তিনি সাহাবীগণকে (‘উমরা শেষ করে) হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তাঁরা হালাল হয়ে গেলেন। অবশেষে যিলহজ্জ মাসের আট তারিখে তাঁরা হজ্জের ইহ্‌রাম বাঁধলেন। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতে কিছু সংখ্যক উট দাঁড়ানো অবস্থায় নহর (যবেহ্‌) করলেন। আর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় সাদা কাল মিশ্রিত রঙ-এর দু’টি মেষ যবেহ্‌ করেছিলেন।

আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, কোন কোন রাবী হাদীসটি আইয়ূব (রহঃ) সূত্রে জনৈক রাবীর মাধ্যমে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। (১০৮৯)

(আঃপ্রঃ১৪৪৯, ইঃফাঃ ১৪৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৮. অধ্যায়ঃ

সওয়ারী আরোহীকে নিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তালবিয়া পড়া।

১৫৫২

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ أَهَلَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে তাঁর সওয়ারী সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তালবিয়া পাঠ করেন। (১৬৬)

(আঃপ্রঃ১৪৫০, ইঃফাঃ ১৪৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/২৯. অধ্যায়ঃ

কিবলামুখী হয়ে তালবিয়া পড়া।

১৫৫৩

وَقَالَ أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا صَلَّى بِالْغَدَاةِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَرُحِلَتْ ثُمَّ رَكِبَ فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَائِمًا ثُمَّ يُلَبِّي حَتَّى يَبْلُغَ الْحَرَمَ ثُمَّ يُمْسِكُ حَتَّى إِذَا جَاءَ ذَا طُوًى بَاتَ بِهِ حَتَّى يُصْبِحَ فَإِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ اغْتَسَلَ وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ ذَلِكَ تَابَعَهُ إِسْمَاعِيلُ عَنْ أَيُّوبَ فِي الْغَسْلِ

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) যুল-হুলাইফায় ফজরের সালাত শেষ করে সওয়ারী প্রস্তুত করার নির্দেশ দিতেন, প্রস্তুত হলে আরোহণ করতেন। সওয়ারী তাঁকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি সোজা কিবলামুখী হয়ে হারাম শরীফের সীমারেখায় পৌঁছা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকতেন। এরপর বিরতি দিয়ে যূ-তুওয়া নামক স্থানে পৌঁছে ভোর পর্যন্ত রাত যাপন করতেন এবং অতঃপর ফজরের সালাত আদায় করে গোসল করতেন এবং বলতেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করে ছিলেন। ইসমা’ঈল (রহঃ) গোসল সম্পর্কিত বর্ণনায় আইয়ূব (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।

(১৫৫৪, ১৫৭৩, ১৫৭৪)(আঃপ্রঃ কিতাবুল হজ্জ অনুচ্ছেদ ২৯, ইঃফাঃ ৯৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৫৪

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ عَنْ نَافِعٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا أَرَادَ الْخُرُوجَ إِلَى مَكَّةَ ادَّهَنَ بِدُهْنٍ لَيْسَ لَهُ رَائِحَةٌ طَيِّبَةٌ ثُمَّ يَأْتِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ فَيُصَلِّي ثُمَّ يَرْكَبُ وَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً أَحْرَمَ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) মক্কা গমনের ইচ্ছা করলে দেহে সুগন্ধিবিহীন তেল লাগাতেন। অতঃপর যুল-হুলাইফা’র মাসজিদে পৌঁছে সালাত আদায় করে সওয়ারীতে আরোহণ করতেন। তাঁকে নিয়ে সওয়ারী সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তিনি ইহ্‌রাম বাঁধতেন। এরপর তিনি [ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ)] বলতেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ করতে দেখেছি। (১৫৫৩)

(আঃপ্রঃ , ইঃফাঃ ১৪৫) (আঃপ্রঃ১৪৫১, ইঃফাঃ ১৪৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩০. অধ্যায়ঃ

নিম্নভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পড়া।

১৫৫৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَذَكَرُوا الدَّجَّالَ أَنَّهُ قَالَ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ أَسْمَعْهُ وَلَكِنَّهُ قَالَ أَمَّا مُوسَى كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ إِذْ انْحَدَرَ فِي الْوَادِي يُلَبِّي

মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকটে ছিলাম, লোকেরা দাজ্জালের আলোচনা করে বলল যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তাঁর দু’চোখের মাঝে (কপালে) কা-ফি-র লেখা থাকবে। রাবী বলেন, ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কিছু শুনিনি। অবশ্য তিনি বলেছেনঃ আমি যেন দেখছি মূসা (‘আঃ) নীচু ভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পাঠ করছিলেন।

(৩৩৫৫, ৫৯১৩, মুসলিম ১/৭৩, হাঃ ১৬৬) (আঃপ্রঃ১৪৫২, ইঃফাঃ ১৪৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩১. অধ্যায়ঃ

ঋতু ও প্রসবোত্তর স্রাব অবস্থায় মহিলাগণ কিভাবে ইহ্‌রাম বাঁধবে?

(আরবি) অর্থ (আরবি) কথা বলা (আরবি) ও (আরবি) কথা বলা প্রকাশ পাওয়ার অর্থে ব্যবহৃত এবং (আরবি) অর্থ মেঘ হতে বৃষ্টি হওয়া (আরবি) “যে পশু যবেহ করার সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নাম উচ্চারণ করা হয়।” (আল-মায়িদাহঃ ৩) এ অর্থ (আরবি) (সদ্যজাত শিশুর আওয়াজ) অর্থ হতে গৃহীত।

১৫৫৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لاَ يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلاَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ وَدَعِي الْعُمْرَةَ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا قَضَيْنَا الْحَجَّ أَرْسَلَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ قَالَتْ فَطَافَ الَّذِينَ كَانُوا أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوا ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে বের হয়ে ‘উমরাহ’র নিয়্যাতে ইহ্‌রাম বাঁধি। নবী বললেনঃ যার সঙ্গে কুরবানীর পশু আছে সে যেন ‘উমরাহ’র সাথে হজ্জের ইহ্‌রামও বেঁধে নেয়। অতঃপর সে ‘উমরাহ ও হজ্জ উভয়টি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত হালাল হতে পারবে না। [‘আয়েশা (রাঃ) বলেন] এরপর আমি মক্কায় ঋতুবতী অবস্থায় পৌঁছলাম। কাজেই বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা’য়ী কোনটিই আদায় করতে সমর্থ হলাম না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার অসুবিধার কথা জানালে তিনি বললেনঃ মাথার চুল খুলে নাও এবং তা আঁচড়িয়ে নাও এবং হজ্জের ইহ্‌রাম বহাল রাখ এবং ‘উমরাহ ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম, হজ্জ সম্পন্ন করার পর আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমান ইব্‌নু আবূ বকর (রাঃ)-এর সঙ্গে তান’ঈম-এ প্রেরণ করেন [৫৬]। সেখান হতে আমি ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বাঁধি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এ তোমার (ছেড়ে দেয়া) ‘উমরাহ’র স্থলবর্তী। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, যাঁরা ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বেঁধেছিলেন, তাঁরা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা’য়ী সমাপ্ত করে হালাল হয়ে যান এবং মিনা হতে ফিরে আসার পর দ্বিতীয়বার তাওয়াফ করেন আর যাঁরা হজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়ের ইহ্‌রাম বেঁধেছিলেন তাঁরা একটি মাত্র তাওয়াফ করেন। (২৯৪)

(আঃপ্রঃ১৪৫৩, ইঃফাঃ ১৪৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৬]আয়েশা (রাঃ) ‘উমরার জন্য ইহ্‌রাম বাঁধার পর ঋতুবতী হয়ে পড়লে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে গোসল করার নির্দেশ দেন এবং ‘উমরার ইহ্‌রাম ছেড়ে দিয়ে হজ্জের ইহ্‌রাম বাঁধার আদেশ দেন। ফলে হজ্জের পর পাক-সাফ অবস্থায় তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ঋতুর কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া উমরার পরিবর্তে নতুনভাবে ‘উমরাহ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে সেই অনুমতি প্রদান করেন। “হারাম” সীমায় থাকা অবস্থায় যে ব্যক্তি ‘উমরার ইরাদা করবে তাকে হারামের সীমার বাইরে গিয়ে ‘উমরার ইহ্‌রাম বাঁধতে হবে। এজন্য আয়েশা (রাঃ)-কে তানঈমে পাঠানো হয়েছিল। যা হারামের সীমানার বাইরে অবস্থিত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩২. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় তাঁর ইহরামের মত যিনি ইহ্‌রাম বেঁধেছেন।

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন।

(আরবি)

১৫৫৭

حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا أَنْ يُقِيمَ عَلَى إِحْرَامِهِ وَذَكَرَ قَوْلَ سُرَاقَةَ وَزَادَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَا أَهْلَلْتَ يَا عَلِيُّ قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَهْدِ وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী (রাঃ)-কে ইহ্‌রাম বহাল রাখার আদেশ দিলেন, এরপর জাবির (রাঃ) সুরাকাহ (রাঃ)-এর উক্তি বর্ণনা করেন। মুহাম্মাদ ইব্‌নু বকর (রহঃ) ইব্‌নু জুরাইজ (রহঃ) হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ হে ‘আলী! তুমি কোন্‌ প্রকার ইহ্‌রাম বেঁধেছ? ‘আলী (রাঃ) বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইহরামের অনুরূপ। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাহলে কুরবানীর পশু প্রেরণ কর এবং ইহ্‌রাম অবস্থায় যেভাবে আছ সেভাবেই থাক।

(১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭) (আঃপ্রঃ১৪৫৪, ইঃফাঃ ১৪৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৫৮

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ الْهُذَلِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ قَالَ سَمِعْتُ مَرْوَانَ الأَصْفَرَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَدِمَ عَلِيٌّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْيَمَنِ فَقَالَ بِمَا أَهْلَلْتَ قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَوْلاَ أَنَّ مَعِي الْهَدْيَ لأحْلَلْتُ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) ইয়ামান হতে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কী প্রকার ইহ্‌রাম বেঁধেছ? ‘আলী (রাঃ) বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ আমার সঙ্গে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি হালাল হয়ে যেতাম।

(আঃপ্রঃ১৪৫৫, ইঃফাঃ ১৪৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৫৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ بَعَثَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْمٍ بِالْيَمَنِ فَجِئْتُ وَهُوَ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ بِمَا أَهْلَلْتَ قُلْتُ أَهْلَلْتُ كَإِهْلاَلِ النَّبِيِّ قَالَ هَلْ مَعَكَ مِنْ هَدْيٍ قُلْتُ لاَ فَأَمَرَنِي فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَمَرَنِي فَأَحْلَلْتُ فَأَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَمَشَطَتْنِي أَوْ غَسَلَتْ رَأْسِي فَقَدِمَ عُمَرُ فَقَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللهِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُنَا بِالتَّمَامِ قَالَ اللهُ {وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ للهِ} وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّهُ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْيَ

আবূ মূসা (আশ’আরী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ইয়ামানে আমার গোত্রের নিকট পাঠিয়েছিলেন; তিনি (হজ্জ-এর সফরে) বাত্‌হা নামক স্থানে অবস্থানকালে আমি (ফিরে এসে) তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কোন্‌ প্রকার ইহ্‌রাম বেঁধেছ? আমি বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইহরামের অনুরূপ আমি ইহ্‌রাম বেঁধেছি। তিনি বললেনঃ তোমার সঙ্গে কুরবানীর পশু আছে কি? আমি বললাম, নেই। তিনি আমাকে বায়তুল্লাহ-এর তাওয়াফ করতে আদেশ করলেন। আমি বায়তুল্লাহ-এর তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার সা’য়ী করলাম। পরে তিনি আদেশ করলে আমি হালাল হয়ে গেলাম। অতঃপর আমি আমার গোত্রীয় এক মহিলার নিকট আসলাম। সে আমার মাথা আঁচড়িয়ে দিল অথবা বলেছেন, আমার মাথা ধুয়ে দিল। এরপর ‘উমর (রাঃ) তাঁর খিলাফতকালে এক উপলক্ষে আসলেন। (আমরা তাঁকে বিষয়টি জানালে) তিনি বললেনঃ কুরআনের নির্দেশ পালন কর। কুরআন তো আমাদেরকে হজ্জ ও ‘উমরাহ পৃথক পৃথকভাবে যথাসময়ে পূর্ণরূপে আদায় করার নির্দেশ দান করে। আল্লাহ বলেনঃ “তোমরা হজ্জ ও ‘উমরাহ আল্লাহ’র উদ্দেশে পূর্ণ কর”- (আল-বাকারাঃ ১৯৬)। আর যদি আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতকে অনুসরণ করি, তিনি তো কুরবানীর পশু যবহ্‌ করার আগে হালাল হননি।

(১৫৬৫, ১৭২৪, ১৭৯৫, ৪৩৪৬, ৪৩৯৭) (আঃপ্রঃ১৪৫৬, ইঃফাঃ ১৪৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৩. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহর বাণীঃ “হজ্জ হয় সুবিদিত মাসগুলোতে। অতঃপর যে কেউ এ মাসগুলোতে হজ্জ করা স্থির করে, তার জন্য হজ্জের সময়ে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ বিবাদ বিধেয় নয়”- (আল-বাকারাঃ ১৯৭)।

এবং তাঁর বাণীঃ “নতুন চাঁদ সম্পর্কে লোকেরা আপনাকে প্রশ্ন করে, বলুন, তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময় নির্দেশক”- (আল-বাকারাঃ ১৮৯)।

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বলেন, হজ্জ-এর মাসগুলো হলঃ শাওয়াল, যিলক্বাদ এবং যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ সুন্নাত হল, হজ্জের মাসগুলোতেই যেন হজ্জের ইহ্‌রাম বাঁধা হয়। কিরমান ও খুরাসান হতে ইহ্‌রাম বেঁধে বের হওয়া ‘উসমান (রাঃ) অপছন্দ করেন।

১৫৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ وَلَيَالِي الْحَجِّ وَحُرُمِ الْحَجِّ فَنَزَلْنَا بِسَرِفَ قَالَتْ فَخَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ مَعَهُ هَدْيٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ فَلاَ قَالَتْ فَالآخِذُ بِهَا وَالتَّارِكُ لَهَا مِنْ أَصْحَابِهِ قَالَتْ فَأَمَّا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَكَانُوا أَهْلَ قُوَّةٍ وَكَانَ مَعَهُمْ الْهَدْيُ فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى الْعُمْرَةِ قَالَتْ فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكِ يَا هَنْتَاهُ قُلْتُ سَمِعْتُ قَوْلَكَ لأَصْحَابِكَ فَمُنِعْتُ الْعُمْرَةَ قَالَ وَمَا شَأْنُكِ قُلْتُ لاَ أُصَلِّي قَالَ فَلاَ يَضِيرُكِ إِنَّمَا أَنْتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِ آدَمَ كَتَبَ اللهُ عَلَيْكِ مَا كَتَبَ عَلَيْهِنَّ فَكُونِي فِي حَجَّتِكِ فَعَسَى اللهُ أَنْ يَرْزُقَكِيهَا قَالَتْ فَخَرَجْنَا فِي حَجَّتِهِ حَتَّى قَدِمْنَا مِنًى فَطَهَرْتُ ثُمَّ خَرَجْتُ مِنْ مِنًى فَأَفَضْتُ بِالْبَيْتِ قَالَتْ ثُمَّ خَرَجَتْ مَعَهُ فِي النَّفْرِ الآخِرِ حَتَّى نَزَلَ الْمُحَصَّبَ وَنَزَلْنَا مَعَهُ فَدَعَا عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ اخْرُجْ بِأُخْتِكَ مِنْ الْحَرَمِ فَلْتُهِلَّ بِعُمْرَةٍ ثُمَّ افْرُغَا ثُمَّ ائْتِيَا هَا هُنَا فَإِنِّي أَنْظُرُكُمَا حَتَّى تَأْتِيَانِي قَالَتْ فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا فَرَغْتُ وَفَرَغْتُ مِنْ الطَّوَافِ ثُمَّ جِئْتُهُ بِسَحَرَ فَقَالَ هَلْ فَرَغْتُمْ فَقُلْتُ نَعَمْ فَآذَنَ بِالرَّحِيلِ فِي أَصْحَابِهِ فَارْتَحَلَ النَّاسُ فَمَرَّ مُتَوَجِّهًا إِلَى الْمَدِينَةِ ضَيْرِ مِنْ ضَارَ يَضِيرُ ضَيْرًا وَيُقَالُ ضَارَ يَضُورُ ضَوْرًا وَضَرَّ يَضُرُّ ضَرًّا

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হজ্জ-এর মাসে, হজ্জ-এর দিনগুলোতে, হজ্জ-এর মৌসুমে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ( হজ্জে) বের হয়ে সারিফ নামক স্থানে আমরা অবতরণ করলাম। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণের নিকট বেরিয়ে ঘোষণা করলেনঃ যার সাথে কুরবানীর পশু নেই এবং যে এ ইহ্‌রাম ‘উমরাহ’র ইহরামে পরিণত করতে আগ্রহী, সে তা করতে পারবে। আর যার সাথে কুরবানীর পশু আছে সে তা পারবে না। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, কয়েকজন সাহাবী ‘উমরাহ করলেন, আর কয়েকজন তা করলেন না। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর কয়েকজন সাহাবী (দীর্ঘ ইহ্‌রাম রাখতে) সক্ষম ছিলেন এবং তাঁদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল। তাই তাঁরা (শুধু) ‘উমরাহ করতে (ও পরে হালাল হয়ে যেতে) সক্ষম হলেন না। তিনি আরো বলেন, আমি কাঁদছিলাম, এমন সময় আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বললেনঃ ওহে কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আপনি সহাবাদের যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি, কিন্তু আমার পক্ষে ‘উমরাহ করা সম্ভব নয়। তিনি বললেনঃ তোমার কী হয়েছে? আমি বললাম, আমি সালাত আদায় করতে পারছি না (আমি ঋতুবতী)। তিনি বললেনঃ এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই, তুমি আদম-সন্তানের এক মহিলা। সকল নারীর জন্য আল্লাহ যা নির্ধারন করেছেন, তোমার জন্যেও তাই নির্ধারণ করেছেন। কাজেই তুমি হজ্জ-এর ইহ্‌রাম অবস্থায় থাক। আল্লাহ তোমাকে ‘উমরাহ করার সুযোগও দিতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা হজ্জ-এর জন্য বের হয়ে মিনায় পৌঁছলাম। সে সময় আমি পবিত্র হলাম। পরে মিনা হতে ফিরে (বাইতুল্লাহ পৌঁছে) তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করি। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সর্বশেষ দলে বের হলাম। তিনি মুহাস্‌সাব নামক স্থানে অবতরণ করেন, আমি তাঁর সাথে অবতরণ করলাম। এখানে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রাহমান ইব্‌নু আবূ বকর (রাঃ)-কে ডেকে বললেনঃ তোমার বোন (‘আয়েশা)-কে নিয়ে হারম সীমারেখা হতে বেরিয়ে যাও। সেখান হতে সে উমরার ইহ্‌রাম বেঁধে মক্কা হতে ‘উমরাহ সমাধা করলে তাকে নিয়ে এখানে ফিরে আসবে। আমি তোমাদের আগমন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকব। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা বের হয়ে গেলাম এবং আমি ও আমার ভাই তাওয়াফ সমাধা করে ফিরে এসে প্রভাত হওয়ার আগেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌঁছে গেলাম। তিনি বললেনঃ কাজ সমাধা করেছ কি? আমি বললাম জী-হ্যাঁ। তখন তিনি রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। সকলেই মদীনার দিকে রওয়ানা করলেন।

(আরবি) শব্দটি (আরবি) (ক্ষতিকর) শব্দ হতে উদগত। এমনই ভাবে (আরবি) সমার্থবোধক। (২৯৪)

(আঃপ্রঃ১৪৫৭, ইঃফাঃ ১৪৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৪. অধ্যায়ঃ

তামাত্তু’, ক্বিরান ও ইফরাদ হজ্জ করা এবং যার সঙ্গে কুরবানীর জন্তু নেই তার জন্য হজ্জের ইহ্‌রাম পরিত্যাগ করা [৫৭]।

[৫৭] হজ্জ হচ্ছে ৩ প্রকারঃ ইফরাদ, তামাত্তু’ ও ক্বিরান। ইফরাদ হচ্ছে শুধু হজ্জ করার নিয়তে ইহ্‌রাম বাঁধতে হয়। হজ্জে তামাত্তুতে হজ্জযাত্রীকে উমরাহ করার নিয়ত করে নির্ধারিত মীকাতে ইহ্‌রাম বাঁধতে হয়। অতঃপর তাওয়াফ ও সাঈ করে মাথা মুন্ডানো বা চুল ছাঁটতে হয়। যদি কেউ কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়ে আসেন তাহল তিনি ইহরামের অবস্থাতেই থেকে যাবেন, পশু সঙ্গে না আনলে ইহ্‌রাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন। যিল হজ্জের দিন শুরু হলে তিনি ইহ্‌রাম বাঁধবেন এবং হজ্জ সম্পন্ন করবেন। হজ্জে ক্বিরানে একই সঙ্গে উমরাহ ও হজ্জের নিয়তে ইহ্‌রাম বাঁধতে হয়।

১৫৬১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ وَلاَ نُرَى إِلاَّ أَنَّهُ الْحَجُّ فَلَمَّا قَدِمْنَا تَطَوَّفْنَا بِالْبَيْتِ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ أَنْ يَحِلَّ فَحَلَّ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ وَنِسَاؤُهُ لَمْ يَسُقْنَ فَأَحْلَلْنَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَحِضْتُ فَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَرْجِعُ النَّاسُ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِحَجَّةٍ قَالَ وَمَا طُفْتِ لَيَالِيَ قَدِمْنَا مَكَّةَ قُلْتُ لاَ قَالَ فَاذْهَبِي مَعَ أَخِيكِ إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهِلِّي بِعُمْرَةٍ ثُمَّ مَوْعِدُكِ كَذَا وَكَذَا قَالَتْ صَفِيَّةُ مَا أُرَانِي إِلاَّ حَابِسَتَهُمْ قَالَ عَقْرَى حَلْقَى أَوَ مَا طُفْتِ يَوْمَ النَّحْرِ قَالَتْ قُلْتُ بَلَى قَالَ لاَ بَأْسَ انْفِرِي قَالَتْ عَائِشَةُ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُصْعِدٌ مِنْ مَكَّةَ وَأَنَا مُنْهَبِطَةٌ عَلَيْهَا أَوْ أَنَا مُصْعِدَةٌ وَهُوَ مُنْهَبِطٌ مِنْهَا

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হলাম এবং একে হজ্জের সফর বলেই আমরা জানতাম। আমরা যখন (মক্কায়) পৌঁছে বাইতুল্লাহ-এর তাওয়াফ করলাম তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিলেনঃ যারা কুরবানীর পশু সঙ্গে আসেনি তারা যেন ইহ্‌রাম ছেড়ে দেয়। তাই যিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনেননি তিনি ইহ্‌রাম ছেড়ে দেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণীগণ তাঁরা ইহ্‌রাম ছেড়ে দিলেন। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি ঋতুবতী হয়েছিলাম বিধায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারিনি। (ফিরতি পথে) মুহাসসাব নামক স্থানে রাত যাপনকালে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সকলেই ‘উমরাহ ও হজ্জ উভয়টি সমাধা করে ফিরছে আর আমি কেবল হজ্জ করে ফিরছি। তিনি বললেনঃ আমরা মক্কা পৌঁছলে তুমি কি সে দিনগুলোতে তওয়াফ করনি? আমি বললাম, জ্বী-না। তিনি বললেন, তোমার ভাই-এর সাথে তান্‌’ঈম চলে যাও, সেখান হতে ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বাঁধবে। অতঃপর অমুক স্থানে তোমার সাথে সাক্ষাৎ ঘটবে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কী বললে! তুমি কি কুরবানীর দিনগুলোতে তাওয়াফ করনি! আমি বললাম, হ্যাঁ করেছি। তিনি বললেনঃ তবে কোন অসুবিধা নেই, তুমি চল। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এমতাবস্থায় আমার সাক্ষাৎ হলো যখন তিনি মক্কা ছেড়ে উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি মক্কার দিকে অবতরণ করছি। অথবা ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি উঠছি ও তিনি অবতরণ করছেন।

(২৯৪, মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১১, আহমাদ ২৬২২৪) (আঃপ্রঃ১৪৫৮, ইঃফাঃ ১৪৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَأَهَلَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لَمْ يَحِلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হান্থাতুল বিদার বছর আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হই। আমাদের মধ্যে কেউ কেবল ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বাঁধলেন, আর কেউ হজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়টির ইহ্‌রাম বাঁধলেন। আর কেউ শুধু হজ্জ-এর ইহ্‌রাম বাঁধলেন এবং আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধু হজ্জের জন্য ইহ্‌রাম বাঁধলেন। যারা কেবল হজ্জ বা এক সঙ্গে হজ্জ ও ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বেঁধেছিলেন তাদের একজনও কুরবানী দিনের পূর্বে ইহ্‌রাম খোলেননি। (২৯৪)

(আঃপ্রঃ১৪৫৯, ইঃফাঃ ১৪৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ وَعَلِيًّا وَعُثْمَانُ يَنْهَى عَنْ الْمُتْعَةِ وَأَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُمَا فَلَمَّا رَأَى عَلِيٌّ أَهَلَّ بِهِمَا لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ قَالَ مَا كُنْتُ لأَدَعَ سُنَّةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِقَوْلِ أَحَدٍ

মারওয়ান ইব্‌নু হাকাম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ও ‘আলী (রাঃ)-কে (উসফান নামক স্থানে) দেখেছি, ‘উসমান (রাঃ) তামাত্তু’, হজ্জ ও ‘উমরাহ একত্রে আদায় করতে নিষেধ করতেন। ‘আলী (রাঃ) এ অবস্থা দেখে হজ্জ ও ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম একত্রে বেঁধে তালবিয়া পাঠ করেন- (আরবি) (হে আল্লাহ! আমি ‘উমরাহ ও হজ্জ-এর ইহ্‌রাম বেঁধে হাযির হলাম) এবং বললেন, কারো কথায় আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত বর্জন করতে পারব না।

(১৫৬৯, মুসলিম ১৫/২৩, হাঃ ১২২৩) (আঃপ্রঃ১৪৬০, ইঃফাঃ ১৪৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فِي الأَرْضِ وَيَجْعَلُونَ الْمُحَرَّمَ صَفَرًا وَيَقُولُونَ إِذَا بَرَا الدَّبَرْ وَعَفَا الأَثَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ حَلَّتْ الْعُمْرَةُ لِمَنْ اعْتَمَرْ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَتَعَاظَمَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الْحِلِّ قَالَ حِلٌّ كُلُّهُ

‘ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা হজ্জ-এর মাসগুলোতে ‘উমরাহ করাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘৃণ্য পাপের কাজ বলে মনে করত। তারা মুহাররম মাসের স্থলে সফর মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ মনে করত। তারা বলত, উটের পিঠের যখম ভাল হলে, রাস্তার মুসাফিরের পদচিহ্ন মুছে গেলে এবং সফর মাস অতিক্রান্ত হলে ‘উমরাহ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি ‘উমরাহ করতে পারবে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জ-এর ইহ্‌রাম বেঁধে (যিলহজ্জ মাসের) চার তারিখ সকালে (মক্কায়) উপনীত হন। তখন তিনি তাঁদের এ ইহ্‌রামকে ‘উমরাহ’র ইহরামে পরিণত করার নির্দেশ দেন। সকলের কাছেই এ নির্দেশটি গুরুতর বলে মনে হলো (‘উমরাহ শেষ করে) তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য কী কী জিনিস হালাল? তিনি বললেনঃ সবকিছু হালাল (ইহরামের পূর্বে যা হালাল ছিল তার সব কিছু এখন হালাল)। (১০৮৫)

(আঃপ্রঃ১৪৬১, ইঃফাঃ ১৪৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ بِالْحِلِّ

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি আমাকে (ইহ্‌রাম ভঙ্গ করে) হালাল হয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন। (১৫৫৯)

(আঃপ্রঃ১৪৬২, ইঃফাঃ ১৪৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৬

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ ح و حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا بِعُمْرَةٍ وَلَمْ تَحْلِلْ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ

নবী সহধর্মিণী হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের কী হল, তারা ‘উমরাহ শেষ করে হালাল হয়ে গেল, অথচ আপনি ‘উমরাহ হতে হালাল হচ্ছেন না? তিনি বললেনঃ আমি মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি এবং কুরবানীর জানোয়ারের গলায় মালা ঝুলিয়েছি। কাজেই কুরবানী করার পূর্বে হালাল হতে পারি না।

(১৬৯৭, ১৭২৫, ৪৩৯৭, ৫৯১৬, মুসলিম ১৫/২৫, হাঃ ১২২৯, আহমাদ ২৬৪৮৬) (আঃপ্রঃ১৪৬৩, ইঃফাঃ ১৪৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৭

حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنَا أَبُو جَمْرَةَ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ الضُّبَعِيُّ قَالَ تَمَتَّعْتُ فَنَهَانِي نَاسٌ فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَمَرَنِي فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ رَجُلاً يَقُولُ لِي حَجٌّ مَبْرُورٌ وَعُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ فَأَخْبَرْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ سُنَّةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي أَقِمْ عِنْدِي فَأَجْعَلَ لَكَ سَهْمًا مِنْ مَالِي قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لِمَ فَقَالَ لِلرُّؤْيَا الَّتِي رَأَيْتُ

আবূ জামরাহ নাসর ইব্‌নু ‘ইমরান যুবা‘য়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি তামাত্তু‘ হজ্জ করতে ইচ্ছা করলে কিছু লোক আমাকে নিষেধ করল। আমি তখন ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) – এর নিকট জিজ্ঞেস করলে তিনি তা করতে আমাকে নির্দেশ দেন। এরপর আমি স্বপ্নে দেখলাম, যে এক ব্যক্তি আমাকে বলছে, উত্তম হজ্জ ও মাকবূল ‘উমরাহ। ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) -এর নিকট স্বপ্নটি বললাম। তিনি বললেন, তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। এরপর আমাকে বললেন, তুমি আমার কাছে থাক, তোমাকে আমার মালের কিছু অংশ দিব। রাবী শু‘বাহ (রহঃ) বলেন, আমি (আবূ জামরাকে) বললাম, তা কেন? তিনি বললেন, আমি যে স্বপ্ন দেখেছি সে জন্য। (১৬৮৮)

(আঃপ্রঃ১৪৬৪, ইঃফাঃ ১৪৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ قَالَ قَدِمْتُ مُتَمَتِّعًا مَكَّةَ بِعُمْرَةٍ فَدَخَلْنَا قَبْلَ التَّرْوِيَةِ بِثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَقَالَ لِي أُنَاسٌ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ تَصِيرُ الآنَ حَجَّتُكَ مَكِّيَّةً فَدَخَلْتُ عَلَى عَطَاءٍ أَسْتَفْتِيهِ فَقَالَ حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ حَجَّ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ سَاقَ الْبُدْنَ مَعَهُ وَقَدْ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ مُفْرَدًا فَقَالَ لَهُمْ أَحِلُّوا مِنْ إِحْرَامِكُمْ بِطَوَافِ الْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَقَصِّرُوا ثُمَّ أَقِيمُوا حَلاَلاً حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ فَأَهِلُّوا بِالْحَجِّ وَاجْعَلُوا الَّتِي قَدِمْتُمْ بِهَا مُتْعَةً فَقَالُوا كَيْفَ نَجْعَلُهَا مُتْعَةً وَقَدْ سَمَّيْنَا الْحَجَّ فَقَالَ افْعَلُوا مَا أَمَرْتُكُمْ فَلَوْلاَ أَنِّي سُقْتُ الْهَدْيَ لَفَعَلْتُ مِثْلَ الَّذِي أَمَرْتُكُمْ وَلَكِنْ لاَ يَحِلُّ مِنِّي حَرَامٌ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَفَعَلُوا قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ أَبُو شِهَابٍ لَيْسَ لَهُ مُسْنَدٌ إِلاَّ هَذَا

আবূ শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বেঁধে হজ্জে তামাত্তু’র নিয়্যতে তারবিয়্যাহ দিবস (আট তারিখ)-এর তিন দিন পূর্বে মক্কায় প্রবেশ করলাম, মক্কাবাসী কিছু লোক আমাকে বললেন, এখন তোমার হজ্জের কাজ মক্কা হতে শুরু হবে। আমি বিষয়টি জানার জন্য ‘আত্বা (রহঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন, জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাকে বলেছেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর উট সঙ্গে নিয়ে হজ্জে আসেন তখন তিনি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। সাহাবীগন ইফরাদ হজ্জ-এর নিয়্যাতে শুধু হজ্জের ইহ্‌রাম বাধেঁন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মক্কায় পৌছে) তাদেরকে বললেনঃ বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ সমাধা করে তোমরা ইহ্‌রাম ভঙ্গ করে হালাল হয়ে যাও এবং চুল ছোট কর। এরপর হালাল অবস্থায় থাক। যখন যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ হবে তখন তোমরা হজ্জ-এর ইহ্‌রাম বেঁধে নিবে, আর যে ইহ্‌রাম বেঁধে এসেছ তা তামাত্তু‘ হজ্জের ‘উমরাহ বানিয়ে নিবে। সাহাবীগন বললেন, এ ইহ্‌রামকে আমরা কিরূপে ‘উমরাহ’র ইহ্‌রাম বানাব? আমরা হজ্জ-এর নাম নিয়ে ইহ্‌রাম বেঁধেছি। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে যা আদেশ করছি তাই কর। কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়ে না আসলে তোমাদেরকে যা করতে বলছি, আমিও সেরূপ করতাম। কিন্তু কুরবনী করার পূর্বে (ইহরামের কারনে) নিষিদ্ধ কাজ (আমার জন্য) হালাল নয়। সাহাবীগন সেরূপ পশু যবহ করলেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ্‌ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, আবূ শিহাব (রহঃ) হতে মারফূ’ বর্ণনা মাত্র এই একটিই পাওয়া যায়। (১৫৫৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৬৫, ইঃফাঃ ১৪৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৬৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَعْوَرُ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ اخْتَلَفَ عَلِيٌّ وَعُثْمَانُ وَهُمَا بِعُسْفَانَ فِي الْمُتْعَةِ فَقَالَ عَلِيٌّ مَا تُرِيدُ إِلاَّ أَنْ تَنْهَى عَنْ أَمْرٍ فَعَلَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَلِيٌّ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا

সা’ঈদ ইব্‌নু মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উসমান নামক স্থানে অবস্থানকালে ‘আলী ও ‘উসমান (রাঃ) -এর মধ্যে হজ্জে তামাত্তু’ করা সম্পর্কে পরস্পরে দ্বিমত সৃষ্টি হয়। ‘আলী (রাঃ) ‘উসমান (রাঃ) -কে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে কাজ করেছেন, আপনি কি তা হতে বারণ করতে চান? ‘উসমান (রাঃ) বললেন, আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দিন। ‘আলী (রাঃ) এ অবস্থা দেখে হজ্জ ও ‘উমরাহ উভয়ের ইহ্‌রাম বাধেঁন। (১৫৬৩)

(আঃপ্রঃ ১৪৬৬, ইঃফাঃ ১৪৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৫. অধ্যায়ঃ

হজ্জ-এর নামোল্লেখ করে যে ব্যক্তি তালবিয়া পাঠ করে।

১৫৭০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا يَقُولُ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَقُولُ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلْنَاهَا عُمْرَةً

জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমরা হজ্জের তালবিয়া পাঠ করতে করতে (মক্কায়) উপনীত হলাম। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিলেন, আমরা হজ্জকে ‘উমরাহ’তে পরিণত করলাম। (১৫৫৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৬৭, ইঃফাঃ ১৪৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৬. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে হজ্জে তামাত্তু’।

১৫৭১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ حَدَّثَنِي مُطَرِّفٌ عَنْ عِمْرَانَ قَالَ تَمَتَّعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَ الْقُرْآنُ قَالَ رَجُلٌ بِرَأْيِهِ مَا شَاءَ

’ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে হজ্জে তামাত্তু’ করেছি, কুরআনেও তার বিধান নাযিল হয়েছে অথচ এক ব্যক্তি তার ইচ্ছাতম অভিমত ব্যক্ত করেছেন। (৪৫১৮)

(আঃপ্রঃ ১৪৬৮ ইঃফাঃ ১৪৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৭. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহর বানী : তা ( হজ্জে তামাত্তু’) তাদের জন্য, যাদের পরিবার-পরিজন মাসজিদুল হারামের (সীমানার) মধ্যে বসবাস করে না। (আল-বাকারা : ১৯৬)

১৫৭২

وَقَالَ أَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ الْبَرَّاءُ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ مُتْعَةِ الْحَجِّ فَقَالَ أَهَلَّ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ وَأَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَأَهْلَلْنَا فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اجْعَلُوا إِهْلاَلَكُمْ بِالْحَجِّ عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ قَلَّدَ الْهَدْيَ فَطُفْنَا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَأَتَيْنَا النِّسَاءَ وَلَبِسْنَا الثِّيَابَ وَقَالَ مَنْ قَلَّدَ الْهَدْيَ فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ لَهُ {حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ} ثُمَّ أَمَرَنَا عَشِيَّةَ التَّرْوِيَةِ أَنْ نُهِلَّ بِالْحَجِّ فَإِذَا فَرَغْنَا مِنْ الْمَنَاسِكِ جِئْنَا فَطُفْنَا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ تَمَّ حَجُّنَا وَعَلَيْنَا الْهَدْيُ كَمَا قَالَ اللهُ تَعَالَى {فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ} إِلَى أَمْصَارِكُمْ الشَّاةُ تَجْزِي فَجَمَعُوا نُسُكَيْنِ فِي عَامٍ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى أَنْزَلَهُ فِي كِتَابِهِ وَسَنَّهُ نَبِيُّهُ وَأَبَاحَهُ لِلنَّاسِ غَيْرَ أَهْلِ مَكَّةَ قَالَ اللهُ {ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ} وَأَشْهُرُ الْحَجِّ الَّتِي ذَكَرَ اللهُ تَعَالَى فِي كِتَابهِ شَوَّالٌ وَذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحَجَّةِ فَمَنْ تَمَتَّعَ فِي هَذِهِ الأَشْهُرِ فَعَلَيْهِ دَمٌ أَوْ صَوْمٌ وَالرَّفَثُ الْجِمَاعُ وَالْفُسُوقُ الْمَعَاصِي وَالْجِدَالُ الْمِرَاءُ

ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হজ্জে তামাত্তু’ সম্পর্কে তাঁর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, বিদায় হজ্জের বছর আনসার ও মুজাহির সাহাবীগন, নবী-সহধর্মিণীগণ ইহ্‌রাম বাঁধলেন, আর আমরাও ইহ্‌রাম বাঁধলাম। আমরা মক্কায় পৌছুলে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা হজ্জ-এর ইহ্‌রামকে ‘উমরায় পরিনত কর। তবে যারা কুরবানীর পশুর গলায় মালা ঝুলিয়েছে, তাদের কথা ব্যতিক্রম (তারা ইহ্‌রাম ভঙ্গ করতে পারবে না)। আমরা বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা’য়ী করলাম। এরপর স্ত্রী-সহবাস করলাম এবং কাপড়-চোপড় পরিধান করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্য উপস্থিত করার উদ্দেশে পশুর গলায় মালা ঝুলিয়েছে, পশু কুরবানীর স্থানে না পৌছা পর্যন্ত সে হালল হতে পারে না। এরপর যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ বিকালে আমাদেরকে হজ্জ-এর ইহ্‌রাম বাঁধার নির্দেশ দেন। যখন আমরা হজ্জ-এর সকল কার্য শেষ করে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সা’য়ী করে অবসর হলাম, তখন আমাদের হজ্জ পূর্ণ হল এবং আমাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হলো। যেমন মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন : “যার পক্ষে সম্ভব সে একটি কুরবানী করবে, আর যার পক্ষে সম্ভব নয় সে হজ্জ চলাকালে তিনটি সওম পালন করবে এবং ফিরে এসে সাত দিন সওম পালন করবে অর্থাৎ নিজ দেশে ফিরে”- (আল-বাকারা : ১৯৬)। একটি বকরীই দম হিসেবে কুরবানীর জন্য যথেষ্ট। একই বছরে সাহাবীগন হজ্জ ও ‘উমরাহ একসাথে আদায় করলেন। আল্লাহ তাঁর কুরআনে এ বিধান নাযিল করেছেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ তরীকা জারী করেছেন আর মক্কাবাসী ব্যতীত অন্যদের জন্য তা বৈধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন : “( হজ্জে তামাত্তু’) তাদের জন্য, যাদের পরিবার-পরিজন মাসজিদে হারামের (হারামের সীমার) মধ্যে বাস করে না” – (আল-বাকারা : ১৯৬)। আল্লাহ তাঁর কুরআনে হজ্জের যে মাসগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন তা হলো : শাওয়াল, যিলক্বাদ ও যিলহজ্জ। যারা এ মাসগুলোতে তামাত্তু’ হজ্জ করবে তাদের অবশ্য দম দিতে হবে অথবা সওম পালন করতে হবে। (আঃপ্রঃ অনুচ্ছেদ ৩৭ এর শেষাংশ)

(আরবি) অর্থ স্ত্রী সহবাস, (আরবি) অর্থ গুনাহ, (আরবি) অর্থ বিবাদ। (আঃপ্রঃ, ই.ফা, পরিচ্ছেদ ৯৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৮. অধ্যায়ঃ

মক্কায় প্রবেশকালে গোসল করা।

১৫৭৩

حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا دَخَلَ أَدْنَى الْحَرَمِ أَمْسَكَ عَنْ التَّلْبِيَةِ ثُمَّ يَبِيتُ بِذِي طِوًى ثُمَّ يُصَلِّي بِهِ الصُّبْحَ وَيَغْتَسِلُ وَيُحَدِّثُ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ

নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) হারামের নিকটবর্তী স্থানে পৌছলে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন। অত:পর যী-তুয়া নামক স্থানে রাত যাপন করতেন। এরপর সেখানে ফজরের সালাত আদায় করতেন ও গোসল করতেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন।

(১৫৫৩, মুসলিম ১৫/৩৮, হাঃ ১২৫৯) (আঃপ্রঃ ১৪৬৯, ইঃফাঃ ১৪৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৩৯. অধ্যায়ঃ

দিবাভাগে ও রাত্রিকালে মক্কায় প্রবেশ করা।

১৫৭৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ بَاتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِذِي طُوًى حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ دَخَلَ مَكَّةَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোর পর্যন্ত যী-তুয়ায় রাত যাপন করেন, অতঃপর মক্কায় প্রবেশ করেন। (রাবী নাফি’ বলেন) ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) -ও এরূপ করতেন। (১৫৫৩)

(আঃপ্রঃ ১৪৭০, ইঃফাঃ ১৪৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪০. অধ্যায়ঃ

কোন্ দিক হতে মক্কায় প্রবেশ করবে।

১৫৭৫

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ قَالَ حَدَّثَنِي مَعْنٌ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُ مِنْ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا وَيَخْرُجُ مِنْ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সানিয়্যাতুল ‘উলয়া (হারমের উত্তর-পূর্বদিকে কাদা নামক স্থান দিয়ে) মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং সানিয়্যা সুফলা (হারমের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কুদা নামক স্থান) দিয়ে বের হতেন। (১৫৭৬)

(আঃপ্রঃ ১৪৭১, ইঃফাঃ ১৪৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪১. অধ্যায়ঃ

কোন্ দিক দিয়ে মক্কা হতে বের হবে।

১৫৭৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ مِنْ كَدَاءٍ مِنْ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا الَّتِي بِالْبَطْحَاءِ وَخَرَجَ مِنْ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ كَانَ يُقَالُ هُوَ مُسَدَّدٌ كَاسْمِهِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يَقُولُ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ لَوْ أَنَّ مُسَدَّدًا أَتَيْتُهُ فِي بَيْتِهِ فَحَدَّثْتُهُ لاَسْتَحَقَّ ذَلِكَ وَمَا أُبَالِي كُتُبِي كَانَتْ عِنْدِي أَوْ عِنْدَ مُسَدَّدٍ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাত্‌হায় অবস্থিত সানিয়্যা ‘উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন এবং সানিয়্যা সুফ্‌লার দিক দিয়ে বের হন। (১৫৭৫)

(আঃপ্রঃ ১৪৭২, ইঃফাঃ ১৪৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৭৭

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا جَاءَ إِلَى مَكَّةَ دَخَلَ مِنْ أَعْلاَهَا وَخَرَجَ مِنْ أَسْفَلِهَا

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আসেন তখন এর উচ্চ স্থান দিয়ে প্রবেশ করেন এবং নীচু স্থান দিয়ে ফেরার পথে বের হন।

(১৫৭৮,১৫৭৯,১৫৮০,১৫৮১, ৪২৯০,৪২৯১) (আঃপ্রঃ ১৪৭৩, ইঃফাঃ ১৪৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৭৮

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ الْمَرْوَزِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءٍ وَخَرَجَ مِنْ كُدًا مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর কাদা-র পথে (মক্কায়) প্রবেশ করেন এবং বের হন কুদা-র পথে যা মক্কার উঁচু স্থানে অবস্থিত। (১৫৭৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৭৪, ইঃফাঃ ১৪৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৭৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا عَمْرٌو عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءٍ أَعْلَى مَكَّةَ قَالَ هِشَامٌ وَكَانَ عُرْوَةُ يَدْخُلُ عَلَى كِلْتَيْهِمَا مِنْ كَدَاءٍ وَكُدًا وَأَكْثَرُ مَا يَدْخُلُ مِنْ كَدَاءٍ وَكَانَتْ أَقْرَبَهُمَا إِلَى مَنْزِلِهِ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর কাদা নামক স্থান দিয়ে মক্কার উঁচু ভূমির দিক হতে মক্কায় প্রবেশ করেন। রাবী হিসাম (রহঃ) বলেন, (আমার পিতা) ‘উরওয়া (রহঃ) কাদা ও কুদা উভয় স্থান দিয়ে (মক্কায়) প্রবেশ করতেন। তবে অধিকাংশ সময় কুদা দিয়ে প্রবশ করতেন, কেননা তাঁর বাড়ি এ পথে অধিক নিকটবর্তী ছিল।

(১৫৭৭, মুসলিম ১৫/৩৭, হাঃ ১২৫৭, আহমাদ ৪৮৪৩) (আ,প্র. ১৪৭৫ সম্পূর্ণ নেই, ইঃফাঃ ১৪৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُرْوَةَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءٍ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ وَكَانَ عُرْوَةُ أَكْثَرَ مَا يَدْخُلُ مِنْ كَدَاءٍ وَكَانَ أَقْرَبَهُمَا إِلَى مَنْزِلِهِ

‘উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর মক্কার উঁচু ভূমি কাদা দিয়ে (মক্কায়) প্রবেশ করেন। [রাবী হিশাম (রহঃ) বলেন] ‘উরওয়া (রহঃ) অধিকাংশ সময় কুদা’র পথে প্রবেশ করতেন, কেননা তাঁর বাড়ি এ পথের অধিক নিকটবর্তী ছিল। (১৫৭৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৭৬, ইঃফাঃ ১৪৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮১

حَدَّثَنَا مُوسَى حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءٍ وَكَانَ عُرْوَةُ يَدْخُلُ مِنْهُمَا كِلَيْهِمَا وَكَانَ أَكْثَرَ مَا يَدْخُلُ مِنْ كَدَاءٍ أَقْرَبِهِمَا إِلَى مَنْزِلِهِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ كَدَاءٌ وَكُدًا مَوْضِعَانِ

‘উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর কাদার পথে মক্কায় প্রবেশ করেন। [রাবী হিশাম (রহঃ) বলেন] ‘উরওয়াহ উভয় পথেই প্রবেশ করতেন, তবে কুদা-র পথে তাঁর বাড়ি নিকটবর্তী হওয়ার কারনে সে পথেই অধিকাংশ সময় প্রবেশ করতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেন, ‘কাদা’ ও ‘কুদা’ দু’টি স্থানের নাম। (১৫৭৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৭৭, ইঃফাঃ ১৪৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪২. অধ্যায়ঃ

মক্কা ও তার ঘরবাড়ির ফযীলত

এবং মহান আল্লাহর বানী : “এবং সেই সময়কে স্মরণ করুন যখন কা’বাঘরকে মানব জাতির মিলন কেন্দ্র ও নিরাপত্তা স্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা ইব্‌রাহীমের দাঁড়াবার স্থানকেই সলাতের স্থানরূপে গ্রহন কর এবং ইব্রাহীম ও ইসমা’ঈলকে তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী, রুকূ ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে আদেশ দিয়েছিলাম। স্মরণ করুন যখন ইব্রাহীম বলেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক! একে নিরাপদ শহর করুন আর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান করুন। তিনি বললেন, যে কেউ কুফরী করবে তাকেও কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগ করতে দিব। অক:পর তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব এবং তা কত নিকৃষ্ট পরিণাম! স্মরন করুন, যখন ইব্রাহীম ও ইসমা’ঈল কা’বা ঘরের প্রাচীর তুলছিলেন তখন তারা বলেছিলেন, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজ গ্রহণ করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হতে আপনার এক অনুগত উম্মাত করুন। আমাদেরকে ‘ইবাদাতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হন, আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (আল-বাকারা : ১২৫-১২৮)

১৫৮২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا بُنِيَتْ الْكَعْبَةُ ذَهَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَعَبَّاسٌ يَنْقُلاَنِ الْحِجَارَةَ فَقَالَ الْعَبَّاسُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اجْعَلْ إِزَارَكَ عَلَى رَقَبَتِكَ فَخَرَّ إِلَى الأَرْضِ وَطَمَحَتْ عَيْنَاهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ أَرِنِي إِزَارِي فَشَدَّهُ عَلَيْهِ

জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কা’বা ঘর পুনর্নির্মাণের সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ‘আব্বাস (রাঃ) পাথর বহন করছিলেন। ‘আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন. তোমরা লুঙ্গিটি কাঁধের ওপর দিয়ে নাও। তিনি তা করলে মাটিতে পড়ে গেলেন এবং তাঁর উভয় চোখ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকল। তখন তিনি বললেনঃ আমার লুঙ্গি দাও এবং তা বেঁধে নিলেন। (৩৬৪)

(আঃপ্রঃ ১৪৭৮, ইঃফাঃ ১৪৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ حَدَّثَنَا أَشْعَثُ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْجَدْرِ أَمِنَ الْبَيْتِ هُوَ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ فَمَا لَهُمْ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي الْبَيْتِ قَالَ إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمْ النَّفَقَةُ قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا قَالَ فَعَلَ ذَلِكَ قَوْمُكِ لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِالْجَاهِلِيَّةِ فَأَخَافُ أَنْ تُنْكِرَ قُلُوبُهُمْ أَنْ أُدْخِلَ الْجَدْرَ فِي الْبَيْتِ وَأَنْ أُلْصِقَ بَابَهُ بِالأَرْضِ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ তুমি কি জান না! তোমার কওম যখন কা’বা ঘরের পুনর্নির্মান করেছিল তখন ইব্রাহীম (আ:) কর্তৃক কা’বা ঘরের মূল ভিত্তি হতে তা সঙ্কুচিত করেছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি একে ইবরাহীমী ভিত্তির উপর পুন:স্থাপন করবেন না? তিনি বললেনঃ যদি তোমার সম্প্রদায়ের যুগ কুফরীর নিকটবর্তী না হত তা হলে অবশ্য আমি তা করতাম। ‘আবদুল্লাহ (ইব্‌নু ‘উমর) (রা: ) বলেন, যদি ‘আয়েশা (রাঃ) নিশ্চিতরূপে তা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনে থাকেন, তাহলে আমার মনে হয় যে, বায়তুল্লাহ হাতীমের দিক দিয়ে সম্পূর্ণ ইবরাহিমী ভিত্তির উপর নির্মিত না হবার কারণেই আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাওয়াফের সময়) হাতীম সংলগ্ন দু’টি কোণ স্পর্শ করতেন না।

(১২৬, মুসলিম ১৫/৬৯, হাঃ ১৩৩৩, আহমাদ ২৫৪৯৫) (আঃপ্রঃ ১৪৭৯, ইঃফাঃ ১৪৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ حَدَّثَنَا أَشْعَثُ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْجَدْرِ أَمِنَ الْبَيْتِ هُوَ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ فَمَا لَهُمْ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي الْبَيْتِ قَالَ إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمْ النَّفَقَةُ قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا قَالَ فَعَلَ ذَلِكَ قَوْمُكِ لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِالْجَاهِلِيَّةِ فَأَخَافُ أَنْ تُنْكِرَ قُلُوبُهُمْ أَنْ أُدْخِلَ الْجَدْرَ فِي الْبَيْتِ وَأَنْ أُلْصِقَ بَابَهُ بِالأَرْضِ

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলাম, (হাতীমের) দেয়াল কি বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত, তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললাম, তাহলে তারা বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করল না কেন? তিনি বললেনঃ তোমার গোত্রের (অর্থাৎ কুরাইশের কা’বা নির্মাণের) সময় অর্থ নি:শেষ হয়ে যায়। আমি বললাম, কা’বার দরজা এত উঁচু হওয়ার কারন কি? তিনি বললেনঃ তোমার কওমতো এ জন্য করেছে যে, যাকে ইচ্ছা ঢুকতে দিবে এবং যাকে ইচ্ছা নিষেধ করবে। যদি তোমার কওমের যুগ জাহিলিয়াতের নিকটবর্তী না হত এবং আশঙ্কা না হত যে, তারা একে ভালো মনে করবে না, তাহলে আমি দেয়ালকে বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম এবং তার দরজা ভূমি বরাবর করে দিতাম।

(১২৬, মুসলিম ১৫/৭০, হাঃ ১৩৩৩, আহমাদ ২৪৭৬৩) (আঃপ্রঃ ১৪৮০, ইঃফাঃ ১৪৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮৫

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْلاَ حَدَاثَةُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَنَقَضْتُ الْبَيْتَ ثُمَّ لَبَنَيْتُهُ عَلَى أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَم فَإِنَّ قُرَيْشًا اسْتَقْصَرَتْ بِنَاءَهُ وَجَعَلْتُ لَهُ خَلْفًا قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ خَلْفًا يَعْنِي بَابًا

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ যদি তোমার গোত্রের যুগ কুফরীর নিকটবর্তী না হত তা হলে অবশ্যই কা’বা ঘর ভেঙে ইব্রাহীম (আ:)-এর ভিত্তির উপর তা পুনর্নির্মান করতাম। কেননা কুরায়শগন এর ভিত্তি সংকুচিত করে দিয়েছে। আর আমি আরো একটি দরজা করে দিতাম। আবূ মু’আবিয়াহ (রহঃ) বলেন, হিশাম (রহঃ) বলেছেনঃ অর্থ দরজা। (১২৬)

(আঃপ্রঃ ১৪৮১, ইঃফাঃ ১৪৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৮৬

حَدَّثَنَا بَيَانُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا يَزِيدُ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا يَا عَائِشَةُ لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ لأَ×مَرْتُ بِالْبَيْتِ فَهُدِمَ فَأَدْخَلْتُ فِيهِ مَا أُخْرِجَ مِنْهُ وَأَلْزَقْتُهُ بِالأَرْضِ وَجَعَلْتُ لَهُ بَابَيْنِ بَابًا شَرْقِيًّا وَبَابًا غَرْبِيًّا فَبَلَغْتُ بِهِ أَسَاسَ إِبْرَاهِيمَ فَذَلِكَ الَّذِي حَمَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى هَدْمِهِ قَالَ يَزِيدُ وَشَهِدْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ حِينَ هَدَمَهُ وَبَنَاهُ وَأَدْخَلَ فِيهِ مِنْ الْحِجْرِ وَقَدْ رَأَيْتُ أَسَاسَ إِبْرَاهِيمَ حِجَارَةً كَأَسْنِمَةِ الإِبِلِ قَالَ جَرِيرٌ فَقُلْتُ لَهُ أَيْنَ مَوْضِعُهُ قَالَ أُرِيكَهُ الآنَ فَدَخَلْتُ مَعَهُ الْحِجْرَ فَأَشَارَ إِلَى مَكَانٍ فَقَالَ هَا هُنَا قَالَ جَرِيرٌ فَحَزَرْتُ مِنْ الْحِجْرِ سِتَّةَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا

‘আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেনঃ হে ‘আয়েশা! যদি তোমার কওমের যুগ জাহিলিয়াতের নিকটবর্তী না হত তাহলে আমি কা’বা ঘর সম্পর্কে নির্দেশ দিতাম এবং তা ভেঙ্গে ফেলা হত। অত:পর বাদ দেয়া অংশটুকু আমি ঘরের অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম এবং তা ভূমি বরাবর করে দিতাম ও পূর্ব-পশ্চিমে এর দু’টি দরজা করে দিতাম। এভাবে কা’বাকে ইব্রাহীম (আঃ) নির্মিত ভিত্তিতে সম্পন্ন করতাম। (বর্ণনাকারী বলেন), আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ উক্ত কা’বা ঘর ভাঙতে (‘আবদুল্লাহ) ইব্‌নু যুবাইর (রহঃ)-কে অনুপ্রাণিত করেছে। (রাবী) ইয়াযীদ বলেন, আমি আমি ইব্‌নু যুবাইর (রাঃ)-কে দেখেছি তিনি যখন কাবা ঘর ভেঙে তা পুনর্নির্মাণ করেন এবং বাদ দেয়া অংশটুকু (হাতীম) তার সাথে সংযোজিত করেন এবং ইব্রাহীম (আঃ)-এর নির্মিত ভিত্তির পাথরগুলো উটের কুঁজোর ন্যায় আমি দেখতে পেয়েছি। (রাবী) জারীর (রহঃ) বলেন, আমি তাকে (ইয়াযীদকে) বললাম, কোথায় সেই ভিত্তি মূলের স্থান? তিনি বললেন, এখনই আমি তোমাকে দেখিয়ে দিব। আমি তাঁর সাথে বাদ দেয়া দেয়াল বেষ্টনীতে (হাতীমে) প্রবেশ করলাম। তখন তিনি একটি স্থানের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, এখানে। জরীর (রহঃ) বলেন, দেয়াল বেষ্টিত স্থানটুকু পরিমাপ করে দেখলাম ছয় হাত বা তার কাছাকাছি। (১২৬)

(আ.প. ১৪৮২, ইঃফাঃ ১৪৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪৩. অধ্যায়ঃ

হারমের [৫৮] ফযীলত।

[৫৮] হারামের চতুঃসীমা : মক্কা থেকে মদীনার পথে তিন মাইল, ইরাকের পথে সাত মাইল, জে’রানার পথে নয় মাইল এবং জেদ্দার পথে দশ মাইল।

ও মহান আল্লাহর বাণীঃ “আমি তো আদিষ্ট হয়েছি এ নগরীর প্রতিপালকের ‘ইবাদত করতে। যিনি একে করেছেন সম্মানিত, সব কিছু তাঁরই। আমি আরও আদিষ্ট হয়েছি, যেন আমি আত্নসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই-(আন-নামালঃ ৯১)। এবং তাঁর বাণীঃ আমি কি তাদের এক নিরাপদ হারামে প্রতিষ্ঠিত করিনি, যেখানে সব রকম ফলমূল আমদানি হয় আমার দেয়া রিজিক স্বরূপ? কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা জানে না।” (আল-কাসাসঃ ৫৭)

১৫৮৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ إِنَّ هَذَا الْبَلَدَ حَرَّمَهُ اللهُ لاَ يُعْضَدُ شَوْكُهُ وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهُ وَلاَ يَلْتَقِطُ لُقَطَتَهُ إِلاَّ مَنْ عَرَّفَهَا

ইব্‌নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ (মক্কা) শহরকে আল্লাহ সম্মানিত করেছেন, এর একটি কাঁটাও কর্তন করা যাবে না, এতে বিচরণকারী শিকারকে তাড়া করা যাবে না, এখানে প্রচারের উদ্দেশ্য ব্যতীত পড়ে থাকা কোন বস্তু কেউ তুলে নিবে না। (১৩৪৯)

(আঃপ্রঃ ১৪৮৩, ইঃফাঃ ১৪৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪৪. অধ্যায়ঃ

কাউকে মক্কায় অবস্থিত বাড়ির (ও জমির) ওয়ারিশ বানানো

তার কেনা-বেচা এবং বিশেষভাবে মাসজিদুল হারামে সকল মানুষের সমান অধিকার।

এ পর্যায়ে আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে ও মাসজিদুল হারাম থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করে, যে মাসজিদুল হারামকে স্থানীয় ও বহিরাগত সব মানুষের জন্য সমান করেছি, আর যে ব্যক্তি তথায় ইচ্ছাপূর্বক অন্যায়ভাবে কোন পাপ কাজ করবে, আমি তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব।’’ (আল-হাজ্জঃ ২৫)

الْبَادِي অর্থ হলো الطَّارِي (আগন্তুক) ও مَعْكُوفًا অর্থ হলো مَحْبُوسًا (আবদ্ধ)

১৫৮৮

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيْنَ تَنْزِلُ فِي دَارِكَ بِمَكَّةَ فَقَالَ وَهَلْ تَرَكَ عَقِيلٌ مِنْ رِبَاعٍ أَوْ دُورٍ وَكَانَ عَقِيلٌ وَرِثَ أَبَا طَالِبٍ هُوَ وَطَالِبٌ وَلَمْ يَرِثْهُ جَعْفَرٌ وَلاَ عَلِيٌّ شَيْئًا لأَنَّهُمَا كَانَا مُسْلِمَيْنِ وَكَانَ عَقِيلٌ وَطَالِبٌ كَافِرَيْنِ فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ لاَ يَرِثُ الْمُؤْمِنُ الْكَافِرَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانُوا يَتَأَوَّلُونَ قَوْلَ اللهِ تَعَالَى : {إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللهِ وَالَّذِينَ آوَوْا وَنَصَرُوا أُولَئِكَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ} الآيَةَ

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি মক্কায় অবস্থিত আপনার বাড়ির কোন্‌ স্থানে অবস্থান করবেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘আকীল কি কোন সম্পত্তি বা ঘর-বাড়ি অবশিষ্ট রেখে গেছে? ‘আকীল ও তালিব আবূ তালিবের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন, জা‘ফর ও ‘আলী (রাঃ) হননি। কেননা তাঁরা দু’জন ছিলেন মুসলমান। ‘আকীল ও তালিব ছিল কাফির। এজন্যই ‘উমর ইব্‌নু খাত্তাব (রাঃ) বলতেন, মু’মিন কাফির-এর সম্পত্তির উত্তরাধিকার হয় না। ইব্‌নু শিহাব (যুহরী) (রহঃ) বলেন, (পূর্ববর্তীগণ নিম্ন উদ্ধৃত আয়াতে উক্ত বিলায়াতকে উত্তরাধিকার বলে) এই তাফসীর করতেন।

আল্লাহ বলেনঃ “নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, হিজরাত করেছে, নিজেদের ধন ও প্রাণ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দান করেছে ও সাহায্য করেছে তারা একে অপরের বন্ধু। আর যারা ঈমান এনেছে কিন্তু হিজরাত করেনি তাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব তোমাদের নেই যে পর্যন্ত না তারা হিজরাত করে। আর যদি তারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাহায্য চায় তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের অবশ্য কর্তব্য, কিন্তু তোমাদের সাথে যে ক্বাওমের চুক্তি রয়েছে তাদের মুকাবিলায় নয়। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা সবই দেখেন।” (আল-আনফালঃ ৭২)

(৩০৫৮, ৪২৮২, ৬৭৬৪, মুসলিম ১৫/৮০, হাঃ ১৩৫১, আহমাদ ২১৮২৫)(আঃপ্রঃ ১৪৮৪, ইঃফাঃ ১৪৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪৫. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মক্কায় অবতরণ।

১৫৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَرَادَ قُدُومَ مَكَّةَ مَنْزِلُنَا غَدًا إِنْ شَاءَ اللهُ بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মিনা হতে ফিরে) যখন মক্কা প্রবেশের ইচ্ছা করলেন তখন বললেনঃ আগামীকাল খায়ফ বনী কেনানায় (মুহাসসাবে) ইনশাআল্লাহ আমাদের অবস্থানস্থল হবে যেখানে তারা (বনূ খায়ফ ও কুরাইশরা) কুফরীর উপর শপথ করেছিল।

(১৫৯০, ৩৮৮২, ৪২৮৩, ৪২৮৫, ৭৪৭৯, মুসলিম ১৫/৫৯, হাঃ ১৩১৪, আহমাদ ৭২৪৪) (আঃপ্রঃ ১৪৮৫, ইঃফাঃ ১৪৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৯০

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْغَدِ يَوْمَ النَّحْرِ وَهُوَ بِمِنًى نَحْنُ نَازِلُونَ غَدًا بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ يَعْنِي ذَلِكَ الْمُحَصَّبَ وَذَلِكَ أَنَّ قُرَيْشًا وَكِنَانَةَ تَحَالَفَتْ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَوْ بَنِي الْمُطَّلِبِ أَنْ لاَ يُنَاكِحُوهُمْ وَلاَ يُبَايِعُوهُمْ حَتَّى يُسْلِمُوا إِلَيْهِمْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরবানীর দিনে মিনায় অবস্থানকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমরা আগামীকাল (ইনশাআল্লাহ) খায়ফ বনী কিনানায় অবতরণ করব, যেখানে তারা কুফরীর উপরে শপথ নিয়েছিল। (রাবী বলেন) খায়ফ বনী কিনানাই হলো মুহাসসাব। কুরায়শ ও কিনানা গোত্র বনূ হাশিম ও বনূ আবদুল মুত্তালিব-এর বিরুদ্ধে এই বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল, যে পর্যন্ত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাদের হাতে সমর্পণ করবে না সে পর্যন্ত তাদের সাথে বিয়ে-শাদী ও বেচা-কেনা বন্ধ থাকবে।

সালামাহ (রহঃ) ‘উকাইল (রহঃ) সূত্রে এবং ইয়াহ্‌ইয়া ইব্‌নু যাহ্‌হাক (রহঃ) আওযায়ী (রহঃ) সূত্রে ইব্‌নু শিহাব যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণিত এবং তাঁরা উভয়ে [সালামাহ ও ইয়াহইয়া (রহঃ)] বনূ হাশিম ও ইব্‌নুল মুত্তালিব বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ (বুখারী) (রহঃ) বলেন, বনী মুত্তালিব হওয়াই অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ।

(১৫৮৯, মুসলিম ১৫/৫৯, হাঃ ১৩১৪, আহমাদ ১০৯৬৯) (আঃপ্রঃ ১৪৮৬, ইঃফাঃ ১৪৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪৬. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলেছিলেনঃ হে আমার প্রতিপালক! এ নগরীকে নিরাপত্তাময় করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তান-সন্ততিকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন। হে আমার রব! এসব মূর্তি অনেক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে; তাই যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করবে সে তো আমার দলভুক্ত, কিন্তু যে আমার কথা অমান্য করবে, আপনি তো পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের রব! আমি আমার বংশধরদের মধ্য থেকে কতককে কৃষি অনুপযোগী অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের কাছে আবাদ করেছি।

হে আমাদের রব! যেন তারা সালাত কায়িম করে। সুতরাং আপনি কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে দিন এবং ফলাদি দিয়ে তাদের রুজীর ব্যবস্থা করুন, যাতে তারা শোকর করে।” (ইবরাহীমঃ ৩৫-৩৭)

২৫/৪৭. অধ্যায়ঃ

মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন মহা সম্মানিত ঘর কা‘বাকে, সম্মানিত মাসকে, কুরবানীর জন্য কা‘বায় প্রেরিত পশুকে এবং গলায় মালা পরিহিত পশুকে। এর কারণ এই যে, তোমরা যেন জানতে পার যে, অবশ্যই আল্লাহ জানেন যা কিছু আছে আসমানে এবং যা কিছু আছে জমিনে, আর আল্লাহ তো সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। (আল-মায়িদাহঃ ৯৭)

১৫৯১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ قَالَ يُخَرِّبُ الْكَعْبَةَ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنْ الْحَبَشَةِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, হাবাশার অধিবাসী পায়ের সরু নলা বিশিষ্ট লোকেরা কা‘বাগৃহ ধ্বংস করবে।

(১৫৯৬, মুসলিম ৫২/১৮, হাঃ ২৯০৯) (আঃপ্রঃ ১৪৮৭, ইঃফাঃ ১৪৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৯২

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ ح و حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ هُوَ ابْنُ الْمُبَارَكِ قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانُوا يَصُومُونَ عَاشُورَاءَ قَبْلَ أَنْ يُفْرَضَ رَمَضَانُ وَكَانَ يَوْمًا تُسْتَرُ فِيهِ الْكَعْبَةُ فَلَمَّا فَرَضَ اللهُ رَمَضَانَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ شَاءَ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يَتْرُكَهُ فَلْيَتْرُكْهُ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রমাযানের সওম ফর্‌য হওয়ার পূর্বে মুসলিমগণ ‘আশূরার সওম পালন করতেন। সে দিনই কা‘বা ঘর (গিলাফে) আবৃত করা হত। অতঃপর আল্লাহ যখন রমাযানের সওম ফর্‌য করলেন, তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘আশূরার সওম যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা সে ছেড়ে দিবে।

(১৮৯৩, ২০০১, ২০০২, ৩৮৩১, ৪৫০২, ৪৫০৪) (আঃপ্রঃ ১৪৮৮, ইঃফাঃ ১৪৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৯৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ عَنْ الْحَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي عُتْبَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيُحَجَّنَّ الْبَيْتُ وَلَيُعْتَمَرَنَّ بَعْدَ خُرُوجِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ تَابَعَهُ أَبَانُ وَعِمْرَانُ عَنْ قَتَادَةَ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لاَ يُحَجَّ الْبَيْتُ وَالأَوَّلُ أَكْثَرُ سَمِعَ قَتَادَةُ عَبْدَ اللهِ وَعَبْدُ اللهِ أَبَا سَعِيدٍ

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াজূজ ও মাজূজ বের হওয়ার পরও বাইতুল্লাহর হজ্জ ও ‘উমরাহ পালিত হবে। আবান ও ইমরান (রহঃ) কাতাদাহ্‌ (রহঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় হাজ্জাজ ইব্‌নু হাজ্জাজের অনুসরণ করেছেন। ‘আবদুর রাহমান (রহঃ) শু‘বাহ্‌ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, “বাইতুল্লাহর হজ্জ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না।” প্রথম রিওয়ায়াতটি অধিক গ্রহণযোগ্য। আবূ ‘আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেন, কাতাদাহ্‌ (রহঃ) রিওয়ায়াতটি ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে এবং ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে শুনেছেন।

(আঃপ্রঃ ১৪৮৯, ইঃফাঃ ১৪৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪৮. অধ্যায়ঃ

কা‘বা গিলাফ দ্বারা আবৃত করা।

১৫৯৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ جِئْتُ إِلَى شَيْبَةَ ح و حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ وَاصِلٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ جَلَسْتُ مَعَ شَيْبَةَ عَلَى الْكُرْسِيِّ فِي الْكَعْبَةِ فَقَالَ لَقَدْ جَلَسَ هَذَا الْمَجْلِسَ عُمَرُ فَقَالَ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لاَ أَدَعَ فِيهَا صَفْرَاءَ وَلاَ بَيْضَاءَ إِلاَّ قَسَمْتُهُ قُلْتُ إِنَّ صَاحِبَيْكَ لَمْ يَفْعَلاَ قَالَ هُمَا الْمَرْءَانِ أَقْتَدِي بِهِمَا

আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কা‘বার সামনে আমি শাইবাহ্‌র সাথে কুরসীতে বসলাম। তখন তিনি বললেন, ‘উমর (রাঃ) এখানে বসেই বলেছিলেন, আমি কা‘বা ঘরে রক্ষিত সোনা ও রূপা বণ্টন করে দেয়ার ইচ্ছা করেছি। (শাইবাহ্‌ বলেন) আমি বললাম, আপনার উভয় সঙ্গী [আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ)] তো এরূপ করেননি। তিনি বললেন, তাঁরা এমন দু’ ব্যক্তিত্ব যাঁদের অনুসরণ আমি করব। (৭২৭৫)

(আঃপ্রঃ ১৪৯০, ইঃফাঃ ১৪৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৪৯. অধ্যায়ঃ

কা‘বা ঘর ধ্বংস করা।

‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একটি সেনাদল কা‘বা আক্রমণ করবে, কিন্তু তাদেরকে ভূগর্ভে ধসিয়ে দেয়া হবে।

১৫৯৫

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ الأَخْنَسِ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَأَنِّي بِهِ أَسْوَدَ أَفْحَجَ يَقْلَعُهَا حَجَرًا حَجَرًا

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি যেন দেখতে পাচ্ছি কাল বর্ণের বাঁকা পা বিশিষ্ট লোকেরা (কা‘বা ঘরের) একটি একটি করে পাথর খুলে এর মূল উতপাটন করে দিচ্ছে।

(আঃপ্রঃ ১৪৯১, ইঃফাঃ ১৪৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫৯৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُخَرِّبُ الْكَعْبَةَ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنْ الْحَبَشَةِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাবশার অধিবাসী পায়ের সরু নলা বিশিষ্ট লোকেরা কা‘বা ঘর ধ্বংস করবে। (১৫৯১)

(আঃপ্রঃ ১৪৯২, ইঃফাঃ ১৪৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৫০. অধ্যায়ঃ

হাজ্‌রে আসওয়াদ সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে।

১৫৯৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى الْحَجَرِ الأَسْوَدِ فَقَبَّلَهُ فَقَالَ إِنِّي أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ

‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি হাজ্‌রে আসওয়াদের কাছে এসে তা চুম্বন করে বললেন, আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একখানা পাথর মাত্র, তুমি কারো কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে পার না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখলে কখনো আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।

(১৬০৫, ১৬১০, মুসলিম ১৫/৪১, হাঃ ১২৭০) (আঃপ্রঃ ১৪৯৩, ইঃফাঃ ১৪৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৫১. অধ্যায়ঃ

কা‘বা ঘরের দরজা বন্ধ করা এবং কা‘বা ঘরের ভিতর যেখানে ইচ্ছা সালাত আদায় করা।

১৫৯৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ هُوَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَبِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَأَغْلَقُوا عَلَيْهِمْ فَلَمَّا فَتَحُوا كُنْتُ أَوَّلَ مَنْ وَلَجَ فَلَقِيتُ بِلاَلاً فَسَأَلْتُهُ هَلْ صَلَّى فِيهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং উসামাহ ইব্‌নু যায়দ, বিলাল ও ‘উসমান ইব্‌নু তালহা (রাঃ) বাইতুল্লাহর ভিতরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিলেন। যখন খুলে দিলেন তখন প্রথম আমিই প্রবেশ করলাম এবং বিলালের সাক্ষাত পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কা‘বার ভিতরে সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইয়ামেনের দিকের দু’টি স্তম্ভের মাঝখানে। (৩৯৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৯৪, ইঃফাঃ ১৫০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৫২. অধ্যায়ঃ

কা‘বার অভ্যন্তরে সালাত আদায় করা।

১৫৯৯

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا دَخَلَ الْكَعْبَةَ مَشَى قِبَلَ الْوَجْهِ حِينَ يَدْخُلُ وَيَجْعَلُ الْبَابَ قِبَلَ الظَّهْرِ يَمْشِي حَتَّى يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِدَارِ الَّذِي قِبَلَ وَجْهِهِ قَرِيبًا مِنْ ثَلاَثِ أَذْرُعٍ فَيُصَلِّي يَتَوَخَّى الْمَكَانَ الَّذِي أَخْبَرَهُ بِلاَلٌ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِيهِ وَلَيْسَ عَلَى أَحَدٍ بَأْسٌ أَنْ يُصَلِّيَ فِي أَيِّ نَوَاحِي الْبَيْتِ شَاءَ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যখন তিনি কা‘বা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতেন, তখন দরজা পিছনে রেখে সোজা সম্মুখের দিকে চলে যেতেন, এতদূর অগ্রসর হতেন যে, সম্মুখের দেয়ালটি মাত্র তিন হাত পরিমাণ দূরে থাকতো এবং বিলাল (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেখানে সালাত আদায় করেছেন বলে বর্ণনা করেছেন, সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে তিনি সালাত আদায় করতেন। অবশ্য কা‘বার ভিতরে যে কোন স্থানে সালাত আদায় করাতে কোন দোষ নেই। (৩৯৭)

(আঃপ্রঃ ১৪৯৫, ইঃফাঃ ১৫০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫/৫৩. অধ্যায়ঃ

কা‘বার অভ্যন্তরে যে প্রবেশ করেনি।

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) বহুবার হজ্জ করেছেন কিন্তু কা‘বা ঘরে প্রবেশ করেননি।

১৬০০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ وَمَعَهُ مَنْ يَسْتُرُهُ مِنْ النَّاسِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ أَدَخَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْكَعْبَةَ قَالَ لاَ

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমরাহ করতে গিয়ে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলেন ও মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন এবং তাঁর সাথে এ সকল সাহাবী ছিলেন যারা তাঁকে লোকদের হতে আড়াল করে ছিলেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কা‘বার ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন কি-না? এক ব্যক্তি আবূ আওফা (রাঃ)-এর নিকট তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, না।

(১৭৯১, ৪১৮৮, ৪২৫৫) (আঃপ্রঃ ১৪৯৬, ইঃফাঃ ১৫০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস