বুখারী আচার ব্যবহার অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫৯৭০ – ৬০৫০

৭৮/১. অধ্যায়:

মহান আল্লাহ্‌র বাণী: পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্য আমি মানুষের প্রতি ফরমান জারি করেছি। (সূরা আনকাবূত ২৯/৮)

৫৯৭০

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَيْزَارٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو الشَّيْبَانِيَّ، يَقُولُ أَخْبَرَنَا صَاحِبُ، هَذِهِ الدَّارِ ـ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللَّهِ ـ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَىُّ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَىّ قَالَ ‏”‏ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏”‏‏.‏ قَالَ حَدَّثَنِي بِهِنَّ وَلَوِ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي‏.‏

আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্‌র নিকট কোন্‌ কাজ সব থেকে অধিক পছন্দনীয়? তিনি বললেনঃসময় মত সালাত আদায় করা। (‘আবদুল্লাহ) জিজ্ঞেস করলেন: তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃপিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা। ‘আবদুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন: তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃআল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করা। ‘আবদুল্লাহ বললেনঃনবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগুলো সম্পর্কে আমাকে বলেছেন। আমি তাঁকে আরও অধিক প্রশ্ন করলে, তিনি আমাকে আরও জানাতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

আচার-ব্যবহার [১]

 

[১] এ পর্বে বর্ণিত হাদীসসমূহে মানুষের সৎ স্বভাব সম্পর্কিত যে সব গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ

 

১। পিতামাতার সঙ্গে- তারা মুসলিম হোক আর অমুসলিম হোক-দয়া-মায়া ও বিনয় নম্রতায় পূরিপূর্ণ অতি উচ্চ মানের সৌজন্যমূলক আচরণ করা।২। কারো ন্যায্য প্রাপ্য আটকে না রাখা।৩। দরিদ্রতার ভয়ে কন্যা শিশুকে হত্যা না করা।৪। মিথ্যা না বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়া।৫। শির্ক না করা।৬। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা না করা।৭। সলাত আদায় করা।৮। যাকাত দেয়া।৯। পবিত্র থাকা। ১০। রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখা।১১। সন্তানদের আদর স্নেহ করা।১২। পিতা-মাতার প্রিয়জন, স্বামী ও স্ত্রীর নিকটত্মায়ীদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করা।১৩। বিধবা, ইয়াতীম, গরীব ও দুঃস্থদের ভরণ পোষণের চেষ্টা করা ও তাদেরকে সাহায্য করা।১৪। জীব জন্তুর প্রতি দয়া প্রদর্শন করা।১৫। বৃক্ষ রোপন করা।১৬। প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথিক ও অধীনস্থ দাস-দাসীর প্রতি উত্তম ব্যবহার করা।১৭। মেহমানকে সম্মান করা।১৮। হাসিমুখে মিষ্ট ভাষায় কথা বলা এবং অশালীনতা বর্জন করা।১৯। সকল কাজে নম্রতা অবলম্বন করা।২০। মু’মিনদেরকে পারস্পরিক সহযোগিতা করা ও সৎ পরামর্শ দেয়া।২১। দানশীল হওয়া, কৃপণতা পরিহার করা।২২। পারিবারিক কাজকর্মে সময় দেয়া।২৩। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাউকে ভালবাসা।২৪। অন্যকে উপহাস না করা, হেয়জ্ঞান না করা।২৫। কাউকে গালি ও অভিশাপ না দেয়া।২৬। কাউকে খারাপ নামে না ডাকা।২৭। কারো গীবত না করা। ২৮। চোগলখোরী একজনের কাছে গিয়ে অন্যের প্রতি অপবাদ দেয়া বা তার দুর্নাম করা) থেকে বিরত থাকা।২৯। মুনাফিকী বর্জন করা।৩০। কারো অতিরিক্ত প্রশংসা না করা।৩১। আত্মীয় অনাত্মীয় সকল ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার করা।৩২। কারো প্রতি যুলম অত্যাচার না করা।৩৩। কারো প্রতি হিংসা বিদ্বেষ পোষণ না করা।৩৪। যাদু-টোনা ইত্যাদি না করা।৩৫। কারো প্রতি কু ধারণা পোষণ না করা।৩৬। অন্যের দোষ-ত্রুটি খোঁজার জন্য গোয়েন্দাগিরি না করা।৩৭। আন্দাজ অনুমান করা থেকে বিরত থাকা।৩৮। অন্যের দোষ ত্রুটি গোপন করা।৩৯। সম্পূর্ণরূপে অহংকার বর্জন করা।৪০। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা।৪১। অন্যের সাথে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বন্ধ না রাখা।৪২। আল্লাহর অবাধ্যগণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা।৪৩। আপন লোকের সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি বেশি সাক্ষাত করা।৪৪। নেককার সঙ্গী সাথীর বাড়িতে আহার করা।৪৫। সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উত্তম পোশাক পরা।৪৬। মুসলমানদের সঙ্গে ভ্রাতৃ বন্ধনে আবদ্ধ থাকা।৪৭। আলা জিহবা বের করে হো হো করে না হাসা।৪৮। সৎকাজ করতে এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ জেনে নিতে লজ্জাবোধ না করা।৪৯। ধৈর্যশীল হওয়া।৫০। লজ্জাশীল হওয়া।৫১। সরাসরি কাউকে তিরস্কার না করে সাধারণভাবে নাসীহাতের মাধ্যমে ভুল শুধরে দেয়া। ৫২। কাউকে কাফির না বলা। ৫৩। কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে কঠোরতা প্রদর্শন করা। ৫৪। ক্রোধ দমন করা। ৫৫। মানুষকে ক্ষমা করা। ৫৬। কথায় ও কর্মে সহজতা ও সরলতা অবলম্বন করা। ৫৭। আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ক্ষেত্র ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে কারো নিকট থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ না করা। ৫৮। মানুষের পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য করে নাসীহাত প্রদান করা। ৫৯। স্বীয় পরিবার পরিজনের সঙ্গে হাসি তামাশা করা। ৬০। একই রকমের ভুল কাজ দ্বিতীয়বার না করা। ৬১। সংশ্লিষ্ট সকলের অধিকারের প্রতি মনোযোগী থেকে প্রত্যেকের অধিকার আদায় করা। ৬২। বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা। ৬৩। আগন্তুককে মারহাবা বলে স্বাগত জানানো। ৬৪। সময়কে গালি না দেয়া। ৬৫। ভাল নাম রাখা এবং ভাল নামে ডাকা। ৬৬। আশ্চর্যবোধ করলে আল্লাহু আকবার ও সুবহানাল্লাহ বলা। ৬৭। ঢিল ছুঁড়া হতে বিরত থাকা। ৬৮। হাঁচি দিলে আল হামদুলিল্লাহ বলা এবং হাই উঠলে মুখ ঢাকা। ৬৯। রোগীর সেবা করা। ৭০। জানাযায় অংশ গ্রহণ করা। ৭১। কেউ দাওয়াত দিলে কবূল করা। ৭২। সালামের জওয়াব দেয়া। ৭৩। মযলুমকে সাহায্য করা। ৭৪। শপথ পূর্ণ করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২. অধ্যায়:

মানুষের মাঝে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার কে অধিক হকদার?

৫৯৭১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ شُبْرُمَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِي قَالَ ‏”‏ أُمُّكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ‏”‏ أُمُّكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ‏”‏ أُمُّكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ‏”‏ ثُمَّ أَبُوكَ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ ابْنُ شُبْرُمَةَ وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ مِثْلَهُ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল: হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার নিকট কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার? তিনি বললেনঃতোমার মা। লোকটি বললোঃ অতঃপর কে? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমার মা। সে বললোঃ অতঃপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বললোঃ অতঃপর কে? তিনি বললেনঃঅতঃপর তোমার বাবা।

ইবনু শুবরুমাহ বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু আইউব আবূ যুর’আ (রাঃ) থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন।[মুসলিম ৪৫/১, হাঃ ২৫৪৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩. অধ্যায়:

পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত জিহাদে গমন করবে না।

৫৯৭২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، وَشُعْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَبِيبٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُجَاهِدُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لَكَ أَبَوَانِ ‏”‏‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَفِيهِمَا فَجَاهِدْ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করল: আমি কি জিহাদে যাব? তিনি বললেনঃতোমার কি পিতা-মাতা আছে? সে বললোঃ হাঁ। তিনি বললেনঃতা হলে তাদের (সেবা করার মাধ্যমে) জিহাদ কর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৪. অধ্যায়:

কোন লোক তার পিতা-মাতাকে গালি দেবে না।

৫৯৭৩

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ أَنْ يَلْعَنَ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ ‏”‏‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَلْعَنُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ قَالَ ‏”‏ يَسُبُّ الرَّجُلُ أَبَا الرَّجُلِ، فَيَسُبُّ أَبَاهُ، وَيَسُبُّ أَمَّهُ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের পিতা-মাতাকে লা’নত করা। জিজ্ঞেস করা হলো: হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপন পিতা-মাতাকে কোন লোক কীভাবে লা’নত করতে পারে? তিনি বললেনঃসে অন্যের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে তার পিতাকে গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, তখন সে তার মাকে গালি দেয়।[মুসলিম ১/৩৮, হাঃ ৯০, আহমাদ ৬৫৪০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৫. অধ্যায়:

পিতা-মাতার প্রতি উত্তম ব্যবহারকারীর দু‘আ কবুল হওয়া।

৫৯৭৪

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ بَيْنَمَا ثَلاَثَةُ نَفَرٍ يَتَمَاشَوْنَ أَخَذَهُمُ الْمَطَرُ، فَمَالُوا إِلَى غَارٍ فِي الْجَبَلِ، فَانْحَطَّتْ عَلَى فَمِ غَارِهِمْ صَخْرَةٌ مِنَ الْجَبَلِ، فَأَطْبَقَتْ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ انْظُرُوا أَعْمَالاً عَمِلْتُمُوهَا لِلَّهِ صَالِحَةً، فَادْعُوا اللَّهَ بِهَا لَعَلَّهُ يَفْرُجُهَا‏.‏ فَقَالَ أَحَدُهُمُ اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَ لِي وَالِدَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ، وَلِي صِبْيَةٌ صِغَارٌ كُنْتُ أَرْعَى عَلَيْهِمْ، فَإِذَا رُحْتُ عَلَيْهِمْ فَحَلَبْتُ بَدَأْتُ بِوَالِدَىَّ أَسْقِيهِمَا قَبْلَ وَلَدِي، وَإِنَّهُ نَاءَ بِيَ الشَّجَرُ فَمَا أَتَيْتُ حَتَّى أَمْسَيْتُ، فَوَجَدْتُهُمَا قَدْ نَامَا، فَحَلَبْتُ كَمَا كُنْتُ أَحْلُبُ، فَجِئْتُ بِالْحِلاَبِ فَقُمْتُ عِنْدَ رُءُوسِهِمَا، أَكْرَهُ أَنْ أُوقِظَهُمَا مِنْ نَوْمِهِمَا، وَأَكْرَهُ أَنْ أَبْدَأَ بِالصِّبْيَةِ قَبْلَهُمَا، وَالصِّبْيَةُ يَتَضَاغَوْنَ عِنْدَ قَدَمَىَّ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبِي وَدَأْبَهُمْ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ، فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ، فَافْرُجْ لَنَا فُرْجَةً نَرَى مِنْهَا السَّمَاءَ، فَفَرَجَ اللَّهُ لَهُمْ فُرْجَةً حَتَّى يَرَوْنَ مِنْهَا السَّمَاءَ‏.‏ وَقَالَ الثَّانِي اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَتْ لِي ابْنَةُ عَمٍّ، أُحِبُّهَا كَأَشَدِّ مَا يُحِبُّ الرِّجَالُ النِّسَاءَ، فَطَلَبْتُ إِلَيْهَا نَفْسَهَا، فَأَبَتْ حَتَّى آتِيَهَا بِمِائَةِ دِينَارٍ، فَسَعَيْتُ حَتَّى جَمَعْتُ مِائَةَ دِينَارٍ، فَلَقِيتُهَا بِهَا، فَلَمَّا قَعَدْتُ بَيْنَ رِجْلَيْهَا قَالَتْ يَا عَبْدَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ، وَلاَ تَفْتَحِ الْخَاتَمَ‏.‏ فَقُمْتُ عَنْهَا، اللَّهُمَّ فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي قَدْ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ لَنَا مِنْهَا فَفَرَجَ لَهُمْ فُرْجَةً‏.‏ وَقَالَ الآخَرُ اللَّهُمَّ إِنِّي كُنْتُ اسْتَأْجَرْتُ أَجِيرًا بِفَرَقِ أَرُزٍّ فَلَمَّا قَضَى عَمَلَهُ قَالَ أَعْطِنِي حَقِّي‏.‏ فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَقَّهُ، فَتَرَكَهُ وَرَغِبَ عَنْهُ، فَلَمْ أَزَلْ أَزْرَعُهُ حَتَّى جَمَعْتُ مِنْهُ بَقَرًا وَرَاعِيَهَا، فَجَاءَنِي فَقَالَ اتَّقِ اللَّهَ وَلاَ تَظْلِمْنِي، وَأَعْطِنِي حَقِّي‏.‏ فَقُلْتُ اذْهَبْ إِلَى ذَلِكَ الْبَقَرِ وَرَاعِيهَا‏.‏ فَقَالَ اتَّقِ اللَّهَ وَلاَ تَهْزَأْ بِي‏.‏ فَقُلْتُ إِنِّي لاَ أَهْزَأُ بِكَ، فَخُذْ ذَلِكَ الْبَقَرَ وَرَاعِيَهَا‏.‏ فَأَخَذَهُ فَانْطَلَقَ بِهَا، فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ، فَافْرُجْ مَا بَقِيَ، فَفَرَجَ اللَّهُ عَنْهُمْ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনজন লোক হেঁটে চলছিল। তাদের উপর বৃষ্টি শুরু হলে তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেয়। এমন সময় পাহাড় হতে একটি পাথর তাদের গুহার মুখের উপর গড়িয়ে পড়ে এবং মুখ বন্ধ করে ফেলে। তাদের একজন অন্যদের বললোঃ তোমরা তোমাদের কৃত ‘আমালের প্রতি লক্ষ্য করো যে নেক ‘আমাল তোমরা আল্লাহ্‌র জন্য করেছ; তার ওয়াসীলাহ্‌য় আল্লাহ্‌র নিকট দু’আ করো। হয়তো তিনি এটি হটিয়ে দেবেন।

তখন তাদের একজন বললোঃ হে আল্লাহ! আমার বয়োবৃদ্ধ মাতা-পিতা ছিল এবং ছোট ছোট শিশু ছিল। আমি তাদের (জীবিকার) জন্যে মাঠে পশু চরাতাম। যখন সন্ধ্যায় ফিরতাম, তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগেই পিতা-মাতাকে পান করতে দিতাম। একদিন পশুগুলো দূরে বনের মধ্যে চলে যায়। ফলে আমার ফিরে আসতে দেরী হয়ে যায়। ফিরে দেখলাম তারা উভয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি যেমন দুধ দোহন করতাম, তেমনি দোহন করলাম। তারপর দুধ নিয়ে এলাম এবং উভয়ের মাথার কাছে দাঁড়িয়ে রইলাম। ঘুম থেকে তাদের উভয়কে জাগানো ভাল মনে করলাম না। আর তাদের আগে শিশুদের পান করানোও অপছন্দ করলাম। আর শিশুরা আমাদের দু’পায়ের কাছে কান্নাকাটি করছিল। তাদের ও আমার মাঝে এ অবস্থা চলতে থাকে। শেষে ভোর হয়ে গেল। (হে আল্লাহ) আপনি জানেন যে, আমি কেবল আপনার সন্তুষ্টির জন্যেই এ কাজ করেছি। তাই আপনি আমাদের জন্য একটু ফাঁক করে দিন, যাতে আমরা আকাশ দেখতে পাই। তখন আল্লাহ তাদের জন্যে একটু ফাঁক করে দিলেন, যাতে তারা আকাশ দেখতে পায়।

দ্বিতীয় ব্যক্তি বললোঃ হে আল্লাহ! আমার একটি চাচাত বোন ছিল। আমি তাকে এতখানি ভালবাসতাম যতখানি একজন পুরুষ কোন নারীকে ভালবাসতে পারে। আমি তাকে একান্তে পেতে চাইলাম। সে অসম্মতি জানাল, যতক্ষণ আমি তার কাছে একশ’ দীনার উপস্থিত না করি। আমি চেষ্টা করলাম এবং একশ’ স্বর্ণমুদ্রা জোগাড় করলাম। এগুলো নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। যখন আমি তার দু’পায়ের মধ্যে বসলাম, তখন সে বললোঃ হে আল্লাহর বান্দাহ! আল্লাহ্‌কে ভয় করো, আমার কুমারিত্ব নষ্ট করো না। তখন আমি উঠে গেলাম। হে আল্লাহ! আপনি জানেন যে, কেবল আপনার সন্তুষ্টির জন্যেই আমি তা করেছি। তাই আমাদের জন্যে এটি ফাঁক করে দিন। তখন তাদের জন্যে আল্লাহ আরও কিছু ফাঁক করে দিলেন।

শেষের লোকটি বললোঃ হে আল্লাহ! আমি একজন মজদুরকে এক ‘ফার্‌ক’[১৪] চাউলের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ করেছিলাম। সে তার কাজ শেষ করে এসে বলল, আমার প্রাপ্য দিয়ে দিন। আমি তার প্রাপ্য তার সামনে উপস্থিত করলাম। কিন্তু সে তা ছেড়ে দিল ও প্রত্যাখ্যান করলো। তারপর তার প্রাপ্যটা আমি ক্রমাগত কৃষিকাজে খাটাতে লাগলাম। তা দিয়ে অনেকগুলো গরু ও রাখাল জমা করলাম। এরপর সে একদিন আমার কাছে এসে বললোঃ আল্লাহ্‌কে ভয় কর, আমার উপর যুল্‌ম করো না এবং আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও। আমি বললাম: ঐ গরু ও রাখালের কাছে চলে যাও। সে বললোঃ আল্লাহ্‌কে ভয় করো, আমার সাথে উপহাস কর না। আমি বললাম: তোমার সাথে আমি উপহাস করছি না। তুমি ঐ গরুগুলো ও তার রাখাল নিয়ে যাও। তারপর সে ওগুলো নিয়ে চলে গেল। (হে আল্লাহ!) আপনি জানেন যে, তা আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্যেই করেছি, তাই আপনি অবশিষ্ট অংশ উন্মুক্ত করে দিন। তারপর আল্লাহ তাদের জন্য তা উন্মুক্ত করে দিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] فَرَقِ ‘ফারক’ তৎকালীন সময়ে প্রচলিত একটি পরিমাপের পাত্র যা ১৬ রাতল-এর সমান।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৬. অধ্যায়:

পিতা-মাতার নাফরমানী করা কবীরা গুনাহ।

৫৯৭৫

حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ وَرَّادٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الأُمَّهَاتِ، وَمَنْعَ وَهَاتِ، وَوَأْدَ الْبَنَاتِ، وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةَ الْمَالِ ‏”‏‏.‏

সা’দ ইবনু হাফ্‌স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মা-বাপের নাফরমানী করা, প্রাপকের প্রাপ্য আটক রাখা, যে জিনিস গ্রহণ করা তোমাদের জন্য ঠিক নয় তা তলব করা এবং কন্যা সন্তানকে জীবিত ক্ববর দেয়া। আর তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেছেন গল্প-গুজব করা, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা ও সম্পদ অপচয় করা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৭৬

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْوَاسِطِيُّ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ‏”‏‏.‏ قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ ‏”‏‏.‏ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ وَقَوْلُ الزُّورِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ، أَلاَ وَقَوْلُ الزُّورِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ ‏”‏‏.‏ فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى قُلْتُ لاَ يَسْكُتُ‏.‏

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি কি তোমাদের সব থেকে বড় গুনাহ সম্পর্কে সতর্ক করব না? আমরা বললাম: অবশ্যই সতর্ক করবেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃআল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন কিছুকে অংশীদার গণ্য করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা। এ কথা বলার সময় তিনি হেলান দিয়ে উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর (সোজা হয়ে) বসলেন এবং বললেনঃমিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, দু’বার করে বললেন এবং ক্রমাগত বলেই চললেন। এমনকি আমি বললাম, তিনি মনে হয় থামবেন না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৭৭

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْكَبَائِرَ، أَوْ سُئِلَ عَنِ الْكَبَائِرِ فَقَالَ ‏”‏ الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ـ قَالَ ـ قَوْلُ الزُّورِ ـ أَوْ قَالَ ـ شَهَادَةُ الزُّورِ ‏”‏‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَأَكْثَرُ ظَنِّي أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ شَهَادَةُ الزُّورِ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাবীরা গুনাহ্‌র কথা উল্লেখ করলেন অথবা তাঁকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহ্‌র সঙ্গে শারীক করা, মানুষ হত্যা করা ও মা-বাপের নাফরমানী করা। তারপর তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের কবীরা গুনাহ্‌র অন্যতম গুনাহ হতে সতর্ক করবো না? পরে বললেনঃ মিথ্যা কথা বলা, অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।

শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমার বেশি ধারণা হয় যে, তিনি বলেছেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৭. অধ্যায়ঃ মু

মুশরিক পিতার সাথে সুসম্পর্ক রাখা।

৫৯৭৮

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، أَخْبَرَتْنِي أَسْمَاءُ ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَتْ أَتَتْنِي أُمِّي رَاغِبَةً فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم آصِلُهَا قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏‏.‏ قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهَا ‏{‏لاَ يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ‏}‏

আবূ বাক্‌র (রাঃ) -এর কন্যা আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে আমার অমুসলিম মা আমার কাছে এলেন। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট জিজ্ঞেস করলামঃ তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবো কি না? তিনি বললেন, হাঁ।

ইবনু ‘উয়াইনাহ (রহঃ) বলেন, এ ঘটনা প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেনঃ “দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি, আর তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের ক’রে দেয়নি তাদের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করতে আর ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করতে আল্লাহ নিষেধ করেননি।” (সূরাহ আল-মুমতাহিনাহ ৬০:৮)(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৮. অধ্যায়ঃ

যে স্ত্রীর স্বামী আছে, ঐ স্ত্রীর পক্ষে তার নিজের মায়ের সঙ্গে ভাল ব্যবহার অক্ষুণ্ন রাখা।

৫৯৭৯

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي هِشَامٌ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ قَدِمَتْ أُمِّي وَهْىَ مُشْرِكَةٌ فِي عَهْدِ قُرَيْشٍ وَمُدَّتِهِمْ، إِذْ عَاهَدُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَعَ أَبِيهَا، فَاسْتَفْتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّي قَدِمَتْ وَهْىَ رَاغِبَةٌ ‏{‏أَفَأَصِلُهَا‏}‏ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ صِلِي أُمَّكِ ‏”‏‏.‏

আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ কুরাইশরা যে সময়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে সন্ধি চুক্তি করেছিল, ঐ চুক্তিবদ্ধ সময়ে আমার মা তাঁর পিতার সঙ্গে এলেন। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে জিজ্ঞেস করলামঃ আমার মা এসেছেন, তবে সে অমুসলিম। আমি কি তাঁর সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করবো? তিনি বললেনঃ হাঁ। তোমার মায়ের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো।(আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৮০

حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ هِرَقْلَ أَرْسَلَ إِلَيْهِ فَقَالَ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا بِالصَّلاَةِ وَالصَّدَقَةِ وَالْعَفَافِ وَالصِّلَةِ‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, আবূ সুফ্‌ইয়ান (রাঃ) থেকে জানিয়েছেন যে, (রোম সম্রাট) হিরাক্লিয়াস তাকে ডেকে পাঠায়। আবূ সুফ্‌ইয়ান (রাঃ) বললো যে, তিনি অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সালাত আদায় করতে, যাকাত দিতে, পবিত্র থাকতে এবং রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯. অধ্যায়ঃ

মুশরিক ভাইয়ের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা।

৫৯৮১

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ رَأَى عُمَرُ حُلَّةَ سِيَرَاءَ تُبَاعُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْتَعْ هَذِهِ، وَالْبَسْهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَإِذَا جَاءَكَ الْوُفُودُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ‏”‏‏.‏ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا بِحُلَلٍ، فَأَرْسَلَ إِلَى عُمَرَ بِحُلَّةٍ فَقَالَ كَيْفَ أَلْبَسُهَا وَقَدْ قُلْتَ فِيهَا مَا قُلْتَ قَالَ ‏”‏ إِنِّي لَمْ أُعْطِكَهَا لِتَلْبَسَهَا، وَلَكِنْ تَبِيعُهَا أَوْ تَكْسُوهَا ‏”‏‏.‏ فَأَرْسَلَ بِهَا عُمَرُ إِلَى أَخٍ لَهُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা ‘উমার (রাঃ) এক জোড়া রেশমী ডোরাদার কাপড় বিক্রি হতে দেখেন। এরপর তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে) বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি এটা ক্রয় করুন, জুমু’আর দিনে, আর আপনার কাছে যখন প্রতিনিধি দল আসে তখন আপনি তা পরবেন। তিনি বললেনঃ এটা সে-ই পরতে পারে, যার জন্য কল্যাণের কোন হিস্যা নেই। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এ জাতীয় কারুকার্য খচিত কিছু কাপড় আসে। তিনি তা থেকে এক জোড়া কাপড় (হুল্লা) ‘উমার (রাঃ) -এর নিকট পাঠিয়ে দেন। তিনি (এসে) বললেনঃ আমি কীভাবে এটা পরবো? অথচ এ সম্পর্কে আপনি যা বলার তা বলেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাকে এটি পরার জন্য দেইনি, বরং এ জন্যেই দিয়েছি যে, তুমি ওটা বিক্রি করে দেবে অথবা অন্যকে পরতে দেবে। তখন ‘উমার (রাঃ) তা মক্কায় তার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন, যে তখনও ইসলাম গ্রহণ করেনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০. অধ্যায়ঃ

রক্ত সম্পর্ক বজায় রাখার ফাযীলাত।

৫৯৮২

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ عُثْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ، يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ‏.‏

আবূ আইউব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, এক ব্যক্তি বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে এমন একটি ‘আমল শিখিয়ে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৮৩

حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَأَبُوهُ، عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُمَا سَمِعَا مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ ـ رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ‏.‏ فَقَالَ الْقَوْمُ مَالَهُ مَالَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَرَبٌ مَالَهُ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ، ذَرْهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ كَأَنَّهُ كَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ‏.‏

আবূ আইউব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, এক ব্যক্তি বললোঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে এমন একটি ‘আমাল শিক্ষা দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। উপস্থিত লোকজন বললঃ তার কী হয়েছে? তার কী হয়েছে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার গণ্য করবে না, সলাত কায়িম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে। একে (অর্থাৎ সওয়ারীকে) ছেড়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেনঃ তিনি ঐ সময় তার সাওয়ারীর উপর ছিলেন। [১৩৯৬; মুসলিম ১/৪, হাঃ ১৩, আহমাদ ২৩৫৯৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১. অধ্যায়ঃ

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহ।

৫৯৮৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ إِنَّ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ ‏”‏‏.‏

যুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। [মুসলিম ৪৫/৬, হাঃ ২৫৫৬, আহমাদ ১৬৭৩২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২. অধ্যায়ঃ

রক্ত সম্পর্ক রক্ষা করলে রিয্‌ক বৃদ্ধি হয়।

৫৯৮৫

حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْنٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَأَنْ يُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৮৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চায় যে, তার রিয্‌ক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, যে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৩. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি আত্মীয়ের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করবে, আল্লাহ্‌ তার সাথে সুসম্পর্ক রাখবেন।

৫৯৮৭

حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي مُزَرِّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَمِّي، سَعِيدَ بْنَ يَسَارٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ خَلْقِهِ، قَالَتِ الرَّحِمُ هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ بِكَ مِنَ الْقَطِيعَةِ‏.‏ قَالَ نَعَمْ أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ‏.‏ وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ‏.‏ قَالَتْ بَلَى يَا رَبِّ‏.‏ قَالَ فَهْوَ لَكِ ‏”‏‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏{‏فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ‏}‏‏”‏‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ যাবতীয় সৃষ্টিকে পয়দা করলেন। যখন তিনি সৃষ্টি কাজ সমাধা করলেন, তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক বলে উঠলোঃ সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে আপনার আশ্রয় লাভকারীদের এটাই যথাযোগ্য স্থান। তিনি (আল্লাহ) বললেনঃ হাঁ তুমি কি এতে খুশি নও যে, তোমার সাথে যে সুসম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখবো। আর যে তোমা হতে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো। সে (রক্ত সম্পর্ক) বললঃ হাঁ আমি সন্তুষ্ট হে আমার রব! আল্লাহ বললেনঃ তা হলে এ মর্যাদা তোমাকে দেওয়া হল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ইচ্ছে করলে (এ আয়াতটি) পড়োঃ “ক্ষমতা পেলে সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে আর আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে।” সূরাহ মুহাম্মাদ ৪৭/২২) [৪৮৩০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৮৮

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الرَّحِمَ سُجْنَةٌ مِنَ الرَّحْمَنِ، فَقَالَ اللَّهُ مَنْ وَصَلَكِ وَصَلْتُهُ، وَمَنْ قَطَعَكِ قَطَعْتُهُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ রক্ত সম্পর্কে মূল হল রাহমান। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ যে তোমার সাথে সুসম্পর্ক রাখবে, আমি তার সাথে সুসম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার হতে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও সে লোক হতে সম্পর্ক ছিন্ন করব। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৮৯

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي مُزَرِّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الرَّحِمُ شِجْنَةٌ، فَمَنْ وَصَلَهَا وَصَلْتُهُ، وَمَنْ قَطَعَهَا قَطَعْتُهُ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আত্মীয়তার হক রহমানের মূল। যে তা সংরক্ষণ করবে, আমি তাকে সংরক্ষণ করব। আর যে তা ছিন্ন করবে, আমি তাকে (আমার হতে) ছিন্ন করবো।

 

(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৪. অধ্যায়ঃ রক

রক্ত সম্পর্ক প্রাণবন্ত হয়, যদি সুসম্পর্কের মাধ্যমে তাতে পানি সিঞ্চন করা হয়।

৫৯৯০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جِهَارًا غَيْرَ سِرٍّ يَقُولُ ‏”‏ إِنَّ آلَ أَبِي ‏”‏ ـ قَالَ عَمْرٌو فِي كِتَابِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ بَيَاضٌ ـ لَيْسُوا بِأَوْلِيَائِي، إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللَّهُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ‏.‏ زَادَ عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ عَنْ بَيَانٍ عَنْ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ وَلَكِنْ لَهُمْ رَحِمٌ أَبُلُّهَا بِبَلاَلِهَا ‏”‏‏.‏ يَعْنِي أَصِلُهَا بِصِلَتِهَا‏.‏

আম্‌র ইব্‌নু ‘আস (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে উচ্চৈঃস্বরে বলতে শুনেছি, আস্তে নয়। তিনি বলেছেনঃ অমুকের বংশ আমার বন্ধু নয়। ‘আম্‌র বলেনঃ মুহাম্মাদ ইব্‌নু জা’ফরের কিতাবে বংশের পরে জায়গা খালি রয়েছে। (কোন বংশের নাম নাই)। বরং আমার বন্ধু আল্লাহ ও নেককার মু’মিনগণ।

‘আনবাসা অন্য সূত্রে ‘আম্‌র ইব্‌নু ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমি শুনেছিঃ বরং তাদের সাথে (আমার) আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে, আমি সুসম্পর্কের রস দিয়ে তা প্রাণবন্ত রাখি। [মুসলিম ১/৯৩, হাঃ ২১৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৫. অধ্যায়ঃ

প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক আদায়কারী নয়।

৫৯৯১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَالْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، وَفِطْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ وَقَالَ سُفْيَانُ لَمْ يَرْفَعْهُ الأَعْمَشُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَفَعَهُ حَسَنٌ وَفِطْرٌ ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لَيْسَ الْوَاصِلُ بِالْمُكَافِئِ، وَلَكِنِ الْوَاصِلُ الَّذِي إِذَا قَطَعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا ‏”‏‏.‏

আব্দুল্লাহ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাবী সুফ্‌ইয়ান বলেন, আ’মাশ এ হাদীস মারফূ’রূপে বর্ণনা করেননি। অবশ্য হাসান (ইব্‌নু ‘আম্‌র) ও ফিত্‌র (রহঃ) একে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী নয়। বরং আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী সে ব্যক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হবার পরও তা বজায় রাখে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৬. অধ্যায়ঃ

যে লোক মুশরিক হয়েও আত্মীয়তা বজায় রাখে, তারপর ইসলাম গ্রহণ করে।

৫৯৯২

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ أُمُورًا كُنْتُ أَتَحَنَّثُ بِهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ مِنْ صِلَةٍ وَعَتَاقَةٍ وَصَدَقَةٍ، هَلْ لِي فِيهَا مِنْ أَجْرٍ‏.‏ قَالَ حَكِيمٌ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَسْلَمْتَ عَلَى مَا سَلَفَ مِنْ خَيْرٍ ‏”‏‏.‏ وَيُقَالُ أَيْضًا عَنْ أَبِي الْيَمَانِ أَتَحَنَّثُ‏.‏ وَقَالَ مَعْمَرٌ وَصَالِحٌ وَابْنُ الْمُسَافِرِ أَتَحَنَّثُ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ التَّحَنُّثُ التَّبَرُّرُ، وَتَابَعَهُمْ هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ‏.‏

হাকিম ইব্‌নু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার আরয করলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি জাহিলী হালাতে অনেক সাওয়াবের কাজ করেছি। যেমন, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, গোলাম আযাদ করা এবং দান-খয়রাত করা, এসব কাজে কি আমি কোন সাওয়াব পাব? হাকীম (রাঃ) বলেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ পূর্বকৃত নেকীর বদৌলতে তুমি ইসলাম গ্রহণ করতে পেরেছ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

ইমাম বুখারী (রহঃ) অন্যত্র আবুল ইয়ামান সূত্রে (‘আত্বান্নাসুর স্থলে) ‘আত্বাহান্নাতু বর্ণনা করেছেন। (উভয় শব্দের অর্থ একই) মা’মার, সালিহ্‌ ও ইব্‌নু মুসাফিরও ‘আত্বাহান্নাসু বর্ণনা করেছেন। ইবনু ইসহাক (রহঃ) বলেন, তাহান্নুস মানে সৎ কাজ করা। ইব্‌নু শিহাব তাঁর পিতা সূত্রে এ রকমই বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৭. অধ্যায়ঃ

কারো শিশু কন্যা কে নিজের সাথে খেলাধুলা করার ব্যাপারে বাধা না দেওয়া অথবা তাকে চুম্বন দেয়া, তার সাথে হাস্য তামাশা করা।

৫৯৯৩

حَدَّثَنَا حِبَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ خَالِدٍ بِنْتِ خَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَتْ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ أَبِي وَعَلَىَّ قَمِيصٌ أَصْفَرُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ سَنَهْ سَنَهْ ‏”‏‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَهْىَ بِالْحَبَشِيَّةِ حَسَنَةٌ‏.‏ قَالَتْ فَذَهَبْتُ أَلْعَبُ بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ، فَزَجَرَنِي أَبِي‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ دَعْهَا ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَبْلِي وَأَخْلِقِي، ثُمَّ أَبْلِي وَأَخْلِقِي، ثُمَّ أَبْلِي وَأَخْلِقِي ‏”‏‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَبَقِيَتْ حَتَّى ذَكَرَ‏.‏ يَعْنِي مِنْ بَقَائِهَا‏.‏

উম্মু খালিদ বিন্‌ত খালিদ ইব্‌নু সা’ঈদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে এলাম। আমার গায়ে তখন হলুদ রং এর জামা ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সানাহ্‌ সানাহ্‌। ‘আব্দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, হাবশী ভাষায় এর অর্থ সুন্দর, সুন্দর। উম্মু খালিদ বলেনঃ আমি তখন মোহরে নবূওয়াত নিয়ে খেলতে লাগলাম। আমার পিতা আমাকে ধমক দিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ও যা করছে করতে দাও। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমার কাপড় পুরোনো কর ও জীর্ণ কর, আবার পুরোনো কর, জীর্ণ কর, আবার পুরোনো কর জীর্ণ কর। তিনবার বললেন। ‘আব্দুল্লাহ (রহঃ) বলেনঃ তিনি দীর্ঘ জীবন লাভকারী হিসেবে আলোচিত হয়েছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৮. অধ্যায়ঃ

সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, চুমু দেয়া ও আলিঙ্গন করা।

সাবিত (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাঁর পুত্র) ইবরাহীমকে চুমু দিয়েছেন ও তার ঘ্রাণ গ্রহণ করেছেন।

৫৯৯৪

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، قَالَ كُنْتُ شَاهِدًا لاِبْنِ عُمَرَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ‏.‏ فَقَالَ مِمَّنْ أَنْتَ فَقَالَ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ‏.‏ قَالَ انْظُرُوا إِلَى هَذَا، يَسْأَلُنِي عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ هُمَا رَيْحَانَتَاىَ مِنَ الدُّنْيَا ‏”‏‏.‏

ইব্‌নু আবূ নু’আয়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) -এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে একটি লোক মশার রক্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো। তিনি বললেনঃ কোন্‌ দেশের লোক তুমি? সে বললঃ আমি ইরাকের বাসিন্দা। ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা এর দিকে তাকাও, সে আমাকে মশার রক্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে, অথচ তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর সন্তানকে হত্যা করেছে। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ ওরা দু’জন (অর্থাৎ হাসান ও হুসাইন) দুনিয়াতে আমার দু’টি সুগন্ধি ফুল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৯৫

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَتْهُ قَالَتْ جَاءَتْنِي امْرَأَةٌ مَعَهَا ابْنَتَانِ تَسْأَلُنِي، فَلَمْ تَجِدْ عِنْدِي غَيْرَ تَمْرَةٍ وَاحِدَةٍ، فَأَعْطَيْتُهَا، فَقَسَمَتْهَا بَيْنَ ابْنَتَيْهَا، ثُمَّ قَامَتْ فَخَرَجَتْ، فَدَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ ‏ “‏ مَنْ يَلِي مِنْ هَذِهِ الْبَنَاتِ شَيْئًا فَأَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ كُنَّ لَهُ سِتْرًا مِنَ النَّارِ ‏”‏‏.‏

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একটি স্ত্রীলোক দু’টি মেয়ে সাথে নিয়ে আমার কাছে এসে কিছু চাইলো। আমার কাছে একটি খুরমা ব্যতীত আর কিছুই সে পেলো না। আমি তাকে ওটা দিলাম। স্ত্রীলোকটি তার দু’মেয়েকে খুরমাটি ভাগ করে দিল। তারপর সে উঠে বের হয়ে গেল। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এলেন। আমি তাঁকে ব্যাপারটি জানালাম। তখন তিনি বললেনঃ যাকে এ সব কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে, এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে প্রতিবন্ধক হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأُمَامَةُ بِنْتُ أَبِي الْعَاصِ عَلَى عَاتِقِهِ، فَصَلَّى فَإِذَا رَكَعَ وَضَعَهَا، وَإِذَا رَفَعَ رَفَعَهَا‏.‏

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের সম্মুখে আসলেন। তখন উমামাহ বিন্‌ত আবুল ‘আস তাঁর স্কন্ধের উপর ছিলেন। এই অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সলাতে দণ্ডায়মান হলেন। যখন তিনি রুকূতে যেতেন, তাকে নামিয়ে রাখতেন, আবার যখন উঠে দাঁড়াতেন, তখন তাকেও উঠিয়ে নিতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَبَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعِنْدَهُ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ جَالِسًا‏.‏ فَقَالَ الأَقْرَعُ إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا‏.‏ فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা হাসান ইবনু ‘আলীকে চুম্বন করেন। সে সময় তাঁর নিকট আক্‌রা’ ইবনু হাবিস তামীমী (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন। আক্‌রা’ ইবনু হাবিস (রাঃ) বললেনঃ আমার দশটি পুত্র আছে, আমি তাদের কাউকেই কোন দিন চুম্বন দেইনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পানে তাকালেন, অতঃপর বললেনঃ যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না। [মুসলিম ৪৩/১৫, হাঃ ২৩১৮, আহমাদ ৭২৯৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৯৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ تُقَبِّلُونَ الصِّبْيَانَ فَمَا نُقَبِّلُهُمْ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَوَ أَمْلِكُ لَكَ أَنْ نَزَعَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِكَ الرَّحْمَةَ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললো। আপনারা শিশুদের চুম্বন করেন, কিন্তু আমরা ওদের চুম্বন করি না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ যদি তোমার হৃদয় হতে দয়া উঠিয়ে নেন, তবে তোমার উপর আমার কি কোন অধিকার আছে? [মুসলিম ৪৩/১৫, হাঃ ২৩১৭, আহমাদ ২৪৪৬২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯৯৯

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم سَبْىٌ، فَإِذَا امْرَأَةٌ مِنَ السَّبْىِ قَدْ تَحْلُبُ ثَدْيَهَا تَسْقِي، إِذَا وَجَدَتْ صَبِيًّا فِي السَّبْىِ أَخَذَتْهُ فَأَلْصَقَتْهُ بِبَطْنِهَا وَأَرْضَعَتْهُ، فَقَالَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَتَرَوْنَ هَذِهِ طَارِحَةً وَلَدَهَا فِي النَّارِ ‏”‏‏.‏ قُلْنَا لاَ وَهْىَ تَقْدِرُ عَلَى أَنْ لاَ تَطْرَحَهُ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ اللَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ هَذِهِ بِوَلَدِهَا ‏”‏‏.‏

উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কতকগুলো বন্দী আসে। বন্দীদের মধ্যে একজন স্ত্রীলোক ছিল। তার স্তন ছিল দুধে পূর্ণ। সে বন্দীদের মধ্যে কোন শিশু পেলে তাকে কোলে তুলে নিত এবং দুধ পান করাত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এ স্ত্রীলোকটি তার সন্তানকে আগুনে ফেলে দিতে পারে? আমরা বললামঃ ফেলার ক্ষমতা রাখলেও সে কখনো ফেলবে না। তারপর তিনি বললেনঃ এ স্ত্রীলোকটি তার সন্তানের উপর যতটা দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার উপর তার চেয়েও বেশি দয়ালু।( [মুসলিম ৪৯/৪, হাঃ ২৭৫৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১৯. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ দয়া-মায়াকে একশ’ ভাগে বিভক্ত করেছেন।

৬০০০

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ جَعَلَ اللَّهُ الرَّحْمَةَ مِائَةَ جُزْءٍ، فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ جُزْءًا، وَأَنْزَلَ فِي الأَرْضِ جُزْءًا وَاحِدًا، فَمِنْ ذَلِكَ الْجُزْءِ يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ، حَتَّى تَرْفَعَ الْفَرَسُ حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا خَشْيَةَ أَنْ تُصِيبَهُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ রাহমাতকে একশ’ ভাগে বিভক্ত করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ পাঠিয়েছেন। ঐ এক ভাগ পাওয়ার কারণেই সৃষ্ট জগত পরস্পরের প্রতি দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার উপর থেকে পা উঠিয়ে নেয় এই আশঙ্কায় যে, সে ব্যথা পাবে। [৬৪২৯; মুসলিম ৪৯/৪, হাঃ ৬৪৬৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২০. অধ্যায়ঃ

সন্তান সাথে খাবে, এ ভয়ে তাকে হত্যা করা।

৬০০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا وَهْوَ خَلَقَكَ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ أَىُّ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ خَشْيَةَ أَنْ يَأْكُلَ مَعَكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَىُّ قَالَ ‏”‏ أَنْ تُزَانِيَ حَلِيلَةَ جَارِكَ ‏”‏‏.‏ وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ‏{‏وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ‏}‏‏.‏

আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! কোন্‌ গুনাহ সব হতে বড়? তিনি বললেনঃ কাউকে আল্লাহ্‌র সমকক্ষ গণ্য করা, অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বললেনঃ তারপরে কোন্‌টি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার সাথে খাবে, এ আশঙ্কায় তোমার সন্তানকে হত্যা করা। [১৫] তিনি বললেনঃ তারপরে কোন্‌টি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কথার সত্যতা প্রতিপন্ন করে অবতীর্ণ হলোঃ “আর যারা আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোন ইলাহ্‌কে ডাকে না”- (সূরা আল-ফুরক্বান ২৫/৬৮)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] অধিক সন্তান জন্ম নিলে সংসারে অভাব অনটন দেখা দিবে। তাদেরকে খাওয়াতে পরাতে পারবে না, নিজেদের খাবারেও কষ্ট হবে এরূপ মন মানসিকতা নিয়ে সন্তান হত্যা ও ভ্রুণ হত্যা সমান গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি জীবকে আল্লাহ তা‘আলা রিযক সহকারে দুনিয়াতে পাঠিয়ে থাকেন এবং তিনি তাদের আহারের ব্যবস্থা করে থাকেন। যেমন সূরা আন‘আমের ১৫১ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,{وَلاتَقْتُلُواأَوْلادَكُمْمِنْإِمْلاقٍنَحْنُنَرْزُقُكُمْ}অর্থাৎ ‘‘দরিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না’’

 

ইসলামী অর্থ ব্যবস্থায় দুনিয়াতে খাদ্যের কোন অভাব নেই। অনৈসলামিক ব্যবস্থার ফলে সমাজে অভাব কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২১. অধ্যায়ঃ

শিশুকে কোলে উঠানো।

৬০০২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَضَعَ صَبِيًّا فِي حِجْرِهِ يُحَنِّكُهُ، فَبَالَ عَلَيْهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি শিশুকে নিজের কোলে উঠিয়ে নিলেন। তারপর তাকে তাহনীক [১৬] করালেন। শিশুটি তাঁর কোলে প্রসাব করে দিল। তখন তিনি পানি আনতে বললেন এবং তা (প্রস্রাবের জায়গায়) ঢেলে দিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬] খেজুর চিবিয়ে রসালো করে নবজাতকের মুখে দেয়াকে তাহনীক বলা হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২২. অধ্যায়ঃ

শিশুকে রানের উপর স্থাপন করা।

৬০০৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَارِمٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا تَمِيمَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، يُحَدِّثُهُ أَبُو عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ـ رضى الله عنهما كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُنِي فَيُقْعِدُنِي عَلَى فَخِذِهِ، وَيُقْعِدُ الْحَسَنَ عَلَى فَخِذِهِ الأُخْرَى، ثُمَّ يَضُمُّهُمَا ثُمَّ يَقُولُ ‏ “‏ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُمَا فَإِنِّي أَرْحَمُهُمَا ‏”‏‏.‏ وَعَنْ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ التَّيْمِيُّ فَوَقَعَ فِي قَلْبِي مِنْهُ شَىْءٌ، قُلْتُ حَدَّثْتُ بِهِ كَذَا وَكَذَا، فَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ أَبِي عُثْمَانَ، فَنَظَرْتُ فَوَجَدْتُهُ عِنْدِي مَكْتُوبًا فِيمَا سَمِعْتُ‏.‏

উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে তাঁর এক রানের উপর আমাকে বসাতেন এবং হাসানকে বসাতেন অন্য রানে। তারপর দু’জনকে একত্রে মিলিয়ে নিতেন। পরে বলতেনঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি এদের দু’জনের উপর রহম করুন, কেননা আমিও এদের ভালোবাসি।

অপর এক সূত্রে তামীমী বলেন, এ হাদীসটি সম্পর্কে আমার মনে সন্দেহ জাগল। ভাবলাম, আবূ ‘উসমান থেকে আমি এতো এতো হাদীস বর্ণনা করেছি, এ হাদীসটি মনে হয় তার কাছ হতে শুনিনি। পরে খোঁজ করে দেখলাম যে, আবূ ‘উসমানের নিকট হতে শোনা যে সব হাদীস আমার কাছে লেখা ছিল, তাতে এটি পেয়ে গেলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৩. অধ্যায়ঃ

সদ্ব্যবহার করা ঈমানের অংশ।

৬০০৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، وَلَقَدْ هَلَكَتْ قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَنِي بِثَلاَثِ سِنِينَ، لِمَا كُنْتُ أَسْمَعُهُ يَذْكُرُهَا، وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَبُّهُ أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، وَإِنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاةَ ثُمَّ يُهْدِي فِي خُلَّتِهَا مِنْهَا‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি অন্য কোন মহিলার উপর ততটা ঈর্ষা পোষণ করতাম না, যতটা ঈর্ষা করতাম খাদীজার উপর। অথচ আমার বিয়ের তিন বছর আগেই তিনি মারা যান। কারণ, আমি শুনতাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নাম উল্লেখ করতেন। আর জান্নাতের মাঝে মণি-মুক্তার একটি ঘরের খোশ-খবর খাদীজাকে শোনানোর জন্যে তাঁর প্রতিপালক তাঁকে নির্দেশ দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও ছাগল যবহ করলে তার একটি টুকরো খাদীজার বান্ধবীদের কাছে অবশ্যই পাঠাতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৪. অধ্যায়ঃ

ইয়াতীমের দেখাশুনাকারীর ফাযীলাত।

৬০০৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ، فِي الْجَنَّةِ هَكَذَا ‏”‏‏.‏ وَقَالَ بِإِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ও ইয়াতীমের দেখাশুনাকারী জান্নাতে এভাবে (একত্রে) থাকব। এ কথা বলার সময় তিনি তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় মিলিয়ে ইঙ্গিত করে দেখালেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৫. অধ্যায়ঃ

বিধবার ভরণ-পোষণের জন্য চেষ্টাকারী।

৬০০৬

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ كَالَّذِي يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ ‏”‏‏.‏ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، مَوْلَى ابْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ

সফওয়ান ইবনু সুলায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে মারফূ’রুপে বর্ণনা করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক বিধবা ও মিস্‌কীনদের ভরণ-পোষণের ব্যাপারে চেষ্টা করে, সে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদকারীর মত। অথবা সে ঐ ব্যক্তির মত, যে দিনে সিয়াম পালন করে ও রাতে (‘ইবাদাতে) দন্ডায়মান থাকে।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ রকমই বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৬. অধ্যায়ঃ

মিসকীনদের অভাব দূর করার জন্য চেষ্টাকারী সম্পর্কে।

৬০০৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ـ وَأَحْسِبُهُ قَالَ، يَشُكُّ الْقَعْنَبِيُّ ـ كَالْقَائِمِ لاَ يَفْتُرُ، وَكَالصَّائِمِ لاَ يُفْطِرُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকীনদের অভাব দূর করার জন্য সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহ্‌র পথে জিহাদকারীর ন্যায়। [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন] আমার ধারণা যে কা’নবী (বুখারীর উস্তাদ ‘আবদুল্লাহ) সন্দেহ প্রকাশ করেছেনঃ সে রাতভর দাঁড়ানো ব্যক্তির মত যে (‘ইবাদাতে) ক্লান্ত হয় না এবং এমন সিয়াম পালনকারীর মত, যে সিয়াম ভঙ্গ করে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৭. অধ্যায়ঃ

মানুষ ও জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন।

৬০০৮

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ، مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ، فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَظَنَّ أَنَّا اشْتَقْنَا أَهْلَنَا، وَسَأَلَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا فِي أَهْلِنَا، فَأَخْبَرْنَاهُ، وَكَانَ رَفِيقًا رَحِيمًا فَقَالَ ‏ “‏ ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ، وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي، وَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ، ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ ‏”‏‏.

আবূ সুলাইমান মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা কয়জন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দরবারে আসলাম। তখন আমরা ছিলাম প্রায় সমবয়সী যুবক। বিশ দিন তাঁর কাছে আমরা থাকলাম। তিনি বুঝতে পারলেন, আমরা আমাদের পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তন করার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছি। যাদের আমরা বাড়িতে রেখে এসেছি তাদের ব্যাপারে তিনি আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেন। আমরা তা তাঁকে জানালাম। তিনি ছিলেন কোমল হৃদয় ও দয়ার্দ্র। তাই তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের পরিজনের নিকট ফিরে যাও। তাদের (কুরআন) শিক্ষা দাও, (সৎ কাজের) আদেশ কর এবং যে ভাবে আমাকে সলাত আদায় করতে দেখেছ ঠিক তেমনভাবে সলাত আদায় কর। সলাতের ওয়াক্ত হলে, তোমাদের একজন আযান দেবে এবং যে তোমাদের মধ্যে বড় সে ইমামাত করবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০০৯

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ، فَوَجَدَ بِئْرًا فَنَزَلَ فِيهَا فَشَرِبَ ثُمَّ خَرَجَ، فَإِذَا كَلْبٌ يَلْهَثُ يَأْكُلُ الثَّرَى مِنَ الْعَطَشِ فَقَالَ الرَّجُلُ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا الْكَلْبَ مِنَ الْعَطَشِ مِثْلُ الَّذِي كَانَ بَلَغَ بِي، فَنَزَلَ الْبِئْرَ فَمَلأَ خُفَّهُ، ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ، فَسَقَى الْكَلْبَ، فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ ‏”‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّ لَنَا فِي الْبَهَائِمِ أَجْرًا‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ فِي كُلِّ ذَاتِ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একবার এক লোক পথে হেঁটে যাচ্ছিল। তার ভীষণ পিপাসা লাগে। সে একটি কূপ পেল। সে তাতে নামল এবং পানি পান করলো, তারপর উঠে এলো। হঠাৎ দেখলো, একটি কুকুর হাঁপাচ্ছে। পিপাসার্ত হয়ে কাদা চাটছে। লোকটি ভাবলো, এ কুকুরটি পিপাসায় সেরূপ কষ্ট পাচ্ছে, যেরূপ কষ্ট আমার হয়েছিল। তখন সে কূপে নামল এবং তার মোজার মধ্যে পানি ভরলো, তারপর মুখ দিয়ে তা (কামড়ে) ধরে উপরে উঠে এলো। তারপর সে কুকুরটিকে পানি পান করালো। আল্লাহ তাকে এর প্রতিদান দিলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞস করলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! জীব-জন্তুর (প্রতি দয়া প্রদর্শনের) জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেনঃ হাঁ, প্রত্যেক দয়ালু অন্তরের অধিকারীদের জন্য প্রতিদান আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০১০

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةٍ وَقُمْنَا مَعَهُ، فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ وَهْوَ فِي الصَّلاَةِ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا، وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا‏.‏ فَلَمَّا سَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلأَعْرَابِيِّ ‏ “‏ لَقَدْ حَجَّرْتَ وَاسِعًا ‏”‏‏.‏ يُرِيدُ رَحْمَةَ اللَّهِ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার সলাতে দণ্ডায়মান। আমরাও তাঁর সঙ্গে দণ্ডায়মান হলাম। এ সময় এক বেদুঈন সলাতের মাঝেই বলে উঠলোঃ হে আল্লাহ! আমার ও মুহাম্মাদের উপর দয়া করো এবং আমাদের সঙ্গে আর কারোর উপর দয়া করো না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরানোর পর বেদুঈন লোকটিকে বললেনঃ তুমি একটি প্রশস্ত ব্যাপারকে সংকুচিত করেছো অর্থাৎ আল্লাহর দয়া।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০১১

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ فِي تَرَاحُمِهِمْ وَتَوَادِّهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ كَمَثَلِ الْجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى عُضْوًا تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ جَسَدِهِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى ‏”‏‏.‏

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পারস্পরিক দয়া, ভালবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শনে তুমি মু’মিনদের একটি দেহের মত দেখবে। যখন শরীরের একটি অঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়, তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত জাগে এবং জ্বরে অংশ নেয়। [মুসলিম ৪৫/১৭, হাঃ ২৫৮৬, আহমাদ ১৮৪০১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০১২

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ غَرَسَ غَرْسًا فَأَكَلَ مِنْهُ إِنْسَانٌ أَوْ دَابَّةٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةً ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম যদি গাছ লাগায়, আর তাত্থেকে কোন মানুষ বা জানোয়ার কিছু খায়, তবে তা তার জন্য সদাকাহ্‌য় পরিগণিত হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০১৩

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ ‏”‏‏.‏

জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে (সৃষ্টির প্রতি) দয়া করে না, (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তার প্রতি দয়া করা হয় না। [৭৩৭৬; মুসলিম ৪৩/১৫, হাঃ ২৩১৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৮. অধ্যায়ঃ

প্রতিবেশীর জন্য অসীয়ত।

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তোমরা আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাত কর, কিছুকেই তাঁর শরীক করো না এবং মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের আয়ত্তাধীন দাস-দাসীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ লোককে ভালবাসেন না, যে অহংকারী, দাম্ভিক। (সূরাহ আন্‌-নিসা ৪/৩৬)

৬০১৪

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “‏ مَا زَالَ يُوصِينِي جِبْرِيلُ بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে জিব্‌রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা প্রতিবেশীর ব্যাপারে অসীয়ত করতে থাকেন। এমনকি, আমার ধারণা হয়, শীঘ্রই তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারিস করে দিবেন।[মুসলিম ৪৫/৪২, হাঃ ২৬২৪, আহমাদ ২৪৩১৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০১৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “‏ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জিব্‌রীল (আঃ) সর্বদা আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে অসীয়ত করতে থাকেন। এমনকি আমার ধারণা হয় যে, শীঘ্রই তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারিস করে দিবেন [মুসলিম ৪৫/৪২, হাঃ ২৬২৫, আহমাদ ২৬০৭২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/২৯. অধ্যায়ঃ

যার ক্ষতি হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না, তার গুনাহ।

৬০১৬

حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ ‏”‏‏.‏ قِيلَ وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَايِقَهُ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ شَبَابَةُ وَأَسَدُ بْنُ مُوسَى‏.‏ وَقَالَ حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ وَشُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،‏.‏

আবূ শুরায়হ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার বলেছিলেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহ্‌র শপথ! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহ্‌র শপথ! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! কে সে লোক? তিনি বললেনঃ যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না।

ভিন্ন সূত্রে অনুরূপ একটি হাদীস আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতেও বর্ণিত হয়েছে।[মুসলিম ১/১৮, হাঃ ৪৬, আহমাদ ৮৮৬৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩০. অধ্যায় :

কোন প্রতিবেশী মহিলা তার প্রতিবেশী মহিলাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে না।

৬০১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ ـ هُوَ الْمَقْبُرِيُّ ـ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ يَا نِسَاءَ الْمُسْلِمَاتِ لاَ تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شَاةٍ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন: হে মুসলিম মহিলাগণ! কোন প্রতিবেশী মহিলা যেন তার অপর প্রতিবেশী মহিলাকে (হাদিয়া ফেরত দিয়ে) হেয় প্রতিপন্ন না করে। তা ছাগলের পায়ের ক্ষুরই হোক না কেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩১. অধ্যায়:

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে জ্বালাতন না করে।

৬০১৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِ جَارَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌তে ও আখিরাতের দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। যে আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে জ্বালাতন না করে। যে লোক আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে, অথবা চুপ থাকে।[৫১৮৫; মুসলিম ১/১৯, হাঃ ৪৭, আহমাদ ৭৬৩০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০১৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، قَالَ سَمِعَتْ أُذُنَاىَ، وَأَبْصَرَتْ، عَيْنَاىَ حِينَ تَكَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ جَارَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتَهُ ‏”‏‏.‏ قَالَ وَمَا جَائِزَتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَالضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلِكَ فَهْوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهِ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ ‏”‏‏.‏

আবূ শুরায়হ্‌ ‘আদাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কথা বলেছিলেন, তখন আমার দু’কান শুনছিল ও আমার দু’চোখ দেখছিল। তিনি বলছিলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের উপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে সম্মান করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান দেখায় তার প্রাপ্যের বিষয়ে। জিজ্ঞেস করা হলো: মেহমানের প্রাপ্য কী, হে আল্লাহ্‌র রসূল? তিনি বললেনঃএকদিন একরাত ভালভাবে মেহমানদারী করা আর তিন দিন হলে (সাধারণ) মেহমানদারী, আর তার চেয়েও অধিক হলে তা হল তার প্রতি দয়া। যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও আখিরাত দিবসে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা চুপ থাকে। [৬১৩৫, ৬৪৭৬; মুসলিম ১/১৯, হাঃ ৪৮, আহমাদ ১৬৩৭০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩২. অধ্যায় :

প্রতিবেশীদের অধিকার নির্দিষ্ট হবে দরজার নৈকট্য দিয়ে।

৬০২০

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عِمْرَانَ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارَيْنِ فَإِلَى أَيِّهِمَا أُهْدِي قَالَ ‏ “‏ إِلَى أَقْرَبِهِمَا مِنْكِ بَابًا ‏”‏‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম: হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার দু’জন প্রতিবেশী আছে। আমি তাদের কার কাছে হাদিয়া পাঠাব? তিনি বললেনঃযার দরজা তোমার বেশি কাছে, তার কাছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৩. অধ্যায়:

প্রত্যেক সৎ কাজই সদাকাহ হিসেবে গণ্য ।

৬০২১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ ‏”‏‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সকল সৎ ‘আমাল সদাকাহ হিসেবে গণ্য।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০২২

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ ‏”‏‏.‏ قَالُوا فَإِنْ لَمْ يَجِدْ قَالَ ‏”‏ فَيَعْمَلُ بِيَدَيْهِ فَيَنْفَعُ نَفْسَهُ وَيَتَصَدَّقُ ‏”‏‏.‏ قَالُوا فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ أَوْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ ‏”‏ فَيُعِينُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ ‏”‏‏.‏ قَالُوا فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ ‏”‏ فَيَأْمُرُ بِالْخَيْرِ ‏”‏‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ بِالْمَعْرُوفِ ‏”‏‏.‏ قَالَ فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ ‏”‏ فَيُمْسِكُ عَنِ الشَّرِّ، فَإِنَّهُ لَهُ صَدَقَةٌ ‏”‏‏.‏

আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: প্রতিটি মুসলিমেরই সদাকাহ করা দরকার। উপস্থিত লোকজন বললোঃ যদি সে সদাকাহ করার মত কিছু না পায়। তিনি বললেনঃতাহলে সে নিজের হাতে কাজ করবে। এতে সে নিজেও উপকৃত হবে এবং সদাকাহ করবে। তারা বললোঃ যদি সে সক্ষম না হয় অথবা বলেছেন: যদি সে না করে? তিনি বললেনঃতা হলে সে যেন বিপন্ন মাযলূমের সাহায্য করে। লোকেরা বললোঃ সে যদি তা না করে? তিনি বললেনঃতা হলে সে সৎ কাজের আদেশ করবে, অথবা বলেছেন, সাওয়াবের কাজের নির্দেশ করবে। তারা বললোঃ তাও যদি সে না করে? তিনি বললেনঃতা হলে সে খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, এটাই তার জন্য সদাক্বাহ হবে। [১৪৪৫; মুসলিম ১২/১৬, হাঃ ১০০৮, আহমাদ ১৯৭০৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৪. অধ্যায়:

সুমিষ্ট ভাষা সদাকাহ।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, সুমিষ্ট ভাষাও সদাকাহ।

৬০২৩

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ ذَكَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم النَّارَ، فَتَعَوَّذَ مِنْهَا وَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ، ثُمَّ ذَكَرَ النَّارَ، فَتَعَوَّذَ مِنْهَا، وَأَشَاحَ بِوَجْهِهِ ـ قَالَ شُعْبَةُ أَمَّا مَرَّتَيْنِ فَلاَ أَشُكُّ ـ ثُمَّ قَالَ ‏ “‏ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ ‏”‏‏.‏

আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাহান্নামের আগুনের কথা উল্লেখ করলেন। তারপর তাত্থেকে আশ্রয় চাইলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পরে আবার জাহান্নামের আগুনের কথা উল্লেখ করলেন, তারপর তাত্থেকে আশ্রয় চাইলেন এবং তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিলেন। শু’বাহ (রহঃ) বলেন: দু’বার যে বলেছেন, এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতোমরা জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচ এক টুক্‌রা খেজুর দিয়ে হলেও। আর যদি তা না পাও, তবে সুমিষ্ট ভাষার বিনিময়ে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৫. অধ্যায়:

সকল কাজে নম্রতা অবলম্বন করা।

৬০২৪

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَتْ دَخَلَ رَهْطٌ مِنَ الْيَهُودِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكُمْ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَفَهِمْتُهَا فَقُلْتُ وَعَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ‏.‏ قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَهْلاً يَا عَائِشَةُ، إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الأَمْرِ كُلِّهِ ‏”‏‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ قَدْ قُلْتُ وَعَلَيْكُمْ ‏”‏‏.‏

নবী সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের একটি দল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বললঃ السَّامُ عَلَيْكُمْতোমাদের উপর মৃত্যু উপনীত হোক। ‘আয়িশাহ রাঃ)বলেনঃ আমি এর অর্থ বুঝলাম এবং বললামঃ وَعَلَيْكُمْ السَّامُ وَاللَّعْنَة তোমাদের উপরও মৃত্যু ও লা’নত। ‘আয়িশাহ রাঃ)বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ থাম, হে ‘আয়িশাহ! আল্লাহ যাবতীয় কার্যে নম্রতা পছন্দ করেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি শোনেননি, তারা কী বলেছে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তো বলেছি عَلَيْكُمْ আর তোমাদের উপরও। [২৯৩৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০২৫

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، بَالَ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَامُوا إِلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏ “‏ لا تُزْرِمُوهُ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ دَعَا بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ فَصُبَّ عَلَيْهِ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার এক বেদুঈন মাসজিদে প্রস্রাব করে দিল। লোকেরা উঠে তার দিকে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃতার প্রস্রাব করায় বাধা দিও না। অতঃপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং তাতে ঢেলে দিলেন।[মুসলিম২/৩০, হাঃ ২৮৪, আহমাদ ১৩৩৬৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৬. অধ্যায় :

মুমিনদের পারস্পরিক সহযোগিতা ।

৬০২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، بُرَيْدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ أَخْبَرَنِي جَدِّي أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا ‏”‏‏.‏ ثُمَّ شَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ‏.

আবূ মূসা (আশ’আরী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: মু’মিন মু’মিনের জন্য ইমারাত সদৃশ, যার একাংশ অন্য অংশকে মযবূত করে। এরপর তিনি (হাতের) আঙ্গুলগুলো (অন্য হাতের) আঙ্গুলে (এ ফাঁকে) ঢুকালেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০২৭

وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا إِذْ جَاءَ رَجُلٌ يَسْأَلُ أَوْ طَالِبُ حَاجَةٍ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ ‏”‏ اشْفَعُوا فَلْتُؤْجَرُوا، وَلْيَقْضِ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ مَا شَاءَ ‏”‏‏.‏

আবূ মূসা (আশ’আরী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপবিষ্ট ছিলেন। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন করার জন্য কিংবা কোন প্রয়োজনে আসলো। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে ফিরে চাইলেন এবং বললেনঃ তোমরা তার জন্য (তাকে কিছু দেয়ার) সুপারিশ করো। এতে তোমাদেরকে প্রতিদান দেয়া হবে। আল্লাহ তাঁর নবীর দু’আ অনুসারে যা ইচ্ছে তা করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৭. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ”যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্যে সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে, আল্লাহ সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন।” [সুরাহ আন্‌-নিসা: ৪/৮৫]

(—) অর্থ অংশ। আবূ মূসা (রাঃ) বলেছেনঃ হাবশী ভাষায় (—) শব্দের অর্থ হলো, ”দ্বিগুণ সাওয়াব।” (সূরা আল-হাদীদঃ ২৮)

৬০২৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَتَاهُ السَّائِلُ أَوْ صَاحِبُ الْحَاجَةِ قَالَ ‏ “‏ اشْفَعُوا فَلْتُؤْجَرُوا، وَلْيَقْضِ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ رَسُولِهِ مَا شَاءَ ‏”‏‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে কোন ভিখারী অথবা অভাবগ্রস্ত লোক এলে তিনি বলতেনঃ তোমরা সুপারিশ করো, তাহলে তোমরা সাওয়াব পাবে। অবশ্য আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলের দু’আ অনুযায়ী যা ইচ্ছে তা করেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৮. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অশালীন ছিলেন না, আর ইচ্ছে করে অশালীন কথা বলতেন না।

৬০২৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، سَمِعْتُ مَسْرُوقًا، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو‏.‏ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو حِينَ قَدِمَ مَعَ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْكُوفَةِ فَذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا، وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنَّ مِنْ أَخْيَرِكُمْ أَحْسَنَكُمْ خُلُقًا ‏”‏‏.‏

ইবনু মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র -এর নিকট গেলাম, যখন তিনি মু’আবিয়াহ (রহঃ) -এর সাথে কুফায় পদার্পণ করেন। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কথা উল্লেখ করতেন। অতঃপর বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বভাবগতভাবে অশালীন ছিলেন না, আর ইচ্ছে করে অশালীন কথা বলতেন না। তিনি আরও বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম স্বভাবে যে সবচেয়ে উত্তম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ يَهُودَ، أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا السَّامُ عَلَيْكُمْ‏.‏ فَقَالَتْ عَائِشَةُ عَلَيْكُمْ، وَلَعَنَكُمُ اللَّهُ، وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَهْلاً يَا عَائِشَةُ، عَلَيْكِ بِالرِّفْقِ، وَإِيَّاكِ وَالْعُنْفَ وَالْفُحْشَ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالُوا قَالَ ‏”‏ أَوَلَمْ تَسْمَعِي مَا قُلْتُ رَدَدْتُ عَلَيْهِمْ، فَيُسْتَجَابُ لِي فِيهِمْ، وَلاَ يُسْتَجَابُ لَهُمْ فِيَّ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার একদল ইয়াহূদী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললঃ আস্‌-সামু ‘আলাইকুম! (তোমার মরণ হোক)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ তোমাদের উপরই এবং তোমাদের উপর আল্লাহ্‌র লা’নত ও গযব পড়ুক। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! একটু থামো। নম্রতা অবলম্বন করা তোমাদের কর্তব্য। রূঢ়তা ও অশালীনতা বর্জন করো। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ তারা যা বলেছে তা কি আপনি শোনেননি? তিনি বললেনঃ আমি যা বললাম, তুমি কি তা শোননি? কথাটি তাদের উপরই ফিরিয়ে দিয়েছি। সুতরাং তাদের ব্যাপারে (আল্লাহর কাছে) আমার কথাই কবুল হবে আর আমার সম্পর্কে তাদের কথা কবুল হবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩১

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو يَحْيَى، هُوَ فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَبَّابًا وَلاَ فَحَّاشًا وَلاَ لَعَّانًا، كَانَ يَقُولُ لأَحَدِنَا عِنْدَ الْمَعْتَبَةِ ‏ “‏ مَا لَهُ، تَرِبَ جَبِينُهُ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গালি-গালাজকারী, অশালীন ও লা’নতকারী ছিলেন না। তিনি আমাদের কারো উপর অসন্তুষ্ট হলে, শুধু এতটুকু বলতেন, তার কী হলো। তার কপাল ধূলিমলিন হোক।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩২

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَآهُ قَالَ ‏”‏ بِئْسَ أَخُو الْعَشِيرَةِ، وَبِئْسَ ابْنُ الْعَشِيرَةِ ‏”‏‏.‏ فَلَمَّا جَلَسَ تَطَلَّقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا انْطَلَقَ الرَّجُلُ قَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حِينَ رَأَيْتَ الرَّجُلَ قُلْتَ لَهُ كَذَا وَكَذَا، ثُمَّ تَطَلَّقْتَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطْتَ إِلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَا عَائِشَةُ مَتَى عَهِدْتِنِي فَحَّاشًا، إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ شَرِّهِ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইল। তিনি লোকটিকে দেখে বললেনঃ সে সমাজের নিকৃষ্ট লোক এবং সমাজের দুষ্ট সন্তান। এরপর সে যখন এসে বলল, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনন্দ সহকারে তার সাথে মেলামেশা করলেন। লোকটি চলে গেলে ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! যখন আপনি লোকটিকে দেখলেন তখন তার ব্যাপারে এমন বললেন, পরে তার সাথে আপনি আনন্দচিত্তে সাক্ষাৎ করলেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি কখন আমাকে অশালীন দেখেছ? ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌র কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার দুষ্টামির কারণে মানুষ তাকে ত্যাগ করে।[৬০৫৪, ৬৪৩১; মুসলিম ৪৫/২০, হাঃ ২৫৯১, আহমাদ ২৪১৬১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৩৯. অধ্যায়ঃ

সচ্চরিত্রতা, দানশীলতা সম্পর্কে ও কৃপণতা ঘৃণ্য হওয়া সম্পর্কে।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন। আর রমাযান মাসে তিনি আরও অধিক দানশীল হতেন। আবূ যার (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন তাঁর নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আবির্ভাবের খবর আসল তখন তিনি তাঁর ভাইকে বললেনঃ তুমি এই মাক্কাহ উপত্যকার দিকে সফর কর এবং তাঁর কথা শুনে এসো। তাঁর ভাই ফিরে এসে বললেনঃ আমি তাঁকে উত্তম চরিত্রে ভূষিত হওয়ার নির্দেশ দিতে দেখেছি।

৬০৩৩

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ ـ هُوَ ابْنُ زَيْدٍ ـ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ وَأَجْوَدَ النَّاسِ وَأَشْجَعَ النَّاسِ، وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَانْطَلَقَ النَّاسُ قِبَلَ الصَّوْتِ، فَاسْتَقْبَلَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَدْ سَبَقَ النَّاسَ إِلَى الصَّوْتِ وَهْوَ يَقُولُ ‏”‏ لَنْ تُرَاعُوا، لَنْ تُرَاعُوا ‏”‏‏.‏ وَهْوَ عَلَى فَرَسٍ لأَبِي طَلْحَةَ عُرْىٍ مَا عَلَيْهِ سَرْجٌ، فِي عُنُقِهِ سَيْفٌ فَقَالَ ‏”‏ لَقَدْ وَجَدْتُهُ بَحْرًا ‏”‏‏.‏ أَوْ ‏”‏ إِنَّهُ لَبَحْرٌ ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সুন্দর, সর্বাপেক্ষা অধিক দানশীল এবং লোকদের মধ্যে সর্বাধিক সাহসী ছিলেন। একবার রাত্রিবেলা (বিরাট শব্দে) মাদীনাহ্‌বাসীরা ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই লোকেরা সেই শব্দের দিকে রওয়ানা হয়। তখন তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সম্মুখেই পেলেন, তিনি সেই শব্দের দিকে লোকদের আগেই বের হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলতে লাগলেনঃ তোমরা ভয় পেয়ো না, তোমরা ভয় পেয়ো না। এ সময় তিনি আবূ ত্বলহা (রাঃ) –এর জিন বিহীন অশ্বোপরি সাওয়ার ছিলেন। আর তাঁর স্কন্ধে একখানা তলোয়ার ঝুলছিল। এরপর তিনি বলতেনঃ এ ঘোড়াটিকে তো আমি সমুদ্রের মত (দ্রুত ধাবমান) পেয়েছি। অথবা বললেনঃ এ ঘোড়াটিতো একটি সমুদ্র।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ مَا سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَىْءٍ قَطُّ فَقَالَ لاَ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কোন জিনিস চাওয়া হলে, তিনি কক্ষনো ‘না’ বলেননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩৫

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو يُحَدِّثُنَا إِذْ قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا، وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ خِيَارَكُمْ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلاَقًا ‏”‏‏.‏

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার আমরা ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্‌র (রাঃ) -এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলেন। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বভাবগতভাবে অশালীন ছিলেন না এবং তিনি ইচ্ছে করে অশালীন কথা বলতেন না। তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে যার স্বভাব-চরিত্র উত্তম, সেই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩৬

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِبُرْدَةٍ‏.‏ فَقَالَ سَهْلٌ لِلْقَوْمِ أَتَدْرُونَ مَا الْبُرْدَةُ فَقَالَ الْقَوْمُ هِيَ شَمْلَةٌ‏.‏ فَقَالَ سَهْلٌ هِيَ شَمْلَةٌ مَنْسُوجَةٌ فِيهَا حَاشِيَتُهَا ـ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكْسُوكَ هَذِهِ‏.‏ فَأَخَذَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُحْتَاجًا إِلَيْهَا، فَلَبِسَهَا، فَرَآهَا عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الصَّحَابَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَحْسَنَ هَذِهِ فَاكْسُنِيهَا‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ نَعَمْ ‏”‏‏.‏ فَلَمَّا قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَمَهُ أَصْحَابُهُ قَالُوا مَا أَحْسَنْتَ حِينَ رَأَيْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا مُحْتَاجًا إِلَيْهَا، ثُمَّ سَأَلْتَهُ إِيَّاهَا، وَقَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُ لاَ يُسْأَلُ شَيْئًا فَيَمْنَعَهُ‏.‏ فَقَالَ رَجَوْتُ بَرَكَتَهَا حِينَ لَبِسَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَعَلِّي أُكَفَّنُ فِيهَا‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক মহিলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট একখানা বুরদাহ্‌ নিয়ে আসলেন। সাহ্‌ল (রাঃ) লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনারা কি জানেন বুরদাহ্‌ কী? তাঁরা বললেনঃ তা চাদর। সাহ্‌ল (রাঃ) বললেনঃ এটি এমন চাদর যা ঝালরসহ বোনা। এরপর সেই মহিলা আরয করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে এটি পরার জন্য দিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাদরখানা এমনভাবে গ্রহন করলেন, যেন তাঁর এটির দরকার ছিল। এরপর তিনি এটি পরলেন। এরপর সহাবীদের মধ্যে এক ব্যক্তি সেটি তাঁর দেহে দেখে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! এটা কতই না সুন্দর! আপনি এটি আমাকে দিয়ে দিন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘হাঁ’ (দিয়ে দিব)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে চলে গেলে, অন্যান্য সহাবীরা তাঁকে দোষারোপ করে বললেনঃ তুমি ভাল কাজ করোনি। যখন তুমি দেখলে যে, এটি তাঁর প্রয়োজন ছিল বলেই তিনি চাদরখানা এমনভাবে গ্রহন করেছেন। এরপরও তুমি সেটা চাইলে। অথচ তুমি অবশ্যই জানো যে, তাঁর কাছে কোন জিনিস চাওয়া হলে তিনি কাউকে কখনো বিমুখ করেন না। তখন সেই ব্যক্তি বললঃ যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটি পরেছেন, তখন তাঁর বারাকাত লাভের জন্যই আমি এ কাজ করেছি, যাতে এ চাদরে আমার কাফন হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ وَيَنْقُصُ الْعَمَلُ، وَيُلْقَى الشُّحُّ وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ ‏”‏‏.‏ قَالُوا وَمَا الْهَرْجُ قَالَ ‏”‏ الْقَتْلُ، الْقَتْلُ ‏”‏‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কিয়ামত সন্নিকট হচ্ছে, ‘আমাল কমে যাবে, অন্তরে কৃপণতা ঢেলে দেয়া হবে এবং হারজ বেড়ে যাবে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ হারজ’ কী? তিনি বললেনঃ হত্যা, হত্যা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৩৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، سَمِعَ سَلاَّمَ بْنَ مِسْكِينٍ، قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا، يَقُولُ حَدَّثَنَا أَنَسٌ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَدَمْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَشْرَ سِنِينَ، فَمَا قَالَ لِي أُفٍّ‏.‏ وَلاَ لِمَ صَنَعْتَ وَلاَ أَلاَّ صَنَعْتَ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি দশটি বছর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমত করেছি। কিন্তু তিনি কক্ষনো আমার প্রতি উঃ শব্দটি করেননি। এ কথা জিজ্ঞেস করেননি, তুমি এ কাজ কেন করলে এবং কেন করলে না? [২৭৬৮; মুসলিম ৪৩/১৩, হাঃ ২৩০৯, আহমাদ ১৩০২০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৪০. অধ্যায়ঃ

মানুষ নিজ পরিবারে কীভাবে চলবে।

৬০৩৯

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ فِي أَهْلِهِ قَالَتْ كَانَ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ‏.‏

আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ গৃহে কী কাজ করতেন? তিনি বললেনঃ তিনি পারিবারিক কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন। যখন সালাতের সময় উপস্থিত হত, তখন উঠে সালাতে চলে যেতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৪১. অধ্যায়ঃ

ভালবাসা আসে আল্লাহ তা’আলার তরফ থেকে।

৬০৪০

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا أَحَبَّ اللَّهُ عَبْدًا نَادَى جِبْرِيلَ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا، فَأَحِبَّهُ‏.‏ فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ، فَيُنَادِي جِبْرِيلُ فِي أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا، فَأَحِبُّوهُ‏.‏ فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ، ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ فِي أَهْلِ الأَرْضِ ‏”‏‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন আল্লাহ তা’আলা কোন বান্দাকে ভালবাসেন, তখন তিনি জিবরীল (আঃ) -কে ডেকে বলেন, আল্লাহ তা’আলা অমুক বান্দাকে ভালবাসেন, তুমিও তাকে ভালবাসবে। তখন জিবরীল (আঃ) তাকে ভালবাসেন এবং তিনি আসমানবাসীদের ডেকে বলেন, আল্লাহ তা’আলা অমুককে ভালবাসেন, অতএব তোমরাও তাকে ভালবাসবে। তখন আসমানবাসীরাও তাকে ভালবাসে। তারপর আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করা হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৪২. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশে ভালবাসা।

৬০৪১

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لاَ يَجِدُ أَحَدٌ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ حَتَّى يُحِبَّ الْمَرْءَ، لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَحَتَّى أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْكُفْرِ، بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ، وَحَتَّى يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না, যতক্ষণ না সে কোন মানুষকে একমাত্র আল্লাহ্‌র উদ্দেশে ভালবাসবে, আর যতক্ষণ না সে যে কুফরী থেকে আল্লাহ তাকে উদ্ধার করেছেন, তার দিকে ফিরে যাবার চেয়ে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অধিক প্রিয় মনে না করবে এবং যতক্ষণ না আল্লাহ ও তাঁর রসূল তার কাছে অন্য সব কিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় না হবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৪৩. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ হে মু’মিনগণ! কোন সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্রা-বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম …… (এ সব হতে) যারা তওবাহ না করে তারাই যালিম। (সূরাহ আল-হুজুরাত ৪৯/১১)

৬০৪২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَضْحَكَ الرَّجُلُ مِمَّا يَخْرُجُ مِنَ الأَنْفُسِ وَقَالَ ‏”‏ بِمَ يَضْرِبُ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ ضَرْبَ الْفَحْلِ، ثُمَّ لَعَلَّهُ يُعَانِقُهَا ‏”‏‏.‏ وَقَالَ الثَّوْرِيُّ وَوُهَيْبٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامٍ ‏”‏ جَلْدَ الْعَبْدِ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু যাম্‌’আহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের বায়ু নির্গমনে কাউকে হাসতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কেন স্ত্রীকে ষাঁড় পিটানোর মত পিটাবে? পরে হয়ত, সে আবার তার সাথে গলাগলিও করবে।

সাওরী, ওহায়ব ও আবূ মু’আবিয়াহ (রহঃ) হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ‘ষাঁড় পিটানোর’ স্থলে ‘দাসকে বেত্রাঘাত করার ন্যায়’।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৪৩

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى ‏”‏ أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ هَذَا ‏”‏‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ هَذَا يَوْمٌ حَرَامٌ، أَفَتَدْرُونَ أَىُّ بَلَدٍ هَذَا ‏”‏‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ بَلَدٌ حَرَامٌ، أَتَدْرُونَ أَىُّ شَهْرٍ هَذَا ‏”‏‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ شَهْرٌ حَرَامٌ ‏”‏‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনায় (খুতবার কালে) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি জান আজ কোন্‌ দিন? সকলেই বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলই বেশী জানেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আজ সম্মানিত দিন। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা জান, এটি কোন্‌ শহর? সবাই জবাব দিলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলই আধিক জানেন। তখন তিনি বললেনঃ এটি সম্মানিত শহর। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি জান, এটা কোন্‌ মাস? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূলই আধিক জানেন। তখন তিনি বললেনঃ এটা সম্মানিত মাস। তারপর তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাদের (পরস্পরের) জান, মাল ও ইজ্জতকে হারাম করেছেন, যেমন হারাম তোমাদের এ দিন, তোমাদের এ মাস, তোমাদের এ শহর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৪৪. অধ্যায়ঃ

গালি ও অভিশাপ দেয়া নিষিদ্ধ।

৬০৪৪

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم”‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসিকী এবং তাকে হত্যা করা কুফুরী।

শু’বাহ (রহঃ) সূত্রে গুনদারও এ রকম বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَعْمَرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ ‏”‏‏.‏

আবূ যার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন অপর জনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং একজন অন্যজনকে কাফির বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের উপরই আপতিত হবে।[৩৫০৮; মুসলিম ১/২৭, হাঃ ৬১, আহমাদ ২১৫২১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৪৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلاَ لَعَّانًا وَلاَ سَبَّابًا، كَانَ يَقُولُ عِنْدَ الْمَعْتَبَةِ ‏ “‏ مَا لَهُ، تَرِبَ جَبِينُهُ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অশালীন, লা’নতকারী ও গালিদাতা ছিলেন না। তিনি কাউকে তিরস্কার করার সময় শুধু এটুকু বলতেনঃ তার কী হলো? তার কপাল ধুলিমলিন হোক।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، أَنَّ ثَابِتَ بْنَ الضَّحَّاكِ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَنْ حَلَفَ عَلَى مِلَّةٍ غَيْرِ الإِسْلاَمِ فَهْوَ كَمَا قَالَ، وَلَيْسَ عَلَى ابْنِ آدَمَ نَذْرٌ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ، وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِشَىْءٍ فِي الدُّنْيَا عُذِّبَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ لَعَنَ مُؤْمِنًا فَهْوَ كَقَتْلِهِ، وَمَنْ قَذَفَ مُؤْمِنًا بِكُفْرٍ فَهْوَ كَقَتْلِهِ ‏”‏‏.‏

সাবিত ইবনু যাহ্হাক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি গাছের নীচে বাই‘আত গ্রহণকারীদের অন্যতম সহাবী ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দলের উপর কসম খাবে, সে ঐ দলেরই শামিল হয়ে যাবে। আর মানুষ যে জিনিসের মালিক নয়, এমন জিনিসের নযর আদায় করা তার উপর ওয়াজিব নয়। আর কোন লোক দুনিয়াতে যে জিনিস দিয়ে আত্মহত্যা করবে, ক্বিয়ামতের দিন সে জিনিস দিয়েই তাকে ‘আযাব দেয়া হবে। কোন লোক কোন মু‘মিনের উপর অভিশাপ দিলে, তা তাকে হত্যা করারই শামিল হবে। আর কোন মু‘মিনকে কাফির বললে, তাও তাকে হত্যা করার মতই হবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৪৮

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ، رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ اسْتَبَّ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَغَضِبَ أَحَدُهُمَا، فَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى انْتَفَخَ وَجْهُهُ وَتَغَيَّرَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِنِّي لأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا لَذَهَبَ عَنْهُ الَّذِي يَجِدُ ‏”‏‏.‏ فَانْطَلَقَ إِلَيْهِ الرَّجُلُ فَأَخْبَرَهُ بِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ تَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ‏.‏ فَقَالَ أَتُرَى بِي بَأْسٌ أَمَجْنُونٌ أَنَا اذْهَبْ‏.‏

সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) নামক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এক সহাবী হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ দু‘জন লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সম্মুখে পরস্পর গালাগালি করছিল। তাদের একজন এতই রাগান্বিত হয়েছিলো যে, তার চেহারা ফুলে বিগড়ে গিয়েছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি অবশ্যই একটিই কালেমা জানি। সে ঐ কালেমাটি পড়লে তার রাগ চলে যেত। তখন এক লোক তার কাছে গিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ঐ কথাটি তাকে জানালো আর বললো যে, তুমি শয়তান থেকে আশ্রয় চাও। তখন সে বললোঃ আমার মধ্যে কি কোন রোগ দেখতে পাচ্ছ? আমি কি পাগল? চলে যাও তুমি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৪৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ حَدَّثَنِي عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُخْبِرَ النَّاسَ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَتَلاَحَى رَجُلاَنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ، فَتَلاَحَى فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ وَإِنَّهَا رُفِعَتْ، وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا لَكُمْ، فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏”‏‏.‏

উবাদাহ ইবনু সমিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের ‘লাইলাতুল কাদর’ সম্বন্ধে অবহিত করার জন্য বের হলেন। তখন দু‘জন মুসলিম ঝগড়া করছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, : আমি ‘লাইলাতুল কাদ্‌র’ সম্পর্কে তোমাদের খবর দিতে বেরিয়ে এসেছিলাম। এ সময় অমুক, অমুক ঝগড়া করছিল। এজন্য ঐ খবরের ‘ইল্‌ম’ আমার থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। এটা হয়ত তোমাদের জন্য ভালোই হবে। অতএব তোমরা তা রমাযানের শেষ দশকের নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে খোঁজ করবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০৫০

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ رَأَيْتُ عَلَيْهِ بُرْدًا وَعَلَى غُلاَمِهِ بُرْدًا فَقُلْتُ لَوْ أَخَذْتَ هَذَا فَلَبِسْتَهُ كَانَتْ حُلَّةً، وَأَعْطَيْتَهُ ثَوْبًا آخَرَ‏.‏ فَقَالَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ كَلاَمٌ، وَكَانَتْ أُمُّهُ أَعْجَمِيَّةً، فَنِلْتُ مِنْهَا فَذَكَرَنِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي ‏”‏ أَسَابَبْتَ فُلاَنًا ‏”‏‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَنِلْتَ مِنْ أُمِّهِ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ عَلَى حِينِ سَاعَتِي هَذِهِ مِنْ كِبَرِ السِّنِّ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ، هُمْ إِخْوَانُكُمْ، جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ، فَمَنْ جَعَلَ اللَّهُ أَخَاهُ تَحْتَ يَدِهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ، وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ، وَلاَ يُكَلِّفُهُ مِنَ الْعَمَلِ مَا يَغْلِبُهُ، فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ فَلْيُعِنْهُ عَلَيْهِ ‏”‏‏

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ তাঁর উপর একখানা চাদর ও তাঁর গোলামের গায়ে একখানা চাদর দেখে বললাম, যদি আপনি ঐ চাদরটি নিতেন ও পরতেন, তাহলে আপনার এক জোড়া হয়ে যেত আর গোলামকে অন্য কাপড় দিয়ে দিতেন। তখন আবূ যার (রাঃ) বললেনঃ একদিন আমার ও আরেক লোকের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল। তার মা ছিল জনৈকা অনারব মহিলা। আমি তার মা তুলে গালি দিলাম। তখন লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট তা বলল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি অমুককে গালি দিয়েছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি কি তার মা তুলে গালি দিয়েছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তো এমন লোক যার মধ্যে জাহিলী যুগের স্বভাব আছে। আমি বললামঃ এখনো? এ বৃদ্ধ বয়সেও? তিনি বললেনঃ হাঁ! তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তা‘আলা ওদের তোমাদের অধীন করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যার ভাইকে তার অধীন করে দেন সে নিজে যা খায়, তাকেও যেন তা খাওয়ায়। সে নিজে যা পরে, তাকেও যেন তা পরায়। আর তার উপর যেন এমন কোন কাজ না চাপায়, যা তার শক্তির বাইরে। আর যদি তার উপর এমন কোন কঠিন ভার দিতেই হয়, তাহলে সে নিজেও যেন তাকে সাহায্য করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস