বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আহাদ শব্দের অর্থ কি বা আহাদ নামের অর্থ কি।
Table of Contents
Toggleআহাদ শব্দের অর্থ কি
আল আহাদ আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম; আহাদ শব্দের অর্থ এক, একা, একক; তার কোন দুই বা দ্বিতীয় নেই; তার কোন সঙ্গী-সাথী, সমতূল্য, সমকক্ষ ও শরিক নেই; যাবতীয় গুণাবলীতে তিনি একক; তার সমতূল্য কেউ নেই; যাবতীয় গৌরব, সৌন্দর্য্য, প্রশংসা, প্রজ্ঞা দয়া-দাক্ষিণ্য, শক্তিমত্তা প্রভৃতি গুণাবলীতে তিনি অদ্বিতীয়। তার কোন নযীর নেই।
যাবতীয় সৃষ্টি ও রুযীদান করার কাজে তিনি একক, তার কোন দোসর নেই। বিশ্ব পরিচালনার কাজে তিনি একক। তার কোন সাহায্যকারী ও সহায়ক নেই।
কেউ তার সমকক্ষ নয়; না তার সত্ত্বায়, না তার গুণাবলীতে। এবং না তার কর্মাবলীতে।
তিনিই একমাত্র উপাস্য, তার কোন অংশীদার নেই। সারা সার্বভৌমত্বের একচ্ছত্র অধিকারী তিনিই।
তার কোন স্ত্রী নেই, সন্তান নেই, তিনি একা। তিনি জনক নন, তার থেকে কিছু উদ্ভুত নয়। এবং তিনিও কিছু থেকে উদ্ভুত নন। সবাই তার মুখাপেক্ষী, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।
আহাদ নামের অর্থ কি
মহান আল্লাহ বলেন,
বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি সন্তান গ্রহণ করেননি, তার সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নেই এবং তিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না। যে কারনে তার অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে। আর স্বসম্ভ্রমে তার মাহাত্ম ঘোষণা কর। (সুরা বনী ইসরাইল: আয়াত—১১১)
কাফেররা মহানবী (স:) এর কাছে মহান প্রতিপালকের বংশ তালিকা ও পরিচয় জানতে চাইল। আল্লাহ ছোট্ট একটি সুরা অবতীর্ণ করে তার পরিচয় দিলেন,
বলুন তিনিই আল্লাহ একক (অদ্বিতীয়), তিনি অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি (তার কোন সন্তান নেই) এবং তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি (তিনি কারো সন্তান নন)। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। (সুরা ইখলাস)
হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেন,
মানুষ আমাকে গালি দেয় অর্থাৎ আমার সন্তান আছে বলে। অথচ আমি একক ও অমুখাপেক্ষী। আমি কাউকে না জন্ম দিয়েছি না কারো হতে জন্ম নিয়েছি। আর না কেউ আমার সমতুল্য আছে। (বুখারী)
তিনি একাই সবকিছু করেন। তিনি একাই যা চান তাই হয়; তিনি একাই গায়েবের খবর জানেন; আল্লাহ একাই বান্দার রোগ বালা দূর করেন; তিনি একাই বান্দাকে সুখ-সমৃদ্ধি দান করেন; তার কোন কাজে নবী, ওলী শরিক নন। তিনি সর্ববিষয়ে একক ও অদ্বিতীয়, অনুপম ও অতুলনীয়।
অতএব তিনিই একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই। অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
আহাদ নামটি একমাত্র আল্লাহর জন্যই খাস; এই অর্থে আল্লাহর আরো অনেক নাম আছে যেমন, ওয়াহিদ, বিতর ইত্যাদি; এসব নাম অন্য কারো জন্য সাব্যস্ত নয়; কারণ যেই অর্থে তিনি এক সেই অর্থে কেউই এক নয়; এবং তিনিই আল্লাহ এক। আল্লাহর আহাদ নামের মাঝে তাওহীদের মূল পরিচয় পাওয়া যায়।