বুখারী সালাত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৪৩১ – ৫২০
৮/৫১. অধ্যায়ঃ
চুলা, আগুন বা এমন কোন বস্তু যার ঊপাসনা করা হয়, তা সামনে রেখে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করারই উদ্দেশ্যে সালাত আদায়।
যুহরী (র.) বলেনঃ আমাকে আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) জানিয়েছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার সামনে আগুন (জাহান্নাম) পেশ করা হলো, তখন আমি সালাতে ছিলাম
৪৩১
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ انْخَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ “ أُرِيتُ النَّارَ، فَلَمْ أَرَ مَنْظَرًا كَالْيَوْمِ قَطُّ أَفْظَعَ ”.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একবার সূর্য গ্রহণ হলো। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করলেন। অতঃপর বললেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। আজকের মত ভয়াবহ দৃশ্য ইতোপূর্বে কখনো দেখিনি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫২. অধ্যায়ঃ
কবরস্থানে সালাত আদায় করা মাকরূহ
৪৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اجْعَلُوا فِي بُيُوتِكُمْ مِنْ صَلاَتِكُمْ، وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের ঘরেও কিছু সালাত আদায় করবে এবং ঘরকে তোমরা কবর বানিয়ে নিও না।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৩. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র গজবে বিধ্বস্ত ও আযাবের স্থানে সালাত আদায় করা।
উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আলী (রাঃ) ব্যাবিলনের ধ্বংসস্তূপে সালাত আদায় করা মাকরূহ মনে করতেন
৪৩৩
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلاَءِ الْمُعَذَّبِينَ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ فَلاَ تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ، لاَ يُصِيبُكُمْ مَا أَصَابَهُمْ ”.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এসব ‘আযাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের লোকালয়ে ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত প্রবেশ করবে না। কান্না না আসলে সেখানে প্রবেশ করো না, যেন তাদের উপর যা আপতিত হয়েছিল তা তোমাদের প্রতিও আসতে না পারে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৪. অধ্যায়ঃ
গির্জায় সালাত আদায়
‘উমার (রাঃ) বলেছেনঃ আমরা তোমাদের গির্জাসমূহে প্রবেশ করি না, কারণ তাতে মূর্তি রয়েছে। ইব্ন ‘আব্বাস (রাঃ) গির্জায় সালাত আদায় করতেন। তবে যেগুলোতে মূর্তি ছিল সেগুলোতে নয়
৪৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، ذَكَرَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَنِيسَةً رَأَتْهَا بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ يُقَالُ لَهَا مَارِيَةُ، فَذَكَرَتْ لَهُ مَا رَأَتْ فِيهَا مِنَ الصُّوَرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أُولَئِكَ قَوْمٌ إِذَا مَاتَ فِيهِمُ الْعَبْدُ الصَّالِحُ ـ أَوِ الرَّجُلُ الصَّالِحُ ـ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، أُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ ”.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু সালামা (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট তাঁর হাবশায় দেখা মারিয়া নামক একটা গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। তিনি সেখানে সেখানে যে সব প্রতিচ্ছবি দেখেছিলেন, সেগুলোর বর্ণনা দিলেন। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরা এমন সম্প্রদায় যে, এদের মধ্যে কোন সৎ বান্দা অথবা বলেছেন কোন সৎ লোক মারা গেলে তার কবরের উপর তারা মসজিদ বানিয়ে নিত। আর তাতে ঐ সব ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি স্থাপন করতো। এরা আল্লাহ্র নিকট নিকৃষ্টতম সৃষ্টজীব।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৫. অধ্যায়ঃ
৮/৫৫. অধ্যায়ঃ
৪৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالاَ لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ بِهَا كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهْوَ كَذَلِكَ “ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ”. يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا.
‘উবাইদুল্লাহ ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ ইব্ন ‘উত্বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশা ও ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যু পীড়া শুরু হলে তিনি তাঁর একটা চাদরে নিজ মুখমণ্ডল আবৃত করতে লাগলেন। যখন শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হলো, তখন মুখ হতে চাদর সরিয়ে দিলেন। এমতাবস্থায় তিনি বললেনঃ ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহ্র অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছেন। (এ বলে) তারা যে (বিদ’আতী) কার্যকলাপ করত তা হতে তিনি সতর্ক করেছিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالاَ لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ بِهَا كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهْوَ كَذَلِكَ “ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ”. يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا.
‘উবাইদুল্লাহ ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ ইব্ন ‘উত্বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশা ও ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যু পীড়া শুরু হলে তিনি তাঁর একটা চাদরে নিজ মুখমণ্ডল আবৃত করতে লাগলেন। যখন শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হলো, তখন মুখ হতে চাদর সরিয়ে দিলেন। এমতাবস্থায় তিনি বললেনঃ ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহ্র অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছেন। (এ বলে) তারা যে (বিদ’আতী) কার্যকলাপ করত তা হতে তিনি সতর্ক করেছিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ”.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইয়াহূদীদের ধবংস করুন। কেননা তারা তাদের নবীদের করবকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৬. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্তিঃ আমার জন্যে যমীনকে সালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা হাসিলের উপায় করা হয়েছে।
৪৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ ـ هُوَ أَبُو الْحَكَمِ ـ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَقِيرُ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الأَنْبِيَاءِ قَبْلِي، نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ ”.
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় প্রদান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি।
(১) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যা একমাসের দূরত্ব পর্যন্ত অনুভূত হয়।
(২) সমস্ত যমীন আমার জন্যে সালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা অর্জনের উপায় করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কেউ যেখানে সালাতের ওয়াক্ত হয় (সেখানেই) যেন সালাত আদায় করে নেয়।
(৩) আমার জন্য গনীমত হালাল করা হয়েছে।
(৪) অন্যান্য নবী নিজেদের বিশেষ গোত্রের প্রতি প্রেরিত হতেন আর আমাকে সকল মানবের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে।
(৫) আমাকে সার্বজনীন সুপারিশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৭. অধ্যায়ঃ
মসজিদে মহিলাদের ঘুমানো
৪৩৯
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ وَلِيدَةً، كَانَتْ سَوْدَاءَ لِحَىٍّ مِنَ الْعَرَبِ، فَأَعْتَقُوهَا، فَكَانَتْ مَعَهُمْ قَالَتْ فَخَرَجَتْ صَبِيَّةٌ لَهُمْ عَلَيْهَا وِشَاحٌ أَحْمَرُ مِنْ سُيُورٍ قَالَتْ فَوَضَعَتْهُ أَوْ وَقَعَ مِنْهَا، فَمَرَّتْ بِهِ حُدَيَّاةٌ وَهْوَ مُلْقًى، فَحَسِبَتْهُ لَحْمًا فَخَطَفَتْهُ قَالَتْ فَالْتَمَسُوهُ فَلَمْ يَجِدُوهُ قَالَتْ فَاتَّهَمُونِي بِهِ قَالَتْ فَطَفِقُوا يُفَتِّشُونَ حَتَّى فَتَّشُوا قُبُلَهَا قَالَتْ وَاللَّهِ إِنِّي لَقَائِمَةٌ مَعَهُمْ، إِذْ مَرَّتِ الْحُدَيَّاةُ فَأَلْقَتْهُ قَالَتْ فَوَقَعَ بَيْنَهُمْ قَالَتْ فَقُلْتُ هَذَا الَّذِي اتَّهَمْتُمُونِي بِهِ ـ زَعَمْتُمْ ـ وَأَنَا مِنْهُ بَرِيئَةٌ، وَهُوَ ذَا هُوَ قَالَتْ فَجَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمَتْ. قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَ لَهَا خِبَاءٌ فِي الْمَسْجِدِ أَوْ حِفْشٌ قَالَتْ فَكَانَتْ تَأْتِينِي فَتَحَدَّثُ عِنْدِي قَالَتْ فَلاَ تَجْلِسُ عِنْدِي مَجْلِسًا إِلاَّ قَالَتْ وَيَوْمَ الْوِشَاحِ مِنْ أَعَاجِيبِ رَبِّنَا أَلاَ إِنَّهُ مِنْ بَلْدَةِ الْكُفْرِ أَنْجَانِي قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لَهَا مَا شَأْنُكِ لاَ تَقْعُدِينَ مَعِي مَقْعَدًا إِلاَّ قُلْتِ هَذَا قَالَتْ فَحَدَّثَتْنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন আরব গোত্রের একটা কালো দাসী ছিল। তারা তাকে আযাদ করে দিল। অতঃপর সে তাদের সাথেই থেকে গেল। সে বলেছে যে, তাদের একটি মেয়ে গলায় লাল চামড়ার উপর মূল্যবান পাথর খচিত হার পরে বাইরে গেল। দাসী বলেছেঃ সে হারটা হয়ত নিজে কোথাও রেখে দিয়েছিল, অথবা কোথাও পড়ে গিয়েছিল। তখন একটা চিল তা পড়ে থাকা অবস্থায় গোশ্তের টুকরা মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। দাসী বলেছেঃ অতঃপর গোত্রের লোকেরা বেশ খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো। কিন্তু তারা তা পেল না। তখন তারা আমার উপর এর দোষ চাপাল। সে বলেছেঃ তারা আমার উপর তল্লাশী শুরু করলো, এমন কি আমার লজ্জাস্থানেও। দাসীটি বলেছেঃ আল্লাহ্র কসম! আমি তাদের সাথে সেই অবস্থায় দাঁড়ানো ছিলাম, এমন সময় চিলটি উড়ে যেতে যেতে হারটি ফেলে দিল। সে বলেছেঃ তাদের সামনেই তা পড়লো। তখন আমি বললামঃ তোমরা তো এর জন্যই আমার উপর দোষ চাপিয়েছিলে। তোমরা আমার সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলে অথচ আমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই তো সেই হার! সে বলেছেঃ অতঃপর সে রাসূলুল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করলো। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ তার জন্য মসজিদে (নাবাবীতে) একটা তাঁবু অথবা ছাপড়া করে দেয়া হয়েছিল। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ সে (দাসীটি) আমার নিকট আসতো আর আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলতো। সে আমার নিকট যখনই বসতো তখনই বলতোঃ
(وَيَومُ الوِشَاحِ مِن تَحَاجِيبِ رَبِّنَا * اَلاَ اِنَّهُ مِن بَلدَةِ الكُفرِ اَنجَانِي )
“সেই হারের দিনটি আমার প্রতিপালকের আশ্চর্য ঘটনা বিশেষ। জেনে রাখুন সে ঘটনাটি আমাকে কুফরের শহর হতে মুক্তি দিয়েছে।”
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তাকে বললামঃ কি ব্যাপার, তুমি আমার নিকট বসলেই সে এ কথাটা বলে থাক? ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ সে তখন আমার নিকট উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৮. অধ্যায়ঃ
মসজিদে পুরুষদের নিদ্রা যাওয়া
আবূ ক্বিলাবাহ (রহঃ) আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ উ’ক্বল গোত্রের কতিপয় ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলেন এবং সুফ্ফায় অবস্থান করলেন। আ’বদুর- র’হমান ইব্ন আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ সুফ্ফাবাসিগণ ছিলেন দরিদ্র।
৪৪০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ وَهْوَ شَابٌّ أَعْزَبُ لاَ أَهْلَ لَهُ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
’আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মসজিদে নববীতে ঘুমাতেন। তিনি ছিলেন অবিবাহিত যুবক। তার কোন পরিবার-পরিজন ছিল না।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ৪২১ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتَ فَاطِمَةَ، فَلَمْ يَجِدْ عَلِيًّا فِي الْبَيْتِ فَقَالَ ” أَيْنَ ابْنُ عَمِّكِ ”. قَالَتْ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ شَىْءٌ، فَغَاضَبَنِي فَخَرَجَ فَلَمْ يَقِلْ عِنْدِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لإِنْسَانٍ ” انْظُرْ أَيْنَ هُوَ ”. فَجَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ فِي الْمَسْجِدِ رَاقِدٌ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ مُضْطَجِعٌ، قَدْ سَقَطَ رِدَاؤُهُ عَنْ شِقِّهِ، وَأَصَابَهُ تُرَابٌ، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُهُ عَنْهُ وَيَقُولُ ” قُمْ أَبَا تُرَابٍ، قُمْ أَبَا تُرَابٍ
সাহ্ল ইব্নু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমা (রাঃ)-এর গৃহে এলেন, কিন্তু ‘আলী (রাঃ)-কে ঘরে পেলেন না। তিনি ফাতিমা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার চাচাত ভাই কোথায়? তিনি বললেনঃ আমার ও তাঁর মধ্যে বাদানুবাদ হওয়ায় তিনি আমার সাথে রাগ করে বাইরে চলে গেছেন। আমার নিকট দুপুরের বিশ্রামও করেননি। অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বললেনঃ দেখ তো সে কোথায়? সে ব্যক্তি খুঁজে এসে বললোঃ হে আল্লাহর রসূল, তিনি মসজিদে শুয়ে আছেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এলেন, তখন ‘আলী (রাঃ) কাত হয়ে শুয়ে ছিলেন। তাঁর শরীরের এক পাশে চাদর পড়ে গেছে এবং তার শরীরে মাটি লেগেছে। আল্লাহর রসূল মাটি ঝেড়ে দিতে দিতে বললেনঃ উঠ, হে আবূ তূরাব ! উঠ, হে আবূ তূরাব ! [১]
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৮)
[১] আবূ তুরাবঃ ‘আলী (রাযী.)-এর উপাধি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪২
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ سَبْعِينَ مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ، مَا مِنْهُمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ رِدَاءٌ، إِمَّا إِزَارٌ وَإِمَّا كِسَاءٌ، قَدْ رَبَطُوا فِي أَعْنَاقِهِمْ، فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ نِصْفَ السَّاقَيْنِ، وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الْكَعْبَيْنِ، فَيَجْمَعُهُ بِيَدِهِ، كَرَاهِيَةَ أَنْ تُرَى عَوْرَتُهُ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি সত্তরজন আসহাবে সুফফাকে দেখেছি, তাদের কারো গায়ে বড় চাদর ছিল না। হয়ত ছিল কেবল লুঙ্গি কিংবা ছোট চাদর, যা তার ঘাড়ে বেঁধে রাখতেন। (নীচের দিকে) কারো নিস্ফে সাক বা হাঁটু পর্যন্ত আর কারো টাখনু পর্যন্ত ছিল। তারা লজ্জাস্থান দেখা যাবার ভয়ে কাপড় হাত দিয়ে ধরে রাখতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৫৯. অধ্যায়ঃ
সফর হতে ফিরে আসার পর সালাত আদায়।
কা’ব ইব্ন মালিক (রাঃ) বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর থেকে ফিরে এসে প্রথমে মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করতেন-
৪৪৩
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ ـ قَالَ مِسْعَرٌ أُرَاهُ قَالَ ضُحًى ـ فَقَالَ “ صَلِّ رَكْعَتَيْنِ ”. وَكَانَ لِي عَلَيْهِ دَيْنٌ فَقَضَانِي وَزَادَنِي.
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। তিনি তখন মসজিদে ছিলেন। রাবী মিস’আর (রাঃ) বলেনঃ আমার মনে পড়ে রাবী মুহারিব (রহঃ) চাশতের সময়ের কথা বলেছেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি দু’ রাকা’আত সালাত আদায় কর। জাবির (রাঃ) বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমার কিছু পাওনা ছিল। তিনি তা আদায় করে দিলেন বরং কিছু বেশী দিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬০. অধ্যায়ঃ
তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়।
৪৪৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ ”.
আবূ কাতাদাহ্ সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬১. অধ্যায়ঃ
মসজিদে হাদাস হওয়া (উযূ নষ্ট হওয়া)
৪৪৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الْمَلاَئِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مُصَلاَّهُ الَّذِي صَلَّى فِيهِ، مَا لَمْ يُحْدِثْ، تَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ ”.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে সালাতের পরে হাদাসের পূর্ব পর্যন্ত সেখানে সালাত আদায় করেছে সেখানে যতক্ষণ বসে থাকে ততক্ষণ মালাকগণ তার জন্য দু’আ করতে থাকেন। তাঁরা বলেনঃ হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! তার উপর রহম কর।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬২. অধ্যায়ঃ
মসজিদ নির্মাণ
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেনঃ মসজিদে নববীর ছাদ ছিল খেজুর গাছের ডালের তৈরী। উ’মার (রাঃ) মসজিদ নির্মাণের হুকুম দিয়ে বলেনঃ আমি লোকদেরকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে চাই। মসজিদে লাল বা হলুদ রং লাগানো থেকে সাবধান থাক, এতে মানুষকে তুমি ফিতনায় ফেলবে। আনাস (রাঃ) বলেনাঃ লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে অথচ তারা একে কমই (ই’বাদাতের মাধ্যমে) আবাদ রাখবে। ইব্ন আ’ব্বাস (রাঃ) বলেনঃ তোমরা তো ইয়াহুদী ও নাসারাদের মত মসজিদকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে ফেলবে।
৪৪৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمَسْجِدَ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَبْنِيًّا بِاللَّبِنِ، وَسَقْفُهُ الْجَرِيدُ، وَعُمُدُهُ خَشَبُ النَّخْلِ، فَلَمْ يَزِدْ فِيهِ أَبُو بَكْرٍ شَيْئًا، وَزَادَ فِيهِ عُمَرُ وَبَنَاهُ عَلَى بُنْيَانِهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّبِنِ وَالْجَرِيدِ، وَأَعَادَ عُمُدَهُ خَشَبًا، ثُمَّ غَيَّرَهُ عُثْمَانُ، فَزَادَ فِيهِ زِيَادَةً كَثِيرَةً، وَبَنَى جِدَارَهُ بِالْحِجَارَةِ الْمَنْقُوشَةِ وَالْقَصَّةِ، وَجَعَلَ عُمُدَهُ مِنْ حِجَارَةٍ مَنْقُوشَةٍ، وَسَقَفَهُ بِالسَّاجِ.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে মসজিদ তৈরি হয় কাঁচা ইট দিয়ে, তার ছাদ ছিল খেজুরের ডালের, খুঁটি ছিল খেজুর গাছের। আবূ বকর (রাঃ) এতে কিছু বাড়ান নি। অবশ্য ‘উমর (রাঃ) বাড়িয়েছেন। আর তার ভিত্তি তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে যে ভিত্তি ছিল তার উপর কাঁচা ইট ও খেজুরের ডাল দিয়ে নির্মাণ করেন এবং তিনি খুঁটিগুলো পরিবর্তন করে কাঠের (খুঁটি) লাগান। অতঃপর ‘উসমান (রাঃ) তাতে পরিবর্তন সাধন করেন এবং অনেক বৃদ্ধি করেন। তিনি দেয়াল তৈরি করেন নকশী পাথর ও চুন-সুরকি দিয়ে। খুঁটিও দেন নকশা করা পাথরের, আর ছাদ বানিয়েছিলেন সেগুন কাঠের।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৩. অধ্যায়ঃ
মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা
আর আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ মুশরিকদের এ অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদের কর্মসমূহ বিফল হয়ে গেছে। আর এরা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে। আল্লাহর মাসজিদসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ তো কেবল তারাই করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি, এবং সালাত কায়িম করে ও যাকাত দেয়, ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। বস্তুতঃ এদেরই সম্বন্ধে আশা করা যায় যে, তারা হিদায়াত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরাহ্ আত-তাওবাহ্ ৯/১৭-১৮)
৪৪৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُخْتَارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ وَلاِبْنِهِ عَلِيٍّ انْطَلِقَا إِلَى أَبِي سَعِيدٍ فَاسْمَعَا مِنْ حَدِيثِهِ. فَانْطَلَقْنَا فَإِذَا هُوَ فِي حَائِطٍ يُصْلِحُهُ، فَأَخَذَ رِدَاءَهُ فَاحْتَبَى، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى أَتَى ذِكْرُ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ كُنَّا نَحْمِلُ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَيَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْهُ وَيَقُولُ “ وَيْحَ عَمَّارٍ تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ ”. قَالَ يَقُولُ عَمَّارٌ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ.
‘ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) আমাকে ও তাঁর ছেলে ‘আলী (রহঃ)- কে বললেনঃ তোমরা উভয়ই আবূ সা’ঈদ (রাঃ) এর নিকট যাও এবং তাঁর হতে হাদীস শুনে আস। আমরা গেলাম। তখন তিনি একটা বাগানে কাজ করছেন। তিনি আমাদেরকে দেখে চাদরে হাঁটু মুড়ি দিয়ে বসলেন এবং পরে হাদীস বর্ণনা শুরু করলেন। শেষ পর্যায়ে তিনি মসজিদে নাববী নির্মাণ আলোচনায় আসলেন। তিনি বললেনঃ আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর ‘আম্মার (রাঃ) দু’টো দুটো করে কাঁচা ইট বহন করছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখে তার দেহ হতে মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেনঃ ‘আম্মারের জন্য আফসোস, তাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। সে তাদেরকে আহবান করবে জান্নাতের দিকে আর তারা তাকে আহবান করবে জাহান্নামের দিকে। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেনঃ তখন আম্মার (রাঃ) বললেনঃ “আমি ফিতনা হতে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।”
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৪ অধ্যায়ঃ
কাঠের মিম্বার তৈরি ও মসজিদ নির্মাণে কাঠমিস্ত্রী ও রাজমিস্ত্রীর সাহায্য গ্রহন।
৪৪৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى امْرَأَةٍ أَنْ مُرِي غُلاَمَكِ النَّجَّارَ يَعْمَلْ لِي أَعْوَادًا أَجْلِسُ عَلَيْهِنَّ.
সাহ্ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈকা মহিলার নিকট লোক পাঠিয়ে বললেনঃ তুমি তোমার গোলাম কাঠমিস্ত্রীকে বল, সে যেন আমার জন্য কাঠের মিম্বার বানিয়ে দেয় যাতে আমি বসতে পারি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ৪২৯ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪৯
حَدَّثَنَا خَلاَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ أَجْعَلُ لَكَ شَيْئًا تَقْعُدُ عَلَيْهِ، فَإِنَّ لِي غُلاَمًا نَجَّارًا قَالَ “ إِنْ شِئْتِ ”. فَعَمِلَتِ الْمِنْبَرَ.
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জনৈকা মহিলা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল ! আমি কি আপনার বসার জন্য কিছু তৈরি করে দিব? আমার এক কাঠমিস্ত্রী গোলাম আছে। তিনি বললেনঃ তোমার ইচ্ছে হলে সে যেন একটা মিম্বার বানিয়ে দেয়।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৫. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে
৪৫০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ عَاصِمَ بْنَ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عُبَيْدَ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيَّ، أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَقُولُ عِنْدَ قَوْلِ النَّاسِ فِيهِ حِينَ بَنَى مَسْجِدَ الرَّسُولِ صلى الله عليه وسلم إِنَّكُمْ أَكْثَرْتُمْ، وَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا ـ قَالَ بُكَيْرٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ ـ يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ، بَنَى اللَّهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ ”.
‘উবাইদুল্লাহ খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘উসমান ইব্নু ‘আফফান (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি যখন মসজিদে নাবাবী নির্মাণ করেছিলেন তখন লোকজনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেনঃ তোমরা আমার উপর অনেক বাড়াবাড়ি করছ অথচ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে, বুকায়র (রহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় রাবি ‘আসিম (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় ঊল্লেখ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৬. অধ্যায়ঃ
মসজিদ অতিক্রমকালে যেন তীরের ফলা ধরে রাখে।
৪৫১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ قُلْتُ لِعَمْرٍو أَسَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ مَرَّ رَجُلٌ فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ سِهَامٌ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَمْسِكْ بِنِصَالِهَا ”.
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি তীর সাথে করে মসজিদে নাববী অতিক্রম করছিল। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ এর ফলাগুলো হাত দিয়ে ধরে রাখ।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৭. অধ্যায়ঃ
মসজিদ অতিক্রম করা
৪৫২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ مَرَّ فِي شَىْءٍ مِنْ مَسَاجِدِنَا أَوْ أَسْوَاقِنَا بِنَبْلٍ، فَلْيَأْخُذْ عَلَى نِصَالِهَا، لاَ يَعْقِرْ بِكَفِّهِ مُسْلِمًا ”.
আবূ বুরদাহ (রহঃ)-এর পিতা ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তীর নিয়ে আমাদের মসজিদ অথবা বাজার দিয়ে চলে সে যেন তার ফলা হাত দিয়ে ধরে রাখে, যাতে করে তার হাতে কোন মুসলমান আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৮. অধ্যায়ঃ
মসজিদে কবিতা পাঠ
৪৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ، يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ يَا حَسَّانُ، أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ ”. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ
আবূ সালামা ইব্নু ‘আবদূর রহমান ইব্নু ‘আওফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হাস্সান ইব্নু সাবিত আনসারী (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে আল্লাহর কসম দিয়ে এ কথার সাক্ষ্য চেয়ে বলেনঃ আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, হে হাস্সান! আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে (কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের) জবাব দাও। হে আল্লাহ! হাস্সান কে রুহুল কুদুস (জিবরীল) (‘আঃ) দ্বারা সাহায্য কর। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৬৯. অধ্যায়ঃ
বর্শা নিয়ে মসজিদে প্রবেশ।
৪৫৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا عَلَى باب حُجْرَتِي، وَالْحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتُرُنِي بِرِدَائِهِ، أَنْظُرُ إِلَى لَعِبِهِمْ. زَادَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالْحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একদা আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার ঘরের দরজায় দেখলাম। তখন হাবশার লোকেরা মসজিদে (বর্শা দ্বারা) খেলা করছিল। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চাদর দিয়ে আমাকে আড়াল করে রাখছিলেন। আমি ওদের খেলা অবলোকন করছিলাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫৫
See previous Hadith
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উরওয়া ‘আয়িশা (রাঃ) হতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখলাম এমতাবস্থায় হাবশিরা তাদের বর্শা বল্লম নিয়ে খেলা করছিল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৫ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪১ শেষাংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭০. অধ্যায়ঃ
মসজিদের মিম্বারের উপর ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা।
৪৫৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَتَتْهَا بَرِيرَةُ تَسْأَلُهَا فِي كِتَابَتِهَا فَقَالَتْ إِنْ شِئْتِ أَعْطَيْتُ أَهْلَكِ وَيَكُونُ الْوَلاَءُ لِي. وَقَالَ أَهْلُهَا إِنْ شِئْتِ أَعْطَيْتِهَا مَا بَقِيَ ـ وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً إِنْ شِئْتِ أَعْتَقْتِهَا وَيَكُونُ الْوَلاَءُ لَنَا ـ فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَّرَتْهُ ذَلِكَ فَقَالَ ” ابْتَاعِيهَا فَأَعْتِقِيهَا، فَإِنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْتَقَ ”. ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ ـ وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً فَصَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ ـ فَقَالَ ” مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ، مَنِ اشْتَرَطَ شَرْطًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَلَيْسَ لَهُ، وَإِنِ اشْتَرَطَ مِائَةَ مَرَّةٍ ”. قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى وَعَبْدُ الْوَهَّابِ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَمْرَةَ. وَقَالَ جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ يَحْيَى قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ. رَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَمْرَةَ أَنَّ بَرِيرَةَ. وَلَمْ يَذْكُرْ صَعِدَ الْمِنْبَرَ
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ বারীরা (রাঃ) তাঁর নিকট এসে কিতাবাতের [১] দেনা পরিশোধের জন্য সাহায্য চাইলেন। তখন তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে আমি (তোমার মূল্য) তোমার মালিককে দিয়ে দিব এ শর্তে যে , উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকবে আমার। তার মালিক ‘আয়িশা (রাঃ)- কে বললোঃ আপনি চাইলে বাকী মূল্য বারীরাকে দিতে পারেন। রাবী সুফিয়ান (রহঃ) আর একবার বলেছেনঃ আপনি চাইলে তাকে আযাদ করতে পারেন, তবে উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকবে আমাদের। যখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন তখন আমি তাঁর নিকট ব্যাপারটি বললাম। তিনি বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কারন উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকে তারই, যে আযাদ করে। অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের উপর দাঁড়ালেন। সুফিয়ান (রহঃ) আর একবার বলেনঃ অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহন করে বললেনঃ লোকদের কী হলো? তারা এমন সব শর্ত করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। কেউ যদি এমন শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তার সে শর্তের কোন মূল্য নেই। এমনকি এরূপ শর্ত একশবার আরোপ করলেও। মালিক (রহঃ)…. ‘আমরা (রহঃ) হতে বারীরা (রহঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন, তবে মিম্বারে আরোহন করার কথা উল্লেখ করেননি।
‘আলী ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ ‘আমরাহ (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। জা’ফর ইব্নু ‘আওন (রহঃ) ইয়াহইয়া (রহঃ)-এর মাধ্যমে ‘আমরাহ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) হতে শুনেছি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ৪৩৬ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪২)
[১] কিতাবাতঃ দাসত্ব থেকে মুক্তিলাভের উদ্দেশ্যে মনিবের সঙ্গে কিস্তি হিসেবে মুক্তিপণ পরিশোধের চুক্তি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭১. অধ্যায়ঃ
মসজিদে ঋণ পরিশোধের তাগাদা দেয়া ও চাপ সৃষ্টি।
৪৫৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ كَعْبٍ، أَنَّهُ تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ فِي الْمَسْجِدِ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي بَيْتِهِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ فَنَادَى ” يَا كَعْبُ ”. قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ ” ضَعْ مِنْ دَيْنِكَ هَذَا ”. وَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَىِ الشَّطْرَ قَالَ لَقَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ ” قُمْ فَاقْضِهِ
কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মসজিদের ভিতরে ইব্নু আবূ হাদরাহ (রহঃ)–এর নিকট তাঁর পাওনা ঋণের তাগাদা করলেন। দু’জনের মধ্যে এ নিয়ে বেশ উচ্চৈঃস্বরে কথাবার্তা হলো। এমনকি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘর হতেই তাদের কথার আওয়ায শুনলেন এবং তিনি পর্দা সরিয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে গেলেন। আর ডাক দিয়ে বললেনঃ হে কা’ব! কা’ব (রাঃ) উত্তর দিলেন, লাব্বায়েক রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার পাওনা ঋণ হতে এতটুকু ছেড়ে দাও। আর হাতে ইঙ্গিত করে বোঝালেন, অর্থাৎ অর্ধেক পরিমাণ। তখন কা’ব (রাঃ) বললেনঃ আমি তাই করলাম, হে আল্লাহ্র রসূল! তখন তিনি ইব্নু আবূ হাদরাদকে বললেনঃ উঠ আর বাকীটা দিয়ে দাও।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭২. অধ্যায়ঃ
মসজিদ ঝাড়ু দেয়া এবং ন্যাকড়া, আবর্জনা ও কাঠ খড়ি কুড়ানো
৪৫৮
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، أَسْوَدَ ـ أَوِ امْرَأَةً سَوْدَاءَ ـ كَانَ يَقُمُّ الْمَسْجِدَ، فَمَاتَ، فَسَأَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْهُ فَقَالُوا مَاتَ. قَالَ “ أَفَلاَ كُنْتُمْ آذَنْتُمُونِي بِهِ دُلُّونِي عَلَى قَبْرِهِ ”. ـ أَوْ قَالَ قَبْرِهَا ـ فَأَتَى قَبْرَهُ فَصَلَّى عَلَيْهِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন কাল বর্ণের পুরুষ অথবা বলেছেন কাল বর্ণের মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিত। সে মারা গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সাহাবীগণ বললেন, সে মারা গেছে। তিনি বললেনঃ তোমরা আমাকে খবর দিলে না কেন? আমাকে তার কবরটা দেখিয়ে দাও। অতঃপর তিনি তার কবরের নিকট গেলেন এবং তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৩. অধ্যায়ঃ
মসজিদে মদের ব্যবসা হারাম ঘোষণা করা।
৪৫৯
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أُنْزِلَ الآيَاتُ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي الرِّبَا، خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ، فَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ، ثُمَّ حَرَّمَ تِجَارَةَ الْخَمْرِ
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সুদ সম্পর্কীয় সূরা বাকারার আয়াত সমূহ অবতীর্ণ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে গিয়ে সে সব আয়াত সাহাবীগণকে পাঠ করে শুনালেন। অতঃপর তিনি মদের ব্যবসা হারাম করে দিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৪. অধ্যায়ঃ
মসজিদের জন্য খাদিম
ইব্ন ‘আব্বাস (রাঃ) (এ আয়াত) ‘আমার গর্ভে যা আছে তা একান্ত আপনার জন্য উৎসর্গ করলাম’ (৩:৩৫) –এর ব্যাখ্যায় বলেন : মসজিদের জন্য উৎসর্গ করলাম ।
৪৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ وَاقِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ امْرَأَةً ـ أَوْ رَجُلاً ـ كَانَتْ تَقُمُّ الْمَسْجِدَ ـ وَلاَ أُرَاهُ إِلاَّ امْرَأَةً ـ فَذَكَرَ حَدِيثَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى عَلَى قَبْرِهِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একজন পুরুষ অথবা বলেছেন একজন মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিত। (রাবী সাবিত (রহঃ) বলেনঃ) আমার মনে হয় তিনি বলেছেন একজন মহিলা। অতঃপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর হাদীস বর্ণনা করে বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কবরে জানাযার সালাত আদায় করেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৫, অধ্যায়ঃ
কয়েদী অথবা ঋণগ্রস্থ ব্যক্তিকে মসজিদে বেঁধে রাখা।
৪৬১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ تَفَلَّتَ عَلَىَّ الْبَارِحَةَ ـ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا ـ لِيَقْطَعَ عَلَىَّ الصَّلاَةَ، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ، حَتَّى تُصْبِحُوا وَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ، فَذَكَرْتُ قَوْلَ أَخِي سُلَيْمَانَ رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي ”. قَالَ رَوْحٌ فَرَدَّهُ خَاسِئًا.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ গত রাতে একটা অবাধ্য জ্বিন হঠাৎ আমার সামনে প্রকাশ পেল। রাবী বলেন, অথবা তিনি অনুরূপ কোন কথা বলেছেন, যেন সে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর ক্ষমতা দিলেন। আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, তাকে মসজিদের খুঁটিঁর সাথে বেঁধে রাখি, যাতে ভোর বেলা তোমরা সবাই তাকে দেখতে পাও। কিন্তু তখন আমার ভাই সুলায়মান (‘আঃ)–এর এই উক্তি আমার স্মরণ হলো, “হে প্রভু! আমাকে এমন রাজত্ব দান কর, যার অধিকারী আমার পরে আর কেউ না হয়”- (সূরা সোয়াদ ৩৮/৩৫)। (বর্ণনাকারী) রাওহ্ (রহঃ) বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই শয়তানটিকে অপমানিত করে ছেড়ে দিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৬. অধ্যায়ঃ
ইসলাম গ্রহণের গোসল করা এবং মসজিদে কয়েদীকে বাঁধা।
কাযী শুরাইহ [১] (রহঃ) দেনাদার ব্যক্তিকে মসজিদের খুঁটিঁর সাথে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিতেন।
[১] শুরাইহঃ ‘উমর (রাঃ)–এর খিলাফাতের সময়কার বিশিষ্ট কাযী।
৪৬২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْلاً قِبَلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ، فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ ”. فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ، فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকজন অশ্বারোহী মুজাহিদকে নজদের দিকে পাঠালেন। তারা বনূ হানীফা গোত্রের সুমামা ইব্নু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট গেলেন এবং বললেনঃ সুমামাকে ছেড়ে দাও। (ছাড়া পেয়ে) তিনি মসজিদে নাবাবীর নিকট এক খেজুর বাগানে গিয়ে সেখানে গোসল করলেন, অতঃপর মসজিদে প্রবেশ করে বললেনঃ
“أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল”।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৭. অধ্যায়ঃ
রোগী ও অন্যদের জন্য মসজিদে তাঁবু স্থাপন
৪৬৩
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أُصِيبَ سَعْدٌ يَوْمَ الْخَنْدَقِ فِي الأَكْحَلِ، فَضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْمَةً فِي الْمَسْجِدِ لِيَعُودَهُ مِنْ قَرِيبٍ، فَلَمْ يَرُعْهُمْ ـ وَفِي الْمَسْجِدِ خَيْمَةٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ ـ إِلاَّ الدَّمُ يَسِيلُ إِلَيْهِمْ فَقَالُوا يَا أَهْلَ الْخَيْمَةِ، مَا هَذَا الَّذِي يَأْتِينَا مِنْ قِبَلِكُمْ فَإِذَا سَعْدٌ يَغْذُو جُرْحُهُ دَمًا، فَمَاتَ فِيهَا.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ খন্দকের যুদ্ধে সা’দ (রাঃ)–এর হাতের শিরা যখম হয়েছিলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে (তাঁর জন্য) একটা তাঁবু স্থাপন করলেন, যাতে নিকট হতে তাঁর দেখাশুনা করতে পারেন। মসজিদে বনূ গিফারেরও একটা তাঁবু ছিল। সা’দ (রাঃ)–এর প্রচুর রক্ত তাঁদের দিকে প্রবাহিত হওয়ায় তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে তাঁবুর লোকেরা! তোমাদের তাঁবু হতে আমাদের দিকে কী প্রবাহিত হচ্ছে? তখন দেখা গেল যে, সা’দের যখম হতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। অবশেষে এতেই তিনি মারা গেলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৮. অধ্যায়ঃ
প্রয়োজনে উট নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
ইব্ন ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের উটে সওয়ার হয়ে তওয়াফ করেছেন
৪৬৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أَشْتَكِي. قَالَ “ طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ ”. فَطُفْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ، يَقْرَأُ بِالطُّورِ وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ.
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট (বিদায় হজ্জে) আমার অসুস্থতার কথা জানালে তিনি বললেনঃ সওয়ার হযে লোকদের হতে দূরে থেকে ত্বওয়াফ কর। আমি ত্বওয়াফ করলাম। আর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ্র পাশে তিলাওয়াত করে সালাত আদায় করেছিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৭৯. অধ্যায়ঃ
৮/৭৯. অধ্যায়ঃ
৪৬৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسٌ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ، وَمَعَهُمَا مِثْلُ الْمِصْبَاحَيْنِ يُضِيآنِ بَيْنَ أَيْدِيهِمَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا صَارَ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَاحِدٌ حَتَّى أَتَى أَهْلَهُ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর দু’জন সাহাবী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট হতে অন্ধকার রাতে বের হলেন। {তাঁদের একজন ‘আবক্বাদ ইব্নু বিশ্র (রাঃ) আর দ্বিতীয় জন সম্পর্কে আমার ধারণা যে, তিনি ছিলেন উসায়দ ইব্নু হুযায়র (রাঃ)} আর উভয়ের সাথে চেরাগ সদৃশ কিছু ছিল, যা তাঁদের সামনের দিকটাকে আলোকিত করছিল। তাঁরা উভয়ে যখন আলাদা হয়ে গেলেন, তখন প্রত্যেকের সাথে একটা করে (আলো) রয়ে গেল। অবশেষে এভাবে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে পৌঁছলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮০. অধ্যায়ঃ
মসজিদে ছোট দরজা ও পথ বানানো
৪৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَطَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” إِنَّ اللَّهَ خَيَّرَ عَبْدًا بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ، فَاخْتَارَ مَا عِنْدَ اللَّهِ ”. فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي مَا يُبْكِي هَذَا الشَّيْخَ إِنْ يَكُنِ اللَّهُ خَيَّرَ عَبْدًا بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ فَاخْتَارَ مَا عِنْدَ اللَّهِ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ الْعَبْدَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَنَا. قَالَ ” يَا أَبَا بَكْرٍ لاَ تَبْكِ، إِنَّ أَمَنَّ النَّاسِ عَلَىَّ فِي صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُو بَكْرٍ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً مِنْ أُمَّتِي لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ، وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الإِسْلاَمِ وَمَوَدَّتُهُ، لاَ يَبْقَيَنَّ فِي الْمَسْجِدِ باب إِلاَّ سُدَّ إِلاَّ باب أَبِي بَكْرٍ
আবূ সা’ইদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ভাষণে বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়া ও আল্লাহর নিকট যা আছে- এ দুয়ের মধ্যে একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিলেন। তিনি আল্লাহর নিকট যা আছে– তা গ্রহণ করলেন। তখন আবু বক্র (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, এই বৃদ্ধকে কোন্ বস্তুটি কাঁদাচ্ছে? আল্লাহ তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়া ও আল্লাহর নিকট যা রয়েছে-এ দুয়ের একটা গ্রহণ করার ইখতিয়ার দিলে তিনি আল্লাহর নিকট যা রয়েছে তা গ্রহণ করেছেন (এতে কাঁদার কি আছে?)। মূলতঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–ই ছিলেন সেই বান্দা। আর আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন আমাদের মাঝে সর্বাধিক জ্ঞানী। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ বক্র, তুমি কাঁদবে না। নিজের সাহচর্য ও সম্পদ দিয়ে আমাকে যিনি সবচেয়ে অধিক ইহসান করেছেন তিনি আবূ বক্র। আমার কোন উম্মাতকে যদি আমি খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) রূপে গ্রহণ করতাম, তবে তিনি হতেন আবূ বক্র। কিন্তু তাঁর সাথে রয়েছে ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য। আবূ বক্রের দরজা ব্যতীত মসজিদের কোন দরজাই রাখা হবে না, সবই বন্ধ করা হবে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৬৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجُعْفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ عَاصِبٌ رَأْسَهُ بِخِرْقَةٍ، فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ “ إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ عَلَىَّ فِي نَفْسِهِ وَمَالِهِ مِنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنَ النَّاسِ خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً، وَلَكِنْ خُلَّةُ الإِسْلاَمِ أَفْضَلُ، سُدُّوا عَنِّي كُلَّ خَوْخَةٍ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ غَيْرَ خَوْخَةِ أَبِي بَكْرٍ ”..
ইব্নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্তিম রোগের সময় এক টুকরা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে বাইরে এসে মিম্বারে বসলেন। আল্লাহ্র প্রশংসা ও সানা সিফাত বর্ণনার পর বললেনঃ জান-মাল দ্বারা আবূ বক্র ইব্নু আবূ কুহাফার চেয়ে অধিক কেউ আমার প্রতি ইহসান করেনি। আমি কাউকেও অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে অবশ্যই আবূ বক্রকে গ্রহণ করতাম। তবে ইসলামের বন্ধুত্বই উত্তম। আবূ বক্রের দরজা ব্যতীত এই মসজিদের ছোট দরজাগুলো সব বন্ধ করে দাও।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮১. অধ্যায়ঃ
বাইতুল্লায় ও অন্যান্য মসজিদে দরজা রাখা ও তালা লাগানো।
আবূ ‘আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেনঃ আমাকে ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মদ (রহঃ) বলেছেন যে, আমাকে সুফিয়ান (রহঃ) ইব্ন জুরাইজ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করছেন, তিনি বলেনঃ আমাকে ইব্ন আবী মুলায়কা (রহঃ) বলেছেন, “হে ‘আবদুল মালিক! তুমি ইব্ন ‘আব্বাস(রাঃ)-এর মসজিদ ও তার দরজাগুলোকে যদি দেখতে”
৪৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ مَكَّةَ، فَدَعَا عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ، فَفَتَحَ الْبَابَ، فَدَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَبِلاَلٌ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، ثُمَّ أُغْلِقَ الْبَابُ، فَلَبِثَ فِيهِ سَاعَةً ثُمَّ خَرَجُوا. قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَبَدَرْتُ فَسَأَلْتُ بِلاَلاً فَقَالَ صَلَّى فِيهِ. فَقُلْتُ فِي أَىٍّ قَالَ بَيْنَ الأُسْطُوَانَتَيْنِ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَذَهَبَ عَلَىَّ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى.
ইব্নু ‘উমর থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আসেন তখন ‘উসমান ইব্নু তালহা (রাঃ)–কে ডাকলেন। তিনি দরজা খুলে দিলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), বিলাল, উসামাহ ইব্নু যায়দ ও উসমান ইব্নু তালহা (রাঃ) ভিতরে গেলেন। অতঃপর দরজা বন্ধ করে দেয়া হল। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন। অতঃপর সকলেই বের হলেন। ইব্নু উমর (রাঃ) বলেনঃ আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে বিলাল (রাঃ)–কে (সালাতের কথা) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভিতরে সালাত আদায় করেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম: কোন্ স্থানে? তিনি বললেন, দুই স্তম্ভের মাঝামাঝি। ইব্নু উমর (রাঃ) বলেনঃ কয় রাক’আত আদায় করেছেন তা জিজ্ঞেস করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮২. অধ্যায়ঃ
মসজিদে মুশরিকের প্রবেশ
৪৬৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْلاً قِبَلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ، فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতিপয় অশ্বারোহী সৈন্য নজদ অভিমুখে পাঠালেন। তারা বনূ হানীফা গোত্রের সুমামা ইব্নু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলেন। অতঃপর তাকে মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৩. অধ্যায়ঃ
মসজিদে আওয়ায উঁচু করা
৪৭০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ كُنْتُ قَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ فَحَصَبَنِي رَجُلٌ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ اذْهَبْ فَأْتِنِي بِهَذَيْنِ. فَجِئْتُهُ بِهِمَا. قَالَ مَنْ أَنْتُمَا ـ أَوْ مِنْ أَيْنَ أَنْتُمَا قَالاَ مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ. قَالَ لَوْ كُنْتُمَا مِنْ أَهْلِ الْبَلَدِ لأَوْجَعْتُكُمَا، تَرْفَعَانِ أَصْوَاتَكُمَا فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
সায়িব ইব্নু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি মসজিদে নাবাবীতে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমার দিকে একটা কাঁকর নিক্ষেপ করলো। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, তিনি উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ)। তিনি বললেনঃ যাও, এ দু’জনকে আমার নিকট নিয়ে এস। আমি তাদের নিয়ে তাঁর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কারা? অথবা তিনি বললেনঃ তোমরা কোন স্থানের লোক? তারা বললোঃ আমরা তায়েফের অধিবাসী। তিনি বললেনঃ তোমরা যদি মদীনার লোক হতে, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের কঠোর শাস্তি দিতাম। তোমরা দু’জনে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলেছো!
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا لَهُ عَلَيْهِ، فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتِهِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ وَنَادَى ” يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ، يَا كَعْبُ ”. قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَشَارَ بِيَدِهِ أَنْ ضَعِ الشَّطْرَ مِنْ دَيْنِكَ. قَالَ كَعْبٌ قَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” قُمْ فَاقْضِهِ ”.
কা’ব ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর যুগে তিনি ইব্নু আবূ হাদরাদের নিকট তাঁর প্রাপ্য সম্পর্কে মসজিদে নাববীতে তাগাদা করেন। এতে উভয়ের আওয়ায উঁচু হয়ে গেল। এমন কি সে আওয়ায আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘর হতে শুনতে পেলেন। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরের পর্দা সরিয়ে তাদের দিকে বের হয়ে এলেন এবং কা’ব ইব্নু মালিককে ডেকে বললেনঃ হে কা’ব! উত্তরে কা’ব বললেনঃ লাব্বায়কা ইয়া রসূলাল্লাহ! তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতে ইঙ্গিত করলেন যে, তোমার প্রাপ্য হতে অর্ধেক ছেড়ে দাও। কা’ব (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আমি তাই করলাম। তখন আল্লাহর রসূল ইব্নু আবূ হাদরাদ (রাঃ)–কে ব ললেনঃ উঠ এবার (বাকী) ঋণ পরিশোধ কর।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৪. অধ্যায়ঃ
মসজিদে হালকা রাঁধা ও বসা
৪৭২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا تَرَى فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ قَالَ “ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيَ الصُّبْحَ صَلَّى وَاحِدَةً، فَأَوْتَرَتْ لَهُ مَا صَلَّى ”. وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ اجْعَلُوا آخِرَ صَلاَتِكُمْ وِتْرًا، فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِهِ.
ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি মিম্বারে ছিলেন- আপনি রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে বলেন? তিনি বলেনঃ দু’রাক’আত দু’রাক’আত করে আদায় করবে। যখন তোমাদের কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন সে আরো এক রাক’আত আদায় করে নিবে। আর এটি তার পূর্ববর্তী সালাতকে বিত্র করে দেবে। [নাফি (রহঃ) বলেন] ইব্নু উমর (রাঃ) বলতেনঃ তোমরা বিত্রকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় কর। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নির্দেশ দিয়েছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৩
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يَخْطُبُ فَقَالَ كَيْفَ صَلاَةُ اللَّيْلِ فَقَالَ “ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ، تُوتِرُ لَكَ مَا قَدْ صَلَّيْتَ ”. قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَجُلاً نَادَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ.
ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এমন সময় আসলেন যখন তিনি খুত্বা দিচ্ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে হয়? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দু’রাক’আত দু’রাক’আত করে আদায় করবে। আর যখন ভোর হবার আশঙ্কা করবে, তখন আরো এক রাক’আত আদায় করে নিবে। সে রাক’আত তোমরা পূর্বের সালাতকে বিত্র করে দিবে। ওয়ালীদ ইব্ন কাসীর (রহঃ) বলেনঃ উবাইদুল্লাহ ইব্নু আবদুল্লাহ্ (রহঃ) আমার নিকট বলেছেন যে, ইব্নু উমর (রাঃ) তাঁদের বলেছেনঃ এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে সম্বোধন করে বললেন, তখন তিনি মসজিদে ছিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فَأَقْبَلَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ، فَأَقْبَلَ اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَهَبَ وَاحِدٌ، فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَرَأَى فُرْجَةً فَجَلَسَ، وَأَمَّا الآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ، فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ عَنِ الثَّلاَثَةِ أَمَّا أَحَدُهُمْ فَأَوَى إِلَى اللَّهِ، فَآوَاهُ اللَّهُ، وَأَمَّا الآخَرُ فَاسْتَحْيَا، فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ، وَأَمَّا الآخَرُ فَأَعْرَضَ، فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ ”.
আবূ ওয়াক্বিদ লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনজন লোক এলেন। তাঁদের দু’জন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এগিয়ে এলেন আর একজন চলে গেলেন। এ দু’জনের একজন হালকায় খালি স্থান পেয়ে সেখানে বসে পড়লেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি তাদের পেছনে বসলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কথাবার্তা হতে অবসর হয়ে বললেনঃ আমি কি তোমাদের ঐ তিন ব্যক্তি সম্পর্কে খবর দেব? এক ব্যক্তি তো আল্লাহর দিকে অগ্রসর হলো! আল্লাহও তাকে আশ্রয় দিলেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি লজ্জা করলো, আর আল্লাহ তা’আলাও তাকে (বঞ্চিত করতে) লজ্জাবোধ করলেন। তৃতীয় ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল, কাজেই আল্লাহও তার হতে ফিরে থাকলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৫. অধ্যায়ঃ
মসজিদে চিত হয়ে পা প্রসারিত করে শোয়া
৪৭৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ، وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى. وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ كَانَ عُمَرُ وَعُثْمَانُ يَفْعَلاَنِ ذَلِكَ.
আব্বাদ ইব্নু তামীম (রহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (তাঁর চাচা) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে মসজিদে চিত হয়ে এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। ইব্নু শিহাব (রহঃ) সা’ঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, উমর ও উসমান (রাঃ) এমন করতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৬. অধ্যায়ঃ
লোকের অসুবিধা না হলে রাস্তায় মসজিদ বানানো বৈধ।
হাসান বসরী, আয়্যুব এবং মালিক (রহঃ) এরূপ বলেছেন।
৪৭৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَمْ أَعْقِلْ أَبَوَىَّ إِلاَّ وَهُمَا يَدِينَانِ الدِّينَ، وَلَمْ يَمُرَّ عَلَيْنَا يَوْمٌ إِلاَّ يَأْتِينَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَفَىِ النَّهَارِ بُكْرَةً وَعَشِيَّةً، ثُمَّ بَدَا لأَبِي بَكْرٍ فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ، فَكَانَ يُصَلِّي فِيهِ وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ، فَيَقِفُ عَلَيْهِ نِسَاءُ الْمُشْرِكِينَ، وَأَبْنَاؤُهُمْ يَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلاً بَكَّاءً لاَ يَمْلِكُ عَيْنَيْهِ إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ، فَأَفْزَعَ ذَلِكَ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
উরওয়া বিন যুবাইর থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমার জ্ঞানমতে আমি আমার মাতা-পিতাকে সব সময় দ্বীনের অনুসরণ করতে দেখেছি। আর আমাদের এমন কোন দিন যায়নি যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে দিনের উভয় প্রান্তে সকাল-সন্ধ্যায় আমাদের নিকট আসেননি। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ)–এর মসজিদ নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দিল। তিনি তাঁর ঘরের আঙ্গিণায় একটি মসজিদ তৈরি করলেন। তিনি এতে সালাত আদায় করতেন ও কুরআন তিলাওয়াত করতেন। মুশরিকদের মহিলা ও ছেলেমেয়েরা সেখানে দাঁড়াতো এবং এতে তারা বিস্মিত হয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতো। আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন একজন অধিক ত্রন্দনকারী ব্যক্তি। তিনি কু্রআন পড়া শুরু করলে অশ্রু সংবরণ করতে পারতেন না। তাঁর এ অবস্থা নেতৃস্থানীয় মুশরিক কুরাইশদের নেতৃবৃন্দকে শঙ্কিত করে তুলল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৭. অধ্যায়ঃ
বাজারের মসজিদে সালাত আদায়।
ইবন ‘আওন (রহঃ) ঘরের মসজিদে সালাত আদায় করতেন যার দরজা বন্ধ করা হতো
৪৭৭
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ صَلاَةُ الْجَمِيعِ تَزِيدُ عَلَى صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ، وَصَلاَتِهِ فِي سُوقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وَأَتَى الْمَسْجِدَ، لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ، لَمْ يَخْطُ خُطْوَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً، وَحَطَّ عَنْهُ خَطِيئَةً، حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ، وَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِي صَلاَةٍ مَا كَانَتْ تَحْبِسُهُ، وَتُصَلِّي ـ يَعْنِي عَلَيْهِ ـ الْمَلاَئِكَةُ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ ”.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা’আতের সাথে সালাত আদায় করলে ঘর বা বাজারে সালাত আদায় করার চেয়ে পঁচিশ গুণ সওয়াব বৃদ্ধি পায়। কেননা, তোমাদের কেউ যদি ভাল করে উযূ করে কেবল সালাতের উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে, সে মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত যতবার কদম রাখে তার প্রতিটির বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা ক্রমান্বয়ে উন্নীত করবেন এবং তার এক একটি করে গুনাহ মাফ করবেন। আর মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ তাকে সালাতেই গণ্য করা হয়। আর সালাত শেষে সে যতক্ষণ ঐ স্থানে থাকে ততক্ষণ মালাকগণ (ফেরেশতাগণ) তার জন্যে এ বলে দু’আ করেনঃ হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ! তাকে রহম করুন- যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দেয়, উযূ ভেঙ্গে যাওয়ার কোন কাজ সেখানে না করে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৮. অধ্যায়ঃ
মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করানো।
৪৭৮
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، حَدَّثَنَا وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَوِ ابْنِ عَمْرٍو شَبَّكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَصَابِعَهُ.
ইব্নু উমর বা ইব্নু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক হাতের আঙ্গুল আর এক হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করান।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، حَدَّثَنَا وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَوِ ابْنِ عَمْرٍو شَبَّكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَصَابِعَهُ.
ইব্নু উমর বা ইব্নু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক হাতের আঙ্গুল আর এক হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করান।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০
وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ، مِنْ أَبِي فَلَمْ أَحْفَظْهُ، فَقَوَّمَهُ لِي وَاقِدٌ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ، يَقُولُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، كَيْفَ بِكَ إِذَا بَقِيتَ فِي حُثَالَةٍ مِنَ النَّاسِ بِهَذَا ”.
আসিম ইব্নু আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আসিম ইব্নু মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেনঃ আমি এ হাদীস আমার পিতা হতে শুনেছিলাম, কিন্তু আমি তা স্মরণ রাখতে পারিনি। পরে এ হাদীসটি আমাকে ঠিকভাবে বর্ণনা করেন ওয়াকিদ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে। তিনি বলেনঃ আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, আবদুল্লাহ্ ইব্নু আম্র (রাঃ) বলেছেন যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ হে আবদুল্লাহ্ ইব্নু আমর! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের সাথে অবস্থান করবে, তখন তোমার কী অবস্থা হবে?
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৮ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪ শেষাংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا ”. وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ.
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন মু’মিন আরেকজন মু’মিনের জন্যে ইমারত স্বরূপ, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে থাকে। এ ব’লে তিনি তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো একটার মধ্যে আরেকটা প্রবেশ করালেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى صَلاَتَىِ الْعَشِيِّ ـ قَالَ ابْنُ سِيرِينَ سَمَّاهَا أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نَسِيتُ أَنَا ـ قَالَ فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ إِلَى خَشَبَةٍ مَعْرُوضَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَاتَّكَأَ عَلَيْهَا، كَأَنَّهُ غَضْبَانُ، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى، وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، وَوَضَعَ خَدَّهُ الأَيْمَنَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى، وَخَرَجَتِ السَّرَعَانُ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالُوا قَصُرَتِ الصَّلاَةُ. وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَهَابَا أَنْ يُكَلِّمَاهُ، وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ فِي يَدَيْهِ طُولٌ يُقَالُ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ قَالَ ” لَمْ أَنْسَ، وَلَمْ تُقْصَرْ ”. فَقَالَ ” أَكَمَا يَقُولُ ذُو الْيَدَيْنِ ”. فَقَالُوا نَعَمْ. فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى مَا تَرَكَ، ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ. فَرُبَّمَا سَأَلُوهُ ثُمَّ سَلَّمَ فَيَقُولُ نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আমাদের বিকালের এক সালাতে ইমামত করলেন। ইব্নু সীরীন (রহঃ) বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) সালাতের নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ তিনি আমাদের নিয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। অতঃপর মসজিদে রাখা এক টুকরা কাঠের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁকে রাগান্বিত মনে হচ্ছিল। তিনি তাঁর ডান হাত বাঁ হাতের উপর রেখে এক হাতের আঙ্গূল অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করালেন। আর তাঁর ডান গাল বাম হাতের পিঠের উপর রাখলেন। যাঁদের তাড়া ছিল তাঁরা মসজিদের দরজা দিয়ে বাইরে চলে গেলেন। সাহাবীগণ বললেনঃ সালাত কি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে? উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবূ বকর (রাঃ) এবং উমর (রাঃ) ও ছিলেন। কিন্তু তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেলেন। আর লোকজনের মধ্যে লম্বা হাত বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন, যাঁকে ‘যুল-ইয়াদাইন’ বলা হতো, তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি সালাত সংক্ষেপ করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি এবং সালাত সংক্ষেপও করা হয়নি। অতঃপর (অন্যদের) জিজ্ঞেস করলেনঃ যুল-ইয়াদাইনের কথা কি ঠিক? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ! অতঃপর তিনি এগিয়ে এলেন এবং সালাতের বাদপড়া অংশটুকু আদায় করলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিক ভাবে সিজদা’র মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর মাথা উঠালেন। পরে পুনরায় তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদা’র মত বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর মাথা উঠালেন। লোকেরা প্রায়ই ইব্নু সীরীন (রহঃ)–কে জিজ্ঞেস করতো, “পরে কি তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন”? তখন ইব্নু সীরীন (রহঃ) বলতেনঃ আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘ইমরান ইব্নু হুসাইন (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৮৯. অধ্যায়ঃ
মদীনার রাস্তার মসজিদসমূহ এবং যে সকল স্থানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করেছিলেন।
৪৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ رَأَيْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَتَحَرَّى أَمَاكِنَ مِنَ الطَّرِيقِ فَيُصَلِّي فِيهَا، وَيُحَدِّثُ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يُصَلِّي فِيهَا، وَأَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأَمْكِنَةِ. وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأَمْكِنَةِ. وَسَأَلْتُ سَالِمًا، فَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ وَافَقَ نَافِعًا فِي الأَمْكِنَةِ كُلِّهَا إِلاَّ أَنَّهُمَا اخْتَلَفَا فِي مَسْجِدٍ بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ.
মূসা ইব্নু উক্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি সালিম ইব্নু আবদুল্লাহ্ (রাঃ) কে রাস্তার বিশেষ বিশেষ স্থান অনুসন্ধান করে সে সব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছি এবং তিনি বর্ণনা করতেন যে, তাঁর পিতাও এসব স্থানে সালাত আদায় করতেন। আর তিনিও আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এসব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছেন। মূসা ইব্নু উকবা (রহঃ) বলেনঃ নাফি (রহঃ)-ও আমার নিকট ইব্নু উমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সেসব স্থানে সালাত আদায় করতেন। অতঃপর আমি সালিম (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করি। আমার জানামতে তিনিও সেসব স্থানে সালাত আদায়ের ব্যাপারে নাফি’ (রহঃ) এর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন; তবে ‘শারাফুর-রাওহা’ নামক স্থানের মসজিদটির ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ يَعْتَمِرُ، وَفِي حَجَّتِهِ حِينَ حَجَّ، تَحْتَ سَمُرَةٍ فِي مَوْضِعِ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ، وَكَانَ إِذَا رَجَعَ مِنْ غَزْوٍ كَانَ فِي تِلْكَ الطَّرِيقِ أَوْ حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ هَبَطَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ، فَإِذَا ظَهَرَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي عَلَى شَفِيرِ الْوَادِي الشَّرْقِيَّةِ، فَعَرَّسَ ثَمَّ حَتَّى يُصْبِحَ، لَيْسَ عِنْدَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِحِجَارَةٍ، وَلاَ عَلَى الأَكَمَةِ الَّتِي عَلَيْهَا الْمَسْجِدُ، كَانَ ثَمَّ خَلِيجٌ يُصَلِّي عَبْدُ اللَّهِ عِنْدَهُ، فِي بَطْنِهِ كُثُبٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَّ يُصَلِّي، فَدَحَا السَّيْلُ فِيهِ بِالْبَطْحَاءِ حَتَّى دَفَنَ ذَلِكَ الْمَكَانَ الَّذِي كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي فِيهِ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরাহ ও হজ্জের জন্যে রওয়ানা হলে ‘যুল-হুলায়ফা’য় অবতরণ করতেন, বাবলা গাছের নীচে ‘যুল হুলায়ফা’র মসজিদের স্থান। আর যখন কোন যুদ্ধ হতে অথবা হজ্জ বা ‘উমরাহ করে সেই পথে ফিরতেন, তখন উপত্যকার মাঝখানে অবতরণ করতেন। যখন উপত্যকার মাঝখান হতে উপরের দিকে আসতেন, তখন উপত্যকার তীরে অবস্থিত পূর্ব নিম্নভূমিতে উট বসাতেন। সেখানে তিনি শেষ রাত হতে ভোর পর্যন্ত বিশ্রাম করতেন। এ স্থানটি পাথরের উপর নির্মিত মসজিদের নিকট নয় এবং যে মসজিদ টিলার উপর, তার নিকটেও নয়। এখানে ছিল একটি ঝিল, যার পাশে আবদুল্লাহ্ (রাঃ) সালাত আদায় করতেন। এর ভিতরে কতগুলো বালির স্তূপ ছিল। আর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখানেই সালাত আদায় করতেন। অতঃপর নিম্নভূমিতে পানি প্রবাহ হয়ে ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) যে স্থানে সালাত আদায় করতে তা সমান করে দিয়েছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ প্রথমাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى حَيْثُ الْمَسْجِدُ الصَّغِيرُ الَّذِي دُونَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْلَمُ الْمَكَانَ الَّذِي كَانَ صَلَّى فِيهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ثَمَّ عَنْ يَمِينِكَ حِينَ تَقُومُ فِي الْمَسْجِدِ تُصَلِّي، وَذَلِكَ الْمَسْجِدُ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ الْيُمْنَى، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَسْجِدِ الأَكْبَرِ رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) [নাফি (রহঃ)] থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘শারাফুর-রাওহা’র মসজিদের নিকট ছোট মসজিদের স্থানে সালাত আদায় করেছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেখানে সালাত আদায় করেছিলেন, আবদুল্লাহ্ (রাঃ) সে স্থানের পরিচয় দিতেন এই বলে যে, যখন তুমি মসজিদে সালাতে দাঁড়াবে তখন তা তোমার ডানদিকে। আর সেই মসজিদটি হলো যখন তুমি (মদীনা হতে) মক্কা যাবে তখন তা ডানদিকের রাস্তার এক পাশে থাকবে। সে স্থান ও বড় মসজিদের মাঝখানে ব্যবধান হলো একটি ঢিল নিক্ষেপ পরিমাণ অথবা তার কাছাকাছি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ৪৬২ দ্বিতীয় অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ দ্বিতীয় অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬
وَأَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُصَلِّي إِلَى الْعِرْقِ الَّذِي عِنْدَ مُنْصَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَذَلِكَ الْعِرْقُ انْتِهَاءُ طَرَفِهِ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ، دُونَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُنْصَرَفِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ. وَقَدِ ابْتُنِيَ ثَمَّ مَسْجِدٌ، فَلَمْ يَكُنْ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي فِي ذَلِكَ الْمَسْجِدِ، كَانَ يَتْرُكُهُ عَنْ يَسَارِهِ وَوَرَاءَهُ، وَيُصَلِّي أَمَامَهُ إِلَى الْعِرْقِ نَفْسِهِ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الرَّوْحَاءِ، فَلاَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حَتَّى يَأْتِيَ ذَلِكَ الْمَكَانَ فَيُصَلِّي فِيهِ الظُّهْرَ، وَإِذَا أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ فَإِنْ مَرَّ بِهِ قَبْلَ الصُّبْحِ بِسَاعَةٍ أَوْ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ عَرَّسَ حَتَّى يُصَلِّيَ بِهَا الصُّبْحَ.
বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
আর ইব্নু উমর (রাঃ) ‘রাওহা’র শেষ মাথায় ‘ইরক’ (ছোট পাহাড়)–এর নিকট সালাত আদায় করতেন। সেই ‘ইরক’–এর শেষ প্রান্ত হলো রাস্তার পাশে মসজিদের কাছাকাছি মক্কা যাওয়ার পথে রাওহা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এখানে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) এই মসজিদে সালাত আদায় করতেন না, রবং সেটাকে তিনি বামদিকে ও পেছনে ফেলে অগ্রসর হয়ে ‘ইরক’–এর নিকটে সালাত আদায় করতেন। আর ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) রাওহা হতে বেরিয়ে ঐ স্থানে পৌঁছার পূর্বে যুহ্রের সালাত আদায় করতেন না। সেখানে পৌঁছে যোহর আদায় করতেন। আর মক্কা হতে আসার সময় এ পথে ভোরের এক ঘন্টা পূর্বে বা শেষ রাতে আসলে সেখানে অবস্থান করে ফজরের সালাত আদায় করতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ তৃতীয় অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ তৃতীয় অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৭
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ تَحْتَ سَرْحَةٍ ضَخْمَةٍ دُونَ الرُّوَيْثَةِ عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ، وَوِجَاهَ الطَّرِيقِ فِي مَكَانٍ بَطْحٍ سَهْلٍ، حَتَّى يُفْضِيَ مِنْ أَكَمَةٍ دُوَيْنَ بَرِيدِ الرُّوَيْثَةِ بِمِيلَيْنِ، وَقَدِ انْكَسَرَ أَعْلاَهَا، فَانْثَنَى فِي جَوْفِهَا، وَهِيَ قَائِمَةٌ عَلَى سَاقٍ، وَفِي سَاقِهَا كُثُبٌ كَثِيرَةٌ.
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুওয়ায়ছা’র নিকটে রাস্তার ডানদিকে রাস্তা সংলগ্ন প্রশস্ত সমতল ভূমিতে একটা বিরাট গাছের নীচে অবস্থান করতেন। অতঃপর তিনি ‘রুওয়ায়ছা’র ডাকঘরের দু’মাইল দূরে ঢিলার পাশ দিয়ে রওয়ানা হতেন। বর্তমানে গাছটির উপরের অংশ ভেঙ্গে গিয়ে মাঝখানে ঝুঁকে গেছে। গাছের কাণ্ড এখনো দাঁড়িয়ে আছে। আর তার আশেপাশে অনেকগুলো বালির স্তূপ বিস্তৃত রয়েছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ চতুর্থ অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ চতুর্থ অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৮
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي طَرَفِ تَلْعَةٍ مِنْ وَرَاءِ الْعَرْجِ وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى هَضْبَةٍ عِنْدَ ذَلِكَ الْمَسْجِدِ قَبْرَانِ أَوْ ثَلاَثَةٌ، عَلَى الْقُبُورِ رَضْمٌ مِنْ حِجَارَةٍ عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ، عِنْدَ سَلِمَاتِ الطَّرِيقِ، بَيْنَ أُولَئِكَ السَّلِمَاتِ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الْعَرْجِ بَعْدَ أَنْ تَمِيلَ الشَّمْسُ بِالْهَاجِرَةِ، فَيُصَلِّي الظُّهْرَ فِي ذَلِكَ الْمَسْجِدِ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আরজু’ গ্রামের পরে পাহাড়ের দিকে যেতে যে উচ্চভূমি আছে, তার পাশে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করেছেন। এই মসজিদের পাশে দু’তিনটি কবর আছে। এসব কবরে পাথরের বড় বড় খণ্ড পড়ে আছে। রাস্তার ডান পাশে গাছের নিকটেই তা অবস্থিত। দুপুরের পর সূর্য ঢলে পড়লে ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) ‘আর্জ’–এর দিক হতে এসে গাছের মধ্য দিয়ে যেতেন এবং ঐ মসজিদে যুহ্রের সালাত আদায় করতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ৪৬২ পঞ্চম অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ পঞ্চম অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৯
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عِنْدَ سَرَحَاتٍ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، فِي مَسِيلٍ دُونَ هَرْشَى، ذَلِكَ الْمَسِيلُ لاَصِقٌ بِكُرَاعِ هَرْشَى، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ قَرِيبٌ مِنْ غَلْوَةٍ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي إِلَى سَرْحَةٍ، هِيَ أَقْرَبُ السَّرَحَاتِ إِلَى الطَّرِيقِ وَهْىَ أَطْوَلُهُنَّ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে রাস্তার বাঁ দিকে বিরাট গাছগুলোর নিকট অবতরণ করেন যা ‘হারশা’ পাহাড়ের নিকটবর্তী নিম্নভূমির দিকে চলে গেছে। সেই নিম্নভূমিটি ‘হারশা’–এর এক প্রান্তের সাথে মিলিত। এখান হতে সাধারণ সড়কের দূরত্ব প্রায় এক তীর নিক্ষেপের পরিমাণ। আবদূল্লাহ ইব্নু উমর (রাঃ) সেই গাছগুলোর মধ্যে একটির নিকট সালাত আদায় করতেন, যা ছিল রাস্তার নিকটে এবং সবচেয়ে উঁচু।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ ষষ্ঠ অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ ষষ্ঠ অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯০
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ فِي الْمَسِيلِ الَّذِي فِي أَدْنَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، قِبَلَ الْمَدِينَةِ حِينَ يَهْبِطُ مِنَ الصَّفْرَاوَاتِ يَنْزِلُ فِي بَطْنِ ذَلِكَ الْمَسِيلِ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، لَيْسَ بَيْنَ مَنْزِلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الطَّرِيقِ إِلاَّ رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবতরণ করতেন ‘মাররুয যাহরান’ উপত্যকার মেষ প্রান্তে নিম্নভূমিতে, যা মদীনার দিকে যেতে ছোট পাহাড়গুলোর নীচে অবস্থিত। তিনি সে নিম্নভূমির মাঝখানে অবতরণ করতেন। এটা মক্কা যাওয়ার পথে বাম পাশে থাকে। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মনযিল ও রাস্তার মাঝে দূরত্ব এক পাথর নিক্ষেপ পরিমাণ।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ সপ্তম অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ সপ্তম অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯১
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ بِذِي طُوًى وَيَبِيتُ حَتَّى يُصْبِحَ، يُصَلِّي الصُّبْحَ حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ، لَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ، وَلَكِنْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘যূ-তুওয়া’য় অবতরণ করতেন এবং এখানেই রাত যাপন করতেন আর মক্কায় আসার পথে এখানেই ফজরের সালাত আদায় করতেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সালাত আদায়ের সেই স্থানটা ছিল একটা বড় টিলার উপরে। যেখানে মসজিদ নির্মিত হয়েছে সেখানে নয় বরং তার নীচে একটা বড় টিলার উপর।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ অষ্টম অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ অষ্টম অংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯২
وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَقْبَلَ فُرْضَتَىِ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ نَحْوَ الْكَعْبَةِ، فَجَعَلَ الْمَسْجِدَ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ يَسَارَ الْمَسْجِدِ بِطَرَفِ الأَكَمَةِ، وَمُصَلَّى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَسْفَلَ مِنْهُ عَلَى الأَكَمَةِ السَّوْدَاءِ، تَدَعُ مِنَ الأَكَمَةِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا، ثُمَّ تُصَلِّي مُسْتَقْبِلَ الْفُرْضَتَيْنِ مِنَ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাহাড়ের দু’টো প্রবেশপথ সামনে রাখতেন যা তার ও দীর্ঘ পাহাড়ের মাঝখানে কা’বার দিকে রয়েছে। বর্তমানে সেখানে যে মসজিদ নির্মিত হয়েছে, সেটিকে তিনি [ইব্নু উমর (রাঃ)] টিলার প্রান্তের মসজিদটির বাম পাশে রাখতেন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সালাতের জায়গা ছিল এর নীচের কাল টিলার উপরে। এটি প্রথম টিলা হতে প্রায় দশ হাত দূরে। অতঃপর যে পাহাড়টি তোমার ও কা’বার মাঝখানে পড়বে তার দু’প্রবেশ দ্বারের দিকে মুখ করে তুমি সালাত আদায় করবে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ শেষাংশ)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯০. অধ্যায়ঃ
ইমামের সুতরাই মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট।
৪৯৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ أَتَانٍ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ قَدْ نَاهَزْتُ الاِحْتِلاَمَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ بِمِنًى إِلَى غَيْرِ جِدَارٍ، فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَىْ بَعْضِ الصَّفِّ، فَنَزَلْتُ وَأَرْسَلْتُ الأَتَانَ تَرْتَعُ، وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ، فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَىَّ أَحَدٌ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একটা মাদী গাধার উপর সওয়ার হয়ে এলাম, তখন আমি ছিলাম সাবালক হবার নিকটবর্তী। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনে দেয়াল ব্যতীত অন্য কিছুকে সুতরা বানিয়ে মিনায় লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। কাতারের কিছু অংশ অতিক্রম করে আমি সওয়ারী হতে অবতরণ করলাম। গাধীটিকে চরাতে দিয়ে আমি কাতারে শামিল হয়ে গেলাম। আমাকে কেউই এ কাজে বাধা দেয়নি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ أَمَرَ بِالْحَرْبَةِ فَتُوضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَالنَّاسُ وَرَاءَهُ، وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ، فَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذَهَا الأُمَرَاءُ.
ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন যখন বের হতেন তখন তাঁর সম্মুখে ছোট নেযা (বল্লম) পুঁতে রাখতে নিদের্শ দিতেন। সেদিকে মুখ করে তিনি সালাত আদায় করতেন। আর লোকজন তাঁর পেছনে দাঁড়াতো। সফরেও তিনি তাই করতেন। এ হতে শাসকগণও এ পন্থা অবলম্বন করেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৫
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ بِالْبَطْحَاءِ ـ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ ـ الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ، وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، تَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ الْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ.
আওন ইব্নু আবূ জুহাইফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণকে নিয়ে ‘বাতহা’ নামক স্থানে যুহ্রের দু’রাক’আত ও আসরের দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর সামনে বল্লম পুঁতে রাখা হয়েছিল। তাঁর সম্মুখ দিয়ে (সুত্রার বাইরে) নারী ও গাধা চলাচল করতো।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯১. অধ্যায়ঃ
মুসল্লী ও সুতরার মাঝখানে কী পরিমাণ দুরত্ব থাকা উচিত?
৪৯৬
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ كَانَ بَيْنَ مُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْجِدَارِ مَمَرُّ الشَّاةِ.
সাহ্ল ইব্নু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সালাতের স্থান ও দেয়ালের মাঝখানে একটা বকরী চলার মত ব্যবধান ছিল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৯৭
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ كَانَ جِدَارُ الْمَسْجِدِ عِنْدَ الْمِنْبَرِ مَا كَادَتِ الشَّاةُ تَجُوزُهَا.
সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মসজিদের দেয়াল ছিল মিম্বারের এত নিকট যে, মাঝখান দিয়ে একটা বকরীরও চলাচল কঠিন ছিল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯২. অধ্যায়ঃ
বর্শা সামনে রেখে সালাত আদায়
৪৯৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُرْكَزُ لَهُ الْحَرْبَةُ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সামনে বর্শা পুঁতে রাখা হতো, আর তিনি সেদিকে সালাত আদায় করতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৩. অধ্যায়ঃ
লৌহযুক্ত ছড়ি সামনে রেখে সালাত আদায়।
৪৯৯
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْهَاجِرَةِ، فَأُتِيَ بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ فَصَلَّى بِنَا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ، وَالْمَرْأَةُ وَالْحِمَارُ يَمُرُّونَ مِنْ وَرَائِهَا.
আওন ইব্নু আবূ জুহাইফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতার কাছ হতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ একদা দুপুরে আমাদের সামনে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাশরীফ আনলেন। তাঁকে উযূর পানি দেয়া হলো। তিনি উযূ করলেন এবং আমাদের নিয়ে যুহর ও আসরের সালাত আদায় করলেন। সালাতের সময় তাঁর সামনে ছিল বল্লম, যার বাইরের দিক দিয়ে নারী ও গাধা চলাচল করতো।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَاذَانُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلاَمٌ وَمَعَنَا عُكَّازَةٌ أَوْ عَصًا أَوْ عَنَزَةٌ وَمَعَنَا إِدَاوَةٌ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ نَاوَلْنَاهُ الإِدَاوَةَ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে রের হতেন, তখন আমি ও একজন বালক তাঁর পিছনে যেতাম। আর আমাদের সাথে থাকতো একটা লাঠি বা একটা ছড়ি অথবা একটা ছোট নেযা, আরো থাকতো একটা পানির পাত্র। তিনি তাঁর প্রয়োজন সেরে নিলে আমরা তাঁকে ঐ পাত্রটি দিতাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৪. অধ্যায়ঃ
মক্কা ও অন্যান্য স্থানে সুত্রা
৫০১
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْهَاجِرَةِ فَصَلَّى بِالْبَطْحَاءِ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، وَنَصَبَ بَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةً، وَتَوَضَّأَ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَتَمَسَّحُونَ بِوَضُوئِهِ.
আবূ জুহাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একদা দুপুরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে তাশরীফ আনলেন। তিনি ‘বাতহা’ নামক স্থানে যোহর ও ‘আসরের সালাত দু-দু’রাক’আত করে আদায় করলেন। তখন তাঁর সামনে একটা লৌহযুক্ত ছড়ি পুঁতে রাখা হয়েছিল। তিনি যখন উযূ করছিলেন, তখন সাহাবীগণ তাঁর উযূর পানি নিজেদের শরীরে (বারাকাতের জন্য) মাস্হ্ করতে লাগলো।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৫. অধ্যায়ঃ
খুঁটি (থাম) সামনে রেখে সালাত আদায়
‘উমর (রাঃ) বলেনঃ বাক্যালাপে রত ব্যক্তিদের চাইতে মুসল্লীরাই স্তম্ভ সামনে রাখার বেশী অধিকারি । এক সময় ইব্ন ‘উমর (রাঃ) দেখলেন, এক ব্যক্তি দুটো স্তম্ভের মাঝখানে সালাত আদায় করছে । তখন তিনি তাকে একটি স্তম্ভের কাছে এনে বললেনঃ এটি সামনে রেখে সালাত আদায় কর
৫০২
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ كُنْتُ آتِي مَعَ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ فَيُصَلِّي عِنْدَ الأُسْطُوَانَةِ الَّتِي عِنْدَ الْمُصْحَفِ. فَقُلْتُ يَا أَبَا مُسْلِمٍ أَرَاكَ تَتَحَرَّى الصَّلاَةَ عِنْدَ هَذِهِ الأُسْطُوَانَةِ. قَالَ فَإِنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَحَرَّى الصَّلاَةَ عِنْدَهَا.
ইয়াযীদ ইব্নু আবূ উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি সালামা ইব্নুল আকওয়া (রাঃ)–এর নিকট আসতাম। তিনি সর্বদা মসজিদে নাববীর সেই স্বম্ভের নিকট সালাত আদায় করতেন যা ছিল মাসহাফের নিকটবর্তী। আমি তাঁকে বললামঃ হে আবূ মুসলিম! আমি আপনাকে সর্বদা এই স্তম্ভ খুঁজে বের করে সামনে রেখে সালাত আদায় করতে দেখি (এর কারণ কী?) তিনি বললেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে এটি খুঁজে বের করে এর নিকট সালাত আদায় করতে দেখেছি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৩
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ كِبَارَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَبْتَدِرُونَ السَّوَارِيَ عِنْدَ الْمَغْرِبِ. وَزَادَ شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ أَنَسٍ حَتَّى يَخْرُجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর বিশিষ্ট সাহাবীদের পেয়েছি। তাঁরা মাগরিবের সময় দ্রুত স্তম্ভের নিকট যেতেন। শু’বাহ (রাঃ) ‘আমর (রহঃ) সূত্রে আনাস (রাঃ) হতে (এ হাদীসে) অতিরিক্ত বলেছেনঃ ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেরিয়ে আসা পর্যন্ত।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৬. অধ্যায়ঃ
জামা’য়াত ব্যতীত স্তম্ভসমূহের মাঝখানে সালাত আদায় করা।
৫০৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ وَبِلاَلٌ، فَأَطَالَ ثُمَّ خَرَجَ، وَكُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ دَخَلَ عَلَى أَثَرِهِ فَسَأَلْتُ بِلاَلاً أَيْنَ صَلَّى قَالَ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ الْمُقَدَّمَيْنِ.
ইব্নু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ–এ প্রবেশ করেছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন উসামা ইব্নু যায়দ (রাঃ), ‘উসমান ইব্নু ত্বলহা (রাঃ) এবং বিলাল (রাঃ)। তিনি অনেকক্ষণ ভিতরে ছিলেন। অতঃপর বের হলেন। আর আমিই প্রথম ব্যক্তি যে তাঁর পরে প্রবেশ করেছে। আমি বিলাল (রাঃ)–কে জিজ্ঞেস করলামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথায় সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেনঃ সামনের দুই খুঁটির মধ্যখানে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫০৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْكَعْبَةَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَبِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْحَجَبِيُّ فَأَغْلَقَهَا عَلَيْهِ وَمَكَثَ فِيهَا، فَسَأَلْتُ بِلاَلاً حِينَ خَرَجَ مَا صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ جَعَلَ عَمُودًا عَنْ يَسَارِهِ، وَعَمُودًا عَنْ يَمِينِهِ، وَثَلاَثَةَ أَعْمِدَةٍ وَرَاءَهُ، وَكَانَ الْبَيْتُ يَوْمَئِذٍ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ، ثُمَّ صَلَّى. وَقَالَ لَنَا إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ وَقَالَ عَمُودَيْنِ عَنْ يَمِينِهِ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর উসামা ইব্নু যায়দ, বিলাল এবং উসমান ইব্নু তালহা হাজাবী (রাঃ) কা’বায় প্রবেশ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর প্রবেশের সাথে সাথে উসমান (রাঃ) কা’বার দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা কিছুক্ষণ ভিতরে ছিলেন। বিলাল (রাঃ) বের হলে আমি তাঁকে বললামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী করলেন? তিনি বললেনঃ একটা খুঁটি বাম দিকে, একটা খুঁটি ডান দিকে আর তিনটা খুঁটি পেছনে রাখলেন। আর তখন বায়তুল্লাহ্ ছিল ছয়টি খুঁটি বিশিষ্ট। অতঃপর তিনি সালাত আদায় করলেন।
[ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন] ইসমাঈল (রহঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, ইমাম মালিক (রহঃ) বলেছেন যে, তাঁর (নবীর) ডান পাশে দু’টো স্তম্ভ ছিল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৭. অধ্যায়ঃ
৮/৯৭. অধ্যায়ঃ
৫০৬
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، كَانَ إِذَا دَخَلَ الْكَعْبَةَ مَشَى قِبَلَ وَجْهِهِ حِينَ يَدْخُلُ، وَجَعَلَ الْبَابَ قِبَلَ ظَهْرِهِ، فَمَشَى حَتَّى يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِدَارِ الَّذِي قِبَلَ وَجْهِهِ قَرِيبًا مِنْ ثَلاَثَةِ أَذْرُعٍ، صَلَّى يَتَوَخَّى الْمَكَانَ الَّذِي أَخْبَرَهُ بِهِ بِلاَلٌ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِيهِ. قَالَ وَلَيْسَ عَلَى أَحَدِنَا بَأْسٌ إِنْ صَلَّى فِي أَىِّ نَوَاحِي الْبَيْتِ شَاءَ.
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) যখন কা’বা শরীফে প্রবেশ করতেন তখন সামনের দিকে চলতে থাকতেন এবং দরজা পেছনে রাখতেন। এভাবে এগিয়ে গিয়ে যেখানে তাঁর ও দেওয়ালের মাঝে প্রায় তিন হাত পরিমাণ ব্যবধান থাকতো, সেখানে তিনি সালাত আদায় করতেন। তিনি সে স্থানেই সালাত আদায় করতে চাইতেন, যেখানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করেছিলেন বলে বিলাল (রাঃ) তাঁকে খবর দিযেছিলেন। তিনি বলেনঃ কা’বা ঘরে যে-কোন প্রান্তে ইচ্ছা, সালাত আদায় করাতে আমাদের কোন দোষ নেই।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৮. অধ্যায়ঃ
উটনী, উট, গাছ ও হাওদা সামনে রেখে সালাত সম্পাদন করা।
৫০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يُعَرِّضُ رَاحِلَتَهُ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا. قُلْتُ أَفَرَأَيْتَ إِذَا هَبَّتِ الرِّكَابُ. قَالَ كَانَ يَأْخُذُ هَذَا الرَّحْلَ فَيُعَدِّلُهُ فَيُصَلِّي إِلَى آخِرَتِهِ ـ أَوْ قَالَ مُؤَخَّرِهِ ـ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ يَفْعَلُهُ.
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটনীকে সামনে রেখে সালাত আদায় করতেন। [রাবী নাফি (রহঃ) বলেন] আমি [আবদুল্লাহ্ ইব্নু উনার (রাঃ) কে] জিজ্ঞেস করলামঃ যখন সওয়ারী নড়াচড়া করত তখন (তিনি কি করতেন?) তিনি বলেনঃ তিনি তখন হাওদা নিয়ে সোজা করে নিজের সামনে রাখতেন, আর তার শেষাংশের দিকে সালাত আদায় করতেন। [নাফি (রহঃ) বলেনঃ ] ইব্নু ‘উমর (রাঃ)- ও তা করতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/৯৯. অধ্যায়ঃ
চৌকি সামনে রেখে সালাত আদায় করা।
৫০৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَعَدَلْتُمُونَا بِالْكَلْبِ وَالْحِمَارِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي مُضْطَجِعَةً عَلَى السَّرِيرِ، فَيَجِيءُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَيَتَوَسَّطُ السَّرِيرَ فَيُصَلِّي، فَأَكْرَهُ أَنْ أُسَنِّحَهُ فَأَنْسَلُّ مِنْ قِبَلِ رِجْلَىِ السَّرِيرِ حَتَّى أَنْسَلَّ مِنْ لِحَافِي.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তোমরা আমাদেরকে কুকুর, গাধার সমান করে ফেলেছ! আমি নিজে এ অবস্থায় ছিলাম যে, আমি চৌকির উপর শুয়ে থাকতাম আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে চৌকির মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন। এভাবে আমি সামনে থাকা পছন্দ করতাম না। তাই আমি চৌকির পায়ের দিকে সরে গিয়ে চুপি চুপি নিজের লেপ হতে বেরিয়ে পড়তাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০০. অধ্যায়ঃ
সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীকে মুসল্লীর বাধা দেয়া উচিত।
ইব্ন উমার (রাঃ) তাশাহ্হুদে বসা অবস্থায় এবং কা‘বা শরীফেও (অতিক্রমকারীকে) বাধা দিয়েছেন এবং তিনি বলেন, সে অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করে লড়তে চাইলে মুসুল্লী তার সাথে লড়বে
৫০৯
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَحَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَدَوِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ قَالَ رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ يُصَلِّي إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ شَابٌّ مِنْ بَنِي أَبِي مُعَيْطٍ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَدَفَعَ أَبُو سَعِيدٍ فِي صَدْرِهِ، فَنَظَرَ الشَّابُّ فَلَمْ يَجِدْ مَسَاغًا إِلاَّ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَعَادَ لِيَجْتَازَ فَدَفَعَهُ أَبُو سَعِيدٍ أَشَدَّ مِنَ الأُولَى، فَنَالَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَى مَرْوَانَ فَشَكَا إِلَيْهِ مَا لَقِيَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَدَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ خَلْفَهُ عَلَى مَرْوَانَ فَقَالَ مَا لَكَ وَلاِبْنِ أَخِيكَ يَا أَبَا سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْهُ، فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ، فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ”.
আবু সালেহ সাম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আবু সা’ইদ খুদরী (রাঃ) কে দেখেছি। তিনি জুম’আর দিন লোকদের জন্য সুতরা হিসেবে কোন কিছু সামনে রেখে সালাত আদায় করছিলেন। আবু মু’আইত গোত্রের এক যুবক তার সামনে দিয়ে যেতে চাইল। আবু সা’ইদ খুদরী (রাঃ) তার বুকে ধাক্কা মারলেন। যুবকটি লক্ষ্য করে দেখল যে, তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এজন্য সে পুনরায় তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। এবারে আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) প্রথমবারের চেয়ে জোরে ধাক্কা দিলেন। ফলে আবু সাইদ (রাঃ) কে তিরস্কার করে সে মারওয়ানের নিকট গিয়ে আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। এদিকে তার পরপরই আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) মারওয়ানের নিকট গেলেন। মারওয়ান তাঁকে বললেনঃ হে আবু সাইদ! তোমার এই ভাতিজার কি ঘটেছে? তিনি জবাব দিলেন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি লোকদের জন্য সামনে সুতরা রেখে সালাত আদায় করে, আর কেউ যদি তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে যেন সে তাকে বাঁধা দেয়। সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) যেন তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০১. অধ্যায়ঃ
সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর গুনাহ।
৫১০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي فَقَالَ أَبُو جُهَيْمٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ”. قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِي أَقَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً.
বুসর ইব্নু সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যায়দ ইব্নু খালিদ (রাঃ) তাঁকে আবূ জুহায়ম (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন, যেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর সম্পর্কে তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কি শুনেছেন। তখন আবু জুহায়ম (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানতো এটা তার কত বড় অপরাধ, তাহলে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করতো।
আবুন-নাযর (রহঃ) বলেনঃ আমার জানা নেই তিনি কি চল্লিশ দিন বা মাস কিংবা চল্লিশ বছর বলেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০২. অধ্যায়ঃ
কারো দিকে মুখ করে সালাত আদায়।
‘উসমান (রাঃ) সালাতরত অবস্থায় কাউকে সামনে রাখা মাকরূহ মনে করতেন । এ হুকুম তখনই প্রযোজ্য যখন তা মুসল্লীকে অন্যমনস্ক করে দেয় । কিন্তু যখন অন্যমনস্ক করে না, তখন যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ)-এর মতানুসারে কোন ক্ষতি নেই । তিনি বলেনঃ একজন আরেক জনের সালত নষ্ট করতে পারে না
৫১১
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ ـ يَعْنِي ابْنَ صُبَيْحٍ ـ عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ فَقَالُوا يَقْطَعُهَا الْكَلْبُ وَالْحِمَارُ وَالْمَرْأَةُ. قَالَتْ قَدْ جَعَلْتُمُونَا كِلاَبًا، لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ يُصَلِّي، وَإِنِّي لَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ، وَأَنَا مُضْطَجِعَةٌ عَلَى السَّرِيرِ، فَتَكُونُ لِي الْحَاجَةُ، فَأَكْرَهُ أَنْ أَسْتَقْبِلَهُ فَأَنْسَلُّ انْسِلاَلاً. وَعَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার তাঁর সামনে সালাত নষ্টকারী জিনিস সম্পর্কে আলোচনা করা হল। লোকেরা বললোঃ কুকুর, গাধা ও মহিলা সালাত নষ্ট করে দেয়। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তোমরা আমাদেরকে কুকুরের সমান করে দিয়েছ! আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি, সালাত আদায় করছেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম। কোন কোন সময় আমার বের হবার দরকার হতো এবং তাঁর সামনের দিকে যাওয়া অপছন্দ করতাম। এজন্য আমি চুপে চুপে সরে পড়তাম। আ’মাশ (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৩. অধ্যায়ঃ
ঘুমন্ত ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায়।
৫১২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا رَاقِدَةٌ مُعْتَرِضَةٌ عَلَى فِرَاشِهِ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَيْقَظَنِي فَأَوْتَرْتُ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করতেন আর আমি তখন তাঁর বিছানায় আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। বিতর পড়ার সময় তিনি আমাকেও জাগাতেন, তখন আমিও বিতর পড়তাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৪. অধ্যায়ঃ
মহিলার পেছনে থেকে নফল সালাত আদায়।
৫১৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرِجْلاَىَ فِي قِبْلَتِهِ، فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَىَّ، فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا. قَالَتْ وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে শুয়ে থাকতাম আর আমার পা দু’টো থাকত তাঁর কিবলার দিকে। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন আমাকে টোকা দিতেন, আর আমি পা সরিয়ে নিতাম। তিনি দাঁড়িয়ে গেলে পুনরায় পা দু’টো প্রসারিত করে দিতাম। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ তখন ঘরে কোন বাতি ছিল না।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৫. অধ্যায়ঃ
কোন কিছু সালাত নষ্ট করে না বলে যিনি মত পোষণ করেন।
৫১৪
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ،. قَالَ الأَعْمَشُ وَحَدَّثَنِي مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، ذُكِرَ عِنْدَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلاَةَ الْكَلْبُ وَالْحِمَارُ وَالْمَرْأَةُ فَقَالَتْ شَبَّهْتُمُونَا بِالْحُمُرِ وَالْكِلاَبِ، وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي، وَإِنِّي عَلَى السَّرِيرِ ـ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ مُضْطَجِعَةً فَتَبْدُو لِي الْحَاجَةُ، فَأَكْرَهُ أَنْ أَجْلِسَ فَأُوذِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْسَلُّ مِنْ عِنْدِ رِجْلَيْهِ.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর সামনে সালাত নষ্টকারী কুকুর, গাধা ও নারী সমন্ধে আলোচনা চলছিল। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তোমরা আমাদেরকে গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনা করছ? আল্লাহ্র কসম! আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সালাত আদায় করতে দেখেছি। তখন আমি চৌকির উপরে তাঁর ও কিবলার মাঝখানে শুয়ে ছিলাম। আমার প্রয়োজন হলে আমি তাঁর সামনে বসা খারাপ মনে করতাম। তাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কষ্ট হতে পারে। আমি তাঁর পায়ের পাশে চুপিসারে বের হয়ে যেতাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ سَأَلَ عَمَّهُ عَنِ الصَّلاَةِ، يَقْطَعُهَا شَىْءٌ فَقَالَ لاَ يَقْطَعُهَا شَىْءٌ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ فَيُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، وَإِنِّي لَمُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ عَلَى فِرَاشِ أَهْلِهِ.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে উঠে সালাতে দাঁড়াতেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝখানে আড়াআড়িভাবে তাঁর পরিজনদের বিছানায় শুয়ে থাকতাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৬. অধ্যায়ঃ
সালাতে নিজের ঘাড়ে কোন ছোট মেয়েকে তুলে নেয়া।
৫১৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي وَهْوَ حَامِلٌ أُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلأَبِي الْعَاصِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا، وَإِذَا قَامَ حَمَلَهَا.
আবু কাতাদা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মেয়ে যয়নবের গর্ভজাত ও আবুল আস ইব্নু রাবী’আ ইব্নু আবদ শামস (রহঃ) এর ঔরসজাত কন্যা উমামা (রাঃ) কে কাঁধে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যখন সিজদায় যেতেন তখন তাকে রেখে দিতেন আর যখন দাঁড়াতেন তখন তাকে তুলে নিতেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৭. অধ্যায়ঃ
এমন বিছানা সামনে রেখে সালাত আদায় করা যাতে ঋতুবতী মহিলা রয়েছে।
৫১৭
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي خَالَتِي، مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ قَالَتْ كَانَ فِرَاشِي حِيَالَ مُصَلَّى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرُبَّمَا وَقَعَ ثَوْبُهُ عَلَىَّ وَأَنَا عَلَى فِرَاشِي.
মাইমুনা বিনতু হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমার বিছানা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর মুসাল্লার বরাবর ছিল। আর আমি আমার বিছানায় থাকা অবস্থায় কোন কোন সময় তাঁর কাপড় আমার গায়ে এসে পড়তো।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، سُلَيْمَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، تَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ نَائِمَةٌ، فَإِذَا سَجَدَ أَصَابَنِي ثَوْبُهُ، وَأَنَا حَائِضٌ. وَزَادَ مُسَدَّدٌ عَنْ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، وَأَنَا حَائِضٌ.
মাইমুনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশে শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন তাঁর কাপড় আমার গায়ে এসে পড়তো। সে সময় আমি ঋতুবতী ছিলাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৮. অধ্যায়ঃ
সিজদার সুবিধার্থে নিজ স্ত্রীকে সিজদার সময় স্পর্শ করা।
৫১৯
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ بِئْسَمَا عَدَلْتُمُونَا بِالْكَلْبِ وَالْحِمَارِ، لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي، وَأَنَا مُضْطَجِعَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ غَمَزَ رِجْلَىَّ فَقَبَضْتُهُمَا.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তোমরা আমাদেরকে কুকুর ও গাধার সমান করে বড়ই খারাপ করেছ। অথচ আমি নিজেকে এ অবস্থায় দেখেছি যে, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায়ের সময় আমি তাঁর ও কিবলার মাঝখানে আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন সিজদা করার ইচ্ছা করতেন তখন আমার পা দু’টোতে টোকা মারতেন আর আমি আমার পা গুটিয়ে নিতাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮/১০৯. অধ্যায়ঃ
মুসল্লির দেহ হতে মহিলা কর্তৃক অপবিত্রতা পরিষ্কার করা।
৫২০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ السُّرْمَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يُصَلِّي عِنْدَ الْكَعْبَةِ، وَجَمْعُ قُرَيْشٍ فِي مَجَالِسِهِمْ إِذْ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ أَلاَ تَنْظُرُونَ إِلَى هَذَا الْمُرَائِي أَيُّكُمْ يَقُومُ إِلَى جَزُورِ آلِ فُلاَنٍ، فَيَعْمِدُ إِلَى فَرْثِهَا وَدَمِهَا وَسَلاَهَا فَيَجِيءُ بِهِ، ثُمَّ يُمْهِلُهُ حَتَّى إِذَا سَجَدَ وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ فَانْبَعَثَ أَشْقَاهُمْ، فَلَمَّا سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، وَثَبَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاجِدًا، فَضَحِكُوا حَتَّى مَالَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ مِنَ الضَّحِكِ، فَانْطَلَقَ مُنْطَلِقٌ إِلَى فَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ وَهْىَ جُوَيْرِيَةٌ، فَأَقْبَلَتْ تَسْعَى وَثَبَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاجِدًا حَتَّى أَلْقَتْهُ عَنْهُ، وَأَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ تَسُبُّهُمْ، فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ قَالَ ” اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ، اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ، اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ ـ ثُمَّ سَمَّى ـ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِعَمْرِو بْنِ هِشَامٍ، وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَعُمَارَةَ بْنِ الْوَلِيدِ ”. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَوَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى يَوْمَ بَدْرٍ، ثُمَّ سُحِبُوا إِلَى الْقَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَأُتْبِعَ أَصْحَابُ الْقَلِيبِ لَعْنَةً ”.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন একদা রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার নিকট দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আর কুরাইশের একদল তাদের মাজলিশে উপবিষ্ট ছিল। তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বললঃ তোমরা কি এই রিয়াকারকে লক্ষ্য করছ না? তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে অমুক গোত্রের উট যবহ্ করার স্থান পর্যন্ত যেতে পার? সেখান হতে গোবর, রক্ত, ও নাড়িভুঁড়ি নিয়ে এসে অপেক্ষা করবে। যখন তিনি সিজদায় যাবেন, তখন এগুলো তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে রেখে দিবে। এ কাজের জন্য তাদের চরম দুর্ভাগা ব্যক্তি (‘উক্ববাহ ইব্নু আবু মু’আইত) উঠে দাঁড়াল (এবং তা নিয়ে আসলো)। যখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদায় গেলেন তখন সে তাঁর দু’কাঁধের মাঝখানে সেগুলো রেখে দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদায় স্থির রয়ে গেলেন। এতে তারা পরস্পর হাসাহাসি করতে লাগলো। এমনকি হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ের উপর লুটোপুটি করতে লাগলো। এ অবস্থা দেখে এক ব্যক্তি ফাতিমা (রাঃ) এঁর নিকট গেলেন। তখন তিনি ছিলেন ছোট বালিকা। তিনি দৌড়ে চলে এলেন। তখনও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদায় স্থির ছিলেন। অবশেষে তিনি ফাতিমা (রাঃ) সেগুলো তাঁর উপর হতে ফেলে দিলেন এবং মুশরিকদের লক্ষ্য করে তিরস্কার করতে লাগলেন। যখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত শেষ করলেন তখন তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ্! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।” “হে আল্লাহ্! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।” “আল্লাহ্! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর।” অতঃপর তিনি নাম নিয়ে বললেনঃ “হে আল্লাহ্! তুমি আমার ইব্নু হিশাম, উত’বাহ ইব্নু রাবি’আহ, শায়বাহ ইব্নু রাবি’আহ, ওয়ালীদ ইব্নু উত’বাহ, উমায়্যাহ ইব্নু খালাফ, ‘উকবা ইব্নু আবু মু’আইত এবং ‘উমরাহ ইব্নু ওয়ালীদ কে ধ্বংস কর।” আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! আমি এদের সকলকেই বদরের দিন লাশ হয়ে পরে থাকতে দেখেছি। অতঃপর তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে বদর কূপে নিক্ষেপ করা হয়। অতঃপর আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ এই কুয়াবাসীদের উপর চিরস্থায়ী অভিসম্পাত।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস