বুখারী কোমল হওয়া অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৬৫০১ – ৬৫৯৩

৮১/৩৮. অধ্যায় :

বিনীত হওয়া

৬৫০১

مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ كَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَاقَةٌ قَالَ ح و حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا الْفَزَارِيُّ وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَتْ نَاقَةٌ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تُسَمَّى الْعَضْبَاءَ وَكَانَتْ لاَ تُسْبَقُ فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى قَعُودٍ لَهُ فَسَبَقَهَا فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ وَقَالُوا سُبِقَتْ الْعَضْبَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يَرْفَعَ شَيْئًا مِنْ الدُّنْيَا إِلاَّ وَضَعَهُ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর “আয্‌বা” নামের একটি উটনী ছিল। তাকে অতিক্রম করে যাওয়া যেত না। একবার একজন বেদুঈন তার একটি উটে সাওয়ার হয়ে আসলে সেটি তাকে (অর্থাৎ ‘আয্‌বাকে) অতিক্রম করে গেল। মুসলিমদের কাছে তা মনোকষ্টের কারণ হল। তারা বলল যে, আয্‌বাকে তো অতিক্রম করে গেল। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্‌র কর্তব্য হল, কোন কিছুকে অবনত করে দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫০২

مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ كَرَامَةَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ حَدَّثَنِي شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لأُ×عْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لأعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোন কাজ করতে চাইলে তা করতে কোন দ্বিধা করি-না, যতটা দ্বিধা করি মু’মিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। [৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৬] হাদীসটিতে খাঁটি বান্দার গুণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে যার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আল্লাহ্‌র নির্দেশের বাহিরে তিল পরিমাণও অগ্রসর হয় না । বান্দা মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর ওদিকে আল্লাহ্‌ বলেন ওহে প্রশান্তিময় আত্মা! চলে আসো তোমার প্রতিপালকের কাছে সন্তুষ্টি সহকারে এবং সন্তোষের পাত্র হয়ে আমার (সম্মানিত) বান্দাদের মধ্যে প্রবেশ কর আর প্রবেশ কর আমার জান্নাতে- (আল ফজর-২৯-৩০)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩৯. অধ্যায় :

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী : “আমাকে ও কিয়ামাতকে পাঠানো হয়েছে এ দু’টি আঙ্গুলের মত” । আল্লাহ্‌র ইরশাদঃ : ক্বিয়ামাতের ব্যাপার তো চোখের পলকের মত বরং তাত্থেকেও দ্রুত । আল্লাহ্ সব কিছু করতেই সক্ষম । (সূরাহ নাহল ১৬/৭৭)

৬৫০৩

سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ عَنْ سَهْلٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ هَكَذَا وَيُشِيرُ بِإِصْبَعَيْهِ فَيَمُدُّ بِهِمَا

সাহ্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে পাঠানো হয়েছে কিয়ামতের সঙ্গে এভাবে। এ বলে তিনি তাঁর দু’ আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে সে দুটোকে প্রসারিত করলেন। [৩৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৭] হাদীসটি কিয়ামাত যে অতি সন্নিকটে তার দিকে ইঙ্গিতবহ । শেষ নাবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পৃথিবীতে আগমন কিয়ামাতের প্রথম নিদর্শন । কিয়ামাতের অনেক আলামাতই প্রকাশিত হয়ে গেছে যা আমরা দেখতে পাচ্ছি । ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ছে, আমানাত বিদায় নিচ্ছে, ইল্‌ম উঠে যাচ্ছে, ফাসিক ফাজিররা সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে, গায়ক গায়িকাদের দারুনভাবে কদর করা হচ্ছে । এখন কিয়ামাত কোন মুহূর্তে ঘটবে সেটাতো কেবল আল্লাহ্‌ই জানেন । কিয়ামতের পূর্বে কিয়ামতের নিদর্শনসমূহের অগ্রগামিতার হিকমত হল, গাফিলদের সতর্ক করা এবং তাওবাহ ও কিয়ামাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহনে উৎসাহ প্রদান । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫০৪

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ هُوَ الجُعْفِيُّ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ وَأَبِي التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ كَهَاتَيْنِ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে পাঠানো হয়েছে ক্বিয়ামাতের সঙ্গে এ রকম। [মুসলিম ৫২/২৬, হাঃ ২৯৫১, আহমাদ ১৩৩১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫০৫

يَحْيَى بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ يَعْنِي إِصْبَعَيْنِ تَابَعَهُ إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে ও ক্বিয়ামাতকে পাঠানো হয়েছে এ দু’টি (আঙ্গুলের) ন্যায়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪০. অধ্যায় :

কেয়ামতের লক্ষন

৬৫০৬

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا فَإِذَا طَلَعَتْ فَرَآهَا النَّاسُ آمَنُوا أَجْمَعُونَ فَذَلِكَ حِينَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ نَشَرَ الرَّجُلاَنِ ثَوْبَهُمَا بَيْنَهُمَا فَلاَ يَتَبَايَعَانِهِ وَلاَ يَطْوِيَانِهِ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ انْصَرَفَ الرَّجُلُ بِلَبَنِ لِقْحَتِهِ فَلاَ يَطْعَمُهُ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَهُوَ يَلِيطُ حَوْضَهُ فَلاَ يَسْقِي فِيهِ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ رَفَعَ أَحَدُكُمْ أُكْلَتَهُ إِلَى فِيهِ فَلاَ يَطْعَمُهَا

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে। যখন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে, আর লোকজন তা দেখবে, তখন সকলেই ঈমান আনবে। এ সম্পর্কেই (আল্লাহ্‌র বাণী) “তখন তার ঈমান কাজে আসবে না ইতোপূর্বে যে ঈমান আনেনি, কিংবা যে ব্যক্তি ঈমান এনে নেক কাজ করেনি। ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে (এ অবস্থায়) যে, দু’ব্যক্তি (বেচা কেনার) জন্য পরস্পরের সামনে কাপড় ছড়িয়ে রাখবে। কিন্তু তারা বেচাকেনার সময় পাবে না। এমন কি তা ভাঁজ করারও সময় পাবে না। আর ক্বিয়ামাত (এমন অবস্থায়) অবশ্যই সংঘটিত হবে যে, কোন ব্যক্তি তার উষ্ট্রীর দুধ দোহন করে রওয়ানা হবে কিন্তু তা পান করার সুযোগ পাবে না। আর ক্বিয়ামাত (এমন অবস্থায়) সংঘটিত হবে যে, কোন ব্যক্তি (তার পশুকে পানি পান করানোর জন্য) চৌবাচ্চা তৈরি করবে কিন্তু সে এ পানি থেকে পানি পান করানোর সময়ও পাবে না। আর ক্বিয়ামাত (এমন অবস্থায়) কায়েম হবে যে, কোন ব্যক্তি তার মুখ পর্যন্ত লোক্‌মা উঠাবে, কিন্তু সে তা খাওয়ার সময় ও সুযোগ পাবে না। [৮৫; মুসলিম ৫২/২৬, হাঃ ২৯৫৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪১. অধ্যায় :

যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ পছন্দ করে, আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন ।

৬৫০৭

حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ أَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ كَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ قَالَتْ عَائِشَةُ أَوْ بَعْضُ أَزْوَاجِهِ إِنَّا لَنَكْرَهُ الْمَوْتَ قَالَ لَيْسَ ذَاكِ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بُشِّرَ بِرِضْوَانِ اللهِ وَكَرَامَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ فَأَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ وَأَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا حُضِرَ بُشِّرَ بِعَذَابِ اللهِ وَعُقُوبَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَهَ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ وَكَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ اخْتَصَرَهُ أَبُو دَاوُدَ وَعَمْرٌو عَنْ شُعْبَةَ وَقَالَ سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ عَنْ سَعْدٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

উবাদাহ ইব্‌নু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ পছন্দ করে না, আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন না। তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ) অথবা তাঁর অন্য কোন স্ত্রী বললেন, আমরাও তো মৃত্যুকে পছন্দ করি না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে, যখন মু’মিনের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও তার সম্মানিত হবার খোশ খবর শোনানো হয়। তখন তার সামনের খোশ খবরের চেয়ে তার নিকট অধিক পছন্দনীয় কিছু হতে পারে না। কাজেই সে তখন আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ লাভ করাকেই ভালবাসে, আর আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাৎ ভালবাসেন। আর কাফিরের যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহ্‌র ‘আযাব ও গজবের সুসংবাদ দেয়া হয়। তখন তার সামনে যা থাকে তার চেয়ে তার কাছে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছুই থাকে না। সুতরাং সে তখন আল্লাহ্‌র সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আর আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাত অপছন্দ করেন। [৩৮] [মুসলিম ৪৮/৫, হাঃ ২৬৮৩, ২৬৮৪, আহমাদ ২৪২২৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদীসটি প্রমাণ করে যে, কোন জীবিত ব্যক্তি পৃথিবীতে আল্লাহকে দর্শন করতে পারবে না। বরং মু’মিনরা মৃত্যুর পরে আল্লাহকে স্বচক্ষে দর্শন করবে। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আবূ উমামার (রাঃ) হাদীসটি এর চাইতে আরো স্পষ্ট। যথা : রাসূল (সাঃ) বলেন : إنكم لن تروا ربكم عز وجل حتى تموتوا। (অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বে তোমরা আল্লাহকে কখনই দেখতে পাবে না) (সহীহ জামেইস সগীর) (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫০৮

مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ أَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ كَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ

আবূ মূসা আশ্‌‘আরী (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাক্ষাত ভালবাসে, আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাত ভালবাসেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাক্ষাত ভালবাসে না, আল্লাহ্‌ও তার সাক্ষাত ভালবাসেন না। [মুসলিম ৪৮/৬, হাঃ ২৬৮৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫০৯

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ صَحِيحٌ إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنْ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرُ فَلَمَّا نَزَلَ بِهِ وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِي غُشِيَ عَلَيْهِ سَاعَةً ثُمَّ أَفَاقَ فَأَشْخَصَ بَصَرَهُ إِلَى السَّقْفِ ثُمَّ قَالَ اللهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى قُلْتُ إِذًا لاَ يَخْتَارُنَا وَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَدِيثُ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُنَا بِهِ قَالَتْ فَكَانَتْ تِلْكَ آخِرَ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَوْلُهُ اللهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ অবস্থায় বলতেন যে, কোন নবীরই (জান) কবয করা হয় না, যতক্ষণ না তাঁকে জান্নাতে তার স্থান দেখানো হয়, আর তাঁকে (জীবন অথবা মৃত্যুর) যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার অধিকার না দেয়া হয়। কাজেই যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুকাল আসন্ন হল, তখন তাঁর মাথা আমার রানের উপর ছিল, তখন কিছুক্ষণের জন্য তিনি অচেতন হয়ে পড়লেন। চেতনা ফেরার পর তিনি উপরে ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ‘আল্লাহুম্মার রাফীকাল আলা’ ( ইয়া আল্লাহ্! তুমিই আমার পরম বন্ধু)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, তখনই আমি (মনে মনে) বললাম যে, তিনি এখন আমাদেরকে পছন্দ করবেন না। আর আমি বুঝলাম যে, এটাই সেই কথা, যা তিনি ইতোপূর্বে বর্ণনা করতেন এবং এটাই ছিল তাঁর শেষ কথা, যা তিনি উচ্চারণ করেছেনঃ اللهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى ‘‘হে আল্লাহ্! উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বন্দুর সঙ্গে করে দিন।’’ [৪৪৩৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪২. অধ্যায় :

মৃত্যুর যন্ত্রণা

৬৫১০

مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ أَبَا عَمْرٍو ذَكْوَانَ مَوْلَى عَائِشَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ أَوْ عُلْبَةٌ فِيهَا مَاءٌ يَشُكُّ عُمَرُ فَجَعَلَ يُدْخِلُ يَدَيْهِ فِي الْمَاءِ فَيَمْسَحُ بِهِمَا وَجْهَهُ وَيَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ ثُمَّ نَصَبَ يَدَهُ فَجَعَلَ يَقُولُ فِي الرَّفِيقِ الأَعْلَى حَتَّى قُبِضَ وَمَالَتْ يَدُهُ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ الْعُلْبَةُ مِنْ الْخَشَبِ وَالرَّكْوَةُ مِنْ الأَدَمِ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলতেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে চামড়ার অথবা (বর্ণনাকারী উমরের সন্দেহ) কাঠের একপাত্রে কিছু পানি রাখা ছিল। তিনি তাঁর হাত ঐ পানির মধ্যে ঢুকিয়ে দিতেন। এরপর নিজ চেহারা দু’ হাত দ্বারা মাসহ করতেন আর বলতেন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’, : নিশ্চয়ই মৃত্যুর অনেক যন্ত্রণা। এরপর দু’হাত তুলে বলতে লাগলেন : হে আল্লাহ্‌! উচ্চ মর্যাদা সম্পন্নদের সঙ্গে করে দেন। এ অবস্থাতেই তাঁর (জান) কব্‌য করা হলো। আর তাঁর হাত দু’টো এলিয়ে পড়ল। [৩৯](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৯] মৃত্যুর কষ্ট ও যন্ত্রণা মর্যাদা হ্রাস প্রমাণ করে না । বরং মু’মিনের ক্ষেত্রে তার নেকীকে আরো বৃদ্ধি করে অথবা তার গুনাহকে মিটিয়ে ফেলে । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১১

حَدَّثَنِي صَدَقَةُ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الأَعْرَابِ جُفَاةً يَأْتُونَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيَسْأَلُونَهُ مَتَى السَّاعَةُ، فَكَانَ يَنْظُرُ إِلَى أَصْغَرِهِمْ فَيَقُولُ ‏ “‏ إِنْ يَعِشْ هَذَا لاَ يُدْرِكْهُ الْهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ عَلَيْكُمْ سَاعَتُكُمْ ‏”‏‏.‏ قَالَ هِشَامٌ يَعْنِي مَوْتَهُمْ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক কঠিন মেজাজের গ্রাম্য লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল- ক্বিয়ামাত কবে হবে? তখন তিনি তাদের সর্ব-কনিষ্ঠ লোকটির দিকে তাকিয়ে বললেনঃ যদি এ লোক বেঁচে থাকে তবে তার বুড়ো হবার আগেই তোমাদের উপর তোমাদের ক্বিয়ামাত এসে যাবে। হিশাম বলেন, অর্থাৎ তাদের মৃত্যু। [মুসলিম ৫২/২৬, হাঃ ২৯৫২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১২

إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ الأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُرَّ عَلَيْهِ بِجِنَازَةٍ فَقَالَ مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ مَا الْمُسْتَرِيحُ وَالْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ قَالَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا وَأَذَاهَا إِلَى رَحْمَةِ اللهِ وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلاَدُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ

ক্বাতাদাহ ইব্‌নু রিবঈ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হলো। তিনি বললেনঃ সে সুখী অথবা (অন্য লোকেরা) তার থেকে শান্তি লাভকারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! ‘মুস্তারিহ’ ও মুস্তারাহ মিনহু’-এর অর্থ কি? তিনি বললেনঃ মু’মিন বান্দা দুনিয়ার কষ্ট ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহ্‌র রহমতের দিকে পৌঁছে শান্তি প্রাপ্ত হয়। আর গুনাহগার বান্দার আচার-আচরণ থেকে সকল মানুষ, শহর-বন্দর, বৃক্ষলতা ও জীবজন্তু শাস্তি প্রাপ্ত হয়। [৬৫১৩; মুসলিম ১১/২১, হাঃ ৯৫০, আহমাদ ২২৬৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১৩

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ حَدَّثَنِي ابْنُ كَعْبٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তি হয়ত নিজে শান্তি প্রাপ্ত হবে অথবা লোকজন তার থেকে শান্তি লাভ করবে। মু’মিন (দুনিয়ার কষ্ট হতে) শান্তি লাভ করে। [৬৫১২; মুসলিম ১১/২১, হাঃ ৯৫০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১৪

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি বস্তু মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার ‘আমাল তার অনুসরণ করে। তার পরিবারবর্গ ও তার মাল ফিরে আসে, এবং তার ‘আমাল তার সঙ্গে থেকে যায়।[মুসলিম পর্ব ৫৩/হাঃ ২৯৬০, আহমাদ ১২০৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১৫

أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَاتَ أَحَدُكُمْ عُرِضَ عَلَيْهِ مَقْعَدُهُ غُدْوَةً وَعَشِيًّا إِمَّا النَّارُ وَإِمَّا الْجَنَّةُ فَيُقَالُ هَذَا مَقْعَدُكَ حَتَّى تُبْعَثَ إِلَيْهِ

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে, (কবরে) প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় তার জান্নাত অথবা জাহান্নামের ঠিকানা তার সামনে পেশ করা হয়। এবং বলা হয় যে, এই হলো তোমার ঠিকানা তোমার পুনরুত্থান পর্যন্ত (এটা তোমার সামনে পেশ করা হতে থাকবে)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১৬

عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ تَسُبُّوا الأَمْوَاتَ فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُوا

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না। কারণ তারা তাদের কৃতকর্মের (পরিণাম ফল) পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৩. অধ্যায় :

শিঙ্গায় ফুৎকার ।

মুজাহিদ বলেছেন, শিঙ্গা হচ্ছে ডংকার আকৃতির, ‘যাযরাহ’ অর্থ চিৎকার, এবং ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘নাকুর’ অর্থ শিঙ্গা, ‘রাযিফা’ প্রথম ফুৎকার, ‘নাদিফা’ দ্বিতীয় ফুৎকার ।

৬৫১৭

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ وَعَبْدِ الرَّحْمٰنِ الأَعْرَجِ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ اسْتَبَّ رَجُلاَنِ رَجُلٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَرَجُلٌ مِنْ الْيَهُودِ فَقَالَ الْمُسْلِمُ وَالَّذِي اصْطَفَى مُحَمَّدًا عَلَى الْعَالَمِينَ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْعَالَمِينَ قَالَ فَغَضِبَ الْمُسْلِمُ عِنْدَ ذَلِكَ فَلَطَمَ وَجْهَ الْيَهُودِيِّ فَذَهَبَ الْيَهُودِيُّ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ وَأَمْرِ الْمُسْلِمِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لاَ تُخَيِّرُونِي عَلَى مُوسَى فَإِنَّ النَّاسَ يَصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَكُونُ فِي أَوَّلِ مَنْ يُفِيقُ فَإِذَا مُوسَى بَاطِشٌ بِجَانِبِ الْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَكَانَ مُوسَى فِيمَنْ صَعِقَ فَأَفَاقَ قَبْلِي أَوْ كَانَ مِمَّنْ اسْتَثْنَى اللهُ

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু’ব্যক্তি একে অন্যকে গালমন্দ করল। একজন মুসলিম, অন্যজন ইয়াহূদী। মুসলমান বলল, ঐ সত্তার শপথ, যিনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জগৎবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। ইয়াহূদী বলল, ঐ সত্তার শপথ, যিনি মূসা (আঃ)-কে জগৎবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। রাবী বলেন, এত মুসলিম রেগে গেল এবং ইয়াহূদীর মুখে একটি চড় মারল। তখন ইয়াহূদী রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে তার মাঝে এবং মুসলিমের মাঝে যা ঘটেছিল সে সম্পর্কে তাঁকে জানাল। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমাকে মূসা (আঃ)-এর উপর প্রাধান্য দিও না। কারণ কিয়ামাতের দিন সব মানুষ অচেতন হয়ে যাবে, আর আমিই হব সেই ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম চেতনা ফিরে পাবে। তখন দেখব মূসা (আঃ) আরশের কিনারা ধরে আছেন। আমি জানি না মূসা (আঃ) কি সেই লোক যিনি অচেতন হওয়ার পর আমার আগেই চেতনা ফিরে পেয়েছেন। নাকি তিনি সেই লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে আল্লাহ্‌ অচেতন হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫১৮

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْعَقُ النَّاسُ حِينَ يَصْعَقُونَ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ قَامَ فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِالْعَرْشِ فَمَا أَدْرِي أَكَانَ فِيمَنْ صَعِقَ رَوَاهُ أَبُو سَعِيدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচেতন হওয়ার সময় সব মানুষই অচেতন হবে। আর আমিই হব সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যে চৈতন্য হয়ে দাঁড়াবে। আর সে অবস্থায়, মূসা (আঃ) আরশ ধরে থাকবেন। আমি জানি না, যারা অচৈতন্য হয়েছিল তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত কি না? এ হাদীস আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৪. অধ্যায় :

আল্লাহ্‌ দুনিয়াকে মুষ্ঠিতে ধারণ করবেন ।

এ কথা নাফী‘ (রহঃ) ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন ।

৬৫১৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ، وَيَطْوِي السَّمَاءَ بِيَمِينِهِ، ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الأَرْضِ ‏”‏‏.‏

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (ক্বিয়ামাতের দিন) আল্লাহ্‌ দুনিয়াকে আপন মুষ্ঠিতে আবদ্ধ করবেন আর আকাশকে ডান হাতে গুটিয়ে নিবেন। অতঃপর তিনি বলবেনঃ “আমি একমাত্র বাদশাহ্‌, দুনিয়ার রাজা বাদশাহ্‌রা কোথায়?” [৪০](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪০] স্বীয় ক্ষমতা সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেন, তারা আল্লাহ্‌র যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়না । কিয়ামাতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে, আর আকাশ মন্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে–(সূরাহ আয-যুমার-৬৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২০

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ خَالِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَكُونُ الأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خُبْزَةً وَاحِدَةً يَتَكَفَّؤُهَا الْجَبَّارُ بِيَدِهِ كَمَا يَكْفَأُ أَحَدُكُمْ خُبْزَتَهُ فِي السَّفَرِ نُزُلاً لِأَهْلِ الْجَنَّةِ فَأَتَى رَجُلٌ مِنْ الْيَهُودِ فَقَالَ بَارَكَ الرَّحْمٰنُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِنُزُلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ بَلَى قَالَ تَكُونُ الأَرْضُ خُبْزَةً وَاحِدَةً كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْنَا ثُمَّ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِإِدَامِهِمْ قَالَ إِدَامُهُمْ بَالاَمٌ وَنُونٌ قَالُوا وَمَا هَذَا قَالَ ثَوْرٌ وَنُونٌ يَأْكُلُ مِنْ زَائِدَةِ كَبِدِهِمَا سَبْعُونَ أَلْفًا

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সারা জগৎ একটি রুটি হয়ে যাবে। আর আল্লাহ্‌ জান্নাতীদের মেহমানদারীর জন্য তাকে হাতের মধ্যে নিয়ে এমনভাবে উল্টা-পাল্টা করবেন। যেমন তোমাদের মধ্যে কেউ সফরের সময় তাড়াহুড়া করে এ হাতে সে হাতে নিয়ে রুটি প্রস্তুত করে। এমন সময় এক ইয়াহূদী এসে বলল, হে আবুল কাসিম! দয়াময় আপনার উপর বারাকাত প্রদান করুন। কিয়ামতের দিন জান্নাতবাসীদের মেহমানদারি সম্পর্কে আপনাকে কি জানাব না? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল, (সে দিন) দুনিয়াটা একটি রুটি হয়ে যাবে। যেমন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন (লোকটিও তেমনি বলল)। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে তাকালেন এবং হাসলেন। এমনকি তার চোয়ালের দাঁত গুলো প্রকাশিত হল। এরপর তিনি বললেনঃ তবে কি আমি তোমাদেরকে (তাদের) তরকারী সম্পর্কে বলব না? তিনি বললেনঃ বালাম এবং নুন। সহাবাগন বললেন, সেটা কি জিনিস? তিনি বললেনঃ ষাঁড় এবং মাছ। যাদের কলিজার গুরদা হতে সত্তর হাজার লোক খেতে পারবে।[মুসলিম ৫০/৩, হাঃ ২৭৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২১

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى أَرْضٍ بَيْضَاءَ عَفْرَاءَ كَقُرْصَةِ نَقِيٍّ ‏”‏‏.‏ قَالَ سَهْلٌ أَوْ غَيْرُهُ لَيْسَ فِيهَا مَعْلَمٌ لأَحَدٍ‏.‏

সাহ্‌ল্ ইব্‌নু সা‘দ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামাতের দিন মানুষকে সাদা ধবধবে রুটির ন্যায় যমীনের ওপর একত্রিত করা হবে। সাহ্‌ল বা অন্য কেউ বলেছেন, তার মাঝে কারও কোন পরিচয়ের পতাকা থাকবে না। [মুসলিম ৫০/২, হাঃ ২৭৯০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৫. অধ্যায় :

হাশরের অবস্থা কেমন হবে

৬৫২২

مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى ثَلاَثِ طَرَائِقَ رَاغِبِينَ رَاهِبِينَ وَاثْنَانِ عَلَى بَعِيرٍ وَثَلاَثَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَأَرْبَعَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَعَشَرَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَيَحْشُرُ بَقِيَّتَهُمْ النَّارُ تَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا وَتَبِيتُ مَعَهُمْ حَيْثُ بَاتُوا وَتُصْبِحُ مَعَهُمْ حَيْثُ أَصْبَحُوا وَتُمْسِي مَعَهُمْ حَيْثُ أَمْسَوْا

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ক্বিয়ামাতের দিন মানুষকে একত্রিত করা হবে তিন প্রকারে। একদল হবে আল্লাহ্‌র প্রতি আসক্ত ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত। দ্বিতীয় দল হবে দু’জন, তিনজন, চারজন বা দশজন এক উটের ওপর আরোহণকারী। আর অবশিষ্ট যারা থাকবে অগ্নি তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। যেখানে তারা থামবে আগুনও তাদের সঙ্গে সেখানে থামবে। তারা যেখানে রাত্রি কাটাবে আগুনও সেখানে তাদের সঙ্গে রাত্রি কাটাবে। তারা যেখানে সকাল করবে আগুনও সেখানে তাদের সঙ্গে সকাল করবে। যেখানে তাদের সন্ধ্যা হবে আগুন সেখানেও তাদের সাথে অবস্থান করবে। [মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৬১] (আধুনিক প্রকাশনী-৬০৭২ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৩

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ قَتَادَةَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ كَيْفَ يُحْشَرُ الْكَافِرُ عَلَى وَجْهِهِ قَالَ أَلَيْسَ الَّذِي أَمْشَاهُ عَلَى الرِّجْلَيْنِ فِي الدُّنْيَا قَادِرًا عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ قَتَادَةُ بَلَى وَعِزَّةِ رَبِّنَا

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্‌র নবী! মুখের ভরে কাফিরদেরকে কিভাবে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে? তিনি বললেনঃ দুনিয়াতে যে সত্তা দু’পায়ের উপর হাঁটান, তিনি কি ক্বিয়ামাতের দিন মুখের ভরে করে হাঁটাতে পারবেন না? তখন ক্বাতাদাহ (রাঃ) বললেন, আমাদের প্রতিপালকের ইয্যতের কসম! অবশ্যই (পারবেন)।(আধুনিক প্রকাশনী- ,৬০৭৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৪

عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّكُمْ مُلاَقُو اللهِ حُفَاةً عُرَاةً مُشَاةً غُرْلاً قَالَ سُفْيَانُ هَذَا مِمَّا نَعُدُّ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ سَمِعَهُ مِنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় তোমরা নগ্ন পদে নগ্ন দেহে পায়ে হেঁটে ও খাতনা বিহীন অবস্থায় আল্লাহ্‌র সঙ্গে মিলিত হবে। সুফ্ইয়ান বলেন, এ হাদীসকে ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) এর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বয়ং শুনা হাদীসসমূহের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়। [৩৩৪৯; মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৬০, আহমাদ ১৯১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৫

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ إِنَّكُمْ مُلاَقُو اللهِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে এই বলে খুতবা দিতে শুনেছি যে, নিশ্চয় তোমরা আল্লাহ্‌র সঙ্গে সাক্ষাত করবে নগ্ন পদ, নগ্ন দেহ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৬

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَامَ فِينَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيْدُهُ} الآيَةَ وَإِنَّ أَوَّلَ الْخَلاَئِقِ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ وَإِنَّهُ سَيُجَاءُ بِرِجَالٍ مِنْ أُمَّتِي فَيُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُ {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا مَا دُمْتُ فِيْهِمْ} إِلَى قَوْلِهِ {الْحَكِيْمُ} قَالَ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। এরপর বললেনঃ নিশ্চয়ই তোমাদের হাশর করা হবে নগ্ন পা, নগ্ন দেহে ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। আয়াতঃ {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيْدُهُ} অর্থাৎ আল্লাহ্ বলেন, যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে আবার সৃষ্টি করব। আর ক্বিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম ইব্রাহীম (আঃ)-কে বস্ত্র পরিধান করানো হবে। আমার উম্মাত হতে কিছু লোককে হাজির করা হবে আর তাদেরকে আনা হবে বাম হাতে ‘আমালনামা প্রাপ্তদের ভিতর থেকে। তখন আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক! এরা তো আমার উম্মাত। তখন আল্লাহ্ বলবেনঃ ‘‘তুমি জান না তোমার পরে এরা কী করেছে। তখন আমি নিবেদন করব, যেমন নিবেদন করেছে পুণ্যবান বান্দা অর্থাৎ ‘ঈসা (আঃ)’’ {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا مَا دُمْتُ فِيْهِمْ….. الْحَكِيْمُ} আয়াত পর্যন্ত। অর্থাৎ আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম الْحَكِيْمُ….. পর্যন্ত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এরপর বলা হবে। এরা সর্বদায় দ্বীন ত্যাগ করে পূর্বাবস্থায় ফিরে যেত। [৩৩৪৯; মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৬০, আহমাদ ২০৯৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৭

قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تُحْشَرُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَقَالَ الأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يُهِمَّهُمْ ذَاكِ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষকে হাশরের মাঠে উঠানো হবে নগ্ন পদ, নগ্ন দেহ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তখন বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তখন তাহলে পুরুষ ও নারীগণ একে অপরের দিকে তাকাবে। তিনি বললেনঃ এরকম ইচ্ছা করার চেয়ে তখনকার অবস্থা হবে অতীব সংকটময়। [মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৫৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৮

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قُبَّةٍ فَقَالَ ‏”‏ أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏ قُلْنَا نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ تَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏ قُلْنَا نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا شَطْرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏ قُلْنَا نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْجَنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إِلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ، وَمَا أَنْتُمْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ إِلاَّ كَالشَّعْرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ أَوْ كَالشَّعْرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَحْمَرِ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমরা এক তাঁবুতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের সংখ্যা জান্নাতীদের এক-চতুর্থাংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার বললেনঃ তোমরা জান্নাতীদের এক-তৃতীয়াংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ঐ সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। আমি দৃঢ় আশা রাখি যে, তোমরা জান্নাতীদের অর্ধেক হবে। আর জান্নাতে কেবল মুসলিমগণই প্রবেশ করতে পারবে। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমাদের অবস্থা, যেমন কাল ষাঁড়ের চামড়ার উপর একটি সাদা পশম। অথবা লাল ষাঁড়ের চামড়ার উপর একটি কাল পশম। [৬৬৪২; মুসলিম ১/৯৫, হাঃ ২২১, আহমাদ ৩৬৬১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫২৯

إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي أَخِي عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ ثَوْرٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَوَّلُ مَنْ يُدْعَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ آدَمُ فَتَرَاءَى ذُرِّيَّتُهُ فَيُقَالُ هَذَا أَبُوكُمْ آدَمُ فَيَقُولُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ فَيَقُولُ أَخْرِجْ بَعْثَ جَهَنَّمَ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ كَمْ أُخْرِجُ فَيَقُولُ أَخْرِجْ مِنْ كُلِّ مِائَةٍ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِذَا أُخِذَ مِنَّا مِنْ كُلِّ مِائَةٍ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ فَمَاذَا يَبْقَى مِنَّا قَالَ إِنَّ أُمَّتِي فِي الْأُمَمِ كَالشَّعَرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي الثَّوْرِ الأَسْوَدِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম আদাম (আঃ)-কে ডাকা হবে। তিনি তাঁর সন্তানদের দেখতে পাবেন। তখন তাদেরকে বলা হবে, ইনি তোমাদের পিতা আদাম (আঃ)। তখন তারা বলবে (আরবী) আমরা তোমার খিদমাতে হাযির! এরপর তাঁকে আল্লাহ্ বলবেন, তোমার জাহান্নামী বংশধরকে বের কর। তখন আদাম (আঃ) বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! কী পরিমাণ বের করব? আল্লাহ্ বলবেনঃ প্রতি একশ’ তে নিরানব্বই জনকে বের কর। তখন সহাবাগণ বলে উঠলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! প্রতি একশ’ থেকে নিরানব্বই জনকে বের করা হবে তখন আর আমাদের কে বাকী থাকবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই অন্যান্য সকল উম্মাতের তুলনায় আমার উম্মাত হল কাল ষাঁড়ের গায়ে একটি সাদা চুলের মত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৬. অধ্যায় :

কিয়ামাতের কম্পন এক ভয়ানক জিনিস- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১) । আগমনকারী মুহূর্ত (ক্বিয়ামাত) নিকটবর্তী- (সূরাহ নাজ্‌ম ৫৩/৫৭) । ক্বিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে- (সূরাহ আল-ক্বামার ৫৪/১) ।

৬৫৩০

حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَقُولُ اللَّهُ يَا آدَمُ‏.‏ فَيَقُولُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ‏.‏ قَالَ يَقُولُ أَخْرِجْ بَعْثَ النَّارِ‏.‏ قَالَ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعَمِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ‏.‏ فَذَاكَ حِينَ يَشِيبُ الصَّغِيرُ، وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا، وَتَرَى النَّاسَ سَكْرَى وَمَا هُمْ بِسَكْرَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ‏”‏‏.‏ فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ فَقَالُوا يَا رَسُولُ اللَّهِ أَيُّنَا الرَّجُلُ قَالَ ‏”‏ أَبْشِرُوا، فَإِنَّ مِنْ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ أَلْفٌ وَمِنْكُمْ رَجُلٌ ـ ثُمَّ قَالَ ـ وَالَّذِي نَفْسِي فِي يَدِهِ إِنِّي لأَطْمَعُ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏ قَالَ فَحَمِدْنَا اللَّهَ وَكَبَّرْنَا، ثُمَّ قَالَ ‏”‏ وَالَّذِي نَفْسِي فِي يَدِهِ إِنِّي لأَطْمَعُ أَنْ تَكُونُوا شَطْرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِنَّ مَثَلَكُمْ فِي الأُمَمِ كَمَثَلِ الشَّعَرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ أَوِ الرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الْحِمَارِ ‏”‏‏.‏

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ ডেকে বলবেন, হে আদাম! তিনি বলবেন, আমি তোমার খিদমতে হাযির। যাবতীয় কল্যাণ তোমারই হাতে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্ বলবেন, জাহান্নামীদের (নিক্ষেপ করার জন্য) বের কর। আদাম (আঃ) বলবেন, কী পরিমাণ জাহান্নামী বের করব? আল্লাহ্ বলবেন, প্রতি হাজারে নয়শ’ নিরানব্বই জন। আর এটা ঘটবে ঐ সময়, যখন (ক্বিয়ামাতের ভয়াবহতায়) শিশু বুড়িয়ে যাবে। (আয়াত) : আর প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করে ফেলবে, আর মানুষকে দেখবে মাতাল, যদিও তারা প্রকৃতপক্ষে মাতাল নয়, কিন্তু আল্লাহ্‌র শাস্তি বড়ই কঠিন (যার কারণে তাদের ঐ অবস্থা ঘটবে)- (সূরাহ হাজ্জ ২২/২)। এ ব্যাপারটি সহাবাগণের নিকট বড় কঠিন মনে হল। তখন তাঁরা বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের মধ্য থেকে (মুক্তি প্রাপ্ত) সেই লোকটি কে হবেন? তিনি বললেনঃ তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর যে ইয়াযুয ও মাযূয থেকে এক হাজার আর তোমাদের হবে একজন। এরপর তিনি বললেনঃ শপথ ঐ সত্তার, যাঁর করতলে আমার প্রাণ! আমি আশা রাখি যে তোমরা জান্নাতীদের এক-তৃতীয়াংশ হবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা ‘আল হামদুলিল্লাহ্’ ও ‘আল্লাহু আকবর’ বলে উঠলাম। তিনি আবার বললেনঃ শপথ ঐ সত্তার, যাঁর হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই আশা রাখি যে তোমরা জান্নাতীদের অর্ধেক হবে। অন্য সব উম্মাতের তুলনায় তোমাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে কাল ষাঁড়ের চামড়ায় একটি সাদা চুলের মত। অথবা সাদা দাগ, যা গাধার সামনের পায়ে হয়ে থাকে। [৩৩৪৮; মুসলিম ১/৯২, হাঃ ২২২, আহমাদ ১১২৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৭. অধ্যায় :

আল্লাহ্‌র বাণী : তারা কি চিন্তা করে না যে (তাদের মৃত্যুর পর) তাদেরকে আবার উঠানো হবে, এক মহা দিবসে । যেদিন মানুষ বিশ্বজগতের প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াবে । (সূরাহ আল-মুতাফ্‌ফিফীন ৮৩/৪-৬)

(আরবী) সম্পর্কে ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, সেদিন দুনিয়ার যাবতীয় যোগসূত্র ছিন্ন হয়ে যাবে ।

৬৫৩১

إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيّإ صلى الله عليه وسلم {يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِيْنَ} قَالَ يَقُومُ أَحَدُهُمْ فِي رَشْحِهِ إِلَى أَنْصَافِ أُذُنَيْهِ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। আল্লাহ্‌র বাণী : যেদিন মানুষ বিশ্বজগতের প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াবে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মানুষ দণ্ডায়মান হবে কান পর্যন্ত ঘামে ডুবে থাকা অবস্থায়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৩২

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَعْرَقُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَذْهَبَ عَرَقُهُمْ فِي الأَرْضِ سَبْعِينَ ذِرَاعًا وَيُلْجِمُهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ آذَانَهُمْ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন মানুষের ঘাম ঝরবে। এমনকি তাদের ঘাম যমীনে সত্তর হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে এবং তাদের মুখ পর্যন্ত ঘামে ডুবে যাবে; এমনকি কান পর্যন্ত।[মুসলিম ৫১/১৫, হাঃ ২৮৬৩, আহমাদ ৯৪২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৮. অধ্যায় :

ক্বিয়ামাতের দিন কিসাস গ্রহণ ।

ক্বিয়ামাতের আরেক নাম (আরবী) যেহেতু সেই দিন সাওয়াব পাওয়া যাবে এবং সমস্ত কাজের বিনিময় পাওয়া যাবে (আরবী)-এর একই অর্থ । তেমনি (আরবী) ক্বিয়ামাতের নাম । [৪১] (আরবী) এর অর্থ জান্নাতবাসীরা জাহান্নামবাসীদেরকে ভুলিয়ে দেবে ।

৬৫৩৩

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم”‏ أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ بِالدِّمَاءِ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাতের দিন) মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম হত্যার বিচার করা হবে। [৪২][৬৮৬৪; মুসলিম ২৮/৮, হাঃ ১৬৭৮, আহমাদ ৩৬৭৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

الحاقة والقارعة والغاثية والصاخة والتغابن এগুলো কিয়ামত দিবসের এক একটি নাম। ইমাম কুরতবী কিয়ামত দিবসের নাম প্রায় আশিটির মত একত্রিত করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলোঃ

 

يوم الجمع ويوم الفزع الأكبر ويوم التناد ويوم الوعيد ويوم الحسرة ويوم التلاق ويوم المآب ويوم الفصل ويوم العرض على الله ويوم الخروج ويوم الخلود ومنها يوم عظيم ويوم عسير ويوم مشهود ويوم عبوس قمطرير ومنها يوم تبلى السرائر ومنها يوم لاتملك نفس لنفس شيئا ويوم يدعون إلى نار جهنم ويوم تشخص فيه الابصار ويوم لا ينفع الظالمين معذرتهم ويوم لا ينطقون ويوم لا ينفع مال ولا بنون ويوم لا يكتمون الله حديثا ويوم لا مرد له من الله ويوم لا بيع فيه ولا خلال ويوم لا ريب فيه। (ফাতহুল বারী)

 

 

[2] এই হাদীসটির সাথে সুনানে বর্ণিত আবু হুরায়রা (রাঃ)’র হাদীসের কোন দ্বন্দ্ব নেই। কারণ আবূ হুরায়রার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিঃ إن أول ما يحاسب به العبد يوم القيامة صلاته আল্লাহর তা‘আলার ইবাদতের (আল্লাহর হক্বের) সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এই বিষয়ের মধ্যে সর্বপ্রথম সলাতের হিসাব হবে। আর এখানে বর্ণিত হাদীসটি সৃষ্ট জীবের (বান্দার হক্বের) সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এই বিষয়ের মধ্যে সর্বপ্রথম খুনের হিসাব হবে। হাদীসটি থেকে আরো জানা যায় : (১) খুনের ব্যাপার অত্যন্ত মারাত্মক। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে কঠোর বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৩৪

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “‏ مَنْ كَانَتْ عِنْدَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهَا، فَإِنَّهُ لَيْسَ ثَمَّ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُؤْخَذَ لأَخِيهِ مِنْ حَسَنَاتِهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ أَخِيهِ، فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ভাই-এর ওপর যুলুম করেছে সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয়, তার ভাই-এর পক্ষে তার নিকট হতে পুণ্য কেটে নেয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোন দীনার বা দিরহাম পাওয়া যাবেনা। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তবে তার (মজলুম) ভাই-এর গোনাহ্ এনে তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৩৫

حَدَّثَنِي الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ‏{‏وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ‏}‏ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَخْلُصُ الْمُؤْمِنُونَ مِنَ النَّارِ، فَيُحْبَسُونَ عَلَى قَنْطَرَةٍ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، فَيُقَصُّ لِبَعْضِهِمْ مِنْ بَعْضٍ، مَظَالِمُ كَانَتْ بَيْنَهُمْ فِي الدُّنْيَا، حَتَّى إِذَا هُذِّبُوا وَنُقُّوا أُذِنَ لَهُمْ فِي دُخُولِ الْجَنَّةِ، فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لأَحَدُهُمْ أَهْدَى بِمَنْزِلِهِ فِي الْجَنَّةِ مِنْهُ بِمَنْزِلِهِ كَانَ فِي الدُّنْيَا ‏”‏‏.

আবূ সা‘ঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ -এর তারপর্যে সাল্ত ইবনু মুহাম্মাদ (রহ.)…..আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনগণ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একটি পুলের ওপর তাদের দাঁড় করানো হবে, যা জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে অবস্থিত। দুনিয়ায় তারা একে অপরের উপর যে যুলুম করেছিল তার প্রতিশোধ গ্রহণ করানো হবে। তারা যখন পাক-সাফ হয়ে যাবে, তখন তাদের জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রাণ, প্রত্যেক ব্যক্তি তার দুনিয়ার বাসস্থানের তুলনায় জান্নাতের বাসস্থানকে উত্তমরূপে চিনতে পারবে। [২৪৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪৯. অধ্যায় :

যার হিসাব পরীক্ষা করা হবে তাকে আযাব দেয়া হবে

৬৫৩৬

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ عُذِّبَ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ أَلَيْسَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا‏}‏‏.‏ قَالَ ‏”‏ ذَلِكِ الْعَرْضُ ‏”‏‏.‏ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ‏.‏ وَتَابَعَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمٍ وَأَيُّوبُ وَصَالِحُ بْنُ رُسْتُمٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ যার হিসাব খতিয়ে দেখা হবে তাকে ‘আযাব দেয়া হবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তখন বললাম, আল্লাহ কি বলেননি যে, ‘‘তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে?’’ তিনি বলেন, তা তো কেবল পেশ করা মাত্র। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯২)

 

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ রকম বলতে শুনেছি। ইবনু জুরায়জ, মুহাম্মদ ইবনু সুলায়ম, আইউব ও সারিহ্ ইবনু রুস্তম, ইবনু আবূ মুলাইকা ‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনার অনুসরণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৩৭

إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيْسَ أَحَدٌ يُحَاسَبُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ هَلَكَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ اللهُ تَعَالَى: {فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِيْنِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيْرًا} فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا ذَلِكِ الْعَرْضُ وَلَيْسَ أَحَدٌ يُنَاقَشُ الْحِسَابَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ عُذِّبَ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামতের দিন যারই হিসাব নেয়া হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। [‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন] আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্‌ কি বলেননি, ‘অতঃপর যার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তা কেবল পেশ করা মাত্র। ক্বিয়ামতের দিন যার হিসাব খতিয়ে দেখা হবে তাকে অবশ্যই আযাব দেয়া হবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৩৮

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح و حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ يُجَاءُ بِالْكَافِرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ لَهُ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ مِلْءُ الأَرْضِ ذَهَبًا أَكُنْتَ تَفْتَدِي بِهِ فَيَقُولُ نَعَمْ فَيُقَالُ لَهُ قَدْ كُنْتَ سُئِلْتَ مَا هُوَ أَيْسَرُ مِنْ ذَلِكَ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন : ক্বিয়ামাতের দিন কাফিরকে হাযির করা হবে। অতঃপর তাকে বলা হবে তোমার যদি দুনিয়া ভর্তি সোনা থাকত তাহলে তুমি কি বিনিময়ে তা আযাব থেকে বাঁচতে চাইতে না? সে বলবে, হাঁ। এরপর তাকে বলা হবে তোমার কাছে তো এর চেয়ে বহু ক্ষুদ্র বস্তু (তৌহীদ) চাওয়া হয়েছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৩৯

عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ حَدَّثَنِي الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي خَيْثَمَةُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَسَيُكَلِّمُهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَيْسَ بَيْنَ اللهِ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ ثُمَّ يَنْظُرُ فَلاَ يَرَى شَيْئًا قُدَّامَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَتَسْتَقْبِلُهُ النَّارُ فَمَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَّقِيَ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ

আদী ইব্‌নু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন তোমাদের প্রত্যেক লোকের সাথে আল্লাহ্‌ কথা বলবেন। আর সেদিন আল্লাহ্‌ ও বান্দার মাঝে কোন দোভাষী থাকবে না। অতঃপর বান্দা দৃষ্টিপাত করে তার সামনে কিছুই দেখতে পাবে না। সে আবার তার সামনে দৃষ্টি ফেরাবে। তখন তার সামনে হাজির হবে জাহান্নাম। তোমাদের মধ্যে যে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়, সে যেন এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪০

قَالَ الأَعْمَشُ حَدَّثَنِي عَمْرٌو عَنْ خَيْثَمَةَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اتَّقُوا النَّارَ ثُمَّ أَعْرَضَ وَأَشَاحَ ثُمَّ قَالَ اتَّقُوا النَّارَ ثُمَّ أَعْرَضَ وَأَشَاحَ ثَلاَثًا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا ثُمَّ قَالَ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ

আদী ইব্‌নু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ। এরপর তিনি পিঠ ফিরালেন এবং মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। আবার বললেনঃ তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ। এরপর তিনি পিঠ ফিরালেন এবং মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। তিনবার এরুপ করলেন। এমন কি আমরা ভাবছিলাম যে তিনি বুঝি জাহান্নাম সরাসরি দেখছেন। তিনি আবার বললেনঃ তোমরা এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও জাহান্নামর আগুন থেকে বাঁচ। আর যদি কেউ সেটাও না পাও তাহলে উত্তম কথার দ্বারা হলেও (আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা কর)। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৫০. অধ্যায় :

সত্তর হাজার লোকের বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ

৬৫৪১

حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ،‏.‏ وَحَدَّثَنِي أَسِيدُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏”‏ عُرِضَتْ عَلَىَّ الأُمَمُ، فَأَخَذَ النَّبِيُّ يَمُرُّ مَعَهُ الأُمَّةُ، وَالنَّبِيُّ يَمُرُّ مَعَهُ النَّفَرُ، وَالنَّبِيُّ يَمُرُّ مَعَهُ الْعَشَرَةُ، وَالنَّبِيُّ يَمُرُّ مَعَهُ الْخَمْسَةُ، وَالنَّبِيُّ يَمُرُّ وَحْدَهُ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ كَثِيرٌ قُلْتُ يَا جِبْرِيلُ هَؤُلاَءِ أُمَّتِي قَالَ لاَ وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ‏.‏ فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ كَثِيرٌ‏.‏ قَالَ هَؤُلاَءِ أُمَّتُكَ، وَهَؤُلاَءِ سَبْعُونَ أَلْفًا قُدَّامَهُمْ، لاَ حِسَابَ عَلَيْهِمْ وَلاَ عَذَابَ‏.‏ قُلْتُ وَلِمَ قَالَ كَانُوا لاَ يَكْتَوُونَ، وَلاَ يَسْتَرْقُونَ، وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ، وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ‏”‏‏.‏ فَقَامَ إِلَيْهِ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ آخَرُ قَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ ‏”‏‏.‏

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আগের উম্মাতদের আমার সামনে পেশ করা হয়। কোন নবী তাঁর বহু উম্মাতকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। কোন নাবীর সঙ্গে অপেক্ষকৃত ছোট দল। কোন নাবীর সঙ্গে আছে দশজন উম্মাত। কোন নাবীর সাথে আছে পাঁচজন আবার কোন নবী একা যাচ্ছেন। দৃষ্টি দিতেই, হঠাৎ দেখি অনেক বড় একটি দল। জিজ্ঞেস করলামঃ হে জিব্‌রীল! ওরা কি আমার উম্মাত? তিনি বললেন, না। তবে আপনি শেষ প্রান্তের দিকে তাকিয়ে দেখুন! আমি দৃষ্টি দিলাম : হঠাৎ দেখি অনেক বড় একটি দল। তিনি বললেন, ওরা আপনার উম্মাত। আর তাদের অগ্রবর্তী সত্তর হাজার লোকের কোন হিসাব হবে না, তাদের কোন আযাব হবে না। আমি বললাম, কারণ কী! তিনি বললেন, তারা শরীরে দাগ লাগাত না, ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নিত না এবং শুভ অশুভ লক্ষণ মানত না। আর তারা কেবল তাদের প্রতিপালকের ওপরই নির্ভর করত। তখন উক্কাশা ইব্‌নু মিহসান নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে দাঁড়িয়ে বললেন, আপনি আমার জন্য দু‘আ করুন আল্লাহ্‌ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “হে আল্লাহ্‌ তুমি তাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর।” এরপর আরেক জন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আমার জন্য দু‘আ করুন আল্লাহ্‌ যেন আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমার আগে চলে গেছে। [৪৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ,৬০৯০ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৩] ‘উক্কাশা বিন মিহসান ইসলামের প্রাথমিক যুগেই ইসলামে প্রবেশ করেন । তাঁর উপনাম আবূ মিহ্‌সান । তিনি পুরুষ সহাবাদের মধ্যে অধিক সুন্দর ছিলেন । মক্কা হতে মদীনায় হিজরত করার গৌরব অর্জন করেন । বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন । খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বাধীন ইসলাম ত্যাগী মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালে ১২ হিজরীতে শহীদ হন । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪২

حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي زُمْرَةٌ هُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا، تُضِيءُ وُجُوهُهُمْ إِضَاءَةَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ الأَسَدِيُّ يَرْفَعُ نَمِرَةً عَلَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ سَبَقَكَ عُكَّاشَةُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মাত থেকে কিছু লোক দল বেঁধে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের সংখ্যা সত্তর হাজার। তাদের চেহারাগুলো পূর্ণিমার চাঁদের আলোর মত জ্বল জ্বল করবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এতদশ্রবণে উক্কাশা ইব্‌নু মিহসান আসাদী তাঁর গায়ে চাদর জড়ানো অবস্থায় দাঁড়ালেন, এবং বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার জন্য দু‘আ করুন, আল্লাহ্‌ যেন আমাকে তাঁদের মধ্যে শামিল করেন। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু‘আ করলেন : হে আল্লাহ্‌! আপনি একে তাদের মধ্যে শামিল করুন। এরপর আনসার সম্প্রদায়ের এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্‌র নিকট দু‘আ করুন, তিনি যে আমাকে তাদের মধ্যে শামিল করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উক্কাশা এ ব্যাপারে তোমার চেয়ে এগিয়ে গেছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪৩

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم”‏ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا أَوْ سَبْعُمِائَةِ أَلْفٍ ـ شَكَّ فِي أَحَدِهِمَا ـ مُتَمَاسِكِينَ، آخِذٌ بَعْضُهُمْ بِبَعْضٍ، حَتَّى يَدْخُلَ أَوَّلُهُمْ وَآخِرُهُمُ الْجَنَّةَ، وَوُجُوهُهُمْ عَلَى ضَوْءِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏”‏‏.‏

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের সত্তর হাজার অথবা সাত লাখ লোক একে অপরের হাত ধরে জান্নাতে দাখিল হবে। বর্ণনাকারীর এ দু’সংখ্যার মাঝে সন্দেহ রয়েছে। তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলেই জান্নাতে দাখিল হবে আর তাদের চেহারাগুলো পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় জ্বল জ্বল করতে থাকবে। (.১২ ৬০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪৪

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ صَالِحٍ حَدَّثَنَا نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ ثُمَّ يَقُومُ مُؤَذِّنٌ بَيْنَهُمْ يَا أَهْلَ النَّارِ لاَ مَوْتَ وَيَا أَهْلَ الْجَنَّةِ لاَ مَوْتَ خُلُودٌ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে আর জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তখন তাদের মাঝে একজন ঘোষণাকারী দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেবে যে, হে জাহান্নামবাসীরা! এখানে মৃত্যু নেই। আর হে জান্নাতবাসীরা! এখানে মৃত্যু নেই। এ জীবন চিরন্তন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم

“‏ يُقَالُ لأَهْلِ الْجَنَّةِ خُلُودٌ لاَ مَوْتَ‏.‏ وَلأَهْلِ النَّارِ يَا أَهْلَ النَّارِ خُلُودٌ لاَ مَوْتَ ‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাতের দিন) জান্নাতবাসীদেরকে বলা হবে, এ জীবন চিরন্তন, মৃত্যু নেই। জাহান্নামের অধিবাসীদেরকে বলা হবে, হে জাহান্নামীরা! এ জীবন চিরন্তন, মৃত্যু নেই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৫১. অধ্যায় :

জান্নাত ও জাহান্নাম-এর বিবরণ ।

আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : জান্নাতবাসীরা সর্বপ্রথম যে খাদ্য খাবে তা হল মাছের কলিজা সংলগ্ন অতিরিক্ত অংশ গুর্দা । (আরবী) অর্থ সর্বদা থাকা- (সূরাহ আত্ তাওবাহ ৯/৭২), (আরবী) অর্থ আমি অবস্থান করেছি- (সূরাহ আল-ক্বামার ৫৪/৫৫) । এত্থেকেই (আরবী) এসেছে (আরবী) যেখান হতে সত্য বের হয় ।

৬৫৪৬

عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ حَدَّثَنَا عَوْفٌ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ عَنْ عِمْرَانَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اطَّلَعْتُ فِي الْجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الْفُقَرَاءَ وَاطَّلَعْتُ فِي النَّارِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জান্নাতে উঁকি দিয়ে দেখতে পেলাম, তার অধিকাংশ অধিবাসীই দরিদ্র। আবার জাহান্নামে উঁকি দিয়ে দেখলাম যে এর অধিকাংশ অধিবাসীই মহিলা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪৭

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قُمْتُ عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ فَكَانَ عَامَّةُ مَنْ دَخَلَهَا الْمَسَاكِينَ وَأَصْحَابُ الْجَدِّ مَحْبُوسُونَ غَيْرَ أَنَّ أَصْحَابَ النَّارِ قَدْ أُمِرَ بِهِمْ إِلَى النَّارِ وَقُمْتُ عَلَى بَابِ النَّارِ فَإِذَا عَامَّةُ مَنْ دَخَلَهَا النِّسَاءُ

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসামাহ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম। (দেখলাম) সেখানে যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই দরিদ্র। আর ধনীরা আবদ্ধ অবস্থায় আছে। আর জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাবার হুকুম দেয়া হয়েছে। এবং আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। (দেখলাম) সেখানে যারা প্রবেশ করেছে তাদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী। (আধুনিক প্রকাশনী- ,৬০৯৬ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪৮

مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَارَ أَهْلُ الْجَنَّةِ إِلَى الْجَنَّةِ وَأَهْلُ النَّارِ إِلَى النَّارِ جِيءَ بِالْمَوْتِ حَتَّى يُجْعَلَ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ثُمَّ يُذْبَحُ ثُمَّ يُنَادِي مُنَادٍ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ لاَ مَوْتَ وَيَا أَهْلَ النَّارِ لاَ مَوْتَ فَيَزْدَادُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَرَحًا إِلَى فَرَحِهِمْ وَيَزْدَادُ أَهْلُ النَّارِ حُزْنًا إِلَى حُزْنِهِمْ

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে আর জাহান্নামীরা জাহান্নামে যাওয়ার পর, তখন মৃত্যুকে উপস্থিত করা হবে, এমন কি জান্নাত ও জাহান্নমের মধ্য স্থানে রাখা হবে। এরপর তাকে যব্‌হ্‌ করে দেয়া হবে, অতঃপর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবে যে, হে জান্নাতীরা! (আর) মৃত্যু নেই। হে জাহান্নামীরা! (আর) মৃত্যু নেই। তখন জান্নাতীগণের বাড়বে আনন্দের উপর আনন্দ। আর জাহান্নামীদের বাড়বে দুঃখের উপর দুঃখ।[৬৫৪৪; মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৫০, আহমাদ ৬০০০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৪৯

مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ لِأَهْلِ الْجَنَّةِ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ فَيَقُولُونَ لَبَّيْكَ رَبَّنَا وَسَعْدَيْكَ فَيَقُولُ هَلْ رَضِيتُمْ فَيَقُولُونَ وَمَا لَنَا لاَ نَرْضَى وَقَدْ أَعْطَيْتَنَا مَا لَمْ تُعْطِ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ فَيَقُولُ أَنَا أُعْطِيكُمْ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ قَالُوا يَا رَبِّ وَأَيُّ شَيْءٍ أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ فَيَقُولُ أُحِلُّ عَلَيْكُمْ رِضْوَانِي فَلاَ أَسْخَطُ عَلَيْكُمْ بَعْدَهُ أَبَدًا

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ জান্নাতীদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন, হে জান্নাতীগণ! তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! হাযির, আমরা আপনার খেদমতে হাযির। এরপর আল্লাহ্‌ বলবেন, তোমরা কি খুশি হয়েছ? তারা বলবে, কেন খুশি হব না, আপনি আমাদেরকে এমন বস্তু দান করেছেন যা আপনার সৃষ্টি জগতের আর কাউকেই দান করেননি। তখন তিনি বলবেন, আমি এর চেয়েও উত্তম বস্তু তোমাদেরকে দান করব। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! এর চেয়েও উত্তম সে কোন্‌ বস্তু? আল্লাহ্‌ বলবেন, তোমাদের ওপর আমি আমার সন্তুষ্টি অবধারিত করব। অতঃপর আমি আর কক্ষনো তোমাদের ওপর নাখোশ হব না।[৭৫১৮; মুসলিম ৫১/২, হাঃ ২৮২৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫০

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ عَنْ حُمَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ أُصِيبَ حَارِثَةُ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ غُلاَمٌ فَجَاءَتْ أُمُّهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ عَرَفْتَ مَنْزِلَةَ حَارِثَةَ مِنِّي فَإِنْ يَكُ فِي الْجَنَّةِ أَصْبِرْ وَأَحْتَسِبْ وَإِنْ تَكُنْ الْأُخْرَى تَرَى مَا أَصْنَعُ فَقَالَ وَيْحَكِ أَوَهَبِلْتِ أَوَجَنَّةٌ وَاحِدَةٌ هِيَ إِنَّهَا جِنَانٌ كَثِيرَةٌ وَإِنَّهُ لَفِي جَنَّةِ الْفِرْدَوْسِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বাদ্‌রের যুদ্ধে হারিসা (রাঃ) শহীদ হলেন। আর তখন তিনি নাবালক ছিলেন। তাঁর মা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার অন্তরে হারিসার স্থান সম্পর্কে আপনি তো জানেন। সে যদি জান্নাতী হয়; আমি ধৈর্য ধারণ করব এবং সাওয়াব মনে করব। আর যদি অন্য কিছু হয় তবে দেখবেন আমি কি করি। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার জন্য আফসোস! অথবা তুমি কি নির্বোধ হয়ে গেলে! জান্নাত মাত্র একটাই না কি? জান্নাতের সংখ্যা অনেক। আর সে আছে জান্নাতুল ফিরদাউসে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫১

مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا الْفُضَيْلُ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا بَيْنَ مَنْكِبَيْ الْكَافِرِ مَسِيرَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ للرَّاكِبِ الْمُسْرِعِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কাফিরের দু’কাঁধের মাঝের দূরত্ব একজন দ্রুতগতি অশ্বারোহীর তিন দিনের ভ্রমণপথের সমান হবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫২

وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لاَ يَقْطَعُهَا

ইস্‌হাক ইব্‌নু ইব্‌রাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইস্‌হাক ইব্‌নু ইব্‌রাহীম (রহঃ)…সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) সূত্রে রাসূলআল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জান্নাতের মাঝে একটি বৃক্ষ হবে যার ছায়ায় একজন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত চলবে, তবুও বৃক্ষের ছায়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৩

قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَحَدَّثْتُ بِهِ النُّعْمَانَ بْنَ أَبِي عَيَّاشٍ فَقَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ الْجَوَادَ الْمُضَمَّرَ السَّرِيعَ مِائَةَ عَامٍ مَا يَقْطَعُهَا

রাবী আবূ হাযিম থেকে বর্ণিতঃ

রাবী আবূ হাযিম বলেন, আমি এই হাদীসটি নু’মান ইব্‌নু আবূ আইয়্যাশ (রহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয়ই জান্নাতের মাঝে এমন একটি বৃক্ষ হবে যার ছায়ায় উৎকৃষ্ট, চটপটে ও দ্রুতগামী অশ্বের একজন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত চলতে পারবে। কিন্তু তার ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না।[মুসলিম ৫১/১, হাঃ ২৮২৭, ২৮২৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৪

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا أَوْ سَبْعُ مِائَةِ أَلْفٍ لاَ يَدْرِي أَبُو حَازِمٍ أَيُّهُمَا قَالَ مُتَمَاسِكُونَ آخِذٌ بَعْضُهُمْ بَعْضًا لاَ يَدْخُلُ أَوَّلُهُمْ حَتَّى يَدْخُلَ آخِرُهُمْ وُجُوهُهُمْ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ

সাহ্‌ল ইব্‌ন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাত হতে সত্তর হাজার অথবা সাত লক্ষ লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। রাবী আবূ হাযিম জানেন না যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত দু’টি সংখ্যা হতে কোন্‌টি বলেছেন। তারা একে অপরের হস্ত দৃঢ়ভাবে ধারণ করতঃ জান্নাতে প্রবেশ করবে। প্রথম ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সর্বশেষ ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে। তাদের চেহারাগুলো পূর্ণিমার রাতের চাঁদের ন্যায় জ্যোতির্ময় হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৫

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَهْلٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ لَيَتَرَاءَوْنَ الْغُرَفَ فِي الْجَنَّةِ كَمَا تَتَرَاءَوْنَ الْكَوْكَبَ فِي السَّمَاءِ

সাহ্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাবী বলেন, আমার পিতা বলেছেন যে, আমি এ হাদীসটি নু’মান ইব্‌নু আবূ আইয়্যাশকে বলেছি। অতঃপর তিনি বলেছেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি অব্যশই আবূ সা‘ঈদকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি এবং এতে তিনি এটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন “যেমন তোমরা পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তে অস্তগামী নক্ষত্রকে দেখে থাক।” [৪৪](আধুনিক প্রকাশনী- ,৬১০২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪] পূর্ব ও পশ্চিম উল্লেখ করার ফায়দা হল উচ্চতা এবং দূরত্বের আধিক্য বর্ণনা করা । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৬

قَالَ أَبِي فَحَدَّثْتُ النُّعْمَانَ بْنَ أَبِي عَيَّاشٍ، فَقَالَ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ يُحَدِّثُ وَيَزِيدُ فِيهِ”‏ كَمَا تَرَاءَوْنَ الْكَوْكَبَ الْغَارِبَ فِي الأُفُقِ الشَّرْقِيِّ وَالْغَرْبِيِّ ‏”‏‏.‏

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

রাবী বলেন, আমার পিতা বলেছেন যে, আমি এ হাদীসটি নু’মান ইব্‌নু আবূ আইয়্যাশকে বলেছি । অতঃপর তিনি বলেছেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি অব্যশই আবূ সা‘ঈদকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি এবং এতে তিনি এটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন “যেমন তোমরা পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তে অস্তগামী নক্ষত্রকে দেখে থাক ।” [৪৪] [৩২৫৬; মুসলিম ৫১/৩, হাঃ ২৮৩০] (আ.প্র. নাই, ই.ফা. ৬১১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৭

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ”‏ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لأَهْوَنِ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَوْ أَنَّ لَكَ مَا فِي الأَرْضِ مِنْ شَىْءٍ أَكُنْتَ تَفْتَدِي بِهِ فَيَقُولُ نَعَمْ‏.‏ فَيَقُولُ أَرَدْتُ مِنْكَ أَهْوَنَ مِنْ هَذَا وَأَنْتَ فِي صُلْبِ آدَمَ أَنْ لاَ تُشْرِكَ بِي شَيْئًا فَأَبَيْتَ إِلاَّ أَنْ تُشْرِكَ بِي ‏”‏‏.‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সবচেয়ে কম শাস্তি প্রাপ্ত লোককে আল্লাহ্‌ বলবেন, দুনিয়ার মাঝে যত সম্পদ আছে তার তুল্য সম্পদ যদি (আজ) তোমার কাছে থাকত, তাহলে কি তুমি তার বিনিময়ে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে? সে বলবে, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ্‌ বলবেন, আমি তেমাকে এর চেয়েও সহজ কাজের হুকুম দিয়েছিলাম, যখন তুমি আদামের পৃষ্ঠদেশে ছিলে। তা এই যে, তুমি আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি তা অস্বীকার করলে আর আমার সাথে শরীক করলে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৮

أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَمْرٍو عَنْ جَابِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَخْرُجُ مِنْ النَّارِ بِالشَّفَاعَةِ كَأَنَّهُمْ الثَّعَارِيرُ قُلْتُ مَا الثَّعَارِيرُ قَالَ الضَّغَابِيسُ وَكَانَ قَدْ سَقَطَ فَمُهُ فَقُلْتُ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَبَا مُحَمَّدٍ سَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يَخْرُجُ بِالشَّفَاعَةِ مِنْ النَّارِ قَالَ نَعَمْ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শাফা‘আতের মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে (মানুষকে) বের করা হবে। যেমন তারা সা‘আরীর। (রাবী জাবির বলেন) আমি বললাম সা‘আরীর কী? তিনি বললেনঃ সা‘আরীর মানে যাগাবীস (কচি ঘাস)। আর ঐ সময় (আমরের) মুখের দাঁত পড়ে গিয়েছিল। (রাবী বলেন) আমি আবূ মুহাম্মাদ ‘আম্‌র ইব্‌নু দীনারকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শাফা‘আতের দ্বারা লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তিনি বললেন, হাঁ। [৪৫][মুসলিম ১/৮৪, হঃ ১৯১, আহমাদ ১৪৩১৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

মু‘তাযিলা ও খারেজী সম্প্রদায় গুনাহগার (মু’মিন) ব্যক্তিদের যারা জাহান্নামে প্রবেশ করেছে, তাদের জাহান্নাম হতে শাফা‘আতের মাধ্যমে বের হওয়াকে অস্বীকার করে। তারা তাদের স্বপক্ষে যে প্রমাণ পেশ করে থাকে তার মধ্যে একটি আয়াত হল : {فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ} (৪৮) سورة المدثر আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত তাদের এই আয়াত দ্বারা দলীল গ্রহণের উত্তরে বলেন যে, আয়াতটি কাফিরদের ব্যাপারে। তারা তাদের স্বপক্ষে যে প্রমাণ পেশ করেন তা হল : (১) উল্লেখিত হাদীসটি ছাড়াও শাফা‘আতের মাধ্যমে জাহান্নাম হতে মু‘মিন গুনাহগার ব্যক্তিদের বের হওয়া অনেক মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। (২) আল্লাহ তা‘আলার বাণী : {وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ عَسَى أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُودًا} (৭৯) سورة الإسراء জামহুর উলামা বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল শাফা‘আত। (৩) ইমাম ওয়াহেদী অতিরঞ্জন করেছেন এবং এ ব্যাপারে ইজমা বর্ণনা করেছেন। (ফাতহুল বারী)

 

শাফা‘আতের মাধ্যমে (মানুষদেরকে) জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। কিন্তু কিয়ামাতের দিনে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউই মুখ খুলতে পারবে না। আল্লাহ যাকে যার জন্য শাফা‘আত করার অনুমতি দিবেন, তিনি কেবল তার জন্যই সুপারিশ করতে পারবেন। আর সে সুপারিশও হবে যথাযথ ও প্রকৃত সত্য ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ নিজেই যার জন্য শাফা‘আতের ইচ্ছে করবেন, কেবল তার জন্যই শাফা‘আত করতে বলবেন, এ কথাই ধ্বনিত হয়েছে তাঁর এ সব বাণীতে- ‘‘এমন কে আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?’’ (বাকারা ২৫৫ আয়াত)

 

আরো দেখুন আন‘আম ৭০, ৯৪ আয়াত, আস সাজদাহ ৪ আয়াত, সাবা ২৩ আয়াত, যুমার ৪৪ আয়াত, ইনফিতার ১৯ আয়াত।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৫৯

هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ النَّارِ بَعْدَ مَا مَسَّهُمْ مِنْهَا سَفْعٌ فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ فَيُسَمِّيهِمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَهَنَّمِيِّينَ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আযাবে চামড়ায় দাগ পড়ে যাবার পর একদল লোককে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন জান্নাতীগণ তাদেরকে জাহান্নামী বলেই ডাকবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬০

حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ، وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ يَقُولُ اللَّهُ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجُوهُ‏.‏ فَيُخْرَجُونَ قَدِ امْتُحِشُوا وَعَادُوا حُمَمًا، فَيُلْقَوْنَ فِي نَهَرِ الْحَيَاةِ، فَيَنْبُتُونَ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ ـ أَوْ قَالَ ـ حَمِيَّةِ السَّيْلِ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلَمْ تَرَوْا أَنَّهَا تَنْبُتُ صَفْرَاءَ مُلْتَوِيَةً ‏”‏‏.‏

আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতীগণ যখন জান্নাতে আর জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, যার অন্তঃকরণে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান আছে তাকে বের কর। অতঃপর তাদেরকে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে তারা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। তাদেরকে জীবন-নদে নামিয়ে দেয়া হবে। এতে তারা তর-তাজা হয়ে উঠবে যেমন নদী তীরে জমাট আবর্জনায় সজীব উদ্ভিদ গজিয়ে ওঠে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেনঃ তোমরা কি দেখ না সেগুলো হলুদ রঙের হয়ে আঁকাবাঁকা হয়ে উঠতে থাকে?(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬১

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ أَهْوَنَ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَرَجُلٌ تُوضَعُ فِي أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ جَمْرَةٌ يَغْلِي مِنْهَا دِمَاغُهُ

নু’মান ইব্‌নু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামাতের দিন ঐ ব্যক্তির সর্বাপেক্ষা লঘু ‘আযাব হবে, যার দু’পায়ের তলায় রাখা হবে জ্বলন্ত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।[৬৫৬২; মুসলিম ১/৯১, হাঃ ২১৩, আহমাদ ১৮৪৪১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬২

عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ أَهْوَنَ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ عَلَى أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ جَمْرَتَانِ يَغْلِي مِنْهُمَا دِمَاغُهُ كَمَا يَغْلِي الْمِرْجَلُ وَالْقُمْقُمُ

নু’মান ইব্‌নু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামাতের দিন ঐ ব্যক্তির সর্বাপেক্ষা লঘু ‘আযাব হবে, যার দু’পায়ের তলায় দু’টি প্রজ্জ্বলিত অঙ্গার রাখা হবে। এতে তার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। যেমন ডেক বা কলসী ফুটতে থাকে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৩

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ خَيْثَمَةَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ النَّارَ فَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ فَتَعَوَّذَ مِنْهَا ثُمَّ ذَكَرَ النَّارَ فَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ فَتَعَوَّذَ مِنْهَا ثُمَّ قَالَ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ

আদী ইব্‌নু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) জাহান্নামের উল্লেখ করলেন। এরপর তিনি তাঁর চেহারা ফিরিয়ে নিলেন এবং এর থেকে নিরাপত্তা চাইলেন। আবার তিনি জাহান্নামের উল্লেখ করে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ও এর থেকে নিরাপত্তা চাইলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমরা জাহান্নামের আগুন হতে নিজেদেরকে রক্ষা কর এক টুক্রা খেজুরের বিনিময়ে হলেও। আর যে তাতেও অক্ষম সে যেন ভাল কথার বিনিময়ে হলেও নিজেকে রক্ষা করে। [৪৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৬] জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে । হক্কুল্লাহর সাথে সাথে হক্কুল ইবাদ করে যেতে হবে । অপর বান্দার কল্যাণ সাধন করতে হবে- বেশি আর কম, যার পক্ষে যতখানি সম্ভব । এজন্য দান খয়রাত করতে হবে, খাদ্য খাওয়াতে হবে- হোকনা তা অতি সামান্য । ভাল কথা, ভাল শিক্ষা, সৎ পরামর্শ- এ সবও আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচার ব্যাপারে সাহায্য করবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৪

إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ وَالدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ خَبَّابٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَذُكِرَ عِنْدَهُ عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ فَقَالَ لَعَلَّهُ تَنْفَعُهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُجْعَلُ فِي ضَحْضَاحٍ مِنْ النَّارِ يَبْلُغُ كَعْبَيْهِ يَغْلِي مِنْهُ أُمُّ دِمَاغِهِ

আবূ সা‘ঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন; যখন তাঁর কাছে তাঁর চাচা আবূ ত্বলিব সম্পর্কে উল্লেখ করা হল। তখন তিনি বললেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন আমার শাফাআত সম্ভবত তাঁর উপকারে আসবে। আর তখন তাকে জাহান্নামের অগ্নিতে রাখা হবে যা পায়ের গিরা পর্যন্ত পৌঁছে। তাতে তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৫

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَجْمَعُ اللهُ النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُونَ لَوْ اسْتَشْفَعْنَا عَلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ فَاشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّنَا فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ وَيَقُولُ ائْتُوا نُوحًا أَوَّلَ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللهُ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ ائْتُوا إِبْرَاهِيمَ الَّذِي اتَّخَذَهُ اللهُ خَلِيلاً فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ ائْتُوا مُوسَى الَّذِي كَلَّمَهُ اللهُ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ فَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ ائْتُوا عِيسَى فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ فَيَأْتُونِي فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ يُقَالُ لِي ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَهْ وَقُلْ يُسْمَعْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُ رَبِّي بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِي ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا ثُمَّ أُخْرِجُهُمْ مِنْ النَّارِ وَأُدْخِلُهُمْ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ فَأَقَعُ سَاجِدًا مِثْلَهُ فِي الثَّالِثَةِ أَوْ الرَّابِعَةِ حَتَّى مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ وَكَانَ قَتَادَةُ يَقُولُ عِنْدَ هَذَا أَيْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌ সমস্ত মানুষকে একত্রিত করবেন। তখন তারা বলবে, আমাদের জন্য আমাদের প্রতিপালকের কাছে যদি কেউ শাফাআত করত, যা এ সংকট থেকে আমাদের উদ্ধার করত। তখন তারা সকলেই আদাম (আঃ)-এর কাছে এসে বলবে, আপনি ঐ ব্যক্তি যাঁকে আল্লাহ্‌ নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। আপনার মাঝে নিজে থেকে রূহ্ ফুঁকে দিয়েছেন এবং ফেরেশতাদেরকে হুকুম করেছেন; তাঁরা আপনাকে সাজদাহ করেছে। আপনি আমাদের জন্য আমাদের প্রতিপালকের কাছে শাফাআত করুন। তিনি বলবেন : আমি তোমাদের জন্য এ কাজের উপযুক্ত নই এবং স্বীয় অপরাধের কথা উল্লেখ করে বলবেন, তোমরা নূহ (আঃ)-এর কাছে চলে যাও-যাকে আল্লাহ্‌ প্রথম রসূল হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। তখন তারা তাঁর কাছে আসবে। তিনিও নিজ অপরাধের কথা উল্লেখ করে বলবেন : আমি তোমাদের জন্য এ কাজের উপযুক্ত নই। তোমরা ইব্‌রাহীমের (আঃ)-এর কাছে যাও, যাঁকে আল্লাহ্‌ খলীলরূপে গ্রহণ করেছেন। তখন তারা তাঁর কাছে আসবে। তিনিও নিজ অপরাধের কথা উল্লেখ করে বলবেন : আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। তোমরা মূসা (আঃ)-এর কাছে যাও, যার সঙ্গে আল্লাহ্‌ কথা বলেছেন। তখন তারা তাঁর কাছে আসবে। তিনিও বলবেন : আমি তোমাদের জন্য এ কাজের যোগ্য নই। তিনি নিজ অপরাধের কথা উল্লেখ করবেন। তিনি বলবেন : তোমরা ঈসা (আঃ)-এর কাছে যাও। তারা তাঁর কাছে আসবে। তখন তিনিও বলবেন : আমি তোমাদের জন্য এ কাজের যোগ্য নই। তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যাও। তাঁর অগ্র-পশ্চাতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। তখন তারা সকলেই আমার কাছে আসবে। তখন আমি আমার প্রতিপালকের কাছে অনুমতি চাইব। যখনই আমি আল্লাহকে দেখতে পাব তখন সিজদায় পড়ে যাব। আল্লাহ্‌ যতক্ষণ ইচ্ছা আমাকে এ অবস্থায় রাখবেন। এরপর আমাকে বলা হবে, তোমার মাথা উঠাও। চাও, তোমাকে দেয়া হবে। বল, তোমার কথা শুনা হবে। সুপারিশ কর, তোমার সুপারিশ কবূল করা হবে। তখন আমি মাথা উঠাবো এবং আল্লাহ্‌ আমাকে যে প্রশংসার বাণী শিক্ষা দিয়েছেন তার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের প্রশংসা করব। এরপর আমি সুপারিশ করব, তখন আমার জন্য সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে বেহেশ্তে প্রবেশ করিয়ে দেব। এরপর আমি আগের মত করব। অতঃপর তৃতীয়বার অথবা চতুর্থবার সিজদায় পড়ে যাব। অবশেষে কুরআনের বাণী মুতাবিক যারা অবধারিত জাহান্নামী তাদের ছাড়া আর কেউই জাহান্নামে অবশিষ্ট থাকবে না। ক্বাতাদাহ (রাঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় তখন বলেছিলেন, চিরস্থায়ী জাহান্নাম যাদের জন্য আবশ্যিকভাবে নির্ধারিত হয়ে গেছে। [৪৭](আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭] কোন কোন পীর সাহেব বলেন- তিনি আল্লাহ্‌র কাছে নিজের মুরীদদের জন্য শাফা‘আত করে মুরীদকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন । কিন্তু অত্র হাদীস থেকে আমরা জানতে পারছি, পূর্বেকার সমস্ত নাবীগণ বলবেন- আমরা শাফা‘আত করার যোগ্য নই । তাহলে কোন কোন পীর সাহেব শাফা‘আত করার যোগ্য হলেন কী করে? সর্বশেষ রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভিন্ন আর কেউই এ কথা বলার অধিকার রাখেনা যে, আমি অমুকের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে সুপারিশ করব । সুপারিশে দু’টি শর্তের উপস্থিতি একান্ত অপরিহার্য- (১) আল্লাহ্‌র অনুমতি লাভ করা ব্যতীত কেউই কারো জন্য সুপারিশ করতে পারবে না । (২) সুপারিশ হবে একান্তই যথাযথ, প্রকৃত সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত । আর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সুপারিশ হবে বড় গুনাহের সাথে জড়িতদের জন্য । কারণ রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসের মধ্যে বলেছেন : “আমার সুপারিশ হবে আমার উম্মাতের মধ্য থেকে কাবিরাগুনাহে জড়িতদের জন্যে ।” (হাদীসটি আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ্ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন, হাদীসটি সহীহ্ দেখুন “সহীহ্ আবী দাঊদ” (৪৭৩৯), “সহীহ্ তিরমিযী” (২৪৩৫, ২৪৩৬) ও “সহীহ্ ইবনে মাজাহ্” (৪৩১০) । কিন্তু কোন্ কাবীরাহ্ গুনাহকারী এ সুপারিশের অন্তর্ভুক্ত হবে তা তো কেউ জানে না । অতএব তাঁর সুপারিশের উপর ভরসা করে বড় গুনাহে জড়িত হওয়া হবে বিবেকহীনের কাজ । উল্লেখ্য কোন ব্যক্তি কাফির বা মুশরিক অবস্থায় মারা গেলে সে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুপারিশের অন্তর্ভুক্ত হবে না ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৬

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ النَّارِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ يُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফা‘আতে একদল লোককে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদেরকে জাহান্নামী বলেই সম্বোধন করা হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৭

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أُمَّ حَارِثَةَ أَتَتْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ هَلَكَ حَارِثَةُ يَوْمَ بَدْرٍ أَصَابَهُ غَرْبُ سَهْمٍ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ عَلِمْتَ مَوْقِعَ حَارِثَةَ مِنْ قَلْبِي فَإِنْ كَانَ فِي الْجَنَّةِ لَمْ أَبْكِ عَلَيْهِ وَإِلاَّ سَوْفَ تَرَى مَا أَصْنَعُ فَقَالَ لَهَا هَبِلْتِ أَجَنَّةٌ وَاحِدَةٌ هِيَ إِنَّهَا جِنَانٌ كَثِيرَةٌ وَإِنَّهُ فِي الْفِرْدَوْسِ الأَعْلَى

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, বদরের যুদ্ধে হারিসা (রাঃ) অজ্ঞাত তীরের আঘাতে শাহাদাত লাভ করলে তাঁর মা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার অন্তরে হারিসার মায়া-মমতা যে কত গভীর তা তো আপনি জানেন। অতএব সে যদি জান্নাতে থাকে তবে আমি তার জন্য রোনাজারি করব না। আর যদি তা না হয় তবে আপনি শীঘ্রই দেখবেন আমি কী করি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি কি জ্ঞানশূন্য হয়ে গেছ। জান্নাত কি একটি, না কি অনেক? আর সে তো সবচেয়ে উন্নত মর্যাদার জান্নাত ফিরদাউসে আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৮

وَقَالَ غَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَلَقَابُ قَوْسِ أَحَدِكُمْ أَوْ مَوْضِعُ قَدَمٍ مِنْ الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَلَوْ أَنَّ امْرَأَةً مِنْ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ اطَّلَعَتْ إِلَى الأَرْضِ لأَضَاءَتْ مَا بَيْنَهُمَا وَلَمَلأَتْ مَا بَيْنَهُمَا رِيحًا وَلَنَصِيفُهَا يَعْنِي الْخِمَارَ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আরও বলেনঃ এক সকাল বা এক বিকাল আল্লাহ্‌র পথে চলা দুনিয়া ও তার মাঝের সবকিছুর চেয়ে উত্তম। তোমাদের কারো ধনুক পরিমাণ বা পা রাখার জায়গা পরিমাণ জান্নাতের জায়গা দুনিয়া ও তার মাঝের সবকিছুর চেয়ে উত্তম। জান্নাতের কোন নারী যদি দুনিয়ার প্রতি উঁকি মারে তবে তামাম দুনিয়া আলোকিত ও সুঘ্রাণে পূর্ণ হয়ে যাবে। জান্নাতি নারীর ওড়না দুনিয়া ও তার ভিতরের সব কিছুর চেয়ে উত্তম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৬৯

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَدْخُلُ أَحَدٌ الْجَنَّةَ إِلاَّ أُرِيَ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ لَوْ أَسَاءَ لِيَزْدَادَ شُكْرًا وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ أَحَدٌ إِلاَّ أُرِيَ مَقْعَدَهُ مِنْ الْجَنَّةِ لَوْ أَحْسَنَ لِيَكُونَ عَلَيْهِ حَسْرَةً

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন লোকই জান্নাতে প্রবেশ করবে, অপরাধ করলে জাহান্নামে তার ঠিকানাটা কোথায় হত তা তাকে দেখানো হবে যেন সে অধিক অধিক শোকর আদায় করে। আর যে কোন লোকই জাহান্নামে প্রবেশ করবে নেক কাজ করলে জান্নাতে তার স্থান কোথায় হত তা তাকে দেখানো হবে যেন এতে তার আফসোস হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭০

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ لَقَدْ ظَنَنْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْ لاَ يَسْأَلَنِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ أَحَدٌ أَوَّلُ مِنْكَ لِمَا رَأَيْتُ مِنْ حِرْصِكَ عَلَى الْحَدِيثِ أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ خَالِصًا مِنْ قِبَلِ نَفْسِهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কিয়ামতের দিন আপনার শাফা‘আত দ্বারা সমস্ত মানুষ থেকে অধিক ভাগ্যবান হবে কোন্‌ ব্যক্তি? তখন তিনি বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা! আমি ধারণা করেছিলাম যে তোমার আগে কেউ এ ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করবে না। কারণ হাদীসের প্রতি তোমার চেয়ে বেশি আগ্রহী আমি আর কাউকে দেখিনি। ক্বিয়ামাতের দিন আমার শাফা‘আত দ্বারা সবচেয়ে ভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি হবে যে বিশুদ্ধ অন্তর থেকে বলে لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا مِنْهَا، وَآخِرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ كَبْوًا، فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى، فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى، فَيَقُولُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى‏.‏ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى، فَيَقُولُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ، فَإِنَّ لَكَ مِثْلَ الدُّنْيَا وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهَا‏.‏ أَوْ إِنَّ لَكَ مِثْلَ عَشَرَةِ أَمْثَالِ الدُّنْيَا‏.‏ فَيَقُولُ تَسْخَرُ مِنِّي، أَوْ تَضْحَكُ مِنِّي وَأَنْتَ الْمَلِكُ ‏”‏‏.‏ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ، وَكَانَ يُقَالُ ذَلِكَ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সবশেষে যে লোক জাহান্নাম থেকে বের হবে এবং সবশেষে যে ব্যক্তি জান্নাতে দাখিল হবে তার সম্পর্কে আমি জানি। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দেয়া অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের হবে। তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, যাও জান্নাতে দাখিল হও। তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত ভরতি হয়ে গেছে এবং সে ফিরে আসবে ও বলবে, হে প্রতিপালক! জান্নাত তো ভরতি দেখতে পেলাম। আবার আল্লাহ্‌ বলবেন, যাও জান্নাতে দাখিল হও। তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত ভর্তি হয়ে গেছে। তাই সে ফিরে এসে বলবে, হে প্রতিপালক! জান্নাত তো ভর্তি দেখতে পেলাম। তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, যাও জান্নাতে দাখিল হও। কেননা জান্নাত তোমার জন্য দুনিয়ার সমতুল্য এবং তার দশগুণ। অথবা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়ার দশ গুণ। তখন লোকটি বলবে, (হে প্রতিপালক)! তুমি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা বা হাসি-তামাশা করছ? (রাবী বলেন) আমি তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর মাড়ির দাঁত প্রকাশ করে হাসতে দেখলাম। এবং তিনি বলছিলেন এটা জান্নাতীদের সর্বনিম্ন অবস্থা। [৪৮][৭৫১১; মুসলিম ১/৮৩, হাঃ ১৮৬, আহমাদ ৩৫৯৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮] আল্লাহ্‌ তা‘আলার হাসা, রাগ হওয়া আল্লাহ্‌র ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত । তাঁর ক্রিয়াবাচক সিফাত যা তাঁর জন্য প্রতিষ্ঠিত । সুতরাং (ضحك) বা হাসার অর্থ নেকী, সন্তুষ্টি গ্রহণ করা সঠিক নয় । যেমন (غضب) বা রাগের অর্থ শাস্তি বা অসন্তুষ্টি গ্রহণও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা বিশ্বাসের (আক্বীদা) পরিপন্থী । (ফাতহুল বারী)

উল্লেখ্য যে, আল্লাহ্‌ তা‘আলা পবিত্র কুরআন মাজীদে নিজের যে সমস্ত নাম ও গুণাবলী উল্লেখ করেছেন, অথবা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশুদ্ধ হাদীসে আল্লাহ্‌র যে সব গুণাবলী বর্ণনা করেছেন সেগুলো যথাযথভাবে মেনে নিতে হবে । এর মধ্যে কোন প্রকারের বিকৃতি, অস্বীকৃতি, ধরন বা প্রকৃতি নির্ণয় অথবা অপব্যাখ্যা, সাদৃশ্য পেশ করা যাবে না । সুতরাং আল্লাহ্‌ যে নামে নিজেকে আখ্যায়িত বা গুণান্বিত করেছেন তাঁর উপর ঠিক সেই ভাবেই ঈমান আনা অত্যাবশ্যক, রূপক অর্থে নয় ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭২

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ الْعَبَّاسِ أَنَّهُ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَلْ نَفَعْتَ أَبَا طَالِبٍ بِشَيْءٍ

আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আবূ তালিবের কোন উপকার করতে পেরেছেন কি?(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৫২. অধ্যায় :

সীরাত হল জাহান্নামের পুল

৬৫৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، وَعَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.‏ وَحَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أُنَاسٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ ‏”‏ هَلْ تُضَارُّونَ فِي الشَّمْسِ، لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ ‏”‏‏.‏ قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَلْ تُضَارُّونَ فِي الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، لَيْسَ دُونَهُ سَحَابٌ ‏”‏‏.‏ قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَذَلِكَ، يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ فَيَقُولُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ شَيْئًا فَلْيَتَّبِعْهُ، فَيَتْبَعُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ الشَّمْسَ، وَيَتْبَعُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ الْقَمَرَ، وَيَتْبَعُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ الطَّوَاغِيتَ، وَتَبْقَى هَذِهِ الأُمَّةُ فِيهَا مُنَافِقُوهَا، فَيَأْتِيهِمُ اللَّهُ فِي غَيْرِ الصُّورَةِ الَّتِي يَعْرِفُونَ فَيَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ‏.‏ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ، هَذَا مَكَانُنَا حَتَّى يَأْتِيَنَا رَبُّنَا، فَإِذَا أَتَانَا رَبُّنَا عَرَفْنَاهُ فَيَأْتِيهِمُ اللَّهُ فِي الصُّورَةِ الَّتِي يَعْرِفُونَ فَيَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ‏.‏ فَيَقُولُونَ أَنْتَ رَبُّنَا، فَيَتْبَعُونَهُ وَيُضْرَبُ جِسْرُ جَهَنَّمَ ‏”‏‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُجِيزُ، وَدُعَاءُ الرُّسُلِ يَوْمَئِذٍ اللَّهُمَّ سَلِّمْ سَلِّمْ، وَبِهِ كَلاَلِيبُ مِثْلُ شَوْكِ السَّعْدَانِ، أَمَا رَأَيْتُمْ شَوْكَ السَّعْدَانِ ‏”‏‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّهَا مِثْلُ شَوْكِ السَّعْدَانِ، غَيْرَ أَنَّهَا لاَ يَعْلَمُ قَدْرَ عِظَمِهَا إِلاَّ اللَّهُ، فَتَخْطَفُ النَّاسَ بِأَعْمَالِهِمْ، مِنْهُمُ الْمُوبَقُ، بِعَمَلِهِ وَمِنْهُمُ الْمُخَرْدَلُ، ثُمَّ يَنْجُو، حَتَّى إِذَا فَرَغَ اللَّهُ مِنَ الْقَضَاءِ بَيْنَ عِبَادِهِ، وَأَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ مِنَ النَّارِ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ، مِمَّنْ كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، أَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ أَنْ يُخْرِجُوهُمْ، فَيَعْرِفُونَهُمْ بِعَلاَمَةِ آثَارِ السُّجُودِ، وَحَرَّمَ اللَّهُ عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ مِنِ ابْنِ آدَمَ أَثَرَ السُّجُودِ، فَيُخْرِجُونَهُمْ قَدِ امْتُحِشُوا، فَيُصَبُّ عَلَيْهِمْ مَاءٌ يُقَالُ لَهُ مَاءُ الْحَيَاةِ، فَيَنْبُتُونَ نَبَاتَ الْحِبَّةِ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ، وَيَبْقَى رَجُلٌ مُقْبِلٌ بِوَجْهِهِ عَلَى النَّارِ فَيَقُولُ يَا رَبِّ قَدْ قَشَبَنِي رِيحُهَا وَأَحْرَقَنِي ذَكَاؤُهَا، فَاصْرِفْ وَجْهِي عَنِ النَّارِ فَلاَ يَزَالُ يَدْعُو اللَّهَ‏.‏ فَيَقُولُ لَعَلَّكَ إِنْ أَعْطَيْتُكَ أَنْ تَسْأَلَنِي غَيْرَهُ‏.‏ فَيَقُولُ لاَ وَعِزَّتِكَ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهُ‏.‏ فَيَصْرِفُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ، ثُمَّ يَقُولُ بَعْدَ ذَلِكَ يَا رَبِّ قَرِّبْنِي إِلَى باب الْجَنَّةِ‏.‏ فَيَقُولُ أَلَيْسَ قَدْ زَعَمْتَ أَنْ لاَ تَسْأَلْنِي غَيْرَهُ، وَيْلَكَ ابْنَ آدَمَ مَا أَغْدَرَكَ‏.‏ فَلاَ يَزَالُ يَدْعُو‏.‏ فَيَقُولُ لَعَلِّي إِنْ أَعْطَيْتُكَ ذَلِكَ تَسْأَلَنِي غَيْرَهُ‏.‏ فَيَقُولُ لاَ وَعِزَّتِكَ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهُ‏.‏ فَيُعْطِي اللَّهَ مِنْ عُهُودٍ وَمَوَاثِيقَ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهُ، فَيُقَرِّبُهُ إِلَى باب الْجَنَّةِ، فَإِذَا رَأَى مَا فِيهَا سَكَتَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَسْكُتَ، ثُمَّ يَقُولُ رَبِّ أَدْخِلْنِي الْجَنَّةَ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ أَوَلَيْسَ قَدْ زَعَمْتَ أَنْ لاَ تَسْأَلَنِي غَيْرَهُ، وَيْلَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مَا أَغْدَرَكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ لاَ تَجْعَلْنِي أَشْقَى خَلْقِكَ‏.‏ فَلاَ يَزَالُ يَدْعُو حَتَّى يَضْحَكَ، فَإِذَا ضَحِكَ مِنْهُ أَذِنَ لَهُ بِالدُّخُولِ فِيهَا، فَإِذَا دَخَلَ فِيهَا قِيلَ تَمَنَّ مِنْ كَذَا‏.‏ فَيَتَمَنَّى، ثُمَّ يُقَالُ لَهُ تَمَنَّ مِنْ كَذَا‏.‏ فَيَتَمَنَّى حَتَّى تَنْقَطِعَ بِهِ الأَمَانِيُّ فَيَقُولُ لَهُ هَذَا لَكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَذَلِكَ الرَّجُلُ آخِرُ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার কয়েকজন লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ক্বিয়ামাতের দিন আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? উত্তরে তিনি বললেনঃ সূর্যের নিচে যখন কোন মেঘ না থাকে তখন তা দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তারা বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ পূর্ণিমার চাঁদ যদি মেঘের আড়ালে না থাকে তবে তা দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তারা বলল, না হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ তোমরা অবশ্যই ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্কে ঐরূপ দেখতে পাবে। আল্লাহ্ মানুষকে একত্রিত করে বলবেন, (দুনিয়াতে) তোমরা যে যে জিনিসের ‘ইবাদাত করেছিলে সে তার সঙ্গে চলে যাও। অতএব সূর্যের পূজারী সূর্যের সঙ্গে, চন্দ্রের পূজারী চন্দ্রের সঙ্গে এবং মূর্তি পূজারী মূর্তির সঙ্গে চলে যাবে। অবশিষ্ট থাকবে এ উম্মাতের লোকেরা, যাদের মাঝে মুনাফিক সম্প্রদায়ের লোকও থাকবে। তারা আল্লাহ্কে যে আকৃতিতে জানত, তার আলাদা আকৃতিতে আল্লাহ্ তাদের কাছে হাযির হবেন এবং বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক। তখন তারা বলবে, আমরা তোমার থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আমাদের প্রতিপালক না আসা পর্যন্ত আমরা এ স্থানেই থেকে যাব। আমাদের প্রতিপালক যখন আমাদের কাছে আসবেন, আমরা তাকে চিনে নেব। এরপর যে আকৃতিতে তারা আল্লাহ্কে জানত সে আকৃতিতে তিনি তাদের কাছে হাযির হবেন এবং বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক। তখন তারা বলবে (হাঁ) আপনি আমাদের প্রতিপালক। তখন তারা আল্লাহর অনুসরণ করবে। অতঃপর জাহান্নামের পুল স্থাপন করা হবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, সর্বপ্রথম আমি সেই পুল অতিক্রম করব। আর সেই দিন সমস্ত রাসূলের দু‘আ হবে اللهُمَّ سَلِّمْ سَلِّمْ অর্থাৎ হে আল্লাহ্! রক্ষা কর, রক্ষা কর। সেই পুলের মাঝে সা’দান নামক (এক রকম কাঁটাওয়ালা) গাছের কাঁটার মত কাঁটা থাকবে। তোমরা কি সা’দানের কাঁটা দেখেছ? তারা বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূরাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ কাঁটাগুলি সা’দানের কাঁটার মতই হবে, তবে তা যে কত বড় হবে সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। সে কাঁটাগুলি মানুষকে তাদের ‘আমাল অনুসারে ছিনিয়ে নেবে। তাদের মাঝে কতক লোক এমন হবে যে তাদের ‘আমালের কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর কতক লোক এমন হবে যে তাদের ‘আমাল হবে সরিষার মত নগণ্য। তবুও তারা নাজাত পাবে। এমন কি আল্লাহ্ বান্দাদের বিচার সমাপ্ত করবেন এবং لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ এর সাক্ষ্যদাতাদের থেকে যাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার ইচ্ছা করবেন আল্লাহ্ তাদেরকে বের করার জন্য ফেরেশতাদেরকে আদেশ করবেন। সাজদাহর চিহ্ন দেখে ফেরেশ্তারা তাদেরকে চিনতে পারবে। আর আল্লাহ্ বানী আদমের ঐ সাজদাহর স্থানগুলোকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। কাজেই ফেরেশ্তারা তাদেরকে এমন অবস্থায় বের করবে যে, তখন তাদের দেহ থাকবে কয়লার মত। তারপর তাদের দেহে পানি ঢেলে দেয়া হবে। যাকে বলা হয় ‘মাউল হায়াত’ জীবন-বারি। সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আসা আবর্জনায় যেমন গাছ জন্মায়, পরে এগুলো যেমন সজীব হয় তারাও সেরকম সজীব হয়ে যাবে। এ সময় জাহান্নামের দিকে মুখ করে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকবে আর বলবে, হে প্রভু! জাহান্নামের লু হাওয়া আমাকে ঝলসে দিয়েছে, এর তেজ আমাকে জ্বালিয়ে দিয়েছে। সুতরাং তুমি আমার চেহারাটা জাহান্নামের দিক থেকে ঘুরিয়ে দাও। এভাবে সে আল্লাহ্কে ডাকতে থাকবে। তখন আল্লাহ্ বলবেনঃ আমি যদি তোমাকে এটা দিয়ে দেই তবে তুমি আর অন্যটি চাইবে? লোকটি বলবে, না। আল্লাহ্, তোমার ইয্যতের কসম! আর অন্যটি চাইব না। তখন তার চেহারাটা জাহান্নামের দিক থেকে ঘুরিয়ে দেয়া হবে। এরপর সে বলবে, হে প্রতিপালক! তুমি আমাকে জান্নাতের দরজার কাছে পৌঁছে দাও। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বলনি যে, তুমি আমার কাছে আর অন্য কিছু চাইবে না? আফসোস তোমার জন্য আদম সন্তান! তুমি বড়ই বিশ্বাসঘাতক! সে এরূপই প্রার্থনা করতে থাকবে। তখন আল্লাহ বলবেনঃ সম্ভবত আমি যদি তোমাকে এটা দিয়ে দেই তবে তুমি অন্য আরেকটি আমার কাছে চাইবে। লোকটি বলবে, না, তোমার ইয্যাতের কসম! অন্যটি আর চাইব না। তখন সে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করবে যে, সে আর কিছুই চাইবে না। তখন আল্লাহ্ তাকে জান্নাতের দরজার নিকটে নিয়ে দিবেন। সে যখন জান্নাতের ভিতরের নিয়ামতগুলো দেখতে পাবে, তখন আল্লাহ্ যতক্ষণ চাইবেন ততক্ষণ সে চুপ থাকবে। এরপরই সে বলতে থাকবে, হে প্রতিপালক! তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। তখন আল্লাহ্ বলবেন, তুমি কি বল নাই যে তুমি আর কিছু চাইবে না? আফসোস তোমার জন্য হে আদাম সন্তান! তুমি কতইনা বিশ্বাসঘাতক। লোকটি বলবে, হে প্রতিপালক! তুমি আমাকে তোমার সৃষ্ট জীবের মাঝে সবচেয়ে হতভাগ্য কর না। এভাবে সে চাইতেই থাকবে। শেষে আল্লাহ্ হেসে দিবেন। আর আল্লাহ্ যখন হেসে দিবেন, তখন তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দেবেন। এরপর সে যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন তাকে বলা হবে, তোমার যা ইচ্ছে হয় আমার কাছে চাও। সে চাইবে, এমনকি তার সব চাহিদা ফুরিয়ে যাবে। তখন আল্লাহ্ বলবেনঃ এগুলো তোমার এবং আরো এতটা তোমার। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, ঐ লোকটি হচ্ছে সবশেষে জান্নাতে প্রবেশকারী। রাবী বলেন যে, এ সময় আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলেন। [৮০৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭৪

قَالَ عَطَاءٌ وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ جَالِسٌ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ، لاَ يُغَيِّرُ عَلَيْهِ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى قَوْلِهِ ‏”‏ هَذَا لَكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ‏”‏ هَذَا لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ حَفِظْتُ ‏”‏ مِثْلُهُ مَعَهُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর বর্ণনার মাঝে আবূ সা‘ঈদ খুদরীর নিকট কোন রকম পরিবর্তন ধরা পড়েনি। এমন কি তিনি যখন هَذَا لَكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন, তখন আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি هَذَا لَكَ وَ عَشَرَةُ أَمْثَالِهِ ‘এটি তোমার এবং এর দশ গুণ’ বলেছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি مِثْلُهُ مَعَهُ মনে রেখেছি। [৪৯](আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৯] মেঘমুক্ত আকাশে পূর্ণিমার চাঁদকে যেমন দেখতে পাওয়া যায়, বান্দারা কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌কে তেমনি সুস্পষ্ট উজ্জ্বলভাবে দেখতে পাবে । এ সকল হাদীস ও বহু আয়াত থেকে জানা যায় আল্লাহ্‌র আকার আছে, তিনি নিরাকার নন । আমরা বাতাসকে দেখতে পাই না, কেননা তা নিরাকার । কিন্তু আল্লাহ্‌র আকার আছে, তাঁকে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে । তবে কোন কিছুই তাঁর মত নয় । তিনি অতুলনীয় । উল্লেখ্য যারা বলেন যে, আল্লাহ্‌ নিরাকার তারা কি বলবেন যে, আল্লাহ্‌ এ পৃথিবী অবশিষ্ট থাকাকালীন সময়ে নিরাকার ছিলেন আর আখিরাতে তার আকার বিশিষ্ট হয়ে যাবেন? সূরা আ‘রাফের ১৪৩ নম্বর আয়াত পাঠ করুন, সেখানে পাবেন মূসা (আঃ) আল্লাহ্‌কে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহ্‌ বললেন না যে, আমার আকার নেই তুমি আমাকে দেখতে পাবে না । বরং তিনি তাঁকে দেখার ব্যাপারে শর্ত জুড়ে দিলেন… (উক্ত আয়াত দেখুন) । এছাড়া সূরা শুরার ৫১ নং আয়াত পাঠ করুন সেখানে আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন বলেন : “وَمَاكَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللهُ إِلَّا وَحْيًا أِوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَاب…” অতএব যদি আল্লাহ্‌ নিরাকার হন তাহলে পর্দার আড়ালের বিষয়টি আসবে কেন? আসলে কুরআন ও হাদীসের অপব্যাখ্যা করলেই যে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে দিশেহারা হয়ে যায় এই বিদ‘আতীদের অবস্থাও তাই ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৫৩. অধ্যায় :

হাউয [৫০] আল্লাহ্‌র বাণী : আমি তোমাকে অশেষ কল্যাণ দান করেছি (যার মধ্যে) ‘কাওসার’ও অন্তর্ভুক্ত । ‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) বর্ণনা করেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : তোমরা হাউযের কাছে আমার সঙ্গে মিলিত হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করবে ।

[৫০] হাউয একমাত্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’র জন্যই নির্দিষ্ট, সুতরাং হাউজ হক্ব । এ হাউজ সম্পর্কে প্রায় ৮০ জন সাহাবীর বর্ণনা পাওয়া যায় । আর এই অধ্যায়ে ইমাম বুখারী যে হাদীসগুলো বর্ণনা করেছেন সেগুলোর সনদ প্রায় ১৯টি । বুখারী ও মুসলিমে প্রায় ২০জন সাহাবীর বর্ণনা পাওয়া যায় । খারেজী ও কোন কোন মু’তাযিলা সম্প্রদায় এই হাউজকে অস্বীকার করে যা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশ্বাসের (আক্বীদা) পরিপন্থী । (ফাতহুল বারী)

৬৫৭৫

يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদের আগে হাউয-এর কাছে হাজির হব। [৫১](আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫১] চোখের আড়ালে কোথায় কী ঘটছে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দুনিয়াতে বেঁচে থাকার সময়ও জানতেন না, আর এখন মৃত্যুর পরেও জানেন না । কতক লোক হাউযের পানি পান করার জন্য অগ্রসর হলে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানানো হবে যে তারা বিদ‘আতী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল । বিদ‘আতীদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া হবে, তাদেরকে পানি পান করতে দেয়া হবে না । যারা আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহীহ হাদীসের বিরুদ্ধে নিজেদের মনগড়া নিয়ম পদ্ধতিতে সাওয়াবের আশায় ইবাদাত বন্দেগী করে তারাই বিদআতী পথভ্রষ্ট । এদের ইবাদাত কক্ষনো আল্লাহ্‌র নিকট গৃহীত হবে না আর এরা জাহান্নামী ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭৬

و حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْمُغِيرَةِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَلَيُرْفَعَنَّ مَعِي رِجَالٌ مِنْكُمْ ثُمَّ لَيُخْتَلَجُنَّ دُونِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ تَابَعَهُ عَاصِمٌ عَنْ أَبِي وَائِلٍ وَقَالَ حُصَيْنٌ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদের আগে হাউয-এর কাছে গিয়ে হাজির হব। আর (ঐ সময়) তোমাদের কতগুলো লোককে অবশ্যই আমার সামনে উঠানো হবে। আবার আমার সামনে থেকে তাদেরকে আলাদা করে নেয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্রতিপালক! এরা তো আমার উম্মাত। তখন বলা হবে, তোমার পরে এরা কী নতুন কাজ করেছে তাতো তুমি জান না। আসিম আবূ ওয়াইল থেকে তার অনুসরণ করেছেন। এবং হুসাইন হুযাইফাহ সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। [৬৫৭৫; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৭, আহমাদ ৩৮১২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭৭

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَمَامَكُمْ حَوْضٌ كَمَا بَيْنَ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমাদের সামনে আমার হাউয এর দূরত্ব হবে যতটা দূরত্ব জারবা ও আযরুহ্ নামক স্থান দু’টির মাঝে রয়েছে। [মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৯, আহমাদ ৪৭২৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭৮

عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ وَعَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ الْكَوْثَرُ الْخَيْرُ الْكَثِيرُ الَّذِي أَعْطَاهُ اللهُ إِيَّاهُ قَالَ أَبُو بِشْرٍ قُلْتُ لِسَعِيدٍ إِنَّ أُنَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّهُ نَهَرٌ فِي الْجَنَّةِ فَقَالَ سَعِيدٌ النَّهَرُ الَّذِي فِي الْجَنَّةِ مِنْ الْخَيْرِ الَّذِي أَعْطَاهُ اللهُ إِيَّاهُ

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল-কাউসার হচ্ছে অধিক বা অধিক কল্যাণ, যা আল্লাহ্‌ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দান করেছেন। রাবী আবূ বিশ্‌র বলেন, আমি সা‘ঈদকে বললাম যে, লোকেরা তো ধারণা করে সেটি জান্নাতের একটা ঝর্ণা।

তখন সা‘ঈদ বললেন, ওটা সেই ঝর্ণা যা জান্নাতের মাঝে রয়েছে। তার ভিতর আছে এমন কল্যাণ যা আল্লাহ্‌ তাঁকে প্রদান করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৭৯

سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ مَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنْ اللَّبَنِ وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنْ الْمِسْكِ وَكِيزَانُهُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ شَرِبَ مِنْهَا فَلاَ يَظْمَأُ أَبَدًا

আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাউযের প্রশস্ততা এক মাসের পথের সমান। তার পানি দুধের চেয়ে সাদা, তার ঘ্রাণ মিশ্‌ক-এর চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত এবং তার পানপাত্রগুলো হবে আকাশের তারকার মতো অধিক। তাত্থেকে যে পান করবে সে আর কক্ষনো পিপাসার্ত হবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮০

سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ قَدْرَ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ وَصَنْعَاءَ مِنْ الْيَمَنِ وَإِنَّ فِيهِ مِنْ الأَبَارِيقِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাউযের প্রশস্ততা হল আয়লা হতে ইয়ামানের সান‘আ নামক স্থানদ্বয়ের দূরতের সমান আর তার পানপাত্রগুলোর সংখ্যা আকাশের নক্ষত্ররাজির ন্যায়।[মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২৩০৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮১

أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح و حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ فِي الْجَنَّةِ إِذَا أَنَا بِنَهَرٍ حَافَتَاهُ قِبَابُ الدُّرِّ الْمُجَوَّفِ قُلْتُ مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَذَا الْكَوْثَرُ الَّذِي أَعْطَاكَ رَبُّكَ فَإِذَا طِينُهُ أَوْ طِيبُهُ مِسْكٌ أَذْفَرُ شَكَّ هُدْبَةُ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমি জান্নাতে ভ্রমন করছিলাম, এমন সময় এক ঝর্ণার কাছে এলে দেখি যে তার দু’ধারে ফাঁপা মুক্তার গম্বুজ রয়েছে। আমি বললাম, হে জিব্‌রীল! এটা কি? তিনি বললেন, এটা ঐ কাউসার যা আপনার প্রতিপালক আপনাকে দান করেছেন। তার ঘ্রাণে অথবা মাটিতে ছিল উত্তম মানের মিশ্‌ক এর সুগন্ধি। হুদ্‌বা (রহঃ) সন্দেহ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮২

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِي الْحَوْضَ حَتَّى عَرَفْتُهُمْ اخْتُلِجُوا دُونِي فَأَقُولُ أَصْحَابِي فَيَقُولُ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমার সামনে আমার উম্মাতের কতক লোক হাউযের কাছে আসবে। তাদেরকে আমি চিনতে পারব। আমার সামনে থেকে তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, এরা আমার উম্মত। তখন আল্লাহ্‌ বলবেন, তুমি জান না তোমার পরে এরা কী সব নতুন নতুন মত ও পথ বের করেছিল। [মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২৩০৪, আহমাদ ১৩৯৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৩

سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের নিকট পৌঁছব। যে আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে, সে হাউযের পানি পান করবে। আর যে পান করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না। নিঃসন্দেহে কিছু সম্প্রদায় আমার সামনে (হাউযে) উপস্থিত হবে। আমি তাদেরকে চিনতে পারব আর তারাও আমাকে চিনতে পারবে। এরপর আমার এবং তাদের মাঝে আড়াল করে দেয়া হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৪

قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَسَمِعَنِي النُّعْمَانُ بْنُ أَبِي عَيَّاشٍ فَقَالَ هَكَذَا سَمِعْتَ مِنْ سَهْلٍ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ لَسَمِعْتُهُ وَهُوَ يَزِيدُ فِيهَا فَأَقُولُ إِنَّهُمْ مِنِّي فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِي وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ سُحْقًا بُعْدًا يُقَالُ سَحِيقٌ بَعِيدٌ سَحَقَهُ وَأَسْحَقَهُ أَبْعَدَهُ

আবূ হাযিম থেকে বর্ণিতঃ

নু‘মান ইবনু আবূ আইয়্যাশ আমার নিকট হতে হাদীস শুনে বললেন, তুমিও কি সাহল থেকে এমন শুনেছ? তখন আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরীর (রাঃ) ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি তার নিকট হতে এতটুকু বেশি শুনেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তখন বলব যে এরা তো আমারই উম্মাত। তখন বলা হবে, তুমি তো জান না তোমার পরে এরা কি সব নতুন নতুন কথা ও কাজ সৃষ্টি করেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তখন আমি বলব, আমার পরে যারা দ্বীনের ভিতর পরিবর্তন এনেছে তারা আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকুক। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, سُحْقًا অর্থ দূরত্ব سَحِيقٌ অর্থ দূর, سَحَقَهُ وَأَسْحَقَهُ অর্থ তাকে দূর করে দিয়েছে। [৭০৫১; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯০, ২২৯১, আহমাদ ২২৮৮৫] (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৫

وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ الْحَبَطِيُّ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَرِدُ عَلَيَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِي فَيُحَلَّئُونَ عَنْ الْحَوْضِ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ عِلْمَ لَكَ بِمَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ إِنَّهُمْ ارْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِهِمْ الْقَهْقَرَى

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাত হতে একদল লোক ক্বিয়ামাতের দিন আমার সামনে (হাউযে কাউসারে) হাজির হবে। এরপর তাদেরকে হাউয থেকে আলাদা করে দেয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্রভু! এরা আমার উম্মাত। তখন আল্লাহ্ বলবেন, তোমার পরে এরা দ্বীনের মধ্যে কী সব নতুন বিষয় সৃষ্টি করেছে এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই তোমার জানা নেই। নিশ্চয় এরা দ্বীন থেকে পিছনের দিকে ফিরে গিয়েছিল। শু‘আইব (রহ.) যুহরী সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে فَيُحَلَّئُونَ বর্ণিত উকায়ল فَيُحَلَّئُونَ বলেছেন। যুবায়দী আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরকমই বর্ণনা করেছেন। [৬৫৮৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ,নাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৬

أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ عَنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَرِدُ عَلَى الْحَوْضِ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِي فَيُحَلَّئُونَ عَنْهُ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ عِلْمَ لَكَ بِمَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ إِنَّهُمْ ارْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِهِمْ الْقَهْقَرَى وَقَالَ شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيُجْلَوْنَ وَقَالَ عُقَيْلٌ فَيُحَلَّئُونَ وَقَالَ الزُّبَيْدِيُّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

সা‘ঈদ ইব্‌নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সা‘ঈদ ইব্‌নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীদের থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের কিছু লোক আমার সামনে হাউযে কাউসারে হাজির হবে। তারপর তাদেরকে সেখান থেকে আলাদা করে নেয়া হবে। তখন আমি বলব, হে রব! এরা আমার উম্মাত। তিনি বলবেন, তোমার পরে এরা দ্বীনের মধ্যে কী বিষয় সৃষ্টি করেছে সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই তোমার জানা নেই। নিঃসন্দেহে এরা দ্বীন থেকে পিছনের দিকে ফিরে গিয়েছিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৭

إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ حَدَّثَنِي هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَا أَنَا قَائِمٌ إِذَا زُمْرَةٌ حَتَّى إِذَا عَرَفْتُهُمْ خَرَجَ رَجُلٌ مِنْ بَيْنِي وَبَيْنِهِمْ فَقَالَ هَلُمَّ فَقُلْتُ أَيْنَ قَالَ إِلَى النَّارِ وَاللهِ قُلْتُ وَمَا شَأْنُهُمْ قَالَ إِنَّهُمْ ارْتَدُّوا بَعْدَكَ عَلَى أَدْبَارِهِمْ الْقَهْقَرَى ثُمَّ إِذَا زُمْرَةٌ حَتَّى إِذَا عَرَفْتُهُمْ خَرَجَ رَجُلٌ مِنْ بَيْنِي وَبَيْنِهِمْ فَقَالَ هَلُمَّ قُلْتُ أَيْنَ قَالَ إِلَى النَّارِ وَاللهِ قُلْتُ مَا شَأْنُهُمْ قَالَ إِنَّهُمْ ارْتَدُّوا بَعْدَكَ عَلَى أَدْبَارِهِمْ الْقَهْقَرَى فَلاَ أُرَاهُ يَخْلُصُ مِنْهُمْ إِلاَّ مِثْلُ هَمَلِ النَّعَمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় আমি (হাশরের ময়দানে) দাঁড়িয়ে থাকব। হঠাৎ দেখতে পাব একটি দল এবং আমি যখন তাদেরকে চিনে ফেলব, তখন আমার ও তাদের মাঝ থেকে একটি লোক বেরিয়ে আসবে এবং সে বলবে, আপনি আসুন। আমি বলব, কোথায়? সে বলবে, আল্লাহ্‌র কসম জাহান্নামের দিকে। আমি বলব, তাদের অবস্থা কী? সে বলবে, নিশ্চয় এরা আপনার মৃত্যুর পর দ্বীন থেকে পেছনে সরে গিয়েছিল। এরপর হঠাৎ আরেকটি দল দেখতে পাব। আমি তাদেরকে চিনে ফেলব। তখন আমার ও তাদের মধ্য হতে একটি লোক বেরিয়ে আসবে। সে বলবে, আসুন! আমি বলব কোথায়? সে বলবে আল্লাহ্‌র কসম, জাহান্নামের দিকে। আমি বলব, তাদের অবস্থা কী? সে বলবে, নিশ্চয়ই এরা আপনার মৃত্যুর পর দ্বীন থেকে পেছনে ফিরে গিয়েছিল। অতি নগণ্য সংখ্যক ছাড়া তারা নাযাত পাবে বলে আমার মনে হয় না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৮

إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানটি জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান। আর আমার মিম্বর আমার হাউযের ওপরে অবস্থিত।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬১২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৮৯

عَبْدَانُ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ

জুনদব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তোমাদের পূর্বেই আমি হাউযে পৌঁছব। [মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৮৯, আহমাদ ১৮৮৩২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৯০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلاَتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ، ثُمَّ انْصَرَفَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي فَرَطٌ لَكُمْ، وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِي الآنَ، وَإِنِّي أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الأَرْضِ ـ أَوْ مَفَاتِيحَ الأَرْضِ ـ وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا بَعْدِي، وَلَكِنْ أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا ‏”‏‏.‏

উকবা ইব্‌নু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন বের হলেন এবং সলাতে জানাযার অনুরূপ ওহুদ যুদ্ধে শহীদদের প্রতি সলাত আদায় করলেন। এরপর তিনি মিম্বরে ফিরে এসে বললেনঃ নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য হাউযের ধারে আগে পৌঁছব। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের (‘আমালের) সাক্ষী হব। আল্লাহ্‌র কসম! নিশ্চয়ই আমি এ মুহূর্তে আমার হাউয দেখতে পাচ্ছি। নিশ্চয়ই আমাকে বিশ্ব ধন ভান্ডারের চাবি দেয়া হয়েছে। অথবা (বলেছেন) বিশ্বের কুঞ্জি। আল্লাহ্‌র কসম! আমার ইন্তিকালের পর তোমরা শিরকে লিপ্ত হবে এ ভয় আমি করি না; তবে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা হয় যে, দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে তোমরা পরস্পরে প্রতিযোগিতা করবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৯১

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ أَنَّهُ سَمِعَ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ الْحَوْضَ فَقَالَ كَمَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَصَنْعَاءَ

হারিসা ইব্‌নু ওয়াহব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হাউযে কাউসার সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেনঃ হাউযে কাউসার মাদীনাহ এবং সান‘আর মধ্যকার দূরত্বের মতো। (আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৯২

وَزَادَ ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ حَارِثَةَ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَوْلَهُ حَوْضُهُ مَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ الْمُسْتَوْرِدُ أَلَمْ تَسْمَعْهُ قَالَ الأَوَانِي قَالَ لاَ قَالَ الْمُسْتَوْرِدُ تُرَى فِيهِ الْآنِيَةُ مِثْلَ الْكَوَاكِبِ

হারিসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হারিসাহ (রাঃ) (কিঞ্চিৎ) অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ‘হাউযে কাউসারের প্রশস্ততা মাদীনাহ ও সান‘আর দূরত্বের সমান কথাটুকু শুনেছেন। তখন মুসতাওরিদ তাঁকে বললেন যে, ‘আল আওয়ানী’ বলেছেন তা কি তুমি শুননি? তিনি বললেন, না। মুসতাওরীদ বললেন, এর পাত্রগুলো তারকার মত দেখা যাবে।[মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫৯৩

سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنِّي عَلَى الْحَوْضِ حَتَّى أَنْظُرَ مَنْ يَرِدُ عَلَيَّ مِنْكُمْ وَسَيُؤْخَذُ نَاسٌ دُونِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ مِنِّي وَمِنْ أُمَّتِي فَيُقَالُ هَلْ شَعَرْتَ مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ وَاللهِ مَا بَرِحُوا يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ فَكَانَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ يَقُولُ اللهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ أَنْ نَرْجِعَ عَلَى أَعْقَابِنَا أَوْ نُفْتَنَ عَنْ دِينِنَا أَعْقَابِكُمْ تَنْكِصُونَ تَرْجِعُونَ عَلَى الْعَقِبِ

আসমা বিন্‌ত আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি হাউযের ধারে থাকব। তোমাদের মধ্য হতে যারা আমার কাছে আসবে আমি তাদেরকে দেখতে পাব। কিছু লোককে আমার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্রতিপালক! এরা আমার অন্তর্ভুক্ত, এরা আমার উম্মাত। তখন বলা হবে, তুমি কি জান তোমার পরে এরা কী সব ‘আমাল করেছে? আল্লাহর কসম! এরা দ্বীন থেকে সর্বদাই পেছন দিকে ফিরে যেত। তখন ইবনু আবূ মুলায়কা বললেন, হে আল্লাহ্! দ্বীন থেকে পিছনে ফেরা থেকে অথবা দ্বীনের ব্যাপারে ফিত্নায় পড়া থেকে আমরা তোমার কাছে পানাহ্ চাই। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, أَعْقَابِكُمْ تَنْكِصُونَ অর্থ হল تَرْجِعُونَ عَلَى الْعَقِبِ অর্থাৎ তোমরা পিছনে ফিরে যাবে। [৭০৪৮; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস